নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব ধরনের চাটুকারদের বর্জন করুন.......

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১২

সব ধরনের চাটুকারদের বর্জন করুন......

প্রথমেই স্বীকার করছি- প্রসংশা করা আর মোসাহেবী/ চাটুকারী করা একনয়। মোসাহেবী চরিত্র সৃষ্টির শুরু থেকেই ছিলো। হঠাত করেই স্যোশাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যক্তিস্তুতি, তেলানো পোস্ট! এটা কোনো ভালো লক্ষণ নয়, এধরনের মানসিকতা ব্যক্তিত্বহীনতারই নামান্তর!
ব্লগিং এর নামে ব্যক্তিস্তুতি কিংবা কুৎসা রচনাই প্রাধান্য পাচ্ছে।

কারও অহেতুক, অতিরিক্ত, কখনও বা অনুপস্থিত গুণাবলির প্রশংসা করে তার মাধ্যমে লাভবান হওয়ার ব্যক্তিত্বহীন ও নির্লজ্জ প্রয়াসের নাম এটি। বলাবাহুল্য, এ সময় তোষামোদকৃত ব্যক্তির কোনো ব্যর্থতা বা দোষ তোষামোদকারীর দৃষ্টিগোচর হয় না কিংবা স্মরণে এলেও তা উল্লেখ করা হয় না। প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্নভাবে, স্বনামে-বেনামে এদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে। তবে প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি, কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, সরকার ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তি সাধারণত অধস্তন ব্যক্তির তোষামোদের শিকার হন।

তোষামোদ সাধারণত ক্ষমতা ও অর্থের পিছু নেয়। কারও ক্ষমতা কিংবা অর্থ ফুরালে তোষামোদকারীও আর তার ছায়া মাড়ায় না। কিন্তু স্যোশাল মিডিয়ায় ব্যক্তিবন্দনায় মোসাহেবের কি লাভ তা এখনও ঠাওর করতে পারছিনা। নিশ্চয়ই কোনো না কোনো ভাবে লাভ আছে বলেই চাটুকারিতা শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠান, সমাজ বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যখন এর শিকার হন, তখন তারা আমোদে গদগদ হন। আর নিজের দুর্বলতা, ব্যর্থতা বা অযোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক ও সম্যক ধারণা না থাকার কারণে প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রের ক্ষতি বয়ে আনেন। সুন্দরের প্রশংসা, ভালো কাজের বাহবা অবশ্যই প্রাপ্য। কিন্তু যখন মানুষের প্রশংসা কিংবা গুণকীর্তন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখনই এটা চাটুকারিতার পর্যায়ে পড়ে।

ব্যক্তিস্তুতি নয়, সামনে বসে গুণকীর্তন নয়, দূরে দাঁড়িয়ে, নিরপেক্ষতার দূরত্বকে সম্মান জানিয়ে আলাপনকে নিয়ে যা বলছি, তা আমাদের সত্যচর্চার নির্ভার অঙ্গ। এ ব্যাপারে আমরা অকপট নিকটদ্রষ্টা। পাশাপাশি নজরদারির আপেসহীন চর্চা আর প্রবক্তাও কম বটে। আলাপনের দক্ষতার বিস্তৃতি কামনা করছি। আশা করব, সবরকমের সৃষ্টিহীন, ধারহীন ধাঁচকে বদলে দিয়ে তাঁর দায়বদ্ধতা বাংলার সৃজনের শক্তিকে অধিকতর মনোহর করে তুলবে। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সত্য-মিথ্যা এবং কপটতার মিশেলে অন্যকে তুষ্ট করার অনৈতিক প্রয়াসকে এক কথায় চাটুকারিতা বলে অভিহিত করা যায়- এই সত্যটা চাটুকারেরা অনুধাবন করবেন।

বর্তমানে আপনি যে কোনো সত্য কথা বলুন, সমালোচিত হবেন, বিরাগভজন হবেন, গালাগাল খাবেন। স্তুতি করুন, অসততা দেখান, পদলেহন করুন সমর্থন পাবেন। এখন প্রভুদের যুগ। তারাই স্তাবক তৈরী করে নেন। কোনটা মানবেন বা মানবেন না তা ঠিক করে দেন। সত্য-মিথ্যার নির্ধারক প্রভুরাই। ভক্তরা তাদের জুতোর ধুলিকণা হয়ে নিজেদের ধন্য করে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশে নাকি আবার তেলের ক্রাইসিস দেখা দিচ্ছে? অথচ সরকার বলে, তেলের কোন অভাব নাই। তাই আমি ভাবছিলাম, এতো তেল যায় কোথায়। আপনার পোষ্ট থেকে বিষয়টা খোলাসা হলো খানিকটা!! =p~

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: গত দিন দিন যাবত মার্কেটে সায়াবিন তেলের কৃতিম সংকট শুরু হয়েছে। বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির কারনে দেশীয় আমদানীকারকরা তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছিলো। সরকার ঈদের আগে দাম না বাড়ানর পক্ষে মতামত দিলে আমদানীকারক/রিফাইনারীর মালিকরা তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। তবুও চাটুকারেরা তেল মর্দন করেই যাচ্ছে!

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১৩

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এখন এক শ্রেণীল মানুষ আছে যা চাটুকারী পছন্দ করে চাটুকারী না করলে রাগান্ত হয় আবার এক শ্রেণী মানুষ তারা চাটুকারী করতে ভীষণ ভালবাসে তাদের কাজি হলো চাটুকারী করা- এটা শেষ হবে না!
ভাল থাকবেন দাদা--------

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চাটুকারদের বর্জন করা উচিৎ কিন্তু কথা হচ্ছে নেতা বস সবার কাছেই তেনাদের অনেক কদর। সাধারণ আমজনতা খুবই মূল্যহীন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: সমস্যাটা সেখানেই। মোসাহেবরা উভয় দিক থেকে খেয়েপড়ে তেললেলা ভাব থাকে। এরা চরম বেহায়া, লজ্জা শরম বলে এদের চরিতে কিছু নাই।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: উহাদহরণ কিছু সামুতেও দৃষ্টিগোর হয়। ;)

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:০৯

জুল ভার্ন বলেছেন: একবার মোসাহেবী ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ভাইরাস সর্বত্র ছড়িয়ে যায়।

৫| ০১ লা মে, ২০২২ রাত ১০:১১

জটিল ভাই বলেছেন:
যুগ-যুগ ধরে ভিনদেশীদের তোষামোদি করে এখন তা রক্তে মিশে গেছে প্রিয় ভাই।

০২ রা মে, ২০২২ সকাল ৯:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা এখনো সেই চাটুকারিতার স্বভাব থেকে বের হতে পারিনি। সব চাইতে লজ্জার বিষয় হলো - চাটুকারেরা চাটুকারিতা নিয়ে গর্ব করে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.