নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
সুকুমার রায় আমার চোখে অন্যতম দুরদর্শি কবি ছড়াকার। তাঁর 'ষোল আনাই মিছে' কবিতাটা মনে পরছে, যা ছেলেবেলায় মুখস্থ করেছিলাম।
'ষোল আনাই মিছে'!
বিদ্যে বোঝাই বাবু মশাই চড়ি শখের বোটে
মাঝিরে কন, “বলতে পারিস সূর্য কেন ওঠে?
চাঁদটা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?”
বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফেলফেলিয়ে হাসে।
বাবু বলেন, “সারা জীবন মরলিরে তুই খাটি,
জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারি আনাই মাটি!”
খানিক বাদে কহেন বাবু, “বলত দেখি ভেবে
নদীর ধারা কেমনে আসে পাহাড় হতে নেবে?
বলত কেন লবন পোরা সাগর ভরা পানি?”
মাঝি সে কয়, “আরে মশাই অত কি আর জানি?”
বাবু বলেন, “এই বয়সে জানিসনেও তা কি?
জীবনটা তোর নেহাত খেলো, অষ্ট আনাই ফাঁকি!”
আবার ভেবে কহেন বাবু, “বলত ওরে বুড়ো,
কেন এমন নীল দেখা যায় আকাশের ঐ চূড়ো?
বলত দেখি সূর্য চাঁদে গ্রহন লাগে কেন?”
বৃদ্ধ বলেন, “আমায় কেন লজ্জা দিছেন হেন?”
বাবু বলেন, “বলব কি আর বলব তোরে কি, তা,-
দেখছি এখন জীবনটা তোর বারো আনাই বৃথা।”
খানিক বাদে ঝড় উঠেছে ঢেউ উঠেছে ফুলে,
বাবু দেখেন নৌকাখানি ডুবল বুঝি দুলে।
মাঝিরে কন, “একি আপদ ওরে ও ভাই মাঝি,
ডুবল নাকি নৌকো এবার? মরব নাকি আজি?”
মাঝি শুধায়, “সাতার জানো?” মাথা নারেন বাবু,
মূর্খ মাঝি বলে, “মশাই এখন কেন কাবু?
বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব করো পিছে,
তোমার দেখি জীবন খানা ষোল আনাই মিছে।”
১৪ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: এমনিতেই মানুষের জীবনের দশ আনা মিছে। সেখানে আরও ছয় আনা যোগ হলে আর বাকী থাকলো কি!
২| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৪৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জীবনের হিসাব।
১৪ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: কখনো মেলেনা।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:১২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সবার মধ্যে সব জ্ঞান থাকে না। প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা আলাদা জ্ঞান
এই সমতা না থাকলে বাপরে যে দাঙা হাঙামা হইতো জ্ঞানীরা খালি লড়তোই।
১৪ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: সমতা রক্ষার জন্যই প্রয়োজন- "চেক এন্ড ব্যালেন্স"।
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
আম-জনতার ষোল আনাই এখন মিছে।
তারা না জানে দ্রব্যমূল্য কেন যে যায় হঠাৎ বাড়ি,
না জানে লক্ষ কোটি টাকা কি করে দেয় আকাশ পাড়ি!
১৪ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যি সুকুমার রায় বেঁচে থাকলে বর্তমান দ্রব্য মূল্য দেখে নিজের জীবনই ষোল আনা মিছে মেনে নিতেন- যেভাবে আমরা সাধারণ মানুষ নিজ নিজ জীবন ষোল আনা মিছে ভাবছি!
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
উন্নয়নের ঘোড়া এখন ছুটছে কার পিছে
সেই ঘাড়া ধরতে না পেরে জীবনটাই মিছে।
১৪ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: জীবন এখন ক্ষমতাসীন দলের লোকদের জন্যই প্রযোজ্য- আমরা শুধু জীবনের ঘানি টানা কলুর বলদ!
৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: এই তো জীবন।
সত্য মিথ্যায় মিলিয়ে।
১৪ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: চাই কিম্বা না চাই- জীবনের সব সত্য।
৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫৯
জগতারন বলেছেন:
এই কবিতাটি ১৯৬৮ সালে আমাদের সময়ে পাঠ্য ছিল ক্লাশ থ্রী'তে।
আমাকে মুখস্ত করতে হয়েছিল এখনও আমার মুখস্ত আছে।
কবিতাটি আমরা সহপাঠী'রা মুখস্ত বলে বলে চাচাতো ভাই
আবু আলী'কে ইঙ্গিত হাসা হাসি করতাম। কারন
সে সাতার জানতো নয়া। সে ছিল ছয় বোনের পর সবার ছোট্ট ভাই।
আদরে আদরে আর তার সাতার শিখা হয় নি। যা ছিল
আমাদের গ্রাম্য সমাজে আমার জানা মতে তখনকার সম বিরলতম ঘটনা।
আমারা সেই সময়ে সাধু ভাসায় লেখা-পড়া করতাম।
কোথায় গেলো আমাদের সেই প্রানের সাধু ভাসা ?
১৪ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা এই কবিতা পড়েছি ক্লাস সিক্সে এবং যথারীতি আমাদেরও মুখস্ত করতে হতো।
'ভাষা'।
ধন্যবাদ।
৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ক্লাস থ্রি বা ফোরে আমাদের পাঠ্যবইয়ে ছিল 'ষোল আনাই মিছে।' কিছুদিন আগে দেখলাম, সুকুমার রায় এ কবিতার নাম রেখেছিলেন 'জীবনের হিসাব'। ক্লাস ফোর পর্যন্ত কবিতা মুখস্থ করা আমার জন্য খুব টাফ ছিল। ইন ফ্যাক্ট, ক্লাস এইট পর্যন্ত আমার কাছে কবিতা ছিল খুব বোরিং একটা সাবজেক্ট। আইরনি অব স্টাডি হলো, সেই আমি ক্লাস এইট থেকেই কবিতা লেখার প্র্যাকটিস শুরু করি
ব্যবহারিক জ্ঞানের কোনো বিকল্প নাই। মুখস্থ বিদ্যা ভাইবা'র জন্য কাজে লাগে অবশ্য
সুন্দর কবিতা সময়োপযোগী শেয়ার
১৫ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা এই কবিতা পড়েছি সম্ভবত ক্সাস সিক্সে।
৯| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:০৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কি মন্তব্য করবো আজ ভেবে না পাই।
১৫ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে এগুলো জীবনের কথা- তাই মন্তব্য করা বেশ কঠিন।
১০| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:২৪
গরল বলেছেন: এই কবিতার মোরাল টা হয়ত জাপানীজরা বুঝতে পেরেছিল। তাই তাদের শিক্ষা ব্যাবস্থায় প্রাথমিকে (১-৪ শ্রেণী) লেখাপড়ার চেয়ে লাইফ স্কীলস যেমন খেলা-ধুলা, সাইকেল চালনা, সাঁতার, বিভিন্ন ধরেণের জিমন্যাষ্টিক এগুলোতে বেশী জোড় দেয়। এমনকি হাই স্কুলেও (৯-১২ শ্রেণী) যে কোন একটা খেলায় পারদর্শী হতে হয়। জাতিকে পড়াশুনার পাশাপাশি শারিরীক ভাবে সক্ষম ও ফিট করে গড়ে তোলাই তাদের একটা লক্ষ।
১৫ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব ভাল একটা বিশয় জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
১১| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০২
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: সাতার জানি না তাই নদী নালা পুকুরের আশেপাশে যাই না । আমার মতো 'ধরি মাছ না ছুই পানি' ধান্দাবাজে দুনিয়া ভরে গেছে , সুকুমার রায়ের শিক্ষা মতো সাতার শিখতেও আর ইচ্ছে করেনা ।
ভালো থাকবেন জুলভার্ন ।
১৫ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সাতারে খুবই ভালো। বড়ো ছেলেও বেশ ভালই সাতার জানে। ছোট ছেলে এবং ছেলেদের মা সাতার জানেনা।
১২| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৫৯
জটিল ভাই বলেছেন:
ভীষণ প্রিয় একটা কবিতা।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
সোবুজ বলেছেন: এমন করে চিন্তা করলে,সবার জীবন ষোল আনা মিছে।