নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মদখোর আর গাঁজাখোরদের মধ্যে পার্থক্য....

১৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

মদখোর আর গাঁজাখোরদের মধ্যে পার্থক্য....

"মদ কেন খাও"- এই প্রশ্ন যদি করা হয়, অবশ্যই ব্যক্তিবিশেষে তার উত্তরের রকমভেদ হবে।

কেউ বলবে- দুঃখ ভুলতে, কেউ বলবে- একমুঠো শান্তি পেতে, কেউ বলবে- ভালো লাগে তাই খাই কিম্বা নিজেকে এলিট শ্রেণীর ভাবতে। আবার কেউ কেই বলবে- আমিতো এমনি এমনি খাই!

এবার আসি গাঁজায়। গাঁজা যারা খায় তারা এক একজন এবস্ট্রাকট আর্টিস্ট। গাঁজার প্যাকেট আসার পর আগে রঙ দেখে। বাদামী আর লাল হলে একটু অসন্তুষ্ট হয়। সবুজে হলুদে মেশান হলে- গন্ধই কাফি, খাওয়াতো পরে!

তারপর আসে বানানোর পদ্ধতি। কোনোটায় মশলা কম, তামাক বেশি। কোনোটায় আবার তামাক কম, মশলা বেশি। কোনো কোনোটা আবার সেম সেম। তবে সেটা নির্ভর করে যে খাচ্ছে তার ওড়ার ওপরে। মাথা হাল্কা... এই নেশাটা কিন্তু একপ্রকার রাজার নেশা। তাও এটারও প্রকারভেদ আছে।

১. গাঁজা খেলে অনেকে ডেয়ার ডেভিল মোডে চলে যায়। এইসময় অফিসের বস ফোন করলে গালাগালও খেয়ে যেতে পারে।

২. এরা গাঁজা খেয়ে একদম চুপ করে যায়। মুশকিলটা সেটা নয়, নিজেরা চুপ করবি কর কিন্তু এরা বাকিদেরও কথা বলতে দেয় না। উপরন্তু হাত নেড়ে কথা বললেও, এদের কানে লাগে। তাই এদের সাথে যারা খায় তারা ঐ একবারই খায়। নাহলে নেশা ছুটে যায়!

৩. গাঁজা খেলেই গাঁজারুদের দার্শনিক মোড অন হয়ে যায়। কিন্তু বাঁচোয়া এটাই যে, একটা কথা বলার পরে আগের কোনো কথাই এদের মনে থাকে না। একটা বিষয় জ্ঞান দেওয়া মাত্র এরা অন্য বিষয় নিয়ে চর্চা শুরু করে।

মুশকিল হল দুটো নেশাই বেশ সময়সাপেক্ষ, জোগাড়সাপেক্ষ এবং টাকাসাপেক্ষ। কিন্তু একটা নেশা আছে যেটা এমনি এমনিই পাওয়া যায়। মাত্র একবার টাকা খরচ করতে হবে আর মাঝে মাঝে একটু যত্ন লাগে। তারপর পাশে দাঁড়াতে হবে কিছুক্ষণ। কোনো কিছু না খেয়েও নেশা লাগবে, মাথাটা হাল্কা হবে অথচ সেখান থেকে বেরোনো যাবে না-সেটা হচ্ছে ফেসবুক তথা স্যোশাল মিডিয়ার নেশা! সারাদিন লেগে থাকার নেশা.....

যতক্ষণ হাতে স্মার্টফোন, ততক্ষণই সক্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। উঠতে, বসতে, হাঁটতে, চলতে চোখ ফেসবুকের পাতায়! সাবধান হোন এখনই। ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক আপনাকে যতটা এগিয়ে দেয়, তার চেয়ে বেশিই কিন্তু পিছিয়েও দিতে পারে। নেশা ধরাতে পারে মাদকের চেয়েও মারাত্মক কিছুর, যাতে আপনার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার আশঙ্কা।

তবে, এসবের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে রোজকার জীবন আপডেটও থাকে, আবার চাপ মুক্তও থাকা যায়। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকুন, তবে নির্দিষ্ট সময় মেনে। তাতে আপনার উপকার হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে
(রি পোস্ট)

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৫৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

আপনি কোনটা খেয়েছিলেন জীবনে?

১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: সবকটার অভিজ্ঞতাই যৎসামান্য অর্জন করেছিলাম। কলেজ জীবনের শেষ দিকে টুকটাক সিগারেটের খেতাম- নিয়ম ভাংগার আনন্দে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বেশ কয়েকজন চারুকলায় অধ্যয়নরত বন্ধু ছিলেন যারা এখন অনেক বিখ্যাত শিল্পী বুদ্ধিজীবী.... তাদের সাথে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কদাচিৎ সেবন করেছি। লিকারের অভিজ্ঞতাও যৎসামান্য। এখন স্যোশাল মিডিয়ায়ও কম বেশি আসক্ত।

২| ১৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:১৯

নতুন বলেছেন: In our opinion, to consider intensive smartphone use a disorder in the same category as cocaine or alcohol addiction undermines the severity of addiction.

https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6174603/

১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মদখোর আর গাঁজাখোর।
সমাজে মদখোররা গাঁজাখোরের চেয়ে বেশী মর্যাদা পেয়ে থাকে। গালিও দেয়া হয় গাঁজাখোর বলে।
শখ করে চুল বড় রেখেছিলাম। চুল বড় রাখা দেখলে অনেকেই আবার বলে গাঁজাখোরের মত চুল রেখেছিস কেন? সমাজে বড় চুলওয়ালারা গাঁজাখোর।

১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা আমাদের অভিভাবকদের মধ্যে ছেলেদের বড়ো চুল রাখাদের প্রতি একধরনের নেতিবাচক মনোভাব থাকে

আমার অফিসের কাছেই অন্যতম দেশ সেরা একটা স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা দলবদ্ধ হয়ে সকাল থেকে রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত গাঁজায় বুঁদ হয়ে থাকে- যাদের মাথায় স্বাভাবিক সাইজের চুল এবং বেশীরভাগই ভালো পরিবারের সন্তান।

৪| ১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২১

শাহ আজিজ বলেছেন: গাজায় ধ্যানমগ্নতা বেশি আনে আর পানীয়তে হৈ চৈ করার ট্রেনডস আনে । দিল্লীতে ওস্তাদ ভিলায়াত খাঁর শো গাজা খেয়ে উপভোগ করেছিলাম , দারুন ছিল সেই চার দশক আগের সোনালী সময় গুলো ।

১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: এই যে চারুকলার ওস্তাদ এসেছেন - তিনি নিশ্চয়ই বাস্তব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে পারবেন =p~
গাঁজায় আমার শিক্ষাগুরু ছিলেন চারুকলার বন্ধুরা।

৫| ১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি কোনদিন এইগুলা খাইনি। জীবনে একবার মদ খেয়েছিলাম ইন্টারে থাকতে। বমি ছাড়া আর কোন ফিলিংস হয়নি।

১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: একবার খেলেও খাওয়া হয়।

৬| ১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মূলত পার্থক্য দুইটা
১। মদখেলে (কেউ কেউ) হাউকাও করে। গাঁজা খেলেঝিম মেরে যায়।
২। মদখেতে মেলা টাকা খরচ হয়। গাঁজা খেতে অল্প টাকা খরচ হয়।

১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ! আলোচ্য বিষয়ে সম্মান সহ স্নাতকোত্তর!!!

৭| ১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গাঁজা খাওয়ার অনুমতি আসলে দেয়া উচিত। বিশেষ করে কবি, সাহিত্যিকদের।

১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: উনাদের অনুমতি লাগেনা, স্বপ্রনোদিত হয়েই কামাল করদেগা! =p~

৮| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ্মদ গাঁজা আমি খাই না। জানেন কোনদিন খাবও না।

১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড বয়।

৯| ২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

রায়হান চৌঃ বলেছেন: ১৯৮৫ সালের আগে ও বাংলাদেশে গাঁজা উন্মক্ত ছিল। যখন এটা ব্যন্ড করা হয় তার পর বাজারে নতুন মাদক ভারতীয় ফ্যন্সিডিল আসে, ভারত বাংলাদেশের সীমানায় ৫০ হাজারের ও বেশী এর ফ্যক্টরি তৈরি করে এবং এর সাপলাই দেয়, বাংলাদেশ সরকার এটা বন্ধ করতে পারেনাই। ১৪ টাকার ফন্সিডিল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও বিক্রয় হয়। এবার টাকার অংক টা আপনাই মেলান।

এবার আসেন এমফ্যটামিল / খ্রষ্টালম্যথ / আইস বা ইয়াবা..... মোটামোটি ২০০৫/৬ থেকে বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, বাংলাদেশ বছরে ২ হাজার কোটি টাকার ও বেশি টাকায় এটা কিনে থাকে..... স্বদিচ্ছা বা অপারগতা এর ফলাফল, বাংলাদেশ এটা বন্ধ করতে পারে নাই। টাকার অংক টা আপনাদের জন্য ই রইল :)

তবে এ গুলো পুরতন যুগের, নতুন মাদক হলো "এল এস ডি, ডি এম টি, ফ্লাক্কা আরো অনেক। বাংলাদেশ এটা বন্ধ করতে পারবে না বা স্বদিচ্ছা নেই বলে ই সম্বব হচ্ছে না। মাদকের বাজার টা তৈরি হয়েছে শুধু মাত্র গাঁজা বন্দ করার কারনে।

আমি বলি...
সময়ের প্রয়োজনে, লিথাল ডোজ এবং অর্থনৈতিক বিবেচনায় "গাঁজা" উন্মক্ত করে উচিত। পৃথিবির বহু দেশে এটা কে উন্মক্ত করে দিয়েছে। রিসেন্টলি থাইল্যন্ডে ও উন্মক্ত করা হয়ছে, আপনারা জানেন কি না জানি না এমফ্যটামিল / খ্রষ্টালম্যথ / আইস বা ইয়াবা এটার একমাত্র উৎপাদক ছিল থাইল্যন্ড। থাইল্যন্ড এটা উৎপাদন বন্দ করতেই গাঁজা কে উন্মক্ত করেছে। আমার মতে সিগারেট, তামাক, মদ জাতীয় যা কিছু আছে সব স্ট্রিকলি আমদানি বন্ধ করে গাঁজা উন্মক্ত করে দেয়া উচিত। ফলাফল ? অর্থনীতির একটা রেভুলেশন ঘটবে বাংলাদেশে।
ভালো থকবেন।

২১ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও মনে করি- গরীবের কথা চিন্তা করে গাঁজাই উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।
আপনার তথ্যপূর্ণ এবং পরিসংখ্যান উল্লেখ করে অর্থবহ বন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: গাজা খেলে শুনেছি মাথা পরিষ্কার হয় !!! মদ খেলে হয় না এটা জানি !!!

২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ

১১| ২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯

জুন বলেছেন: মদ ও খাই নাই,গাজাও খাই নাই তাই দুটোর মধ্যে কোন পার্থক্য করতে পারছিনা :|
উল্লেখ্য কোন ধরনের মাদক গ্রহণের অভিজ্ঞতা নাই #:-S

২৩ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: ভ্রমণের নেশাও গাঁজার নেশার চাইতে কম না! =p~

১২| ২১ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০

নতুন বলেছেন: কফি আর তামাক নামের দুইটা ড্রাগ বৈধ।

গাজা বৈধ করার পক্ষে অনেকে মত দেয় । কিন্তু মানুষ সিগারেট থেকেই শুরু করে তারপরে আস্তে আস্তে উপরে উঠে.... তাই গাজা বৈধ করলে কি অন্য মাদক নেওয়া কমাতে সাহাজ্য করবে?

২৩ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: মাদক বৈধ করা হলে কতিপয় আন্ডারগ্রাউন্ড ডনদের ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা নেশায় অভ্যস্ত তাদের কোনো ভাবেই থামিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

১৩| ২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৮

জ্যাকেল বলেছেন: =p~ কিউরিঅসিটি কেইসে দুইবার খাইসিলাম। একবার এক্কেরে ৯/১০ বৎসর, আরেকবার ২৪/২৫ ছিল। =p~ =p~

২৩ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও কদাচিৎ স্যাম্পল টেস্ট করেছি B-))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.