নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেতুবন্ধন....

১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৪০

সেতুবন্ধন....

আমার ছেলে বেলার প্রমত্ত হলতা নদী। নদীর দুই তীরে দুই জেলা সীমানা। পূর্বে পটুয়াখালী জেলার বামনা থানা এবং পশ্চিমে বরিশাল জেলার মঠবাড়ীয়া থানা। বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা ভাগ হয়ে বামনা উপজেলা পরেছে বরগুনা জেলায় এবং বরিশাল জেলা ভাগ হয়ে মঠবাড়ীয়া উপজেলা পরেছে পিরোজপুর জেলায়।

স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে এই এলাকার যোগাযোগ ব্যাবস্থা অত্যন্ত দূর্গম ছিলো। যাতায়াতের ভরসা ছিলো ধানক্ষেতের আইল ধরে পায়ে হাটা কিম্বা ছোট ছোট নৌকা। তবে জেলা-মহাকুমা ও থানা প্রশাসনের স্পীড বোট ও ছোট ছোট লঞ্চ চলাচল করলেও যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। এই এলাকা স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময়কাল পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছিল সেই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে সর্ববৃহৎ মুক্তাঞ্চল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অভয়ারণ্য ছিলো। আমাদের বৃহত্তর যৌথ পরিবারের স্বজনদের একাধিক স্মল আর্মস/গান(পিস্তল, পয়েন্ট ২২ রাইফেল এবং বন্দুক) নিয়ে এই অঞ্চলে মুক্তি যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল।

পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের নয় নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর হেড কোয়ার্টার ছিলো বামনা থানার বুকাবুনিয়া, সিংরাবুনিয়া এবং চালতা বুনিয়া নামক তিনটি ইউনিয়ন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই দুই থানা জুড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা বড়ো Strategic Hub ছিলো। মুক্তিযুদ্ধের জন্য ইন্ডিয়া থেকে আসা ছোট ছোট অস্রগুলো এখান থেকেই দুই জেলার বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প তথা মুক্তি যোদ্ধাদের ইউনিটে সরবরাহ করা হতো। মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডারদের নির্দেশে আমি নিজেও বিভিন্ন থানায় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নৌকায় করে অস্র পৌঁছে দিয়েছি।

মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সাত মাস সময়কাল আমি অনেক বিখ্যাত মুক্তি যোদ্ধাদের ফুট-ফরমায়েশ খাটার সৌভাগ্যের অধিকারী একজন কিশোর। এই ক্যাম্পেই আমি দেখেছি- বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন/মেজর শাজাহান ওমর (বীর উত্তম), লেঃ / মেজর জিয়াউদ্দিন (বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন মেহেদী আলী ইমাম (বীর প্রতীক) ছাড়াও অনেক বিখ্যাত মুক্তি যোদ্ধাদের। একদিন হঠাত করেই কিছু সময়ের জন্য এসেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জলিল।

আমার যতদূর মনে আছে, অক্টোবর ১৯৭১ এর শেষ দিকে একটি পাকিস্তানি গানবোট বামনা-পাথরঘাটা এলাকার নদীর চরে আটকে গিয়েছিল। গানবোটে ২০/২৫ জন পাক সেনাদের সাথে রাজাকার ছিলো ১১০ জন। ততকালীন দুই জেলার হাজার কয়েক মুক্তি যোদ্ধা নদীর দুই তীর এবং অসংখ্য নৌকা যোগে গানবোট ঘিরে আক্রমণ চালায়.... গানবোট সেনাদের খাবার ছিলো না। দুইদিন অবরুদ্ধ থাকার পর অভুক্ত সেনারা আত্মসমর্পণ করে। মুক্তি বাহিনী প্রচুর পরিমাণ উন্নত মানের আর্মস এম্যুনেশন হস্তগত করে- যা এতোদিন মুক্তিযোদ্ধারা দেখেওনি। বন্দী পাক সেনাদের ইন স্পট মেরে ফেলে এবং রাজাকারদের দড়ি বেঁধে লাইন করে বুকাবুনিয়ায় নিয়ে এসে স্কুলের মাঠে উপুর করে রাখে। সন্ধ্যা নাগাদ স্পীড বোটে ক্যাপ্টেন শাজাহান ওমর এবং ক্যাপ্টেন মেহেদী ঈমাম এসে রাজাকারদের গুলি খরচ না করে মেরে ফেলার নির্দেশ দেন। আমার মনে আছে, হাত-পা বাঁধা দুইজন/চারজন রাজাকার একত্র করে বেঁধে হলতা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল.... প্রবল স্রোত ওদের বিষখালী নদীতে টেনে নিয়ে যায়। এর মধ্যে দুইজন যুথবদ্ধ রাজাকার কিছু দূর ভেসে নদীর চরে আটকে গিয়েছিল.... স্থানীয় লোকেরা ওদের ধরে বেদম মার মেরে বুকাবুনিয়া মুক্তি যোদ্ধাদের ক্যাম্পে নিয়ে আসে.... তারপর আবারও.....

এই এলাকার সাথে আমার একটা পারিবারিক যোগসূত্র রয়েছে। তাহলো- এই এলাকায় আমার দাদার বেশকিছু ভূসম্পত্তি আছে। উত্তরাধিকার সূত্রে আমিও কিছু জমির মালিকানা অর্জন করেছি...স্বাধীনতার পর এই নিয়ে চারবার আমি এই এলাকায় এলাম। এলাকার তেমন কোনো দৃশ্যমান উন্নতি এখনো হয়নি। এরশাদ আমলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাহেব সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী থাকাকালীন রিকশা চলাচল উপযোগী কিছু রাস্তা তৈরী হয়েছিল। সেইসব রাস্তায় এখন জোরজবরি ব্যাটারি চালিত রিকশা, অটো চলছে। ভাংগা সড়কে আন্তঃজেলা বাস সার্ভিস আছে। এলাকার আগের প্রভাবশালী বনেদী পরিবারগুলো এখন আর গ্রামে বাস করে না। সব চাইতে বেশী পরিবর্তন হয়েছে কিশোর যুবকদের মধ্যে। গ্রামের কিশোর তরুণদের সেই নিস্পাপ আলাভোলা চেহারা আর মানষিকতার মানুষগুলো এখন রূঢ় মাস্তান চরিত্র প্রকাশের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।


ফিরে যাচ্ছি আমার স্মৃতিময় হলতা নদীতে....


একদার প্রমত্তা হলতা নদী এখন একটা মরা খাল। কয়েক কিলোমিটার নদী(খাল) শুকিয়ে দুই জেলা/থানার সীমানা প্রাচীর মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। যেখানে একদা বহমান নদী ছিলো সেখানে এখন হোগলা বন, ছৈলা গাছের বাগান। যেখানে খাল হয়ে নদী নাম ধারণ করে আছে তার কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমড় কিম্বা বুক সমান পানি.....তবুও নাম তার হলতা নদী।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৪৯

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ভালো লেখা ,
ছোটোখাটো মুক্তিযোদ্ধা !

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

মুক্তিযুদ্ধে আমার যতসামান্য অবদান ছিলো- যা আমি হাইলাইটস করতে চাইনা। বরং আমি অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একজন সেবক পরিচয় দিয়েই নিজেকে ধন্য মনে করি।

২| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:১১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কোথাও গ্রামের কিশোরদের মধ্যে সেই আলাভোলা নিস্পাপ চেহারা আর নেই সবাই যেন মস্তান; এখন এই একটি কারনেই আর গ্রামে যেতে ইচ্ছে করেনা।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ভাবতেই পারছিনা- গ্রামের সেই সহজ সরল মানুষগুলোর বর্তমান অবক্ষয়ের অবস্থা কতটা ভয়াবহ।

৩| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:২২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সাত মাস সময়কাল আমি অনেক বিখ্যাত মুক্তি যোদ্ধাদের ফুট-ফরমায়েশ খাটার সৌভাগ্যের অধিকারী একজন কিশোর।

এইটাতো সত্যই সৌভাগ্যের কথা ভাইজান। আমরাতো শুধু গল্পই শুনি, আপনারা চোখে দেখেছেন।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: মুক্তি যুদ্ধে আমি দুটি থানা দখলে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে থানা পুলিশ-রাজাকারদের সম্মুখ যুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধাস্র/এম্যুনেশন বহন করে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে থেকেছি।

ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:০২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নদীগুলো শুকিয়ে খাল হয়ে যায় :(
মরু ভাইয়ের কথা ঠিক
আমরা শুধু গল্পই শুনে আসছি
আব্বা মুক্তিযোদ্ধা তার কাছেই শুনি যুদ্ধের গল্প

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের বৃহত্তর পরিবারে অন্তত ১৬ জন সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার বড়ো ভাই এবং একজন চাচা খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তি যোদ্ধা। আমার চাচাতো ভাই, মামা এবং মামাতো ভাই স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ। নিজের চোখে স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখেছি। আমাদের বাড়ি পাক সেনারা পুড়িয়ে দিয়েছিলো।

৫| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

জুন বলেছেন: আমি গাবখান ব্রিজ এর উপর দাঁড়িয়ে একটা নদী দেখেছিলাম জুলভার্ন।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই জানেন, গাবখান খাল/নদী বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম অর্থাৎ মানুষের তৈরী চ্যানেল। সেই জন্যই গাবখান চ্যানেল বাংলার সুয়েজ খাল নামে খ্যাত। সন্ধ্যা ও সুগন্ধা নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম নৌপথ গাবখান চ্যানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার। এটাই ঢাকা-খুলনা সংযোগ খাল। এই চ্যানেলের সংযোগ ব্রীজ হচ্ছে চীন-বাংলাদেশ পঞ্চম মৈত্রী সেতু।

৬| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৩

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভার্সুয়াল।

৭| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট লিখেছেন।

১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব।

৮| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: এতো বিশাল ব্যাপার
মানচিত্রে না দেখলে বুঝা যাবেনা কাজের বিশালত্ব [গাবখান খাল ]
[হুবহু পত্রিকা ]
ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেল নৌপথটি ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। ১৮০০ সালের প্রথম দিকে ব্রিটিশ শাসনামলে ঝালকাঠির সুগন্ধা, বিশখালী ও ধানসিঁড়ি নদীর মোহনা থেকে পিরোজপুরের সন্ধ্যা নদী পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে চ্যানেলটি খনন করা হয়। সংযোগ করা হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশালের সাথে খুলনা, মংলা, মোরেলগঞ্জ, হুলারহাট, যশোরের নওয়াপাড়া, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ নৌবন্দরগুলোর। আড়াই শতাধিক কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে আনা হয়।

১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ! আপনিতো গাবখান চ্যানেলের কুষ্ঠিনামা যোগ কোঁরে দিয়েছেন!!
ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: এক নিঃস্বাশে পড়লাম, অনেক ভালো লাগলো ।

১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দারুণ একটা লেখা। সেতুবন্ধন সেদিনের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আজকে নয়া প্রজন্মের; সেতুবন্ধন সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের ফাইফরমাস খাটা এক কিশোরের সঙ্গে আজকের স্বাধীন দেশেও হতশ্রী অবস্থায় যন্ত্রণা কাতর এক নাগরিকের।

১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের দেশের বেশীরভাগ মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস লেখক তারাই যারা মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। ৯০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এদেশের কৃষক শ্রমিক, ছাত্র জনতা। যাদের গায়ে জামা গেঞ্জি ছিলো না। পরনে মালিকোচা দেওয়া লুংগী, খালি পা। অথচ, এখন টিভিতে যত মুক্তিযোদ্ধা দেখি তারা সবাই সুটেড বুটেড- যাদের চেহারা টিভিতে দেখেই ফরাসী পারফিউমের সুবাসে ঘর মৌ মৌ করে!

আপনি আরও জেনে অবাক হবেন যে, বামনা থানায় ২০ জনের বেশী এবং মঠবাড়ীয়া থানা জুড়ে একশো জন সক্রিয় রাজাকারের তালিকা করা যাবেনা। কিন্তু প্রত্যেক ঘরে ঘরে ছিলো মুক্তি যোদ্ধাদের অস্থায়ী আবাস।

বর্তমান বাংলাদেশ শুধুই আওয়ামী লীগের এবং তাদের সমর্থকদের। অন্যরা রোহিঙ্গাদের চাইতেও খারাপ অবস্থায়।

১১| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:২১

অপু তানভীর বলেছেন: দারুণ স্মৃতিচারণ । বাবার মুখে শুনেছি আমাদের গ্রামের এলাকাও তখন ছিল খুবই দুর্গম । তাই সেখানেও পাকি বাহিনী আসে নি । আর তখন কেন বলছি আমি যখন স্কুলে পড়ি তখনও বর্ষাকালে আমাদের গ্রামে যেতে আমাদের খবর হয়ে যেত । এখন অবশ্য সরাসরি বাসে করেই একেবারে গ্রামে চলে যাওয়া যায় !

গুলি খরচ না করে রাজাকারদের মেরে ফেলার কথা শুনে মজা পেলাম । একেবারে সঠিক একটা কাজ । এদের জন্য বুটেল খরচ করাও উচিৎ না !

১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে স্বাধীনতার আগে আমাদের গোটা দেশটাই ছিলো গ্রাম। ঢাকা সহ জেলা শহরগুলো ছিলো উন্নত দেশের বর্তমান উন্নত গ্রামের মতো।

আমি ঝিনেদা ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলাম। ছুটি শেষে কলেজে ফিরে যেতে হতো নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায়। আমি ঢাকা থেকে কাক ডাকা ভোরে ছোট চাচা কিম্বা বুবুর সাথে বাসা থেকে বেরিরে গাবতলী যেতাম। গাবতলী থেকে চাচা/বুবু বাসায় চলে যেতেন।
ঝিনেদা পর্যন্ত যেতে সাথে একজন কেয়ার টেকার/ স্বজন দিয়ে দিতেন। তাকে নিয়ে প্রথমেই পার হতে হতো আমিন বাজার নদী-তখন আমিন বাজার ব্রীজ নির্মানাধীন। তারপর অনেকগুলো খাল- নদী পেরিয়ে আরিচা ঘাট। সেখান থেকে কখনো লঞ্চ ,কখনো ফেরী পার হয়ে দৌলতদিয়া। সেখান থেকে রাজবাড়ী গিয়ে মুড়ির টিন মার্কা বাস যোগে ঝিনেদা, কিম্বা লক্করঝক্কর ট্রেনে যশোর। সেখান থেকে বাসে ঝেনেদা- একদিনে কলেজে পৌঁচাতে পারতাম না- সেই যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা যখন ছেলেদের শোনাই ওরা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে!

অনেক ধন্যবাদ অপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.