নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মূত্রস্নান........

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৩

মূত্রস্নান........

ভালো ব্যায়ামগুলোর একটি হলো সাঁতার। শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে একই সঙ্গে চালাতে হয় সাঁতারের সময়। ফলে, বলা হয় এক সাঁতারেই সব ব্যায়াম। আর এই গরমে যাঁরা সাঁতার কাটেন, তাঁরা ভালোই জানেন কিছুক্ষণ পানির ভেতর থাকার মজাটাই অন্য রকম। ব্যায়াম এবং শরীর ঠান্ডা—এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়। আবার পানিতে নিরাপদ থাকার জন্যও সাঁতার জরুরি।

কেউ যদি একই সঙ্গে ফিজিক্যাল ফিটনেস এবং অনেক জটিল রোগ থেকে মুক্ত হতে চান, তবে তাঁর নিয়মিত সাঁতার কাটা উচিত। প্রতিদিন এক ঘণ্টা সাঁতার একদিক থেকে যেমন শরীরকে রোগমুক্ত ও সুঠাম রাখে, তেমনি মনকেও করে চাঙা। যেকোনো বয়সেই সাঁতার শেখা যায়।

গ্রামের মতো শহরে পুকুর নেই, ফলে সাঁতার শেখা একটু কষ্টকর। তবে রাজধানীতে সরকারি-বেসরকারি কিছু সুইমিংপুলে সাঁতার কাটা ও সাঁতার শেখা যায়। এসব পুলে নির্দিষ্ট ফির মাধ্যমে প্রশিক্ষকের কাছ থেকে সাঁতার শেখা যায়। তবে সুইমিংপুলে সাতারুরা অনেক নোংরা কাজ করে.....

বিশ্ববিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট এও সমীক্ষায় প্রমাণ পেয়েছেঃ ছেলে-মেয়ে যাই হোক না কেন, সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে প্রতি পাঁচ জনের একজনই পানির ভেতর প্রসাব করে আর পেশাদার সাঁতারু যারা আছে, তাদের শতভাগই সুইমিং পুলে নিয়মিত প্রসাব করে।

এই জন্য সুইমিংপুলকে বলা হয় ব্লু টয়লেট...যদিও সুইমিংপুলের সাথেই লাগোয়া টয়লেট থাকে, তবে খুব কম লোকই পানিতে নামার আগে প্রসাব সেরে নেয়।

সুইমিংপুলে গোসলের সময় দেখা যায় চোখ লাল হয়ে যায়...কিংবা হঠাৎ হাঁচি উঠে...
আগে ধারণা করা হত, এটি হয় পানি পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত ক্লোরিনের জন্য কিন্তু আমেরিকার সিডিসির এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, শুধু ক্লোরিন নয়, এর জন্য বহুলাংশে দায়ী হল প্রসাব। সাতারুরা সুইমিং পুলে নেমে পানিতেই প্রসাব করে এবং প্রসাবের নাইট্রোজেন ক্লোরিনের সাথে মিশে সায়ানোজেন ক্লোরাইড তৈরি করে।
এই সায়ানোজেন ক্লোরাইডই চোখ লাল করে তোলে... নাকে গিয়ে হাঁচি সৃষ্টি করে... এমনকি প্রসাবের পরিমাণ বেশি হলে চামড়াতেও চুলকানোর অনুভুতি তৈরি করতে পারে।

সুইমিং পুলে যারা গোসল করেন তাদের হয়ত জানা নেই, এখানে পানিতে থাকে বিপুল পরিমাণ মূত্র। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ। আপনি যদি পাবলিক সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন তাহলে এর পানির একটি বিশেষ স্বাদের সঙ্গে পরিচিত হবেন। এটি প্রধানত ক্লোরিনের স্বাদ, যা পানিতে মেশানো হয়। এছাড়া এ পানিতে আপনি স্বাদ পাবেন মানুষের মূত্রেরও! সাঁতার কাটতে যারা পানিতে নামেন তাদের অধিকাংশই সবার অগোচরে পানিতে মূত্রত্যাগ করেন। যদিও বিষয়টি অন্যরা জানতে পারছে না বলে মনে করেন তারা। আর এ অভ্যাসটি অধিকাংশ মানুষেরই রয়েছে। একটি সাধারণ পাবলিক সুইমিং পুলের পানিতে ৭৫ লিটার মূত্র থাকে বলে জানা গেছে পরীক্ষায়। আর এর পেছনে রয়েছে মানুষের এ পানিতে মূত্রত্যাগের অভ্যাস। কারণ, পানিতে নামলে মূত্রত্যাগ থেকে বিরত থাকেন, এমন মানুষ কমই রয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণাতেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এ গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক লিন্ডসে ব্ল্যাকস্টক বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে মানুষ পাবলিক সুইমিং পুলে ও হট টাবে মূত্রত্যাগ করে।’ আর এ বিষয়টি অনুসন্ধানে কানাডারার ৩১টি সুইমিং পুলের পানি পরীক্ষা করেন গবেষকরা। এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন মার্কিন অলিম্পিস সাঁতারু রায়ান লচেট ও মাইকেল ফেলপস। স্বর্ণবিজয়ী এ সাঁতারু বলেন, ‘আমার মনে হয় সবাই সুইমিং পুলে মূত্রত্যাগ করে। আর সে জীবাণুগুলো ধ্বংস করে ক্লোরিন। তাই এটি ক্ষতিকর নয়।’

গবেষকদের মতে, সুইমিং পুলের মূত্র স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এর কারণ, মূত্রের ইউরিক এসিড ও ক্লোরিন একত্রে মিলে বিষাক্ত উপাদান তৈরি করে, যার নাম কিয়ানোজেন ক্লোরাইড (সিএনসিআই) ও ট্রাইক্লোরামাইন (এনসিআই৩)। এর মধ্যে প্রথম সিএনসিআই মানুষের কেন্দ্রীয় নাভার্স ব্যবস্থা, ফুসফুস ও হৃৎযন্ত্রের ক্ষতি করে। এছাড়া এনসিআই- ৩ ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে। এছাড়া, এ মূত্র চোখের ও দেহের আরও কিছু অঙ্গের ক্ষতি করে। সুইমিং পুলের এ মূত্র মোটেই হালকাভাবে দেখার উপায় নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে সুইমিং পুলে মূত্রত্যাগের এ অভ্যাস যেন সবাই বাদ দেয় সেজন্য জনসচেতনতা তৈরি ও ক্ষতিকর বিষয়গুলো সবাইকে জানানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাই ফ্যান্টাসি কিংডমের পানিতে নামার সময় কিংবা লোভনীয় কোন সুইমিং পুল দেখে ঝাঁপিয়ে পরার আগে সাবধান।

(পত্রিকার নিউজ দেখে তিন বছর আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম)

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাড়ির টিউবঅয়েলের পানি পরীক্ষা করিয়েছেন কখনও? ওটার পানিতেও হাগু এবং মুত্র দুইটাই আছে! বিশ্বাস না হইলে পরীক্ষা করায় আসতে পারেন!

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: না টিউবওয়েল এর পানি কখনো পরিক্ষা করিনি। তবে জানি, পাবলিক হেলথ্ এর নির্দেশনা মতে গ্রাম অঞ্চলে ৬০ ফিটের কম গভীরতার টিউবওয়েল এর পানি বিশুদ্ধ নয়।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি সাঁতার জানি না।
কক্সবাজারে গেলে মাঝে মাঝে সুইমিংপুলে নেমে দাপাদাপি করি।
মূত্রের বিষয়টি তখন মাথায় থাকে না। এরপর থেকে না চাইলেও মনে থাকবে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সুইমিংপুলে শাওয়ার করতে অস্বস্তি বোধ করি।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫

জটিল ভাই বলেছেন:
পানিতে যেমন মূত্র, বাতাসে তেমনি বায়ূ। সে হিসেব করেতো এখন শ্বাস নিতেও যেনো কেমন-কেমন লাগছে! =p~

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: =p~

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: সাঁতার এবং হাঁটা। এই দুটা সবচেয়ে সহজ সুন্দর ব্যয়াম।

শিরোনাম সুন্দর হয়নি।

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: যেখানে সুইমিংপুলের স্বচ্ছ পানিতেই সুন্দর বলে কিছু নাই সেখানে সেই প্রসঙ্গে লেখা পোস্টের শিরোনাম সুন্দর হয় কিভাবে!

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুইমিং পুলে সাতার শেখার পরিবেশ নেই।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: একবার নন্দন পার্ক আর ফ্যান্টাসী কিংডম গিয়েছিলাম। ওখানকার সুইমিংপুলে একসাথে কমপক্ষে নারী-পুরুষ শতিনেক মানুষ নামে- যা দেখেই আমার ঘৃণায় পুলের পাশেও দাঁড়াতে ইচ্ছা হয়নি!

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৯

জ্যাকেল বলেছেন: ইয়াক, থু!

ভাল কথা আমি সুইমিং পুলে ঠান্ডায় কাবু হইয়াছি তবে চোখ জ্বলা, হাঁচি এইসবের সম্মুখীন আজো হই নাই।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি যখন পানিতে নেমেছিলেন তখন হয়তো পুলে কম সাতারু প্রস্রাব করেছিলো তাই আপনাকে কাবু করতে পারেনি! =p~

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪০

বিটপি বলেছেন: আপনি নিজে কখনও সুইমিং পুলে মুত্রত্যাগ করেছেন বা কাউকে করতে দেখেছেন? ঢাকা ইউনির সুইমিং পুলে একটা বাচ্চা ছেলে এই কাজ করার সময় আমার বন্ধু হাতে নাতে ধরেছিল।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: না আমি কখনো সুইমিংপুলে মূত্রত্যাগ করিনি। তবে অনেক বন্ধুদেরই সুইমিংপুলে মূত্রত্যাগ করার কথা স্বীকার করতে দেখেছি।

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: সুইমিং পুলে যাও নামার ইচ্ছা ছিল সেটাও হাগু মুতোর কথা শুনে বন্ধ হয়ে গেল।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: হা: হা: হা: সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যেখানে সুইমিংপুলের স্বচ্ছ পানিতেই সুন্দর বলে কিছু নাই সেখানে সেই প্রসঙ্গে লেখা পোস্টের শিরোনাম সুন্দর হয় কিভাবে!

হ্যাঁ তা-ও ঠিক।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি দুঃখিত এধরণের মন্তব্য করতে হচ্ছে বলে। আপনি যে পার্ক গুলোর সুইমিং পুলের নাম বলেছেন সেখানে শুধু মূত্র না, আরো অনেক নোংরা জিনিস মিশ্রিত হয়। ডিজের তালে তালে নারী পুরুষ নাছানাছি করতে গিয়ে নীল পানিকে নাপাক পানিতে রুপান্তর করে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩৬

জুল ভার্ন বলেছেন: সন্দেহের কোনো অবকাশ নাই। কিছু বখাটে দলবদ্ধ হয়ে প্রকাশ্যেই পানিতে বীর্ঘত্যাগ করে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.