নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই দৃষ্টিতে মৃত সাগর.....

৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:০০

দুই দৃষ্টিতে মৃত সাগর.....

ইতিহাসখ্যাত ‘মৃত সাগর’। ইংরেজিতে বলা হয় ‘ডেড সি’ (Dead Sea) এবং আরবদের কাছে তা ‘বাহরুল মায়্যিত’ নামে পরিচিত। জর্দান নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হলেও এটি মূলত একটি হ্রদ। ডেড সি বা মৃত সাগরের দৈর্ঘ্য ৬৭ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮ কিলোমিটার আর গভীরতা ১.২৪০ ফুট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪২২ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এ সাগরের পশ্চিমে রয়েছে ইসরায়েল ও পূর্বে জর্দান। এখান থেকে পবিত্র জেরুজালেম নগরীর দূরত্ব মাত্র ১৫ মাইল।

মৃত সাগর নানা বিচিত্র খনিজ পদার্থে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, সালফার, ব্রোমাইন ও কলগেন রয়েছে। মৃত সাগরের পানিতে ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরাইড (MgCl2) ও সোডিয়াম ক্লোরাইডের (NaCl) পরিমাণ যথাক্রমে ৫০.৮ ও ৩০.৪ শতাংশ। এ সাগরের পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ ৩৩.৭ শতাংশ। পৃথিবীর অন্যান্য সাগর ও মহাসাগরের তুলনায় লবণাক্ততা বেশি হওয়ায় মৃত সাগরে কোনো মাছ জন্মায় না। জর্দান নদী থেকে মাছ এই নদীতে আসার সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। তবে আশ্চর্যজনকভাবে রয়েছে বিপুল ব্যাকটেরিয়া (Microbe) এবং ক্ষুদ্রকায় ছত্রাক (Encyclopadia Encarta, Chapter-Dead Sea)।

ধর্মীয় দৃষ্টিতেঃ-----
পবিত্র কোরআন ও হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সমকামিতার মতো জঘন্য পাপ ও অপরাধে লিপ্ত হওয়ার কারণে সডম ও গোমাররাহ নামের লোকালয় মহান আল্লাহর হুকুমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। ঘটনাটি আজ থেকে প্রায় ছয় হাজার বছর আগের। ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানটি বর্তমানে মৃত সাগর নামে পরিচিত। আল্লাহর নবী হজরত লুত (আ.)-এর বারবার সাবধান বাণী সত্ত্বেও সে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অবৈধ যৌন সম্পর্ক ও সমকামিতার অভ্যাস পরিত্যাগ করেনি। পৃথিবীর বুকে একমাত্র তারাই যৌন ক্ষুধা চরিতার্থের উদ্দেশ্যে মহিলাদের বাদ দিয়ে পুরুষদের ওপর উপগত হতো। কোরআনুল কারিমে অত্যন্ত চমৎকারভাবে এই ঘটনা বিধৃত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বলেছিলেন, তোমরা এমন কুকর্ম করছ, যা তোমাদের আগে বিশ্বে কেউ করেনি। তোমরা তো কামতৃপ্তির জন্য নারী ছেড়ে পুরুষের কাছে গমন করো, তোমরা সীমা লঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৮০-৮১)

ফলে শাস্তি হিসেবে আল্লাহ তাআলা এ জনপদের চার লাখ মানুষকে বাস্তুভিটাসহ বিধ্বস্ত করে দেন। বর্তমান বিশ্বের খ্যাতনামা ইসলামী স্কলার মুফতি তাকি উসমানি মৃত সাগর পরিদর্শনের পর লেখেন, ‘আমেরিকার বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের তলদেশে খননকার্য চালিয়ে মানুষের ব্যবহার্য পাথরের ঘটি, বাটি, চামচ উদ্ধার করেন। বিভিন্ন দেশ থেকে শত শত পর্যটক প্রতিদিন মৃত সাগর দেখার জন্য আসে এবং শিক্ষা গ্রহণ না করে বিনোদন ও ফুর্তিতে মেতে ওঠে।’ (মুফতি তাকি উসমানি, জাহানে দিদাহ, মৃত সাগর অধ্যায়)

অবৈধ যৌনমিলন, অনৈতিক যৌন সম্পর্ক ও সমকামিতার মতো অমানবিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে হুঁশিয়ার করেছেন। মানবগোষ্ঠীকে অশ্লীলতা, ব্যভিচার ও সমকামিতা থেকে বিরত থাকার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কঠোর নির্দেশ প্রদান করেছেন। মহানবী (সা.) কিশোর-বালকদের চেহারার দিকে কুদৃষ্টিতে না দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ তাদের চেহারায় বেহেশতের হুরের দীপ্তি আছে। তিনি বলেন, ‘আমার উম্মতের ব্যাপারে যেটা সবচেয়ে বেশি ভয় করি, তা হলো লুত সম্প্রদায়ের অনুরূপ পাপাচার। আমার উম্মতের কিছু লোক লুত জাতির অপকর্মে লিপ্ত হবে। যখন এরূপ হতে দেখবে তখন তাদের ওপরও অনুরূপ আজাব অবতরণের অপেক্ষা কোরো।’

লুত সম্প্রদায়ের মতো যারা সমকামিতায় লিপ্ত হবে, তাদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, জিনা, ব্যভিচার, সমকামিতা ও মাদক গ্রহণের মতো ঘৃণিত ও অশ্লীল কাজের ধারেকাছেও না যাওয়ার জন্য ইসলামের রয়েছে কঠোর হুঁশিয়ারি। পাপাচার শুধু নিষিদ্ধ করা হয়নি, বরং যেসব বিষয় ব্যভিচারের দিকে প্রলুব্ধ করে, তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় ইসলাম ধর্মে এগুলো গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। অপরাধ যেমন ঘৃণ্য, শাস্তিও তদ্রূপ কঠিন ও কঠোর। (তাফসিরে মা’আরেফুল কোরআন, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা ৮০৬; মাওলানা হাকিম আখতার (রহ.), রুহ কি বিমারিয়াঁ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ১৯)

অনৈতিক যৌন সম্পর্ক ও সমকামিতার শাস্তিস্বরূপ সাম্প্রতিককালে দেখা দিয়েছে এইডস বা এইচআইভি। ‘এইডস’ মানে নিশ্চিত মৃত্যু। আজ পর্যন্ত এর কোনো কার্যকর ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এইডসে আক্রান্ত হয়ে তিন কোটি ৫০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৭০ লাখ মানুষ। বাংলাদেশে এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে এইডসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১১ হাজার ৭০০। এর মধ্যে মারা গেছে এক হাজার ২২ জন। প্রায় ছয় হাজার ৪৫৫ ব্যক্তি এইচআইভির জীবাণু বহন করছে। এইচআইভি সংক্রমণের প্রধান কারণ হচ্ছে অবৈধ যৌনমিলন ও সমকামিতা।

আল্লাহর এই শাস্তির হাত থেকে বাঁচার পথ হলো একনিষ্ঠ মনে তাওবা করা, তাকওয়া অর্জন, নফল রোজা পালন ও আল্লাহর ওলিদের সান্নিধ্য লাভ করা। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, কোনো জাতির মধ্যে যদি অবৈধ ও বিকৃত যৌনাচারের প্রকোপ বৃদ্ধি পায় তখন আল্লাহ তাআলা লুত সম্প্রদায়ের মতো বা এর চেয়ে আরো ভয়াবহ শাস্তি প্রদান করেন।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতেঃ------
প্রায় তিন মিলিয়ন বছর পূর্বে বর্তমান জর্দান নদী, মৃত সাগর এবং ওয়াদি আরাবাহ অঞ্চল লোহিত সাগর এর পানিতে বারবার প্লাবিত হত। এর ফলে একটি সরু উপসাগরের সৃষ্টি হয় । উপসাগরটি জেজরিল উপত্যকায় একটি সরু সংযোগের মাধ্যমে লোহিত সাগরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রাকৃতিক তত্ত্ব অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন বছর পূর্বে উপত্যকা এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী স্থলভাগ যথেষ্ট উচ্চতা লাভ করে। ফলে মহাসাগরের প্লাবনে এই অঞ্চলে সৃষ্ট উপসাগরটি পরিবেষ্টিত হয়ে হ্রদে পরিণত হয়।

এই সাগরে কোনো প্রাণী বাস করতে পারে না। কোনো মানুষ চাইলেও এর পানিতে ডুবে যেতে পারবে না। যতই চেষ্টা করবে ডুবে যাওয়ার ভেসেই থাকবে। কারণ, পানির লবনাক্ততা এত বেশি হওয়ার কারণে পানির প্লবতা অনেক বেশি। প্লবতা হচ্ছে বস্তুর উপর প্রযুক্ত পানির উর্ধ্বমুখী বল। কোনো বস্তু পানিতে ডুবানো হলে বস্তুর ওজন নিচের দিকে একটা বল প্রয়োগ করে। পানিও বস্তুকে উপরের দিকে বল প্রয়োগ করে। যদি বস্তুর ওজন বেশি হয় বস্তু ডুবে যায়, আর প্লবতা বেশী হয় তবে বস্তু ভেসে থাকে। কিন্তু মৃত সাগরের পানির প্লবতা এতই বেশি যে বস্তুর ওজন অনেক বেশি হলেও বস্তুকে ডুবানো বেশ কঠিন।

বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মহাসাগরের পানির তুলনায় ডেড সির পানিতে মিশে থাকা খনিজ উপাদানগুলোর পার্থক্য আছে। মৃত সাগরের পানিতে মিশে থাকা লবণে ১৪% ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড এবং ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড রয়েছে। এই পানির ঘনত্ব ১.২৪ কেজি/লিটার। এই সকল উপাদানের কারণে ডেড সি’র পানির প্লবতা শক্তি পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের পানির চেয়ে অনেক বেশি। আর এই উচ্চ প্লবতা শক্তির কারণে এই সাগরে কোনো কিছু ডুবে না। প্রাচীনকাল থেকে এই হ্রদটি মিশরের মমি তৈরির জন্য, সার উৎপাদনের জন্য পটাশসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থের উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই হ্রদ থেকে প্রাপ্ত লবণ ও খনিজ পদার্থ বিভিন্ন প্রসাধনী ও সুগন্ধি দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

ডেড সি’তে কোনো মাছ বাস করতে পারে না। প্রায় একইভাবে এর পাশে জর্ডান নদীতেও কোনো মাছ নেই। এই সাগরের পানিতে কোন উদ্ভিদ বা মাছ বাঁচতে পারে না বলেই মূলত এই সাগরকে ডেড সি বা মৃত সাগর বলা হয়ে থাকে। এই সাগরের পানিতে শুধুমাত্র সামান্য কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক অণুজীবের সন্ধান পাওয়া যায়। ডেড সি তীরবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে উট, খরগোশ, খেঁকশিয়াল, চিতাবাঘ দেখতে পাওয়া যায়। অতীতে জর্ডান নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে প্যাপিরাস এবং পাম গাছে সমৃদ্ধ বনভূমি ছিল। রোমান এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সময় ইক্ষু, সিকামোর এবং হেনা এ অঞ্চলের উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধি এনে দিয়েছিল। জেরিকোতে বেলসাম গাছের রস থেকে প্রস্তুত করা হত উন্নত মানের পারফিউম এবং সুগন্ধি।

বর্তমানে মৃত সাগর অঞ্চলটি চিকিৎসা শাস্ত্রের গবেষণাস্থল হয়ে উঠেছে। এর মূলে রয়েছে হ্রদের পানিতে খনিজ দ্রব্যাদির বিপুল উপস্থিতি, বাতাসে এলার্জি উৎপাদক দ্রব্য এবং পরাগরেণুর স্বল্পতা, উচ্চ ভূ-মণ্ডলীয় চাপ, সৌর বিকিরণে অতি বেগুনি উপাদানের কম উপস্থিতি। উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ, শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। চর্মরোগ সোরিয়াসিস (psoriasis) এর জন্য দীর্ঘসময় সূর্যস্নান বেশ উপকারী। এ অঞ্চলে অতি বেগুনি রশ্মির স্বল্পতা সূর্যস্নানের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে বেশ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া রোগটি নিরাময়ে জন্য মৃত সাগরের লবণও বেশ উপকারী বলে বৈজ্ঞানিকদের গবেষণায় দাবী করা হয়েছে।

* (Historical Studies in the Natural Sciences থেকে ভাষান্তর করে তিন বছর আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম)

* (ধর্মীয় দৃষ্টিতে মৃত সাগরের তথ্য উপাত্ত নিয়েছি- তাফসিরে মা’আরেফুল কোরআন, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা ৮০৬; মাওলানা হাকিম আখতার (রহ.), রুহ কি বিমারিয়াঁ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ১৯)


মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:২৫

বিটপি বলেছেন: ১। সমকামিতা এতটাই জঘন্য অপরাধ, যে ভূমিতে বসে তারা এই অপরাধ করত, সেই ভূমিরই কোন অস্তিত্ব আল্লাহ রাখেননি। এর মানে হল সমকামিতা করলে ভূমিও অপবিত্র হয়ে যায়। নাফরমানিতে নিযুক্ত আর কোন কওমকে আল্লাহ এত ভয়ানক শাস্তি দেননি।

২। সদুম জাতি পুরুষ সমকামিতায় লিপ্ত ছিল। কিন্তু আজকের দুনিয়ায় দেখা যায়, পুরুষের চেয়ে নারীরা অধিক মাত্রায় সমকামিতায় লিপ্ত। একজন সমকামিতা নিয়ে লিখেছে, প্রত্যেক নারীই নাকি বাইসেক্সুয়াল। নারীদেহের সৌন্দর্যে নাকি নারী পুরুষ উভয়েই আকৃষ্ট হয়, যেখানে পৌরুষে কেবল নারীরা আকৃষ্ট হয়।

এখনকার দুনিয়ায় সমকামিতা আরও মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে সমকামিতাকে আইনগত ভাবে বৈধ ঘোষনা দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে রক্ষণশীল ভারতও আছে। এখন তো গজব নাযিল করলে পুরো বিশ্বই ধ্বসিয়ে দিতে হবে, তাই না?

৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে দ্বিমত করার সুযোগ নাই। কিভাবে যে সর্বগ্রাসী পাপাচার ছড়িয়ে পরছে- ভাবতেই অবাক হই।

২| ৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৩২

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সালাম নিবেন আশা করি ভাল আছেন
সকাল বেলা ভালএকটা বিষয় পড়লাম
ভাল থাকবেন দাদা-----------

৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ সরকার।

৩| ৩০ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: সমকামিতার ইতিহাস মানব সৃষ্টিরকাল থেকেই !!! এমন কি প্রানীকুলেও সমকামিতা আছে । তাই শুধু মাত্র লুত আঃ এর সময় থেকে এটার প্রচলন ছিলো এমন না !!! সমকামিতা কিন্তু কোন রোগ নয় । সমকামি ব্যাক্তি একে অপরের প্রতি যৌনতা অনুভব করে এই জন্য যে সে নিজেকে সে যা তা অনুভব করে না ধরুন একজন নারী সে নিজেকে নারী মনে করে না সে পুরুষ মনে করে আর স্বাভাবিক ভাবে সে নারীর প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করে একই কথা পুরুষের ক্ষেত্রেও। অন্যদৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখলে দেখা যায় একজন পুরুষ নারীর প্রতি বা একজন নারী একজন পুরুষের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে কিন্তু বাজ্জিক ভাবে তারা তা না।

৩০ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বাংলাদেশে সমকামীতা কেমন অবস্থায় আছে?

৩০ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: তেমন কোনো পরিসংখ্যান আমার জানা নাই।

৫| ৩০ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:০৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যারা নিজেদের সভ্য হিসেবে দাবী করে তারা এই বদমাইশিকে আইন করে সমাজে জায়েজ করছে। এই বদমাইশি বাংলাদেশেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

৩০ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের দূর্ভাগ্য- আকাম কুকাম, অসভ্যতা যাদের কাছে সভ্যতা- তাদের কাছেই আমাদের সভ্যতা শিখতে হয়।

৬| ৩০ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন টাই সঠিক বলে মনে হচ্ছে।

৩০ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: একটা বিশ্বাস, আর একটা যুক্তি।

৭| ৩০ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জর্দান নদী থেকে মাছ এই নদীতে আসার সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়।
এটিতো হ্রদ!!
লেখা খুবই ভালো হয়েছে।

৩১ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ৩০ শে মে, ২০২২ রাত ৮:১১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পড়তে বেশ লাগলো।

৩১ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৪৯

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: চমৎকার লেখা।
শিক্ষণীয় হলেও আমরা শিখবো না

৩১ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা জুন, ২০২২ রাত ৩:০১

গরল বলেছেন: সমকামিতা আসলে কোন যুক্তিতে অপরাধ বা কেন এটাকে অপরাধ ধরতে হবে? সমকামিতো সৃষ্টিকর্তাই সৃষ্টি করে, সেতো আর নিজে থেকে সৃষ্টি হয় নাই। কেউ তো নিজে ইচ্ছা করে বা চেষ্টা করেও সমকামি হতে পারবে না যদি না সে সমকামি হয়ে জন্মায়। এটা একধরেনের জন্মগত বৈকলঙ্গ, কারণ তার শারিরীক গঠনের সাথে মানসিক বিকাশের অমিল বা ভুল শরীরে ভুল মস্তিষ্কের বিকাশ, বলা যায় ভুল হার্ডওয়্যারে ভুল সফটওয়্যার যা সৃষ্টিকর্তার ভূল, মানুষের না। যার জন্য সে দায়ি না তার জন্য তাকে সাস্তি দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?

১১| ০২ রা জুন, ২০২২ সকাল ১০:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: যেহেতু আমি ধর্মীয় বিষয় অত্যন্ত কম জানি তাই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমার নিজস্ব কোনো মতামত নাই। এই বিষয়ে আমিও মোটামুটি পড়াশুনা করেছি। আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, সমকামী এবং উভকামী প্রবৃত্তি কোনো ব্যাধি নয়। এসব প্রবৃত্তি মানুষদের স্বাভাবিক অভিজ্ঞতারই প্রতিনিধিত্বমূলক। নারী ও পুরুষের মধ্যেকার সম্পর্কের মতোই সমলিঙ্গীয় সম্পর্কও স্বাভাবিক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯০ সালে মানসিক রোগের তালিকা থেকে সমকামীতাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে।

যৌনপ্রবৃত্তি বলতে বোঝায় পুরুষ, নারী, উভয়লিঙ্গের প্রতি পারস্পরিক আবেগ, প্রণয় এবং অথবা যৌনআকর্ষণজনিত এক স্থায়ী সম্পর্কাবস্থা। সাধারণত যৌনপ্রবৃত্তিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়: বিপরীতকামিতা (বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ), সমকামিতা (সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ) এবং উভকামিতা (উভয় লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ)। এ প্রবৃত্তির একটি প্রান্তে কেউ কেউ শুধুমাত্র বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে, আর অপর প্রান্তে কেউ কেউ শুধুমাত্র সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে।

বিভিন্ন ধর্মে প্রথাগতভাবে সমলিঙ্গীয় যৌনআচরণকে পাপ বলে গণ্য করা হত। হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, জৈন এবং শিখধর্মে সমকামিতা সম্পর্কিত অনুশাসন যথেষ্ট পরিষ্কার নয় এবং এসব ধর্মেও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে বিভিন্ন মত পোষণ করে থাকেন। ইহুদী, খ্রিষ্ট এবং ইসলামধর্মে প্রথাগতভাবে সমলিঙ্গীয় যৌনআচরণকে পাপ বলে গণ্য করা হত। বর্তমানে সকল ধর্মেরই কিছু কিছু নেতারা ক্রমশ সমকামিতাকে মেনে নিচ্ছেন, এমনকি সমকামী বিয়েকেও অনুমোদন করছেন। প্রগতিশীল মুসলমান বিদ্বজনদের মধ্যে কেউ কেউ সমকামিতাকে (সমলিঙ্গীয় ভালোবাসা) নিন্দা না করে এর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন। বহু বাংলাদেশি সমকামী ও উভকামী আছেন যারা নিজেদের ধর্মীয় অনুশাসনের সঙ্গে যৌনপ্রবৃত্তির বিরোধ খুঁজে পান না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.