নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
Water Into Wine.....
আজ একটা গল্প বলবো।
এই গল্পটা বেশ কিছু বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফেরার পথে ট্রেনে সহযাত্রী ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ কামাল উদ্দীন নীলু, তাঁর মুখে শুনেছিলাম, যা আমার মনে ভীষণ দাগ কেটেছিল।
আমরা দুজন একই কম্পার্টমেন্টে যাচ্ছি। আমি চুপচাপ স্বভাবের তবুও সামনা-সামনি বসা বিশিষ্ট নাট্যকার এবং শিক্ষকের সাথে আলাপ পরিচয় না হলে কেমন লাগে- তাই নিজেই যেচে আলাপ করি। ভদ্রলোকও আলাপী মানুষ, আমার সাথে বেশ জমে গেল। ভদ্রলোক নিপাট ভদ্র। দেশ, রাজনীতি, ক্রিকেট, শিক্ষা সংস্কৃতি ইত্যাদির পর হঠাৎ ধর্ম প্রসঙ্গ এলো। তখন তিনিই বললেন গল্পটা।
ইংরেজ কবি গোল্ডস্মিথ তখন স্কুলের ছাত্র, সেই সময় ওনাদের সিলেবাসে বাইবেলের কিছুটা অংশ পড়তে হত। একদিন ক্লাসে শিক্ষক পড়াচ্ছেন,--প্রভু যীশু এসেছেন মার্থার কাছে, সায়মাশের নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে। সাথে অন্যান্য সাথীরাও এসেছেন। মার্থার মন আজ আনন্দে ভরে গেছে, প্রভু এসেছেন দীনের কুটীরে।খাদ্য পরিবেশনের পরে পান পাত্রে মদ পরিবেশন করছেন মার্থা। পরিবেশটাই আজ আনন্দের। কিন্তু হঠাৎ মার্থা লক্ষ্য করল, জালায় মদ ফুরিয়ে এসেছে, প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। অথচ নিমন্ত্রিতরা তখনও পানীয় চাইছেন। বিচলিত, লজ্জিত মার্থা মাথা নীচু করে ভাবতে লাগলেন নিমন্ত্রিতদের তিনি কি দেবেন! বাড়ীতে আর তো মদ নেই।
প্রভু যীশুর নজর কিছুই এড়ায় না। বিচলিত মার্থাকে ডেকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, 'কী হয়েছে মার্থা?'
মার্থা ধরা গলায় বললো, "প্রভু, মদ যে শেষ হয়ে গেছে।"
প্রভু যীশু বললেন, 'মদ শেষ হবে কেন? ঐ তো, ঘরের কোণে রাখা জালায় মদ আছে।'
মার্থা প্রভু যীশুর দিকে তাকিয়ে বললো, "প্রভু, ঐ জালাতে মদ নেই, ঐ জালাতে পানি আছে।"
প্রভু যীশু বললেন, 'যাও, ঢাকনা খুলে দেখ তো!'
মার্থা ঘরের কোণে পানির জালার ঢাকনা খুলে দিলে প্রভু যীশু মাথা ঝুকিয়ে জালার ভেতরটা দেখে বললেন, 'মার্থা, দেখো, এই তো মদ।'
মার্থা হতবাক, জালা পূর্ণ আছে উৎকৃষ্ট মদে!
এই গল্পটি পড়িয়ে শিক্ষক ছাত্রদের বললেন, পানি মদে পরিবর্তন ব্যাখ্যা করতে হবে।
গোল্ডস্মিথের সহপাঠীরা পাতার পর পাতা জুড়ে ব্যাখ্যা লিখল। প্রভু যীশুর মহিমা, অলৌকিকত্বের কথাতে দু'চার পাতা ভরে গেল। কেবল মাত্র গোল্ডস্মিথ একটি মাত্র বাক্যে এই ঘটনার ব্যাখ্যা লিখেছিলেন, "The water met its Master, and blushed”
এই গল্পটি শুনে বেশ কিছু দিন ভেবে ছিলাম...সত্যিই তো.......!
আরো অনেক বছর পর গুগলে এই বিষয় পড়ে অনেক কিছু জেনেছি....
(এই লেখাটা দুই বছর আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম)
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। ভালো।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখাটা ঠিক যায়গাতেই (ফেইসবুকে ) ছিলো!
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ভয়ংকর জ্ঞানী ব্লগারের অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য পেয়ে আমি ধন্য হলাম!
৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
সাসুম বলেছেন: ঠিক এ ধরনের অন্তত ১৬ টা গল্প ইস্লামেও আছে। নবী এবং খাবারের অলৌকিকতা নিয়ে।
একটা ঘটনা বলি-
নবীর সাথে জয়নাবের বিবাহউত্তর অনুষ্ঠানে সাহাবী আনাসের মাতা উম্মে সুলাইয়াম কিছু খেজুর দিয়ে আনাস কে পাঠান মেহমান দের আপ্যায়ান করার জন্য। আনাস সেগুলো নিয়ে যাওয়ার পর নবী আনাস কে নির্দেশ দিলেন বাইরে যাকে যাকে পাওয়া যায় সবাইকে ডেকে আনার জন্য। আনাস খাদ্যের অপ্রতুলতা জানার পরেও আদেশ অমান্য করতে না পেরে বাইরে যাকেই পেল তাকেই ইনভাইট করল এবং এভাবে ৩০০ মুস্লিম জড়ো হল। নবীজি সবাইকে ১০ জনের গ্রুপ হতে বললেন এবং সেই খেজুরের বাটির উপর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং সবাইকে পেট না ভরা পর্যন্ত খেতে বললেন। সবাই পেট ভরার পর খেয়েও আনাস যখন খেজুর ফেরত নিয়ে যাচ্ছিল তখনও প্লেটে সমান সংখ্যাক খেজুর ছিল। বুখারী এবং মুস্লিম শরীফের সহীহ হাদিস মতে।
খিস্টান গল্পে মদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যেহেতু জীবন্ত খোদা সামনে আছেন তাই পানি মদে পরিনত হয়।
মুস্লিম গল্পে যেহেতু ধর্মের প্রণেতা সামনে আছেন তাই উনার উসিলায় খালি পাত্র খেজুরে রুপান্তর হয়।
কাহিনি সেইম, চরিত্র ভিন্ন। ধর্ম যেহেতু লজিকের চেয়ে বিশ্বাস টাই।বড় তাই যার যার ধর্মের কাহিনী যতই আজগুবি শুনাক না কেন সেটা তাদের কাছে সত্য ও মোজেজা পূর্ন এবং সেটার জাস্টিফিকেশানের জন্য বিশ্বাসীরা যেকোন লজিক হাজির করতে পারে। কারন এখানে যৌক্তিকতা প্রমানের তো কোন প্রয়োজন নেই।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ধর্ম বিশ্বাসী মানুষ, যেকোনো ধর্মের ধর্মীয় মিথ নিয়ে আমার আগ্রহ কম। আমি আমার বিশ্বাসকেই আকড়ে থাকতে চাই।
শুভ কামনা।
৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গল্পটি পড়লাম, ভালো উপস্থাপন হয়েছে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মদ্যপান বিষয়ে খ্রিষ্ট ধর্মে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: জানা নাই।
৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২
জটিল ভাই বলেছেন:
টপিক ও উপস্থাপনা জটিল হয়েছে প্রিয় ভাই।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৯
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: যথারীতি এখানেও শয়তান হাজির !
গোল্ডস্মিথ উত্তরের বাংলাটা কি হবে ?
ভালো থাকবেন ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলা অর্থটা যতটা না শব্দার্থ তার চাইতে বেশী মর্মার্থ। তাই অর্থটাও দৃষ্টিভংগীর উপর ব্যাখ্যা করতে হবে।
ধন্যবাদ।
৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দুই বছর পরে ফেসবুক হতে বগ্লে আসলো লেখাটা
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ফেসবুক মেমোরি সামনে নিয়ে এলো, আর আমি সেটা ব্লগে শেয়ার দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৬
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর লাগল দাদা ভাল থাকবেন