নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
বনফুলের শেষ গল্প.....
'একদিন সকালবেলা একান্তে নিজের ঘরে বসে লিখছি, হঠাৎ আমার একজন সহপাঠী বন্ধু ঘরে এসে ঢুকলাে। তার চেহারা দেখে চমকে উঠলাম। উস্কোখুস্কো চুল, জীর্ণ বসন, চোখ দুটো জবা ফুলের মতাে লাল। ঘরে ঢুকেই ও বললে, “এ কি রে, তাের এ রকম দৈন্য দশা কেন? ভাঙা টেবিল চেয়ারে বসে লিখছিস! তাের জানালার পর্দা ছেড়া, বিছানার চাদর নােংরা। দাঁড়া তােকে কিছু টাকা দিই”- বলে খস্ খস্ করে একটা পঞ্চাশ লক্ষ টাকার চেক লিখে দিল।
‘বুঝলাম ওর মাথা খারাপ হয়েছে। তবুও জিজ্ঞেস করলাম, “তুই এত টাকা পেলি কোথায়?”
‘ও হেসে বলল, “আরে বাহঃ, তুই জানিস না, আমি সারা ভারতবর্ষের একছত্রাধিপতি সম্রাট।” |
‘বুঝলাম, একেবারে উন্মাদ হয়ে গেছে। বড়াে কষ্ট হল। আমরা একসঙ্গে পড়তাম। ভালাে ছাত্র ছিল। বিরাট সম্ভাবনাও হয়তাে ছিল। আমার এক ডাক্তার বন্ধুকে ডেকে ওর চিকিৎসার দায়িত্ব তার ওপরে দিলাম।
‘মাস দুয়েক পর হঠাৎ সে আবার এলাে। সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছে। কিন্তু কেঁদে ফেলে বলল, “তুই আমার এ সর্বনাশ কেন করলি? আমি তাে উন্মাদ হয়ে সব কিছু ভুলে মহা আনন্দে ছিলাম। তুই আমার চেতনা ফিরিয়ে দিয়ে আবার আশা নিরাশা হতাশা সুখ দুঃখ হাসি কান্না দারিদ্র্য সম্বন্ধে সচেতন করে দিলি-কেন? কী দরকার ছিল?”
(এই গল্পের কোন নাম ছিলো না। গল্পটা লেখার মাসখানেক পর বনফুল মৃত্যু বরন করেন। বনফুল এর আসল নাম বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। তিনি পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। উনার লেখা 'হাটে-বাজারে' বই পড়ে আমি অভিভূত হয়েছিলাম)।
বনফুলঃ জন্ম: ১৯ জুলাই ১৮৯৯ - মৃত্যু: ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: সেই গানের কয়েক লাইন লিরিকস কিম্বা লিংক দেয়া যাবে?
২| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বনফুলের ছোটোগল্পগুলো আকারে খুবই ছোটো, কিন্তু পড়া শেষে একটা ধাক্কা লাগে, গভীর ভাবনায় ফেলে দেয়। তার ছোটোগল্পসহ অন্যান্য বেশকিছু লেখা পড়েছি। খুব ভালো লেখক ছিলেন।
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। ওনার লেখার গভীরতা অসাধারণ। হঠাৎই গল্পের ধারাবাহিকতা বদলে একটা ভিন্ন মাত্রা যোগ করে দেয়- যা আগে থেকে আন্দাজ করা যায়না।
৩| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: উন্মাদ বন্ধুটির মত বনফুলও কি কখনো স্বপ্ন দেখেছিলে যে হঠাৎ তিনি প্রচুর পয়সার মালিক হবেন?
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: অতবড় একজন লেখক কি স্বপ্ন দেখতেন তা কি আমার মতো একজন আবজাব পাঠকের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব!
৪| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪১
অপু তানভীর বলেছেন: বনফুলের লেখার কোন তুলনা নেই । পড়ার পরে একটা গভীর চিন্তা এসে জড় হয় মনের ভেতরে...
এই লেখা পড়েই মনে হচ্ছে যারা বাস্তবিক উন্মাদ তাদের জীবনে আসলে কোন চিন্তা ভাবনা নেই । আমরা প্রতিদিন যে রকম মানসিক চিন্তা ভাবনার ভেতর দিয়ে যাই মানসিক অশান্তির ভেতর দিকে যায় ওরা যায় না ! এর থেকে শান্তির কী আর হতে পারে !
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: যদি এখনো ওনার 'হাটে- বাজারে' বইটা পড়ে না থাকো তাহলে সেই বইটা পড়ার জন্য বলবো। হাটে বাজারে পড়লেই বুঝতে পারবে বনফুল কতো বড়ো মাপের একজন লেখক ছিলেন!
৫| ০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সবকিছু ভুলে থাকার মজাই আলাদা।
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪১
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সকল পেরেশানি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
৬| ০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এটি জোকস হিসেবে শুনেছিলাম।
০৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: বনফুলের লেখা আমি পড়েছি। তার গল্প সমগ্র আমার কাছে আছে। সেই বইয়ে একটা গল্পা আছে সাপ নিয়ে। পাহাড়ে দুইজন লোক আশ্রয় নেয়। একলোক নানান রকম নেশা করে। একের পর এক নেশা করতেই থাকে। তাকে নেশা ধরে না। তখন সে তার ব্যাগ থেকে একটা বিষাক্ত সাপ বের করে। সাপের ছোবল নেয় জিভে।
০৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট।
৮| ০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বনফুলের লেখা বেশি পড়া হয়নি তবে যে কটা পড়েছি ভালো লেগেছে একটা আলাদা ফ্লেভার আছে ওনার লেখার মধ্যে।
০৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছে। উনি একটা সাধরণ ঘটনাকে হঠাত করে অসাধারণ করে পাঠকদের সামনে হাজির করেন- এটা একজন লেখকের বড়ো গুণ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বনফুল নিয়ে এক গান আছেন কোন নাটকে শুনছিলাম
ভাল থাকবেন দাদা---------