নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
চা শ্রমিকদের আন্দোলন..........
"দুটি পাতা একটি কুড়ি"- কী সুন্দর শ্লোগান!
যদি এই সুন্দর শ্লোগানের সাথে যোগ করা হয়-
দুটি পাতা একটি কুড়ি
'শুনতে কী পাও- চা শ্রমিকদের আহাজারি?'
চা, চা বাগান এবং চা শ্রমিকদের জীবন নিয়ে ২০০৮ সনে আমি ৪ পর্বের একটা ধারাবাহিক লিখেছিলাম এই ব্লগেই। এর পরেও বিভিন্ন সময় চা নিয়ে বেশ কয়েকটা পোস্ট দিয়েছি। আমরা পত্রিকায় পড়েছি, বেশ কিছুদিন যাবত চা শ্রমিকরা তাদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছেন। স্বাধীনতার পর এক টাকা দুই আনা মজুরি পেত শ্রমিকরা। পরে সেটা বেড়ে দৈনিক পাঁচ টাকা হয়। এভাবে মজুরি বাড়তে বাড়তে এখন একজন চা শ্রমিকের দৈনিক ১২০ টাকা হয়েছে। দুই পূজায় কোনো চা বাগানে হাফ এবং কোনো চা বাগানে ফুল বোনাস মিলে। সেই সাথে কিছু অধিকারও পেয়েছে চা শ্রমিকরা। কিন্তু বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করলে তাতে সংসার চালানেই দায় বলে জানান শ্রমিকরা। দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও চা শ্রমিকদের দুর্দশা বঞ্চনা আর কৃতদাসের জীবন সেই শুরু থেকেই। পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন হলেও চা বাগান যেন একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এখানে পৌঁছে না আধুনিকতার আলো, মিলে না জীবন ধারণের ন্যুনতম সুযোগ সুবিধা।
ব্রিটিশ আমলে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান থেকে দরিদ্র মানুষদের এনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের টিলাভূমিতে চা বাগানের সূচনা করা হয়। সীমাহীন দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে এসব শ্রমিককে সেখানে কাজ করতে হতো। বাজারে প্রচলিত মুদ্রাও তখন তাদের কপালে জুটত না। বাগানে ব্যবহারের জন্য এক ধরনের বিশেষ মুদ্রা পেতেন শ্রমিকরা। সেই মুদ্রা বিনিময়ের জন্য তারা বাগানের বাইরে যেতে পারতেন না; বাগানেই তাদের জীবন কাটাতে হতো।
শতাব্দী পেরিয়ে এসে সেই নির্মমতা হয়তো এখন নেই। কিন্তু বঞ্চণার মধ্যেই বাঁচতে হয় উত্তরাধিকার সূত্রে কাজ পাওয়া চা শ্রমিকদের। চা বাগানে শ্রমিক ও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে যে পাঁচ লাখের মতো মানুষ তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশের অধিক অবাঙালি। এদের জাতি পরিচয় অবাক করার মতো। সাম্প্রতিক সময়ে চা শ্রমিক হিসেবে যোগ দেয়া বাঙালি ৫ শতাংশের মতো আর বিহারি মুসলমান ৩ শতাংশের মতো। বাকিদের মধ্যে আছেন আদিবাসী ও নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টে (সেড) ২০১৪-১৬ সালে পরিচালিত জরিপ ফলাফল অনুসারে চা বাগানে ৮০টির মতো জাতিগোষ্ঠী আছে এবং তাদের মধ্যে প্রচলিত আছে ১৩টি ভাষা। তবে চা বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলোর মধ্যে হিন্দু ধর্মবলম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
চা শ্রমিকরা চা পাতার ভর্তা খায়। কচি পাতাগুলো খুব কুচিকুচি করে তাতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, সেদ্ধ আলু আর চানাচুর সরিষার তেল দিয়ে মাখানো হয়। গরম ভাত অথবা রুটির সাথে খায়। সুস্বাদু না। অথচ তারা প্রতিবেলায় খায় বিকল্প নাই বলেই খায়। তবুও তারা খায় কারণ দুইশো টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগীর এই বেহেশতে একদিনে তাদের বেতন ১২০ টাকা। এক আঁটি শাক কিংবা এক কেজি সবজি কেনার চেয়ে চা পাতার ভর্তা দিয়ে দু'মুঠো ভাত খেয়ে ফেলাই তাদের জন্য সহজ।
আমার ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু দেশের দুটো বিখ্যাত চা বাগানের উর্ধতন কর্মকর্তা হবার সুবাদে বিভিন্ন সময় বহুবার চা বাগানে টানা মাসাধিকাল অবস্থান করে চা বাগানের মূল প্রাণ চা শ্রমিকদের দুর্দশা যেমন দেখেছি তেমনি চা বাগান মালিক-কর্মকর্তাদের বিলাসবহুল জীবন যাপনও প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছি।
চা বাগানের উর্ধতন দুই বন্ধুদের একজন সরকারের মালিকানাধীন চা বাগানের জিএম, অন্যজন বৃটিশ মালিকানাধীন চা বাগানের জিএম। দুজনের কাছেই সরকারি ও বেসরকারী মালিকানাধীন চা বাগানের ভিন্ন ভিন্ন বৈষম্যের চিত্র পেয়েছি। বেতনের ক্ষেত্রে বেসরকারি /ব্যক্তিমালিকানাধীন বাগানে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে এখন হয়েছে ১৩৪ টাকা। সরকারি মালিকানাধীন বাগানে এখনো দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা। বোনাসের নিয়মঃ আগে বোনাস দেওয়া হতো ৪৭ দিনের মজুরির সমান। এখন দেওয়া হবে ৫২ দিনের। অর্থাৎ পাঁচ দিনের হাজিরার সমান অর্থ মূল বোনাসের সঙ্গে সংযুক্ত হবে- বছরে দুই বার ভাগ করে অথবা একবারে।
চা শ্রমিকদের সকল অভিযোগ অনেকটা স্বীকার করেই উভয় জিএম বলেন, চা চাষের গোড়াপত্তন থেকে এই জনগোষ্ঠীর কপালে জুটেছে শুধু অবহেলা-নির্যাতন। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি তাদের জীবনযাত্রায়। মাত্র কয়েকটি বাগানে নামমাত্র চিকিৎসা সেবা দেয়া হলেও বেশিরভাগ বাগানে তা নেই।
বর্তমান সময়ে বাজারে ভোজ্য তেল, চাল, আটা, ডালের দাম ৫০% বেড়েছে। অথচ চা শ্রমিকদের বেতন সেই ১২০ টাকা। ব্যাপারটা একদিনে ১২০ টাকাও না। একজন চা শ্রমিক যদি দিনে ২৪ কেজি চা পাতা তুলতে পারে তাহলে সে পাবে ১২০ টাকা। বেশিরভাগ শ্রমিক ২৪ কেজি তুলতে পারেন না, গড়ে একজন শ্রমিক ১৪-১৫ কেজি পাতা তোলেন। বয়স্ক যারা তাদের চা পাতা তোলার পরিমাণ আরও কম। ফলে তারা পুরো টাকাটা পান না।
এই একজনের মাথার ওপরে রয়েছেন 'চার থেকে সাতজন খাওয়াইয়া'। এই টাকা দিয়ে সংসার পরিচালনা অবিশ্বাস্য। এই কারণে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে চা শ্রমিকরা। যদিও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশীয় চা সংসদের আইন অনুযায়ী, "শ্রমিকদের বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, রেশন, পানীয় জলের ব্যবস্থা ও বোনাসসহ ন্যায্যমজুরি নিশ্চিত করবে বাগান মালিক। মজুরি বাড়ানোর জন্য প্রতি দুই বছর পর পর বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশীয় চা সংসদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে উভয়ের আলোচনায় ঐক্যমতের পর চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এই চুক্তি অনুযায়ী, পরবর্তীতে দুই বছর শ্রমিকরা বেতন-ভাতাসহ অনান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন।"- এই নিয়ম শুধু চুক্তিতে আছে, প্রয়োগ নাই।
চা শ্রমিকদের সঙ্গে সবশেষ দ্বি-বার্ষিক চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এর পরই বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশীয় চা সংসদের কাছে ২০ দফা দাবিনামায় ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরি দাবি করেন। এ নিয়ে দফায় দফায় এ পর্যন্ত ১৩টি বৈঠকও হয় দুই পক্ষের মধ্যে। কিন্তু দাবির বাস্তবায়ন হয়নি।
শ্রমিকদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী। ১২০ টাকা মজুরিতে তারা প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা কাজ করেন। ১২০ টাকার বেতন আর সপ্তাহে ৩ কেজি চাল বা আটা রেশন হিসেবে পান তারা। যা ৫/৬ জনের পরিবারে মৌলিক চাহিদা পূরণের অপূর্ণতার পাশাপাশি বেঁচে থাকার মত সুযোগও পাচ্ছেন না। ফলে শিশু মৃত্যু, মাতৃমৃত্যুসহ অপুষ্টির কারণে এখানে গড় আয়ুও কম। আর্থিক টানা পোড়ন নিয়ে জীবন কাটালেও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চা উৎপাদন ধরে রেখেছেন চা কন্যারা।
কাজের স্থানে নারী শ্রমিকদের জন্য কোনো শৌচাগার নেই। নেই বিশুদ্ধ পানি, বিশ্রামাগার কিংবা টয়লেট ব্যবস্থা। প্রতিটি বাগানে ডিসপেনসারি থাকার কথা এবং তাতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও ৯০ শতাংশ বাগানে সেই সুবিধা নেই। ৭০/৮০ শতাংশ বাগানে নাম মাত্র থাকলে সেখানে প্যারাসিটামল আর নাপা ছাড়া কোন চিকিৎসা মিলেনা। চা শ্রমিকদের সর্বরোগের ঔষধ প্যারাসিটামল।
চা বাগানের নারী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেছে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফোরাম’ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুসারে চা বাগানে নারীদের মধ্যে জরায়ূ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের প্রার্দুভাব বেশি। বাগান ভেদে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ নারী জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন।
দীর্ঘ ৮/১০ ঘণ্টা প্রস্রাব চেপে কাজ করতে হয়। এতে জরায়ু মুখ নেমে আসে। অধিকাংশ নারী এই সমস্যায় ভুগছে। চা বাগানে নারীদের গর্ভধারণের সংখ্যা অধিক। গর্ভবতী থাকা অবস্থায় একদিকে যেমন পরিমিত পুষ্টির অভাব, অন্যদিকে চা বাগানের কমিউনিটি ক্লিনিকে অনুন্নত ডেলিভারি ব্যবস্থা।
চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা দাবির আন্দোলন সমর্থন করি।
তথ্যসূত্রঃ সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের (সেড)
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: জাস্ট শখের বসে, বেড়ানোর উদ্দেশ্যে দেশের অনেক চা বাগানে দীর্ঘদিন থেকেছি। চা বাগানের মালিকদের ক্লাবে গিয়ে দেখেছি- ওরা এক রাতে পানাহারে যে ব্যয় করে সেই টাকায় একটা চাবাগানের সকল শ্রমিকদের এক মাসের বেতন দেওয়ার চাইতেও বেশী। চা শ্রমিকদের পক্ষে মূলধারার রাজনৈতিক দল কখনোই নুণ্যতম সহযোগিতা করেনি। তবে বিভিন্ন সময়ে কমুনিস্ট পার্টি সহযোগীতা করেছে।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এসব গরীব না থাকলে বড়লোক হবে কেমনে দাদা
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: সুকুমার রায়ের "ভালো খাবার" কবিতার দুটো লাইনঃ-
"খাদ্যে অরুচি তাঁর, সব লাগে তিক্ত।
..........
সবচেয়ে ভালো খেতে গরীবের রক্ত॥"
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: দৈনিক ১২০ টাকা হলে মাসে কত টাকা হয় এদের আয় ? আমার মাঝে মাঝে ভাবতে অবাক লাগে যে এতো কম টাকায় এরা চলে কিভাবে ? কিভাবে সম্ভব ?
এখন মাসিক আয় অন্তত ১৫-২০ হাজার টাকা না হলে কিভাবে সংসার চলে !
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ১২০ হিসেবে যদি পায় তাহলে ৩০ দিনে ৩২০০/- হতো। এখানে "কিন্তু" আছে- তাহোলো দৈনিক ২৪ কেজি পাতা তুলতে পারলেই ১২০/- মজুরী। বেশীর ভাগ শ্রমিকের গড় পাতা কালেকশন ১৫/১৬ কেজি। তার উপর সপ্তাহে একদিন কর্মহীন। অর্থাৎ মাসে ৪ দিন কর্মহীন। তবে চা শ্রমিকদের সপ্তাহে ৩ কেজি আটা/চাল রেশন হিসেবে দেওয়া হয়।
কায়ীক শ্রম দেওয়া শ্রমিকদের মধ্যে চা শ্রমিকদের মতো বঞ্চিত আর কেউ নাই। বাসা/মেস বাড়ির একজন ছুটা বুয়াও মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার টাআ রোজগার করে। খাবার ফ্রি, ঈদের কাপড়চোপর এবং বখশিস পায়। ইচ্ছামতো ছুটি নিতে পারে।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চা শ্রমিকদের অবস্থা এপারেও ভালো নয়। তবে আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। দৈনিক 10 ঘণ্টা কাজ করিয়ে 120 টাকা পারিশ্রমিক! এইতো বেগার খাটানোর মতোই। নিঃসন্দেহে দুর্বিসহ জীবন। শাকপাতারি না পেয়ে কচি চায়ের পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়- এ তথ্য আজকে প্রথম জানতে পারলাম। পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি আমলাশোল আঞ্চলে একসময় মানুষ খাবার না পেয়ে পিঁপড়ের ডিম খেয়ে দিনাতিপাত করাতেই সংবাদমাধ্যমে খবর হলে খুব হৈচৈ হয়েছিল। পরে যদিও সরকার তাদেরকে যথাযথ খাবারের ব্যবস্থা করে খাবারের অভাব পূরণ করে।
কাজেই যে কথা বলার, মানবিকতার এই সংকটে এখন দরকার যে কোন মূল্যে সরকারি হস্তক্ষেপ। অন্ন বস্ত্র বাসস্থান স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো নূন্যতম চাহিদা পূরণ হোক।
১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: চা শ্রমিকদের দুর্দশা স্রেফ কৃতদাস প্রথার কথা মনে করিয়ে দেয়। আমি নিজ চোখে দেখেছি- চা বাগানের মালিক এবং হাই অফিশিয়ালরা একদিন মদ আর মাংসের পিছনে যা ব্যয় করে তা দিয়ে ৫০ টা চা শ্রমিক পরিবারের পনেরো দিনেশ সংসার চালাতে পারে। চা বাগান মালিকেরা ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর নীলকরদের মতো রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার বললেও ভুল বলা হবেনা। চা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী, বেঁচে থাকার দাবি মেনে নেওয়া হোক।
ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
জটিল ভাই বলেছেন:
এরা ভিন্ন জগতের মানুষ। এদের নিয়ে ভেবে লাভ কি?
২১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: এই চা শ্রমিকদের রক্ত ঘাম স্বপ্নে সম্পদের পাহাড় গড়ে চা বাগান মালিকেরা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩১
কামাল৮০ বলেছেন: আমি ৭০ এর দিকে চা শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে কিছু দিন কাজ করেছিলাম।বাগানের ম্যানেজার নারী শ্রমিকের যৌন নির্যাতন করতো।শ্রমিকদের উত্তেজিত করে সেই ম্যানেজারকে পিটিয়ে মারা হয়ে ছিল।পার্টির পুরনো কাগজপত্র ঘাটলে সেই ম্যানেজারের নাম পাওয়া যাবে।
এদের দুঃখের কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।