নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি খণ্ডিত সেবা চিত্র....
আমরা সবাই জানি- সিটি করপোরেশন(সিটি চোরকর্পোরেশন নাম হওয়া উচিৎ) এলাকার বাড়ি/ফ্ল্যাট মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়। ২০১৫ সন পর্যন্ত বাড়ি/ফ্ল্যাট মালিক/প্রতিনিধি সিটি কর্পোরেশন অফিসে হাজির হয়ে ট্যাক্স পরিশোধ করতে হতো। চার কোয়ার্টার(প্রতি তিন মাসে এক কোয়ার্টার)। যদি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে এক বছরের আগাম ট্যাক্স পরিশোধ করে তাহলে ১০% রেওয়াত পাওয়া যায়। আবার বছর পার হয়ে গেলে ১০% জরিমানা সহ ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়। ট্যাক্স পরিশোধ করতে গেলে ট্যাক্স অফিসার এবং ক্লার্ক নানাবিধ হয়রানি করতো। অজুহাত ছিলো- "রেভিনিউ অফিসার নাই/ ইনস্পেক্টর সাইট ভিজিটে গেছে কাল আসেন/পরশু আসেন...."- ওদের কথামতো কাল/পরশু যেয়ে শুনবেন- "ইনস্পেকটর ছুটিতে গেছে/ ক্লার্কের শাশুড়ি মারা গেছে / অমুকের অসুর হাসপাতালে গেছে...."- আপনি চিল্লাচিল্লি করে কোনো ফল পাবেন না। আসল কাহিনী হলো আপনি ফ্ল্যাট প্রতি কমপক্ষে ২০০/- ধরিয়ে দিলে বলবে- "কাল এসে ট্যাক্স পরিশোধ রিসিট নিয়ে যাবেন"! যদি ৩০০/- ৪০০/- দেন তাহলে সাথে সাথে ট্যাক্স পরিশোধ রিসিট দিয়ে দিবে।
২০১৫ সন থেকে সিটি কর্পোরেশন অফিস থেকে ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ বই সরবরাহ করা হতো। সেই বইয়ের ট্যাক্স ফরম গ্রাহকদের পুরন করে সিটি কর্পোরেশন অফিসে যেয়ে ট্যাক্স এর টাকা নগদ/চেক দিয়ে ডিপোজিট করতে হতো। সমস্যা এখানেও। আপনি যতই নিখুঁত ভাবে, নির্ভুলভাবে ট্যাক্স ফরম পুরন করে নিয়ে যাবেন- ওরা কোনো না কোনো খুঁত বের করে ২/৩ দিন ঘুরাবে। কিন্তু আগের রেইটে বখশিশ এর নামে ঘুষ দিলে কোনো সমস্যা নাই!
আমি ঢাকা উঃ-ডঃ দুই সিটি কর্পোরেশন এরই ট্যাক্স হোল্ডার হলেও শুধু উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর অভিজ্ঞতা বর্ননা করছি। উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর রেভিনিউ অফিস কাওরান বাজারে অবস্থিত। এই অফসের দ্বিতীয় তলায় এলাকা ভিত্তিক গ্রাহকদের জন্য একজন ইনস্পেকটর এর সামনে একটা মাত্র প্লাস্টিকের চেয়ার... এক রুমে ৮ জন ইনস্পেকটর, একজন ক্লার্ক, সিলিং ফ্যান দুইটা। শতশত গ্রাহক অফিস পেরিয়ে বারান্দা-সিড়িতে দাঁড়িয়ে। কোথাও বসার যায়গা নাই। তার উপর গ্রাহকেরা সবাই কমবেশি কর্মব্যস্ত। একটা দিনে অনেক কিছু করতে হয়। আপনি কয়দিন সব কাজ ফেলে সিটি কর্পোরেশন অফিসে দাঁড়িয়ে থাকবেন! অতএব আপনি বাধ্য হয়ে সিটি শুয়ারদের চাহিদা মতো ঘুষ দিয়ে ট্যাক্স পরিশোধ করতে বাধ্য।
উপরে উল্লেখ্য সমস্যা সমাধানের জন্য পৃথিবীর একমাত্র ডিজিটাল দেশ- "ডিজিটাল বাংলাদেশ" এর মশহুর উঃ-দঃ দুই নারদ মহোদয় সারম্বরে উদ্বোধন করেন অনলাইন ট্যাক্স পেমেন্ট সিস্টেম। আমরা সবাই হাফ ছেড়ে নিঃশ্বাস নিতে না নিতেই নাভিশ্বাস!
গতবারের ট্যাক্স পরিশোধ রিসিট এবং টাকা দিয়ে কেয়ার টেকারকে পাঠিয়েছিলাম চলতি অর্থ বছরের ট্যাক্স পরিশোধ করতে। পাক্কা চার ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অনলাইনে ট্যাক্স পরিশোধ করার নিয়ম জেনে এসেছে....
অনলাইনে ট্যাক্স পরিশোধ করার নিয়মঃ- সকালে ট্যাক্স অফিসে যেয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবেন। নয়টায় অফিস শুরু হলেও সিটি চোরপর্রেশনের কত্তারা এসে পৌঁছবেন সাড়ে দশটা এগারোটা নাগাদ। এসে চা পানি খেয়ে আয়েসি ভংগিতে একজন একজনকে কম্পিউটার থেকে একটা হোল্ডিং আইডি নম্বর দিবেন। সেই নম্বর নিয়ে আর এক টেবিলে যাবেন। সেই টেবিল থেকে আপনাকে একটা ফরম দিবে। সেই ফরম আপনি পুরন করে আর একটা টেবিলে জমা দিবেন। তিনি একজন কম্পিউটার অপারেটর/টাইপিস্ট। তিনি আপনার পুরন করা তথ্যউপাত্ত কম্পিউটারে টাইপ আপনাকে একটা টোকন দিবে। সেই টোকেনে লেখা আছে আপনাকে কোন কোয়ার্টার পর্যন্ত কতো টাকা ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। সেই পরিমাণ টাকা নিয়ে ডাচ্ বাংলা/ মধুমতি ব্যাংকের নির্দিষ্ট বুথে জমা দিয়ে ডিপোজিট স্লিপ নিবেন(কোনো রেভিনিউ অফিসারই ডাচ বাংলা ব্যাংক রেফার করেনা, সবাইকে মধুমতি ব্যাংকে রেফার করে। কারণ, মধুমতি ব্যাংকের মালিক দঃ নারদ)। তবে হ্যাপা কিন্তু ২ কর্মদিবসের!
অতএব, সিস্টেম আপনাকে বাধ্য করবে বিকল্প পথে হাটতে.... সহজ সমাধানঃ ক্লার্কের হাতে ৫০০/- একটা নোট ধরিয়ে দিন(আগে এনালগ সিস্টেমে ২০০/৩০০ টাকা দিলেই হতো, এখন ডিজিটাল সিস্টেমে ৫০০/- দিবেননা কেন?), আপনার কিছুই করা লাগবেনা, ট্যাক্সের টাকাটা ওদের হাতে দিয়ে দিন, ঘন্টা খানিক পরে মানি রিসিট নিয়ে বাসায় ফিরবেন।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে নিতান্তই বাধ্য হয়ে সৎ পথ ছেড়ে অসৎপথ বেছে নিতে...
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
জটিল ভাই বলেছেন:
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: রক্ত ঘাম স্বপ্ন আর লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমার প্রিয় বাংলাদেশ....
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: যা বেতন পায়, আর বাজারে পণ্যের যা দাম। নিদিষ্ট বেতনে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরন হয় না। তাই ঘুস খায়।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: এটা কোনো কথা হলো! বর্তমানে আমাদের দেশের পেশাজীবীদের মধ্যে সব চাইতে ভালো অবস্থায় আছে সরকারি চাকুরিজীবিরা।
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সবটাই ডিজিটালমাটাল অবস্থায় আছে।
জমির খাজনাও এখন ডিজিটাল করছে।
দু্ বছর ধরে অপেক্ষায় আছি আমার পেমেন্ট অপশন চালু হয় নাই।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: রাজধানীর ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) প্রজেক্টে ক্রয় সূত্রে আমার দশ কাঠা জমি আছে....ডিজিটাল গ্যাড়াকলে পরে আজ ১৪ বছরেও খাজনা দিতে পারছিনা...
৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৫
শাহ আজিজ বলেছেন: খুলনা শহরে আমার বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স বাসায় আসা স্লিপ নিয়ে কাছের জনতা ব্যাঙ্কে জমা দিলেই হল । আমরা এই আপদ থেকে বেচে গেছি । তালুকদার খালেক প্রথম মেয়র থাকাকালিন এই ব্যাবস্থা চালু করে আমাদের নাজেহালের হাত থেকে বাচিয়েছেন । ভুমি কর আর মিউটেশন করতে গেলে আগের সেই ঘুষ বহাল আছে । মিউটেশন ডিজিটাল হলেও হাজিরা আর নজরানা দিতেই হবে ।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ঢাকা শহরে আমার স্ত্রীর নামে একটা ফ্ল্যাটের মিউটেশন করতে গিয়েছিলাম ২০১৮ সনে। সরকারি ফি মাত্র ১১২০/- আমার কাছে দাবী করলো দশ হাজার টাকা! যেহেতু আমার সব ডকুমেন্টস আপডেট আছে তাই আমি চ্যালেঞ্জ করলাম - সরকারি ফি র বাইরে এক পয়সাও দেবোনা। নানান অজুহাতে দুই বছর ঘুড়িয়েছে...আমি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনে সাহেবের সাথে, ভুমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাথে দেখা করে কম্পলেন করি....তারা সরাসরি এসি ল্যান্ড কে ফোন করে আমার মিউটেশন করতে নির্দেশ দেয়....সার্ভেয়ারকে এসি ল্যান্ড ডেকে আমার ক্লিয়ারেন্স কেন দেওয়া হয়না জানতে চায়.... সার্ভেয়ার নানারকম সমস্যা তুলে ধরে...এসি ল্যান্ড সচিবকে জানায় "স্যার ওনার ডকুমেন্টস এর কিছু সমস্যা আছে....."! সচিব তাই বিশ্বাস করে। তারপর আমি ভূমি আপীল বোর্ডে মামলা করি। তিন বছরের মাথায় কোর্টের রায় আমার পক্ষে আসে এবং ফ্ল্যাটের মিউটেশন করে দেয়। তিন বছরে আমার খরচ হয়েছিল ৬০ হাজার টাকা!
৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই দুর্ভাগ্যের...
পরিসেবা কিনতে অতিরিক্ত পয়সা খরচ করতে হচ্ছে।
তবে এটা শুধু বাংলাদেশের নয় প্রতিবেশী ভারতেরও একটা চলমান সংস্কৃতি। অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ওনার সুবিশাল অনুগত বাহিনী গড়ে অলিখিতভাবে গোটা রাজ্যে একটা সমান্তরাল জরুরি পরিসেবার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পেরেছেন।ওনার আরেকটি পরিচয় পশ্চিমবঙ্গের খয়রাতশ্রী প্রকল্পের পুরোধা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী।গোটা বিশ্বের কাছে আইকন। এমতাবস্থায় যদি সায়েন্টিফিক জরুরি পরিসেবা বা তোলাবাজি কালচারের উন্নত মডেলের প্রতিষ্ঠা করতে হলে পশ্চিমবঙ্গকে অনুকরণ করা যায় কিনা ভাবতে অনুরোধ করবো।
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেস্টলী বলছি- মমতা বন্দোপধ্যায় আমার খুব পছন্দের রাজনীতিবিদ। ওনার অনেক বক্তৃতা আমি ওনার জনসভায় দাঁড়িয়ে শুনেছি- অসাধারণ বক্তা। পশিমবংগে মুসলমানদের রক্ষাকবচ তিনি। তিনি রুখা না দাঁড়ালে ভিজেপি মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালাতো- যেভাবে গুজরাট, কাশ্মির, ইউপি, মহারাস্ট্রে চালাচ্ছে। এখনও পশ্চিমবংগে সরকারের উচু মহলের অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়, আইনের আওতায় আনা হয়- যা আমরা বর্তমান বাংলাদেশে কল্পনাও করতে পারিনা!
৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১০
শেরজা তপন বলেছেন: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা!! সম্পত্তি না থাকা দেখি বিরাট আশির্বাদ
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: হাসালেন!
৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: কর অফিসটা কবে হবে বিশাল অট্টালিকা করছে বেতারের সাথে
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: কর অফিস যতই ঘিঞ্জি কিম্বা বিশাল অট্টালিকা হোক- দেশের এমন কোনো কর অফিস খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যেখানে দুর্ণীতির আখড়া নাই!
৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এই হায়েনার দলেরা কি কোন দিন মানুষ হবেনা?
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: না, এরা জন্মগত ভাবেই নষ্ট চরিত্রের।
১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
শাওন আহমাদ বলেছেন: সব নষ্টদের দখলে চলে গেছে! সবাই নষ্ট হয়েগেছে।
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: নষ্টদের রাজত্বে ভালত্ব আশা করা যায়না।
১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৬
শাওন আহমাদ বলেছেন: এর শেষ কোথায় আসলে?
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ধ্বংসের মাঝে....
১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৮
অক্পটে বলেছেন: এইসব সরকারী চোরদের আশু সর্বনাশ কামনা করছি। এইসব ভিক্ষুকদের ছেলেমেয়েরাওতো ভিক্ষুকই হবে।
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের অভিশাপও দুর্নীতিবাজদের লাগে না! আমরা আমজনতার ভোগান্তির শেষ নাই!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্রেনের টিকেট সহ অনেক কাজ তাই কেউ নিজে করতে চায় না। দালাল ধরে করলে খুব সহজেই হয়ে যায় সব কিছু...