নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
~~~উপলবদ্ধি~~~
সৃষ্টিকর্তা আমাদের সব কিছু দেননি, কিছু না কিছু তাঁর কাছে রেখেছেন আমরা যেন সেটা উপলব্ধি করতে পারি।
সারাদিন না খেয়ে থাকা একটি পথ শিশুকে যদি প্রশ্ন করি– ”তোমার সুখ কিসে, কি চাই?" সে বলবে দু’–"বেলা পেট পুরে খেতে চাই।”
নিজ প্রাসাদে লক্ষ টাকার খাটে শুয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়েও ঘুমোতে পারেনা, ডিপ্রেশনে ভুগে এমন একজনকে আমি চিনি, সিগারেটের সাথে তার রাত কাটে। আর সিএনজি ওয়ালা সারাদিন অ্যাক্সেলেটর টেনে বিছানায় পিঠ লাগিয়ে গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে পড়ে।
কেউ হাজার টাকা খরচ করে জিমে গিয়ে ফিটনেস ঠিক রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আবার কারও মাটি কাটতে কাটতে অটোমেটিক ফিটনেস্ হয়ে গেছে।
কেউ মুড়ি খেলেও মোটা হয়ে যাচ্ছে, আর কেউ জগতের সব খাবার খেয়েও মোটা হতে পারছেনা।
কেউ পেয়ে কাঁদে, আর কেউ না পেয়ে কাঁদে।
রাতের পর রাত না খেয়ে কেউ জিরো ফিগার বানাতে ব্যস্ত, আর বাড়ির কাজের মেয়েটির কী সুন্দর জিরো ফিগার। কারও টাকা আছে কিন্তু খেতে পারেনা, আর কেউ টাকার অভাবে খেতে পারেনা!
কেউ ওজন কমানোর জন্য শুকনাে মুড়ি খেয়ে দিন কাটিয়ে দিচ্ছে, আর কেউ ভালো কিছু খেতে পারেনা বলে রোগা হয়ে যাচ্ছে।
সব কিছুর মাঝে থেকেও কেউ আত্মহত্যা করছে, আবার কেউ বেঁচে থাকার জন্য মানুষের কাছে হাত পেতে যাচ্ছে। কেউ পরিপূর্ণতায় সুখ খুঁজে পায়না, আর কেউ অপরিপূর্ণ থেকেও দিব্যি হেসে বেড়াচ্ছে।
আমি এমন একজনকে চিনি- যিনি পেট কমাতে প্রতিদিন সাত কিলোমিটার দৌড়ান, আবার এমন অসংখ্য জনকে চিনি যারা জীবনের জন্য দৌড়াচ্ছেন, একটি চাকরীর জন্য, একবেলা খাবারের জন্য।
আমি এমন অনেককেই চিনি’– যারা অর্ধেক খেয়ে বাকীটা ফেলে দেয়, আবার এমন মানুষকেও চিনি’– যে পেটপুরে খেতে পারেনি অনেক দিন।
আমি অনেক অশিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত মানুষ দেখেছি যাদের অঢেল সম্পত্তি। আবার অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষ দেখি যারা বেকারত্ব মাথায় নিয়ে ধূকেধূকে জীবনের অন্তিম প্রহর শুনছে....
ছোট বেলায় গল্পের বইতে পড়েছিলাম– ‘রাজার অসুখ হয়েছে, সুখি মানুষের জামা পড়লে তার অসুখ সারবে। অনেক খুঁজে একজন সুখি মানুষকে পাওয়া গেল কিন্তু তার গায়ে জামা ছিলো না।”
সৃষ্টিকর্তা আমাদের সব কিছু দেননি, কিছু না কিছু তাঁর কাছে রেখেছেন আমরা যেন সেটা উপলব্ধি করতে পারি।
(তিন বছর আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম)
০২ রা মে, ২০২২ সকাল ৯:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে মানুষের চিন্তাভাবনা অনেক সুন্দর হলেও প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা খুবই সীমিত - তাই সুখ সামান্যই।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ০২ রা মে, ২০২২ সকাল ১০:৩১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমরা তো প্রকৃতির সন্তান। কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম গুলোর সাথে মানিয়ে চলতে আমাদের খুবই অনীহা, তাই প্রকৃতি ঠিকই আমাদের ব্যালেন্স করে দেয়।
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। হয়তো আমরাই আমাদের নিয়তি নির্ধারণ করে নিয়ে প্রকৃতির উপর দোষারোপ করে তৃপ্ত হই।
৩| ০২ রা মে, ২০২২ সকাল ১১:১২
শায়মা বলেছেন: তাই তো রুনা লায়লা গেয়েছেন-
সুখ তুমি কি বড় জানতে ইচ্ছে করে
মান্না দে গেয়েছেন-
সবাই তো সুখী হতে চায় ......তবু কেউ সুখী হয় কেউ হয় না....
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: সুখ মানেই সুখ নামের পাখির নিঃসংগ স্বর্গবাস।
৪| ০২ রা মে, ২০২২ সকাল ১১:১৯
ইসিয়াক বলেছেন:
আমার মা প্রায় সময় বলতেন,
"পৃথিবীতে যার চাহিদা যত কম সে তত সুখী।" আমি এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
সবচেয়ে বড় প্রমান আমি নিজে। নিজেকে দিয়ে আমি নিজে উপলব্ধি করি।
ছোট্ট চাওয়ায় বেঁচে থাকা সত্যি আনন্দময়।
ঈদ মোবারক প্রিয় ব্লগার।
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সীমাহীন অতৃপ্তিই আমাদের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। অল্পতেই তৃপ্ত থাকতে পারলে হতাশা কম হতো।
৫| ০২ রা মে, ২০২২ সকাল ১১:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমার জীবন চলার পথে লক্ষ্যই আমাকে চালিত করে
বাড়ী গাড়ী নারীর লক্ষ্য নিয়ে যে চলে; সব পাবার পর তার জীবন অর্থহীন হয়ে পড়ে;
কিংবা কেবলই নিত্য ভোগের গতানুগতিকতা-
যার জীবনের লক্ষ্য জীবন পরবর্তী শুভ এবং কল্যান
তার জীবন শেষ হয়ে যায়- স্বপ্ন শেষ হয় না। হতাশার কোন স্থান নেই।
কেবলই স্বপ্ন, আশা আর কর্মমময়তায় ভরা...
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, মানছি আপনার বক্তব্য। কিন্তু একই কর্ম করে কেউ যখন সাফল্যের স্বর্গ স্পর্শ করে, আবার কেউ ধুকেধুকে মরে তখনই হতাশায় নিমজ্জিত হয়।
৬| ০২ রা মে, ২০২২ সকাল ১১:৪৩
এম ডি মুসা বলেছেন: পৃথিবীর সবাই অভাববোধ করে!
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: এটাই স্বাভাবিক।
৭| ০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ১:৩৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সত্য সুন্দর উপলবদ্ধি
০৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু।
৮| ০২ রা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২
নীল আকাশ বলেছেন: যা যা লিখেছেন সেটা নির্মম বাস্তবতা।
০৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ।
৯| ০২ রা মে, ২০২২ রাত ১০:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নির্মোহ বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
আচ্ছা ভাইজান একটা বিষয়ে অবাক হলাম। সারা দিন শেষ এখন ব্লগে এলাম কিন্তু পোষ্টের শিরোনামটা কি উপলব্ধি হবে নাকি আপনি ইচ্ছা করেই এমন লিখেছেন?
ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা আপনাকে।
০৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: ছাত্র জীবন থেকে অদ্যাবধি বানান নিয়ে ভাবার মতো মেধাবী আমি কখনওই ছিলাম না। আর শিরোনাম একটা উলটা পালটা দিলেই হলো!
১০| ০৩ রা মে, ২০২২ রাত ১২:৩১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ্যা এ বিষয়টি আমাকেও ভাবায় সৃষ্টিকর্তা কেনো একজনকে গরীব করে আরেকজনকে করে ধনী! এ প্রশ্নের কি কোন ব্যাক্ষা আছে? এ প্রাপ্তির ফল কেনো? পূর্বের কোন হিসাব নিকাশ কি? আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ই জানেন।
০৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: এখানেই সৃষ্টির রহস্য যা উদ্ধার করার সাধ্য আমাদের নাই।
১১| ০৪ ঠা মে, ২০২২ রাত ১০:৫১
জটিল ভাই বলেছেন:
মাশাল্লাহ্। সুন্দর উপলব্ধি। আল্লাহ্ সবার মনকে জাগ্রত করুন।
০৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মে, ২০২২ সকাল ৯:০৭
বিজন রয় বলেছেন: শুভসকাল।
বর্ণিত সত্যগুলো মানুষ যেদিন মন থেকে সঠিক উপায়ে উপলব্ধি করতে পারবে সেদিন মানুষ সুখি হতে পারবে।
কিন্তু, সম্ভবত, মানুষ তা পারবে না। মানব ইতিহাস তাই বলে।