নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
একটি ছাতার অনিশ্চিত গন্তব্য .....
বৃষ্টির দিনে কেউ যদি আপনাকে দয়াপরবশ হয়ে ছাতা ধার দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব কৃতজ্ঞতা সহকারে সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন অন্যথায় আপনিও কিন্তু উপেন বাবুর মতো বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন! সেটা কেমন? আসুন, শোনা যাক....
"প্রিয় মেঘনাদবাবু,
গত শনিবার রাতে খুব বৃষ্টির সময় আমাদের বাড়ি থেকে ফিরে যাওয়ার জন্যে আমাদের বাড়ির চাকর পাশের বাড়ি থেকে যে ছাতাটি আপনাকে চেয়ে এনে দিয়েছিল সেই ছাতাটি পাশের বাড়ির ভদ্রলোক আজ চাইতে এসেছিলেন। ভদ্রলোক বললেন, ছাতাটি তিনি তাঁর অফিসের বড়বাবুর কাছ থেকে নিয়ে এসেছিলেন, বড়বাবুকে বড়বাবুর ভায়রাভাই খুব চাপ দিচ্ছেন ছাতাটির জন্যে, কারণ বড়বাবুর ভায়রাভাই যে বন্ধুর কাছ থেকে ছাতাটি আনেন সেই বন্ধুর মামা তাঁর ছাতাটি ফেরত চাইছেন।
দয়া করে মনে কিছু করবেন না। আমাদের নিজের ছাতা না থাকায় পাশের বাড়ি থেকে ছাতাটা ধার করে নিয়ে এসেছিলাম। তাই এই জটিলতার জন্যে আমরা নিজেরাও খুব সংকোচ বোধ করছি। এই সামান্য ব্যাপারে আপনাকে নিশ্চয়ই তাগাদা দিতাম না।
ইতি,
আপনাদের উপেন্দ্রনাথ।"
বলা বাহুল্য, মেঘনাদবাবুর পক্ষে ছাতাটি ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ ওই ছাতা নিয়ে পরের দিন সকালে মেঘনাদবাবুর ছেলে বাজারে যায় এবং ফেরার পথে যখন বৃষ্টি থেমে গেছে, বাজারের পাশের চায়ের স্টলে এক কাপ চা খেতে গিয়ে সেখানে ফেলে আসে। পরে অবশ্য চায়ের দোকানদার ছাতার কথা অস্বীকার করেননি কিন্তু সেদিনই দুপুরে আবার যখন বৃষ্টি আসে তখন দোকানদার মশায় সেটা মাথায় দিয়ে বাড়ি যান ভাত খেতে। বিকেলে সেই ছাতা নিয়ে দোকানদার মশায়ের ভাই খেলার মাঠে যান। খেলার মাঠ থেকে ফেরার পথে ভাইটি তাঁর বান্ধবীর বাড়ি যান। সেখানে ছাতাটি রেখে আসেন কিন্তু এখন সেই বান্ধবীর বাড়িতে ছাতাটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় গেল কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
পুনশ্চঃ ছাতা কাহিনীটি আমার ছেলেবেলার গৃহ শিক্ষক উপেন্দ্রনাথ পণ্ডিত মহাশয় বলেছিলেন, যা আমি একটু ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিজ মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখেছি।
২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ছাতা আমার কাছে একটা বাড়তি বিড়ম্বনা! আমি ছাতা নিয়ে বের হলে সেই ছাতা আর বাসায় ফেরত আসেনা!
২| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ছাতার কথা যখন বললেন
তখন আমার মজার একটা স্মৃতিকথা মনে পরে গেলো
দাদা ভাল থাকবেন-------
২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার ছাতাস্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করুন।
৩| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছাতা আর বই মালিক ছাড়া অন্যের হাতে পারলেই তাদের পা গজিয়ে যায়।
২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এই তালিকায় কলম যোগ করা যেতে পারে।
৪| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: এই ব্যাপারে আমি অবশ্য অন্য মানুষ । আমি মানুষকে একদম ছাতা ধার দিই না এবং অন্যের ছাতা ব্যবহারও করি না । ২০১৪/১৫ সাল থেকে আমি একটা ছাতা এখনও ব্যবহার করছি । ছাতাটা এ পর্যন্ত কাউকে ব্যবহার করতে দিই নি । এক হাতে আছে বলেই এখনও টিকে আছে যদিও অবস্থা এখন আর খুব বেশি ভাল নয় । একবার ছাতাটা হারিয়ে গিয়েছিলো বটে তবে সেটা ফেরৎ পেয়েছিলাম !
ছাতা আর বই আসলে যদি কাউকে ধার দিই তাহলে এই মনে করে দিই যে এই জিনিস আর ফেরৎ আসবে না !
২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: মোদ্দাকথা, একজনের ছাতা বই কলম- যখন যার হাতে তখন তিনিই মালিক!
৫| ২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বর্ষাকালে অথবা প্রখৌর রৌদ্রে ছাতার গুরুত্ব অপরিসীম । জয় হোক ছাতার। গন্তব্য সুনিশ্চিৎ হোক ।
২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলেই ছাতার গুরুত্ব রোদ-বৃষ্টিতে। বৃষ্টি থেমে গেলে- ছাতা একটা বিরক্তিকর বোঝা!
৬| ২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বুষ্টির সময় ছাতা খুবই মধুর বৃষ্টি না থাকলে বড্ড বিরক্তিকর।
২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ছাতার গুরুত্ব রোদ-বৃষ্টিতে। বৃষ্টি থেমে গেলে- ছাতা একটা বিরক্তিকর বোঝা!
৭| ২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: জীবনে কত ছাতা হারালাম। এখন আর ছাতা ব্যবহার করি না। ভিজি।
২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: অল্প বৃষ্টিতে ভিজি.... আমিও ছাতা ব্যবহার করিনা বললেই চলে।
৮| ২৬ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: প্রতি বর্ষায় আমি ১ টি করে ছাতা হারাই।
২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: তা নাহলে ছাতা ব্যবসায়ীদের ব্যবসা টিকবে কি করে!
৯| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছাতা আসলে কেনার মত কোন জিনিস না। আপনি ছাতা না কিনলেও দেখবেন দুই একটা ছাতা হাতের কাছে পেয়ে যাবেন। যারা ছাতা কেনে তাদেরটাই হারায়। যে জিনিস এমনি এমনি পাওয়া যায় সেটা কেনার কোন কারণ আমি দেখি না।
২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
যেমন, মসজিদের বারান্দায় রাখা মুসুল্লীদের সবার জুতা সবার জন্য- যে যেটা সামনে পায় সেটাই পরে হাটা দেয়!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:১৯
বিটপি বলেছেন: ধুর ছাতা!
আমি এসব ঝামেলায় যাইনা। চেষ্টা করি বৃষ্টিতে বের না হতে। কোন উপায় না থাকলে ভিজে ভিজেই গন্তব্যস্থলে যাই।