নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আল্লাহ সমবন্টন করেন না.....
একদিন নাসিরুদ্দিন হোজ্জা (পণ্ডিত নসর উদ্দিন খোজা) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিরীক্ষণ করতে করতে আল্লাহর প্রশংসাধ্বনি উচ্চারণ করছিলেন- 'ইয়া আল্লাহ তোমার অপার সৌন্দর্যের মহিমা আমি উপভোগ করছি কিন্তু সেই সৌন্দর্যের মহিমা বর্ণনা করার এলেম আমাকে দাওনি.....'।
এমন সময় কয়েক কিশোর কিছু একটা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করছিলো.... হোজ্জা কিশোরদের কাছে গিয়ে জানতে চাইলেন- 'কি নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছে'?
কিশোর দল বললো, আমরা এই আখরোট বাগানে কিছু আখরোট কুড়িয়ে পেয়েছি, তার ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া লেগেছে.... সবাই বেশী নিতে চায়.....
কিশোরদল হোজ্জাকে মধ্যস্থ মানলো ভাগ-বাটোয়ারা করে দেবার জন্য। হোজ্জা হেসে শুধালেন, ‘আল্লাহ যেভাবে ভাগ করে দেয় সেইভাবে ভাগ করে দেবো, না কি মানুষের মতো ভাগ করে দেব?’
বাচ্চা কিশোররাই আল্লাহর গুণ মানে বেশি, সমস্বরে বললো, ‘আল্লাহর মতো’।
হোজ্জ কাউকে দিলেন দশটা, কাউকে পাঁচটা, কাউকে দুটা, কাউকে একটাও না.....।
বাচ্চারা বিরক্ত হয়ে বললো, "এ কী! একে কি ভাগ করা বলে?"
হোজ্জা গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘চতুর্দিকে তাকিয়ে দেখ, আল্লাহ কোনো কিছুই কি সমান সমান সব মানুষকে দিয়েছেন? সমান ভাগাভাগি শুধু মানুষই করে।'
(সৈয়দ মুজতবা আলীর- শবনম উপন্যাস থেকে)
পুনশ্চঃ আল্লাহ সমবন্টন করেন না, যোগ্যতা মেধা ও শ্রম দিয়ে অর্জন করতে হবে। কিন্তু যার যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারলে কোনো আপসোস থাকবেনা।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। তবে একই শ্রম দিয়ে কেউ পায় দৈনিক ৫০০/-, আবার কেউ ঘন্টায় পায় ৫০০০/-!
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ভাই শবনম একাধারে শুধু রোমান্টিক উপন্যাসই নয়, এটার মধ্যে আফগানিস্তানের ইতিহাসেরও ধারণা পাওয়া যায়। এত সুন্দর উপন্যাসটি যারা এখনো পরেননি তারা অবশ্যই মিস করলেন। ১৬-১৭ বছর আগে পড়েছিলাম, গোলাম আব্দুর রহমান কে এখনো মনে আছে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: শবনম আমার অন্যতম প্রিয় প্রেমের উপন্যাস। সেই সাথে আফগান সমাজের ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তি মানষিকতার চিরায়ত চিত্র।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পৃথিবীতে সবাই যদি সমান সুবিধা পেত তাহলে পৃথিবীটা বেহেশত হয়ে যেত। আল্লাহ পৃথিবীতে বেহেশত এবং দোজখের কিছু নমুনা রেখেছেন যেন মানুষ বেহেশত আর দোজখের গুরুত্ব বুঝতে পারে। তবে বেহেস্তেরও শ্রেণী আছে। পৃথিবী পরীক্ষার জায়গা। কারও জন্য ধন সম্পদ, সুখ-সমৃদ্ধি পরীক্ষা কারও জন্য দরিদ্রতা ও কষ্টের জীবনটাই পরীক্ষা। সম্পদ এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য সবাই সমান পেলে কোন পরীক্ষার সুযোগ থাকতো না।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। এই বিষয়টাই নাসিরুদ্দিন হোজ্জা কিশোরদের বোঝাতে চেয়েছিলেন।
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:০৬
জুন বলেছেন: আমরা মানুষ তাই পুনশ্চটা মেনে নেয়াই কঠিন
৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: মেনে নেওয়া কঠিন বলেই তো আমরা মানুষ!
৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সহী বলেছেন।
০১ লা মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২৬
জটিল ভাই বলেছেন:
বিষয়টা পরিষ্কার হতে পারছিনা প্রিয় ভাই। যদি ধর্মীয় বিচার করি তবেতো আল্লাহ্ সবাইকে কর্মফল দেন। আর সবার কর্ম সমান না হওয়াতে ফলে তারতম্য হয়। গল্পেও সব বালকের কর্ম নিশ্চই সমান নয়। তাই ফল ইচ্ছে মাফিক না হয়ে সেই অনুসারে হওয়াটা কি আল্লাহ্'র বন্টন নয়?
০১ লা মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহর বন্টণ সঠিক। তিনি কর্ম অনুযায়ী শ্রমের মূল্য নির্ধারণ করেন।
৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি ওসব ভাবগম্ভীর আলোচনায় যাচ্ছি না। তবে শবনম উপন্যাসের অংশবিশেষ, মোরাল অফ দ্যা স্টোরি ভালো লেগেছে।
০১ লা মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: এই গল্পের সারমর্মই হচ্ছে উপলব্ধির বিষয়।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৩
বিজন রয় বলেছেন: যোগ্যতা, মেধা আর শ্রম দিয়ে অর্জন করতে হয়, যারা পারেনা তারা অন্যের দোষ দেয়।