নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমিক হিটলার.....

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৭

প্রেমিক হিটলার.....

অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করবেন না যে, কুখ‍্যাত নাৎসি বাহিনীর জনক এডলফ হিটলার তাঁর প্রথম যৌবনে গান গাইতেন, ধ্রুপদী সংগীতের সমঝদার ছিলেন, ভালো ছবি আঁকতেন আর পাশাপাশি স্টেফিনি আইজাক নামে এক ইহুদি রমণীর গভীর প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন। যার হাত লক্ষ লক্ষ ইহুদিসহ সাধারণ মানুষের রক্তে রঞ্জিত সেই হিটলার তাঁর প্রথম জীবনে কোনও ইহুদি রমণীর কাছে হাঁটু গেড়ে প্রণয় ভিক্ষা করছেন তা ভাবতেও অবাক লাগে বৈকি! গ্রিনহিল পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত, হিটলারের দীর্ঘ সময়ের বন্ধু অগস্ট কুবিজেকের স্মৃতিচারণমূলক ‘দি ইয়ং হিটলার আই নো’ গ্রন্থটির প্রতিটি পাতায় আশ্চর্যরকম এই তথ্যগুলো চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে।

লেখক অগস্ট কুবিজেক সম্পর্কে এখানে দুটো কথা আগেই বলে রাখা দরকার। ভিয়েনা একাডেমি অব ফাইন আর্টস-এ ভর্তি হতে গিয়ে হিটলার যখন ব্যর্থ হন, ঠিক তখনই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীতের ছাত্রী কুবিজেকের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। পাঠক ভাবুন, হিটলার যদি সেই সময় একাডেমি অব ফাইন আর্টস-এ ভর্তি হতে পারতেন তাহলে আজকের পৃথিবীর এই ইতিহাস হয়ত অন্যরকমভাবে লেখা হতো। বলাই বাহুল্য যে, শিল্পকলায় ভর্তি হতে না পারলেও কুবিজেকের সঙ্গে হিটলারের বন্ধুত্ব ছিল গভীর। কুবিজেক নিজেই বলেছেন সে কথা, ‘আমার জীবনের একমাত্র বন্ধু, সে হলো এডলফ।’

তবে শিল্পকলায় ব্যর্থ হলেও প্রেমিক হিসেবে হিটলার কখনও ব্যর্থ হতে চান নি। বন্ধু কুবিজেকের কাছে বিভিন্ন সময় প্রেমিকা স্টেফেনির সম্পর্কে হিটলারের মন্তব্য থেকেই এ প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৯০৫ সালে বসন্তের শেষদিকে হিটলার এবং কুবিজেক যখন লিঁজের লান্ডস্ট্রেসে শহরে ভ্রমণে ব্যস্ত তখনই কুবিজেককে তিনি বললেন কথাটা-'তোমাকে একটা কথা জানাতে চাই। আমি স্টেফেনির প্রেমে পড়েছি। তার চোখগুলো মায়াবী, উজ্জ্বল আর আকর্ষণীয়। তার চোখের রং নীল, সোনালি চুলগুলো ঢেউয়ের মতো কাঁধের দুপাশে যেন আছড়ে পড়ছে, তার পোশাক, কথা-বার্তা আর চালচলন সবকিছু বলে দেয়, সে নিশ্চয়ই ভালো কোনও পরিবারের মেয়ে।’—সত্যিই তাই। এক উচ্চবিত্ত পরিবারেই স্টেফেনির জন্ম। বিধবা মা আর একমাত্র ভাইকে (ভিয়েনায় আইন শাস্রে পড়াশোনা করছে) নিয়ে ওরফার শহরে ছিল তাদের বসবাস। স্টেফিনির বন্ধু-বান্ধবদের প্রায় সবাই ছিল উচ্চপদস্থ আর্মি অফিসার। এই বিষয়টাকে হিটলার কখনওই ভালো চোখে দেখতে পারেন নি। বন্ধু কুবিজেকের কাছে এ নিয়ে তার নিত্য অভিযোগ, ‘এই মাথামোটা আর্মি লেফটানেন্টগুলো কিভাবে যে স্টিফেনির বন্ধু হতে পারে এই বিষয়টা আমি এখনও ঠিক বুঝতে পারি না।’

ক্লাবে নাচ-গান একদম পছন্দ করতেন না হিটলার। বন্ধু কুবিজেককে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাতালদের চিৎকারে এখানে কোনও গান শোনা যায় না, ঠিকভাবে হাঁটাচলা করা যায় না। এই পার্টিতে আসা লোকগুলোর মগজ বলতে কি কিছু আছে? স্টিফেনি যদি কখনও আমার বউ হয় তখন এই বিষয়ে তাকে কঠোরভাবে নিষেধ করব।’

হিটলার যখন স্টেফিনির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে তখন তার বয়স ছিল মাত্র ষোল। বয়স কম, মাথা গরম আবার প্রেমিকাকে হারাবার ভয়ে তিনি ছিলেন সবসময় আতংকিত। মানসিক অস্থিরতা ও টানাপোড়েনের এক পর্যায়ে হিটলার পরিকল্পনা করেছিলেন, তিনি তার প্রেমিকাকে কিডনাপ করবেন। পরিকল্পনাটা ছিল এইরকম, হিটলার স্টেফিনিকে কিডনাপ করবেন। আর কুবিজেক—স্টিফেনির মাকে হিটলারের সঙ্গে মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে রাজি করাতে কথাবার্তা চালিয়ে যাবেন। কিন্তু পরিকল্পনাটা ভেস্তে যায়। আর হিটলার বেছে নেন আত্মহত্যার এক অভিনব পথ। আত্মহত্যার পরিকল্পনা বিষয়ে হিটলার কুবিজেককে বলেন, ‘দানিয়ুব ব্রিজের ওপর থেকে আমি নদীতে ঝাঁপ দিব। আর হ্যাঁ, আমি একা নই, আমার সাথে স্টেফেনিও ঝাঁপ দিবে এবং আমরা দুজনেই একসাথে মরব। তারপর সব শেষ, সবকিছুর শেষ।’

প্রেম নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কারণেই হোক অথবা অন্য কারও প্রতি আসক্তি থেকেই হোক- হিটলারের সঙ্গে ধীরে ধীরে একটা দূরত্ব তৈরি করেন স্টেফেনি। দূরত্বের এক পর্যায়ে স্টিফেনি তারই বন্ধু এক আর্মি অফিসারকে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে ভিয়েনায় চলে যান। হিটলারের আত্মজীবনীকারদের অনেকেরই ধারণা, ইহুদি নারীর কাছ থেকে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় সেই তরুণ বয়স থেকেই হিটলার ইহুদি নিধনের এক কঠিন শপথ নিয়েছিলেন। অন্তত অগস্ট কুবিজেকের ‘দি ইয়ং হিটলার আই নো’ বইটিতে সে কথাই যেন বারবার উচ্চারিত হলো।

(চার বছর আগের লেখা)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন ,




আগুনকে্ও পানির স্পর্শে নিভে যেতে হয়!!!!!!!!
আর হিটলার একজন মানুষ্ও বটে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই। আর প্রেমের ব্যাপারে ধর্ম-বর্ণ-বয়স কোনো সমস্যা নয়। তা নাহলে 'বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা' প্রবাদ বাক্যের আবিস্কার হতোনা।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩০

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: হিটলারের মত লোক প্রেমে কাইত হয়ে যায়, সে স্থানে আমরা কিছুই না।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রেম প্রীতি ভালোবাসায় সবাই সমান।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহারে প্রেম ও বিয়ে হলে সেই ধরনীর সাথে হয়তো ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: হয়তো তাই।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কথায় আছেনা "প্রেম মানেনা জাত ধর্ম।"

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: একদম সঠিক কথা।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


প্রত্যাখ্যাত হবার পর হিটলারের চেহারা দেখা দরকার ছিলো।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: দুনিয়ার সব প্রেমিক মনই আমার আপনার তথা আমাদের মতো। হিটলার সাহেব যতই ভয়ংকর লোক হোন- প্রেমিক হিটলার আমাদেরই মতন।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জটিল ভাই বলেছেন:
হিটলারকে প্রেম হিট করেছিলো জানতাম। তবে আরো বিস্তারিতভাবে জানানোর জন্যে অসংখ্য জটিলবাদ প্রিয় ভাই :)

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইহুদি মেয়েকে না পেয়ে ৬০ লক্ষ্ ইহুদিকে হত্যা। কি অদ্ভুত মানসিকতা।

আমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় বাংলাতে হিটলারের একটা জীবনী পড়েছিলাম। প্রথম জীবনে তাকে একজন অতি সাধারণ মানুষ মনে হয়েছে। পরবর্তীতে দ্রুত সে বদলে যায় মনে হয়।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। হিটলার প্রথম জীবনে অত্যন্ত ভালো মানুষ হিসেবে নিজের মেধা মননশীলতা তুলে ধরেছেন। তিনি একজন চিত্রশিল্পী ছিলেন। শিশুদের খুব ভালোবাসতেন।

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৪

কামাল৮০ বলেছেন: হিটলার যে কাজটি করেছে,একা করেনি করা সম্ভবও না।অকাজে অনেকের সমর্থন ছিল।ইহুদি ধর্মের সাথে খৃষ্টানদের শুরুতে একটা দ্বন্দ্ব ছিলো।জীশুকে হত্যার জন্য তারা ইহুদিদের দায়ী করে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা এমনটাই জনশ্রুতি আছে।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: আমার মনে হয় যে পুরুষ মানুষ যত বড়, যত বিখ্যাত আর যত কঠিন হয়ে যাক না কেন তার ভেতরে একটা প্রেমিক হৃদয় সব সময় থাকে । হয়তো পরিস্থিতির কারণে সেটা কখনই বের হতে পারে না । লুকিয়ে থাকে ভেতরেই কিংবা হারিয়ে যায় কোন অতল গহব্বরে । আরেকটা কথা হচ্ছে পুরুষ যত কঠিন হৃদয়ের হোক, প্রেমিকার কাছে তারা সব সময় অসহায় তাকে হারানোর ভয়ে সদা আতংকিত !

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: সব পুরুষই প্রেমিক, কিন্তু সব মেয়েই প্রেমিকা হয়না.....প্রেমিকার কাছে নিজেকে উজাড় করে দেওয়াই সত্যিকারের প্রেমিকের প্রমাণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.