নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাত বিপদে আত্মরক্ষার কিছু কৌশল.....

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

হঠাত বিপদে আত্মরক্ষার কিছু কৌশল.....

স্থানঃ মিরপুর রোড, ধানমণ্ডি মাঠের পাসের মেইন রাস্তা। সময় বিকেল ৩টা। আমি নার্সারি থেকে কিছু চারাগাছ, সার এবং মাটি কিনে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছি। ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট অনেকটাই নির্জন। আমার পাশ ঘেঁষে ফুটপাত দিয়ে ২১/২২ বছরের এক তরুণী কাঁধে ব্যাগ, ছাতা মাথায় হেটে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছে। মেইন রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে সাদা প্যান্ট, সাদা টিশার্ট, মাথায় হ্যাট পরিহিত একজন সুবেশী সুদর্শন মধ্যবয়সী লোক দ্রুত হেঁটে রাস্তার পশ্চিম পাসে চলে এসেছে...দেখতে অনেকটাই গলফ খেলোয়াড়দের মতো লাগছে.... প্রখর রোদে আমি নার্সারির টং ঘরের ছায়ায় দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ মেয়েটির চিৎকার শুনে তাকিয়ে দেখি দেড়শো গজ দূরে সেই সুদর্শন পুরুষটি মেয়েটিকে রাস্তায় জড়িয়ে Molest করছে...জাস্ট মিনিটের ব্যাপার। নির্যাতিত মেয়েটি নিজেকে কোনো ভাবে ছাড়িয়ে নিয়ে হাতের ছাতাটা ফেলেই দৌড়ে রাস্তার অপর পাশে চলে গিয়েছে.... আমি দৌড়ে নির্যাতনকারীর দিকে আগাতেই সে শেখ জামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্স এর ভেতরে চলে যায়।

এমন ঘটনার সাথে আমরা প্রায় সবাই কম-বেশি পরিচিত৷পথচারী মেয়েদের নির্যাতনের এসব খবর আমরা পত্রিকাতেও অহরহ পড়ে থাকি। এমনও তো হতে পারে- আপনি, আপনার সন্তান এমন কোনো পরিস্থিতির শিকার হলেন, তখন?

আমার মতে মেয়েদের আত্মরক্ষার ট্রেনিং দরকার। ফিজিক্যাল ফিটনেস বাড়ানো দরকার। ফিজিক্যাল ফিটনেস এর সাথে মানসিক টাফনেস ইমপ্রুভ দরকার। গায়ের জোরের থেকে মানসিক জোর বেশি দরকার। কোনও মেয়ের বুকে হাত দিলে সে দুহাতে বুক না আগলে বিচি কচলে দিক। মেয়েদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন করাটা সব থেকে জরুরি। মেয়েদের এই মাইন্ডসেটটা খুব ছোট থেকেই দায়িত্ব নিয়ে তৈরি করে দিতে হবে মেয়ের মা'দের এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের।

আমরা আমাদের মেয়েদের আত্মরক্ষার বেসিক ট্রেনিং দিতে পারলে বাসে ট্রেনে বা লোকালয়ে 'ব্যাড টাচ' মোকাবিলা করতে পারবে। মার্শাল আর্টসের এমন কিছু ট্রেনিং আছে যা নির্জন জায়গায় একাই দুই-তিনজনের সাথে লড়ে নিজেকে সেভ করতে পারে। অন্তত নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আটকে রেখে সময় ক্ষেপণ করে বৃহত্তর সাহায্য সহযোগিতার জন্যে লোক জড়ো করতে পারবে।

ক্যারাটে-জুডো শেখার ক্লাসে হয়তো সবার যাওয়ার সময় সুযোগ নেই। কিংবা আপনাকে আগলে রাখার মানুষও হয়তো আপনার সাথে থাকেন না, তখন আপনি কী করবেন? নিশ্চয়ই হাত-পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকবেন না। এরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে ঠান্ডা মস্তিষ্ক, সদা প্রস্তুত, সজাগ ও কৌশলী মনোভাব জরুরি। কলেজ লাইফে জুডো কারাতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছিলাম....মুক্তি যুদ্ধের সময়ও সামান্য প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। সেই প্রশিক্ষণ থেকেই কিছু ছোট ছোট আত্মরক্ষার কৌশল বলছি, যা আপনাকে এমন আকস্মিক পরিবেশ থেকে রক্ষা করতে পারে।

জুডো কারাতে প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে- "প্রথমেই নিজে আগ বাড়িয়ে কাউকে মারতে যাবেন না। যতক্ষণ পারুন, কথা বলে সব ঠিকঠাক করার চেষ্টা করতে হবে। একমাত্র আত্মরক্ষার জন্যই জুডো কারাতের টেকনিক প্রয়োগ করবেন।"

দুই হাতের কব্জি হোক মুষ্টিবদ্ধ:
যখনই দেখবেন বিপদ আপনার আশেপাশে, সাথে সাথে দুই হাতের চারটি আঙ্গুল মুষ্টিবদ্ধ করে, এর উপর বৃদ্ধাঙ্গুল রেখে দিবেন। নিজের দুই পা ছড়িয়ে চোয়াল শক্ত করে দাঁড়াবেন। আপনার পা ছড়িয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় আপনার শারীরিক ভারসাম্যতা বেড়ে যাবে...

নিজ মুখ ঢেকে রাখুন:
আক্রমণকারী যদি সামনে দিয়ে আঘাত করতে আসে, তাহলে দুই হাত দিয়ে মুখের সামনে ঢাল তৈরী করুন। এতে করে আপনার নাক চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

যদি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন:
যদি প্রথম আক্রমণেই আপনি ভারসাম্য হারিয়ে পরে যান, তাহলে চেষ্টা করুন হামলাকারীর গায়ের উপর পড়ার। আপনার ওজনটাকে নিজের প্লাস পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। হামলাকারীর সংবেদনশীল জায়গায় নিজের হাঁটু ও কনুই দিয়ে আঘাত করুন। সাথে গলা ছেড়ে চিৎকার করুন আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে। চিৎকার মানেই শক্তি, চিৎকার মানেই বাড়তি জোশ! যুদ্ধের মাঠে মুসলিম সৈন্যরা যেমন "ইয়া আলী" বলে হুংকার দিয়ে শত্রুর উপর ঝাপিয়ে পড়ে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা যেমন "জয়বাংলা" বলে হানাদার বাহিনীর উপর ঝাপিয়ে পরতাম- তেমনি চিৎকার করে শত্রুর উপর ঝাপিয়ে পরবেন। আপনার চিৎকার শুনে পথচারীরা এগিয়ে আসবে...

সংবেদনশীল জায়গায় আঘাত করুন:
মনে রাখবেন, শত্রুর সাথে খালি হাতে লড়াইয়ের জন্য শারীরিক শক্তির চাইতেও বেশী দরকার বুদ্ধিমত্তার সাথে কৌশলের প্রয়োগ। আমাদের দেহের অন্যতম সংবেদনশীল অঙ্গগুলো হলো- চোখ, কান, নাক, গলার মাঝখান, তলপেট, হাঁটু, দুই উরুর সন্ধিস্থল। এসব অংগে আঘাত করলে যে কেউ অন্তত কিছু সময়ের জন্য ধরাশায়ী হয়ে পড়বে! আঘাত করুন সমস্ত শক্তি দিয়ে....

সামনে যা কিছু পান:
সবসময় আপনার কাছে অস্ত্র নাও থাকতে পারে। তখন আপনার বিপদের বন্ধু হতে পারে আপনার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ, মুঠোফোন, চাবি এমনকি স্কার্ফও! স্কার্ফের সাহায্যে আপনি আক্রমণকারীর গলা পেচিয়ে ধরে তার নাক, চোখে আঘাত কর‍তে পারবেন। ভ্যানিটি ব্যাগ ও মুঠোফোন দিয়ে মুখে আঘাত করতে পারবেন; চাবি দিয়ে নাক ও চোখে আঘাত করতে পারবেন। কোনো কিছুকেই অবহেলা করা চলবে না- হাতে যা আছে তা দিয়েই প্রতিরোধ!

হাত যদি শক্ত করে ধরে:
যদি আপনার হাত শক্ত করে চেপে ধরে, তাহলে হাত ধরার সাথে সাথে এক ঝটকায় আক্রমণকারীর বৃদ্ধাঙ্গুল বরাবর ঘুরিয়ে নিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে ফেলতে হবে। যত দ্রুত নিজের হাতকে ছাড়িয়ে নিয়ে আক্রমণকারীর হাঁটু, তলপেটে কিম্বা দুই উরুর সন্ধিস্থলে সজোরে লাথি মারুন। নিজের শরীরে যত শক্তি আছে, তা ব্যবহার করে তার গায়ে উঠে চেপে বসবেন। তাহলে সে আর নড়তে পারবে না।

আপনার চুলের মুঠি টেনে ধরলে:
পেছন থেকে কেউ যদি আপনার চুল টেনে ধরে তাহলে সাথে সাথেই হামলাকারীর হাত খপ করে ধরে ফেলুন। কিছুতেই সময় নষ্ট করা চলবে না৷ হাতের পাঁচ আংগুল ছড়িয়ে সরাসরি নাক-মুখ-চোখ বরাবর থাপ্পড় মারুন..... প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক থাপ্পড় খেয়ে ১০/১২ সেকেন্ড চোখে অন্ধকার দেখবে....এই সময়ের মধ্যে নিজেকে পরবর্তী করনীয় নির্ধারনে সহায়ক হবে।

গলা বা ঘাড় চেপে ধরলে:
যদি আপনার ঘাড় বা গলা চেপে ধরে, তাহলে আপনি পা দিয়ে তার হাঁটু বা তলপেটে জোরে আঘাত করুন। আপনার কনুই দিয়ে প্রতিপক্ষের পাঁজরে আঘাত করুন। তাও না পারলে নিজের আঙ্গুল আক্রমণকারীর চোখে সর্বশক্তি দিয়ে ঢুকিয়ে দিন।

যদি থাকেন লিফটে:
অপরিচিত যায়গায় চেষ্টা করবেন লিফটে একা ওঠা এড়িয়ে চলতে৷ কিংবা সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে তার সাথে লিফটে ওঠা থেকে বিরত থাকুন। কেউ যদি উঠেও থাকে, তাহলে সাথে সাথে লিফট থেকে নেমে যান। লিফটে উঠে যদি কোনো বিপদের আঁচ পান, তাহলে লিফটের বাটনগুলো যেখানে আছে, সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ুন ও সবগুলো বাটন চেপে দিন। যাতে দরকার পরলে দ্রুত লিফট থেকে নেমে যেতে পারেন।

গাড়িতে বা বাইরে থাকলে:
গাড়িতে চলাচল করলে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় পরিচিত কাউকে যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার ঠিকানা, গাড়ির রঙ ও নম্বর দিয়ে রাখুন। আর চালকের রুটের সাথে আপনার রুট মিল আছে কি-না, সেদিকেও খেয়াল রাখুন৷
মনে রাখবেন, ফিল্মি স্টাইলে মারামারি না করে, নিজের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে ট্রাকিয়া (পুরুষদের Adam’s apple) এ জোরে চাপ(মুচড়ে) দিন। ব্যাথার যন্ত্রণায় সে আর উঠতে পারবে না।

বিপদ কখন কোনদিক থেকে আসবে তা বলা যায় না৷ তাই সবসময় সবরকম পরিবেশের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। উপরে যা বলেছি তার সারসংক্ষেপঃ-

** রাস্তায় চলার সময় নিজের হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাখুন। যাতে বিপদ আসার সাথে সাথেই যেন হামলাকারীদের উপর ঘুষি বসিয়ে দিতে পারেন!

** যত দ্রুত, জোরে ও বেশি সম্ভব আক্রমণকারীর চোখে ও নাকে আঘাত করুন এবং যত দ্রুত সম্ভব সেখান থেকে পালিয়ে কারো সাহায্য চান। সবসময় জোরে দৌড় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

** প্রতিপক্ষ বুকের সাথে চেপে ধরলে নিজের কপাল দিয়ে আক্রমণকারীর নাকে সজোরে আঘাত করুন।

** নিজের পায়ের গোড়ালি বা জুতোর হিল দিয়ে হামলাকারীর পায়ে আঘাত করুন।

** হাঁটুতে জোরে আঘাত করলে যে কেউ বেশ কিছুক্ষণের জন্য উঠে দাঁড়াতেই পারবে না।

** ১২-১৬ পাউন্ড প্রেশার দিয়ে যদি কাউকে লাথি মারা হয়, তাহলে সে আর উঠে দাঁড়াতেই পারবে না! কারণ এই প্রেশারে লাথি মারলে হাঁটু ভেঙ্গে যাবে।

** কেউ যদি আপনাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে, তবে সবার আগে তার হাত নিজের কলার বোন থেকে সরিয়ে কনুই দিয়ে পাঁজরে আঘাত করুন।

** পেছন থেকে আঘাত করলে চটজলদি মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ুন। আপনার এই স্টেপে সে কিছু সময়ের জন্য হলেও ভড়কে যাবে। তখন আপনি নেক্সট স্টেপ ভাবার জন্য এক্সট্রা সময়ও পেয়ে যাবেন।

** আপনার অর্থের চেয়ে আপনার জীবন অনেক বেশি মূল্যবান। তাই কোনো উপায় না থাকলে নিজের ব্যাগ বা ওয়ালেটটা ছুঁড়ে দ্রুত পালিয়ে যান।

মনে রাখবেন, আপনি অনেক গুলো সুযোগ পাবেন না। হয়তো একটা দুটো সুযোগ পাবেন, সেই সুযোগ সর্বশক্তি দিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। এমনই কিছু ছোট ছোট কৌশল আপনাকে অসংখ্য বড় বড় বিপদ থেকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে। শুধু প্রয়োজন একটু সতর্ক থাকা। যদি আপনার কখনো সময়-সুযোগ হয়, তাহলে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিবেন।

আর হ্যা, সিক্রেট সাইন তৈরি করে আপনার সেলফোনে সেভ করে রাখুন- “I’m in danger.” অর্থাৎ আপনি বিপদগ্রস্ত, আপনার সাহায্যের দরকার। এমন কাউকে টেক্সট পাঠান, যে আপনার বার্তার গুরুত্ব বুঝতে পারবে।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০২

বিটপি বলেছেন: দিনে দুপুরে রাস্তায় একটা মেয়েকে ধরে মলেস্ট করা যায় এখন? এত সস্তা? কেউ দেখলোনা?

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: এমন অসম্ভব ঘটাই ঘটে! এবং অহরহই ঘটে!! আর ঘটনার প্রেক্ষাপট পোস্টে উল্লেখ করেছি।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৯

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: এত বড় লেখা!

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি এটা বড়ো লেখা। আমার নিয়মিত পাঠকদেরও অনেকেই পড়বেন না। তারপরও যদি কেউ পড়ে সামান্য সচেতণ হন।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: এত্ত কিছু করার দরকার নাই হাতে বড় সাইজের আলপিন রাখুন সময় মতো জায়গা বুঝে ব্যাবহার করুন সকল সমস্যার সমাধান !!

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রত্যেক মেয়ের ভ্যানিটি ব্যাগে একটা কাটা চামচ রাখতে পারে- আক্রমনকারী চক্ষু উটপাটনের জন্য!

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৪

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আমি ত একটু একটু মার্শাল আর্ট শিখছিলাম এখন ভুলেগিছি দাদা
একসময় বহু খেলিছি দুই তিন ইঞ্চি আঙ্গুল কলাগাছের ভীত দিতে পারতাম
পা দিয়ে হাড়ি ভাঙ্গতে পারতাম শুন্যের উপর উল্টেবাজি-- ইত্যাদি ইত্যাদি
ভাল থাকবেন------------

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রশিক্ষণ নিয়ে তা নিয়মিত চর্চা করতে হয়। ফিজিক্যাল ফিটনেস ধরে রাখতে হয়- তা নাহলে প্রশিক্ষণের কোনো মূল্য নাই। বড়ো জোড় আমার এই লেখার মতো থিউরিটিক্যাল কিছু লেখা যায়- তাও কম কিছু নয়। প্রশিক্ষণ কখনো বৃথা যায়না। হতাশার কিছু নাই, প্রশিক্ষণ থাকলে খুব অল্পতেই আবার ঝালিয়ে নেওয়া যায়। শুরু হোক পরিবারের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েই। শুভ কামনা।

ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯

শাওন আহমাদ বলেছেন: মানুষ এতো বিক্রিত মস্তিষ্কের হয় কি করে! সঠিক পারিবারিক শিক্ষা থাকলে এমন হবার কথা না। অবশ্য কারো কারো ক্ষেত্রে এসব শিক্ষাও কাজে লাগেনা। তাদের জন্মই হয়েছে এসব নোংরামি করে বেড়ানোর জন্য।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: একজন ভালো মানুষ হবার জন্য পারিবারিক শিক্ষা সব থেকে বড়ো শিক্ষা। বিকৃত স্বভাবের সূচিকাগারও হচ্ছে- পরিবার। কারোর মা-বাবা পরস্পর যে আচরণ, ব্যবহার করবে- তা-ই শিখবে সন্তানেরা।

ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪০

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার পরামর্শ গুলো। আসলে এইসব বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখা এবং সাহস রাখা খুব জরুরী। আমি যেমন ছোটবেলা থেকেই আশে পাশের কোনকিছুকে মারাত্মক অস্ত্রে পরিণত করে সেটা ব্যবহার করতে পারি বলে কখনো কোথাও আমাকে মার খেতে হয়নি আর নিজের বডি ব্যলেন্সকে এমনভাবে তৈরি করেছি যে, যেকোন পরিস্থিতিতে পালিয়ে যেতে পারি। এসবের জন্যে কিন্তু প্রচুর প্রাকটিস করতে হয়।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: "practice makes perfect"- প্রশিক্ষণ থাকলেই হবেনা, প্রশিক্ষণ প্রয়োগ না হোক, চর্চা করতে হবে। আমার নিজের কথা বিস্তারিত বলবোনা- শুধু বলবো, আপনার সাথে আমার মিল আছে। আল্লার রাব্বুল আল আমীন আমাকে ধৈর্য্য, সাহস এবং শক্তি দিয়েছেন.....

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২০

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের সমাজে ছোট বেলা থেকে মেয়েদের শেখানো হয় সব কিছু সহ্য করে নি চুপ করে থাকতে । যদি কোন মেয়েকে ইভটিজিং করা হয় এবং বাসায় এসে সেই অভিযোগ করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দুইটা ঘটনা হয়, স্বয়ং তার পরিবারের মানুষই তাকজে বলে যে আর কাউকে করে না তোকে কেন ইভটিজিং করে ! দোষটা অনেকটাই সেই মেয়ের উপরেই দিয়ে দেয় আরেকটা কাজ করে মেয়ের পড়াশোনা বাইরে বের হওয়া বন্ধ করে দেয় ! এই জন্যই মেয়েরা এসব ভয়ে নিজের মধ্যে রাখে সহ্য করে নেয় !

শারীরিক প্রতিরক্ষার আগে দরকার মানসিক প্রতিবার । মেয়েদের ছোট থেকে প্রতিবাদ করতে শেখাতে হবে । নিজের সাথে হওয়া অন্যায়কে জোর গলায় বলতে শেখাতে হবে ! অবশ্য আমাদের সমাজে মেয়েরা উচু গলাতে কথা বলবে - এটা ঠিক মত হজম করে নিতে শিখে নি এখনও !

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার চেনা জানা অনেক পরিবারেই দেখেছি- যা তুমি মন্তব্যে লিখেছো- "আমাদের সমাজে ছোট বেলা থেকে মেয়েদের শেখানো হয় সব কিছু সহ্য করে নি চুপ করে থাকতে । যদি কোন মেয়েকে ইভটিজিং করা হয় এবং বাসায় এসে সেই অভিযোগ করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দুইটা ঘটনা হয়, স্বয়ং তার পরিবারের মানুষই তাকজে বলে যে আর কাউকে করে না তোকে কেন ইভটিজিং করে ! দোষটা অনেকটাই সেই মেয়ের উপরেই দিয়ে দেয় আরেকটা কাজ করে মেয়ের পড়াশোনা বাইরে বের হওয়া বন্ধ করে দেয় ! এই জন্যই মেয়েরা এসব ভয়ে নিজের মধ্যে রাখে সহ্য করে নেয়!"

আমিও বিশ্বাস করি- সবার আগে সন্তানকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা শেখাতে হবে এবং সেই শিক্ষা দিতে হবে পরিবার থেকেই।

শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের একটা ইংলিশ মিডিয়া নার্সারী স্কুল আছে- নাম, BAFWWA Golden Eagle Nursery। সেই স্কুলে শক্র-শনিবার শিশুদের জুডো-কারাতে শেখানো হয়। সেই শিশুদের বডি ল্যাংগুয়েজ, আত্মপ্রত্যয়, দৃঢ়তা দেখে খুব ভালো লাগে। আমি নিশ্চিত এই শিশুরা তাদের প্রশিক্ষণ অনেক সাহশী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এভাবে সব স্কুলেই এমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিত।

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৬

কামাল৮০ বলেছেন: সবার আগে দরকার সামাজি সচেতনতা,মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ বাড়ানো।একের বিপদে অন্যের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসা।অনেক সময় কোন মেয়ে প্রতিবাদ করলে তার সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসে না।তাই প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও লক্ষ্য করেছি- মেয়েরা ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করলে ছেলেরা এগিয়েতো আসেইনা বরং উলটা মেয়েটির দোষ খুঁজে বের করে।

অন্যদিকে মানুষের জন্য মানুষের মমত্ববোধও একেবারে হারিয়ে যায়নি। কিন্তু অনেক সময়ই উপকার করতে যেয়ে বিপদে পরতে হয়। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি- বছর সাতেক আগে এক ছিনতাইকারীর ছুড়িকাঘাতে মুমুর্ষ এক পথচারীকে আমি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি নিজের নাম ঠিকানা দিয়ে সেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে কিছু ঔষধপত্র কিনে দিয়ে বাসায় আসি। দুই দিন পর সেই ব্যাক্তি মারা যায় এবং যথারিতী পুলিশী মামলা হয়। সেই মামলার জেড় আমাকে বইতে হয়েছিলো চার বছর!

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বেশ কিছু বছর আগে, আমি একবার ধানমন্ডি পার্কে ৭/৮ জন ছিন্তাইকারীদের ক্ষপ্পরে পরেছিলাম, আমি একদম একা ছিলাম। শুধুমাত্র একটু বুদ্ধি খাঁটিয়ে ওদের কাছ থেকে ছুটে এসেছিলাম, ফোন, টাকা পয়সা কিছুই নিতে পারেনি।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: মূলত ধানমণ্ডি এলাকায় কোনো পার্ক নেই। তবে গোটা লেকের পাড়ই পার্ক বললে ভুল বলা হবে না। হ্যা এই এলাকায় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী আছে যারা মূলত হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল। গেল রমজান মাসে আমি ফার্মগেট এলাকায় এক সংঘবদ্ধ প্রতারকের পাল্লায় পড়ে বেঁচে গিয়েছিলাম।

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: আরেকটু বড় হলে মেয়ের হাতে এমন একটা প্রেস্ক্রিপশন তুলে দিতে হবে!
আমি সবসময় ভাবি প্রত্যেকের আত্মরক্ষার কৌশল শিখে রাখা উচিৎ। মেয়েরা পিপার স্প্রে ও রাখতে পারে- জিনিসটা ভাল :)

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৫

জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই মেয়েকে আত্মরক্ষার কৌশল শেখাবেন। শুভ কামনা।

আমাদের সাত বছরের নাতনিকে মার্শাল আর্টসে ভর্তি করিয়ে দিয়েছি। পিপার স্প্রে অত্যন্ত উপযোগী।

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জটিল ভাই বলেছেন:
যথেষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ লিখা। পরবর্তিতে আবেদন থাকবে মানসিক আঘাত প্রতিহত করার কিছ কৌশল জানানোর।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
আল্লাহ সবাইকে সবকিছু দেননা.....মানসিক আঘাত প্রতিহত করা তেমনই একটা বিষয়..... মানসিক আঘাত কাটিয়ে ওঠার জন্য কোয়ান্টাম মেথড, মেডিটেশন কতো কি করলাম.....

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৬

জটিল ভাই বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
আল্লাহ সবাইকে সবকিছু দেননা.....মানসিক আঘাত প্রতিহত করা তেমনই একটা বিষয়..... মানসিক আঘাত কাটিয়ে ওঠার জন্য কোয়ান্টাম মেথড, মেডিটেশন কতো কি করলাম.....


প্রিয় ভাই, এখানে মানসিক আঘাত বলতে টিজিং-এর কথা বুঝাতে চেয়েছি।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইন শা আল্লাহ এই বিষয়ে লিখবো।

১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৪

অপ্‌সরা বলেছেন: আমার এক কাজিন বোন তার মেয়েকে ৫ বছর থেকে ক্যারাটে শিখিয়েছে। এখন সে ১৩ । লোহার মত হাত এবং এক হাত চেপে ধরলেই খবর হয়ে যায়।

আমরা মেয়েরা এতই আহলাদে বড় করি বা বড় হই যে গরীব থেকে বড় ঘরের সব মেয়েরাই নিজেদেরকে কম শক্তিশালী ভাবি শাররিকভাবে। তাই যতটুকু শক্তি আছে সেটুকুর প্রয়োগও করতে পারে না মেয়েরা শক্তি থাকা সত্ত্বেও।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: চিন্তা চেতনায় বিপ্লবী পরিবর্তন করতে হবে। তুমি তোমার পেশাগত স্থান থেকে স্টুডেন্ট এবং প্যারেন্টসদের মোটিভেশান থেরাপি দাও....শুরু করো, একদিন সফল ভাবে শেষ করতে পারবে। তোমার দেখানো পথ হবে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের পাথেয়।

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
জেনে রাখলাম।
এখন দরকার না পরলেই হয়।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:০১

সোহানী বলেছেন: কি বলেন এসব!! দিনে দুপুরে!!! এ কি অবস্থা দেশে!!

অসম্ভব প্রয়োজনীয় একটি লিখা। সব মা-বাবা দের অবশ্য পাঠ্য। আমি অনেকভাবেই এ ধরনের লিখা লিখেছি। কিন্তু সবাইকে জানাতে হবে, বোঝাতে হবে।

প্লিজ লিখাটা দেশের নাম করা পত্রিকাগুলো ছাপানোর ব্যাবস্থা করা যায় না?

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: ঘটনাটা নিজ চোখে দেখা!

আপু, এর চেয়েও জঘন্য একটা ঘটনার কথা বলি(বিষয়টা বিশস্ত সূত্রে জানা)। দেশের নামকরা একটা ইংরেজী স্কুলের সামনে ছুটির সময় স্টুডেন্টদের নেওয়ার জন্য গার্ডিয়ানদের(সব শ্রেণীর বয়সী নারী-পুরুষ) প্রচন্ড ভীড় হয়। সেই ভীড়ের মধ্যে পুরুষ নামের
এক নরাধম একজন মহিলার পেছনদিকে ড্রেসের উপর বীর্জপাত ঘটায় এবং তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে.....! এই ধরনের পুরুষরা সব সময়ই সুযোগ সন্ধানী- যারা হোয়াইট কালার হয়ে আমাদের মধ্যেই বিরাজমান।

আমার এই লেখার অংশ বিশেষ অর্থাৎ আত্মরক্ষার কৌশল- বেশ করেকটা অনলাইন পত্রিকায় এবং ব্লগে আগে প্রকাশিত হয়েছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.