নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
জীবন যাদের নিত্য হাহাকার....
"অমল কান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল। পারেনি। কত শত যুগ পেরিয়ে এসেও অমল কান্তিদের আশা পূর্ণ হয় না এখানে। এ শহরে 'দুঃখ' খেলা করে এদিক সেদিক।"
সন্ধ্যার পর হাটতে হাটতে পান্থপথ সিগনাল পেরিয়ে কিছু দূরে এগুতেই- "স্যার, কয়েকটা পেন্সিল কলম নেবেন? বাড়িতে ছোট বাচ্চাদের লাগবে"- থমকে দাঁড়ালাম।
এক হাতে কয়েক প্যাকেট পেন্সিল কলম। কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো ঘামে ভেজা মানুষটার চোখ যেন কথা বলছে। পাকা চুলে, গায়ের ঘামে, পরনের পাঞ্জাবীটাতে রাস্তার ল্যাম্প পোস্টের আলো পরে বড় করুণ লাগছে সে মুখ। এক ব্যাথা জাগানিয়া আর্তি রয়েছে সে ডাকে। সন্ধ্যার রঙ যেন দ্রুত কালো হয়ে আসে সে দৃষ্টিতে।
১০/২০ টাকা দামের পেন্সিল কলম রয়েছে তার কাছে। আমার দরকার নাই, তবুও নিলাম দুটো প্যাকেট। জানতে চাইলাম কোথা থেকে এসেছেন?
শুরু করলেন বলা। এক কুর্নিশ যোগ্য জীবন সংগ্রামের কাহিনী। একেতো রোগাপটকা তার উপর একটা হাত, একটা পা পংগু। নাম মোঃ বিল্লাল হোসেন। বাড়ি গাইবান্ধা। থাকেন রাজাবাজার আমতলা বস্তিতে। সকাল সাতটায় বের হন বাড়ি থেকে। ফিরতে রাত এগারোটা। ঢাকা শহরের বাসে কিম্বা রাস্তায় লেখ্য সামগ্রী ফেরি করে বিক্রি করে। এভাবেই চলে। বাড়িতে মা, দুই মেয়ে, বৌ রয়েছেন। দিনে ৩/৪ শত টাকার মত লাভ থাকে। সংসার চালাতে কষ্ট হয়, চলাচলে অসুবিধা হয়, তবে এখন মানিয়ে নিয়েছেন। সেই তিন বছর বয়সে বাম হাত আর একটা পা অকেজো হয়ে যায় পোলিওতে। ব্যাস, জীবন মোড় নেয় অন্যদিকে। ষাটোর্ধ বেল্লাল হোসেন বলছিলেন- "এখন আর পারি না। এক জায়গায় বসে ব্যাবসা করতে পারলে সুবিধা হয়। কিন্তু কে দেবে জায়গা?"
এরই মধ্যে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি শুরু হল। বেল্লাল হোসেন ল্যাংড়া পায়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে চলে গেলো.....
আকাশে কালো মেঘ উঁকি দিচ্ছে। বৃষ্টি হবে হয়তো। মানুষটা যেতে যেতেই ভিজে যাবেন মনে হয়। রাস্তার লাইটের আলোটা কি কমে গেল হটাত করে? কালো পিচ রাস্তাটা যেন একটু বেশিই কালো হয়ে গেল। আমি বোবা হয়ে গেলাম।
কষ্টগুলোকে বেল্লাল হোসেন অজস্র গাড়ির হর্নের শব্দে আর চাকার তলায় চাপা দিয়ে চলে গেলো। বড্ড যন্ত্রনা বুকে, কিন্তু মুখে কিছু বলে না।
ভাল থাকুন মোঃ বেল্লাল হোসেন।
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: রাস্তায়, ফুটপাতে যাদের জীবন জীবীকা তাদের সবার জীবনের গল্পগুলো প্রায় একই রকম।
২| ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
ফারহানা শারমিন বলেছেন: অথচ দেখেন, কত কত মানুষ আছেন এমনি এমনি কত হাজার হাজার টাকা অপচয় করেন।
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: ইসলামের একটা দর্শন আছে, "সব ধনীরা যদি যথাযথ ভাবে জাকাত প্রদান করেন তাহলে দারিদ্রতা থাকবেনা।"
৩| ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:২০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাও তো আপনি উপলব্ধি করলেন কষ্ট অথচ এ কষ্ট অনুধাবন করার লোক কম।
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: হয়তো অনেকেরই উপলব্ধি করার ক্ষমতা আছে কিন্তু কিছু করার ক্ষমতা নাই।
৪| ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি ভিক্ষা না করে শারীরিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও যে কোনভাবে আয় করার চেষ্টা করছেন। আমাদের উচিত ওনার এই কাজকে সম্মান করা এবং সহযোগিতা করা।
অনেক ছোট বাচ্চা অনেক সময় বাস বা রেলস্টেশনে কয়েকটা পেপার নিয়ে ঘোরে এবং বিক্রি করে। পেপারগুলি দেখলেই বোঝা যায় এগুলি পেপার ব্যবসায়ীদের উদ্বৃত্ত পুরনো পেপার যা ওরা যে কোনভাবেই হোক সংগ্রহ করে বিক্রি করছে। পেপার আমার দরকার না থাকলেও আমার কাছে আসলে আমি সবসময় কিনে থাকি। এই ছেলেগুলি ভিক্ষা না করে বা চুরি না করে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও বাসে দেখবেন কিছু অল্প বয়সী মেয়ে চকলেট বিক্রি করে। ঢাকার পেশাদার ভিক্ষুকদের আমি ভিক্ষা দেই না ( অতি বয়স্ক বা পঙ্গু না হলে)। আমাদের উচিত ভিক্ষা করাকে নিরুৎসাহিত করা এবং এই ধরণের ছোট বিক্রেতাদের সাহায্য করা।
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত পোষণ করছি।
আমিও পেশাদার ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দেইনা। তবে সত্যিকারের অভাবীদের সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা করতে চেষ্টা করি।
৫| ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৩৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আল্লাহ সামুর লেখক এবং পাঠক উভয়কেই সুন্দর মনের অধিকারী করুন। আমাদের পাপ মার্জনা করুন। আমিন!
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমীন।
৬| ২৭ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি মানুষ হিসেবে কি রকম?
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: এটা ক্যামন প্রশ্ন!
আজ যদি আমার একজন ভাঁড় কবি দোস্ত থাকতো তাহলে ছন্দে ছন্দে মনের আনন্দে আমার উইকি বর্ননা করতেন।
৭| ২৭ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমিও মাঝেমাঝে এরকম বিকলাঙ্গ লোকদের কাছ থেকে জিনিস কিনি।আমার ধুপের গন্ধ ভালো লাগেনা।স্রেফ সহায়তা করতে এরকম কিছু ধুঁপ এক নিডি মানুষের কাছ থেকে কিনলাম। একদিন ট্রেন থেকে এমনি এক বিক্রেতার কাছ থেকে কটকটি কিনে বাসায় আনলে বাড়ির সকলে খুব অবাক হয়। আমাদের বাসায় আমরা বাইরের খাবার তুলি না। যাইহোক ছেলে আবদার করলো কটকটি খাবে।অল্প ওকে দেই। পরেরদিন সেগুলো নরম হয়ে যায়। যথারীতি বাইরে ফেলে দিতে বাধ্য হই।
আসলে পথে চলতে চলতে এমন কিছু মানুষের অসহায়ত্ব আমাদেরকে অসহায়ের প্রতি সহমর্মী করে তোলে।আর এসব ক্ষেত্রে কি করণীয় আমরা যেন মুহূর্তেই সজাগ হয়ে যায়।
আপনার এমন একটি সহমর্মী পোস্টে ভালোলাগা রইলো।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৯:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে আমাদের সামান্য একটু সহযোগিতায় এমন অসহায় মানুষের অনেক উপকার হতে পারে। আমিও এই ধরনের ফেরিওয়ালাদের থেকে আমার প্রয়োজন নাই তেমন পণ্য কিনে অভাবী কাউকে দিয়ে দেই। আসুন আমরা আমাদের সাধ্যমতো সাহায্যের হাত প্রসারিত করি অসহায় মানুষের জন্য।
৮| ২৭ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:১২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: জীবনের বাস্তবতা অনেক কঠিন।
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৯:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট।
৯| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৮:২৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কিছু কিছু মানুষ এমন ভাগ্য নিয়ে আসে যে আজীবন সংগ্রাম করে যেতে হয়।
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৯:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
১০| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৩৪
রানার ব্লগ বলেছেন: কিছু মানুষ সংগ্রাম করবে এটাই নিয়তি
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৪১
জুল ভার্ন বলেছেন: জীবন সংগ্রামের অর্জন অনেক সুন্দর!
১১| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভবিষ্যতে হয়তো আরো ভয়ানক সময় অপেক্ষা করছে বেলাল হোসেন সহ সমগ্র দেশবাসীর জন্য।
২৮ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা এখন বুঝতে পারছিনা, কিম্বা বুঝেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছিনা। যখন ওরা পংগপালের মতো ছুটে আসবে তখন কারোর রক্ষা নাই।
১২| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা ক্যামন প্রশ্ন!
আজ যদি আমার একজন ভাঁড় কবি দোস্ত থাকতো তাহলে ছন্দে ছন্দে মনের আনন্দে আমার উইকি বর্ননা করতেন।
সহজ সরল ভাবে প্রশ্ন করেছিলাম, সহজ ভাবে উত্তর দিলেন না।
২৮ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: @ রাজীব, "আপনি কেমন মানুষ?"
এই প্রশ্নটা সচারাচর কেউ কাউকে করেনা এবং প্রশ্নটা পোস্ট সংশ্লিষ্টও নয়। এমন প্রশ্ন "শ্রেষ্ঠ ব্লগার" করতেন।
আর রিপ্লাই দিয়েছি- স্রেফ মজা করে। একান্তই তুমি বলে। যেহেতু তোমাকে আমি স্নেহ করি।
১৩| ২৮ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:১৪
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: এদের জীবন মানেই অন্তহীন সংগ্রাম!
প্রয়োজন না হলেও এদের থেকে কিছু কেনা উচিৎ, কিনে আবার কাউকে দান করা যায়! একসাথে দুটো আনন্দ!!
২৮ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম উক্তিগুলো একদম ঠিক!
কাষ্ট লাগল অমলকান্তির জীবন সংগ্রামের কথা শুনে।