নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
বিচিত্র জীবন.....
আর্জেন্টিনার বিখ্যাত কবি ও লেখক হর্হে লুই বর্হেস বই পড়াবস্থায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ট্রেনে যাচ্ছিলেন একটা গোয়েন্দা উপন্যাস পড়তে পড়তে। ট্রেন একটা টানেলে ঢুকল, যখন বেরিয়ে এল, বর্হেস অন্ধ হয়ে গেছেন বাকি জীবনের জন্য।
বর্হেস বলেছিলেন 'অন্ধদের জীবনে কোনো অন্ধকার থাকে না। চোখের সামনে হলুদ, কমলা, লাল, সবুজ ইত্যাদি মেশানো একটা গাঢ় কুয়াশা আটকে থাকে, সেটাকে ছাড়িয়ে চোখ বেরোতে পারে না। অন্ধদের জীবনে কোনো কালো রঙ নেই'।
কিন্তু, যদি ভাবি, শুধু অন্ধরা কেন? আমাদের চোখের সামনে ওই কুয়াশা কি অল্প বিস্তর নেই? আমরা হয়ত ওটাকে টের পাওয়ার মতোও চোখ রাখি না। অন্ধ পূর্ব বর্হেসের চাকরি জীবন ছিল এক গ্রন্থাগারে, এটাও উল্লেখযোগ্য।
বর্হেস চোখ হারিয়ে কী পেলেন? হয়ত চোখের আলোয় পেলেন চোখের বাহিরকে। সেই ডিটেকটিভ উপন্যাসটা কি বর্হেস শেষ করতে পেরেছিলেন? উল্লেখ নেই। তবে বর্হেসের স্ত্রী ভার নিয়েছিলেন বই পড়ে শোনানোর, লেখার ডিকটেশন নেওয়ার। তাইতো অন্ধ হয়েও বর্হেস তাঁর সৃজনশীল সৃষ্টিশীল লেখনীতে সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন সাহিত্যের জগৎ।
আমরা যারা দেখতে পাই, যতই অনুমান করি বা কল্পনা করি, অন্ধরা কী দেখতে পায় কোনোদিনই জানতে পারব না।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে একজন দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন মানুষ অন্ধত্ব নিয়ে ভেবে কোনো কুলকিনারা পাবেনা-এটাই স্বাভাবিক।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অন্ধত্বের স্বাদ ও অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য চোখে গামছা বেঁধে একদিন কাটাতে হবে। এটা কৃত্রিম অন্ধত্ব হলেও কিছুটা বোঝা যাবে প্রকৃত অন্ধরা কী ভাবেন বা দেখেন।
বর্হেসের জীবন সত্যিই খুব বিচিত্র।
চোখ বুঝিলে দুনিয়া আন্ধার। গভীর চিন্তার পোস্ট।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: সোনা ভাই, যেনে অবাক হবেন- আমি সত্যি সত্যিই ৮ দিন চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিলাম.... আমি কোথায় আছি, দিন কিম্বা রাত কিছুই বোঝার উপায় ছিলনা। তবে রাতের নিস্তব্দতার একটা ঘ্রাণ অনুভব করেছি এবং 'আচ্ছালাতু খয়রুম মিনান্নার...." ধ্বনিতে বুঝতাম আরও একটা রাতের অবসান হলেও- আমি সূর্য্যের আলো দেখতে পাবনা! (দ্য আনটোল্ড স্টোরিজ)
আবার ২০১৯ সনের মাঝামাঝি আমার চোখে অপারেশন জনিত কারনে তিন দিন এক চোখে দেখেছি অসম্পুর্ণ দুনিয়া!
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অন্ধ এমন একটা মানুষ যার জীবনে আলোর কোন জায়গাই নেই। আর যেখানে আলোর কোন জায়গা নেই সেখানে তাদের জীবনে যা আলো তাই অন্ধকার - সবই সমান।
তবে এ এক বেদনার-কষ্টের-রূপ-রস-গন্ধহীন জীবন যেখানে শুধু আধার আর আধার। আর সেটা কিছুটা হলেও আমরা বুঝি যদি চোখ বন্ধ করে আমাদের চিরপরিচিত আপনজন-ঘরদোর অনুভব করতে চাই।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সোবুজ বলেছেন: অন্ধরা দেখতে না পেলেও তাদের শোনা এবং অনুভূতি ক্ষমতা প্রখর।আমার এক বন্ধুর মা ছিল অন্ধ।আমি তাদের উঠানোে পা দিলেই আমার নাম ধরে বলতো,ও তো বাড়ী নেই।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সূর্যসেন হলে এক সহপাঠী বন্ধু ফিরোজ কবীর ছিলেন অন্ধ। রাস্ট্র বিজ্ঞানের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। অনার্স-মাস্টার্স দুটোতেই প্রথম শ্রেনী পেয়েছিলেন। ওর রুমের সামনে কেউ গেলেই নাম বলতে পারতো!
৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অন্ধত্বের স্বাদ ও অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য চোখে গামছা বেঁধে একদিন কাটাতে হবে। এটা কৃত্রিম অন্ধত্ব হলেও কিছুটা বোঝা যাবে প্রকৃত অন্ধরা কী ভাবেন বা দেখেন।
এটা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়, কারণ আপনি একটু আগেই দেখেছেন বাইরের রূপ রং এবং একটু পরেই চোখ খুলে দেখবেন বাইরের দুনিয়ায় কি আছে, এগুলো সবই আপনার জানা, সুতরাং ইচ্ছে করলেই অন্ধের অনুভূতি ধারণ করা কারো পক্ষে সম্ভব নয় ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: ইচ্ছে করলেই অন্ধের অনুভূতি ধারণ করা কারো পক্ষে সম্ভব নয় । -এটাই বাস্তবতা।
৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৮
জ্যাকেল বলেছেন: হায় হায়!
আমি হইলে তো দিশা হারিয়ে হয়তবা আত্মহত্যা করে ফেলতাম। এইভাবে নিজের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ইন্দ্রিয় অংগ হারিয়ে ফেলে। অকল্পনীয়।
উনার অন্তঃশক্তি নিয়ে আমি অত্যন্ত মুগ্ধ হইয়াছি।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: নিয়তি! আমরা নিয়তির কাছে বন্দী!
৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: জন্মান্ধ আর জন্মের পরের অন্ধের অভিজ্ঞতা এক রকম হবে না । জন্ম থেকে যে অন্ধ তার জীবনে রং বলতে কিছু থাকবে না । সে কেবল কালো অন্ধকারই দেখবে । এমন কি তার স্বপ্ন গুলো হবে কেবল মাত্র অন্ধকারময় শব্দের !
অন্য দিকে জন্মের পরে যে আলোর সন্তান পেয়ে রংয়ের সন্ধান পেয়ে অন্ধ হয়েছে তার অভিজ্ঞতা অন্য রকম হবে ! বর্হেসের জীবন সেই রকমই হবে হয়তো ।
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অন্ধত্বের স্বাদ ও অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য চোখে গামছা বেঁধে একদিন কাটাতে হবে। এটা কৃত্রিম অন্ধত্ব হলেও কিছুটা বোঝা যাবে প্রকৃত অন্ধরা কী ভাবেন বা দেখেন।
এই ভাবে অন্ধত্বের অভিজ্ঞতা পাওয়া সম্ভব না । তবে অনেক দিন আগে একটা ভিডিও দেখেছিলাম যেখানে একজন মেয়েকে এক বিশেষ ধরনের কন্ট্যাক্ট লেন্স পরান হয় সেটা সে কিছুই দেখতে পারে না । ভারতীয় অভিনেতা আয়ুস্মান খোরানা তার একটা মুভিতে অন্ধ চরিত্রে অভিনয়ের জন্যও ঠিক একই কায়দায় লেন্স পরে অন্ধ হয়েছিলাম যাতে অভিনয়টা পাঁকা হয় !
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: অপু, আমার জীবনের সেই দুর্বিসহ দিনগুলোতে প্রথম ৮ দিন আমার দুই হাত পিছমোড়া করে, চোখ-কান গামছা দিয়ে বেঁধে রাখা ছিলো! .... আমি কোথায় আছি, দিন কিম্বা রাত কিছুই বোঝার উপায় ছিলনা। তবে রাতের নিস্তব্দতার একটা ঘ্রাণ অনুভব করেছি এবং 'আচ্ছালাতু খয়রুম মিনান্নার...." ধ্বনিতে বুঝতাম আরও একটা রাতের অবসান হলেও- আমি সূর্য্যের আলো দেখতে পাবনা! (দ্য আনটোল্ড স্টোরিজ)
৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৯
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: এরকম বিচিত্র জীবন মোটেও কাম্য নয়।
হয়তো উনি অন্ধ না হয়ে গেলেও সাহিত্য একইভাবে সমৃদ্ধ করে যেতেন , এটাও জানা হবে না ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে আমাদের ইচ্ছার উপর কিছুই নির্ভর করেনা। সবকিছুই নিয়তি নির্ভর!
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩৯
জটিল ভাই বলেছেন:
অন্ধরা একদিক হতে ভালো আছে যে নিষ্ঠুর মানুষের নির্মমতা তাদের দেখতে হয় না। তাই বলে কারো অন্ধত্ব কাম্য নয়। বরং যারা দৃষ্টি থাকতেও দৃষ্টিহীন তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
জটিলবাদ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: যেনে অবাক হবেন- আমি সত্যি সত্যিই ৮ দিন চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিলাম.... আমি কোথায় আছি, দিন কিম্বা রাত কিছুই বোঝার উপায় ছিলনা। তবে রাতের নিস্তব্দতার একটা ঘ্রাণ অনুভব করেছি এবং 'আচ্ছালাতু খয়রুম মিনান্নার...." ধ্বনিতে বুঝতাম আরও একটা রাতের অবসান হলেও- আমি সূর্য্যের আলো দেখতে পাবনা! (দ্য আনটোল্ড স্টোরিজ)
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৫
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অন্ধ অনেক ধরনের হতে পারে প্রকৃতিগত আর চোখ থাকিতে অন্ধ প্রকৃতি অন্ধ তাদের জ্ঞানের সীমা অনেক কিন্তু চোখ থাকিতে অন্ধ তাদের কথা ভাবাই যাই না------------
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: যারা চোখ থাকতে অন্ধ তাদের মতো বদ চরিত্র দ্বিতীয়টা আর নাই।
১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিষয়টা নিঃসন্দেহে ভাবনার। চোখ না থাকলে তাদের যন্ত্রণা সারাজীবনের ঠিকই কিন্তু চোখ থেকেও আমরা বহু জন অন্ধ। আবার যাদের দৃষ্টি শক্তি নেই তাঁরাও যে দৃষ্টিতে দেখেন সেটা অনুধাবন করা আমাদের মত চক্ষু ওয়ালাদের অনেকেরই পক্ষে সম্ভব নয়।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: চর্মচক্ষু থেকে হৃদয়চক্ষুর দৃষ্টি অনেক বেশী স্বচ্ছ।
১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:২৭
আল আমিন হাসান সাদেক বলেছেন: মালদ্বীপ । পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য । দুরবীন বাংলা । Maldives । DURBEEN BANGLA
১৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমার দাদা একদিন হঠাত অন্ধ হয়ে যান। তখন তার বস্য ৩৫। বাকি ৪০ বছর তিনি অন্ধ হয়ে কাটিয়ে দেন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আহারে!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও এই বিষয়টা নিয়ে অনেক ভেবেছি- কোন কুল কিনারা পাইনি।