নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেমস জয়েসের Ulysses........

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫১

জেমস জয়েসের Ulysses........

বুবুর সাথে প্রায়ই বৃটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরীতে যেতাম সেই ছেলে বেলাতেই। তখন বিভিন্ন বয়সের ক্যাটাগরিতে মেম্বারশিপ দেওয়া হতো। শিশুতোষ বিভাগে(১০ বছর থেকে ১৫ বছর) আমিও মেম্বার হয়েছিলাম ক্লাস ফাইভে পড়ার সময়। বুবুকে Ulysses
পড়তে দেখে বইয়টার বিষয়ে ধারণা পেয়েছিলাম.....বরাবরই বীর আর বীরত্বের ইতিহাস আমার পছন্দের। মনে আছে যখন ক্লাস এইটে পড়ি, জয়েস এর Ulysses বইটি লাইব্রেরি থেকে বাড়ি আনি। তখনই লাইব্রেরীয়ান বলেছিলেন, "এই বই এত ছোট বয়সে বুঝবে না।"

তার কথাই ঠিক ছিল, একটা sentenceও বুঝতে পারিনি। যথারীতি বুবুকে জিজ্ঞেস করলে বুবু আমাকে ইউলিসিস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিলেন- "উলিসিস আইরিশ লেখক জেমস জয়েস-এর কালজয়ী সৃষ্টি। ১৯২২ সালে এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। অধিকাংশ সাহিত্য সমালোচকরা ইউলিসিস-কে ইংরেজি ভাষায় লিখিত বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে গণ্য করে থাকেন। ইউলিসিস-এর কাহিনী একটিমাত্র দিনকে ঘিরে।



তারপর বড় হয়ে আমি অন্তত তিন বার বইটি পড়েছি। কখনো বোরিং লেগেছে, কখনো মাথা ঝিমঝিম করেছে, নিজেকে পাগল বলে প্রতিপন্ন হয়েছে। কখনো ন্যারেটিভ এর সাথে তাল মেলাতে পারিনি। পড়া শেষে বলতেই হবে পেয়েছি: রোঁলা বার্থের ভাষায় bliss in reading বাjouissance.

১৬ই জুন, ১৯০৪ সাল! ডাবলিন শহরের নামগোত্রহীন বর্ণহীন নাগরিক লিওপোল্ড ব্লুম শুরু করলো গলি থেকে রাজপথ হয়ে এক অনিকেত যাত্রা। ডাবলিন শহরের আনাচেকানাচে তার এই আত্ম-পরিক্রমাকে ঔপন্যাসিক জেমস জয়েস সমান্তরাল তুলনা টানলেন গ্রিক নায়ক ইউলিসিস-এর সেই মহাকালীন অভিযানের! একটি মাত্র দিনের ঘটনাক্রমেই সৃষ্টি হল প্রায় দেড় হাজার পাতার উপন্যাস; হোমার-এর ওডিসি-র মতোই মহাকাব্যিক যার ব্যাপ্তি! অশ্লীলতার অভিযোগে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশ করা যায় নি।‌ প্রকাশিত হয় ফ্রান্সে। ২০০০ সালে মডার্ণ লাইব্রেরি বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বইয়ের যে তালিকা তৈরি করেছিল, তাতে প্রথমেই স্থান পেয়েছিল জয়েসের ইউলিসিস! জয়েস অনুরাগীকুল 16th JUNE " BLOOMSDAY " হিসাবে পালন করে থাকে।

জেমস জয়েস ইউলেসিসের (Ulysses) নামকরণ করেছেন একটি বিখ্যাত গ্রিক বীরত্বগাঁথা থেকে। ইউলেসিসে বর্ণনা করা হয়েছে এক মহান গ্রিক বীরের। যিনি ট্রয় যুদ্ধ জয় শেষে তার নিজ দেশ ইথাকায় ফিরে যাচ্ছেন। উপাখ্যানটি সে ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আবর্তিত। জয়েস মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন, মানুষের জীবনে যে প্রতিদিনের কাজগুলো করা হয়, যেমন, খাওয়া, নিজের দুঃখে ও মানুষের দুঃখে দুঃখিত হওয়া, বাজার করা, কাপড় ধোয়া ইত্যাদি, সেগুলো তুচ্ছ বা উপেক্ষা করার মতো নয়। এই ব্যাপারগুলো সুন্দর, গভীর এবং আসলেই প্রশংসার দাবিদার। মানুষের প্রতিদিনের জীবন ঐ গ্রিক বীরের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়। কারণ প্রত্যেকের জীবনটা একেকটা ছোট ছোট যুদ্ধক্ষেত্র আর এখানে প্রতিটি মানুষই জীবনসংগ্রামের সৈনিক। পৌরাণিক যুদ্ধকে জেমস জয়েস দেখেছেন প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে।

সেই জীবন যুদ্ধ এখন বৈশ্বিক মহামারি হয়ে আক্রান্ত করেছে কোটি কোটি মানুষকে, যার অন্যতম শিকার বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৬

জুন বলেছেন: আপনি হোমারের ইলিয়ড আর ওডেসি পড়েন ওটা অনেক প্রাঞ্জল। ওডেসিই যে ইউলিসিস তাতো আপনি জানেনই। আমি কার্ক ডগলাসের ম্যুভিটা ভিসিআরে দেখেছি। হলে দেখলে না জানি কত ভালো লাগতো।
+

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় জুন, আমার সুস্পষ্ট মনে আছে - ২০১৩-২০১৪ সনে ফেসবুকে ইউলিসি নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম... যেখানে আপনি ইলিয়াড আর ওডিসি নিয়ে চমৎকার একটা মন্তব্যে আমাকে ইলিয়াড এবং ওডিসি সম্পর্কে একটা মন্তব্য করে ওই দুটি বই পড়তে বলেছিলেন.....

তারপর আজিজ থেকে আমি বই দুটির ইংরেজি এবং বাংলা অনুবাদ সংগ্রহ করে পড়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম.....
আসলে অনুবাদ পড়ে এতটাই বিরক্ত হয়েছিলাম যা নিয়েও লিখেছিলাম। সত্যি বলতে, আপনার কাছ থেকেই আমি অনেক ভালো বইয়ের রেফারেন্স পেয়েছি....


আমাদের রামায়ণ-মহাভারতের মতোই ইলিয়াড-ওডিসি বিশ্ব সাহিত্যের ইতিহাসে এই দুটি বই এর সমকক্ষ বই খুব কমই আছে।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৯

জুন বলেছেন: স্যরি আমি মিন করেছি কলকাতার সুধাংশুরঞ্জন ঘোষের অনুবাদ। হোমারতো গ্রীক ভাষায় লিখেছে সেটা আমাদের কাছে আরও দুর্বোধ্য :(

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: সুধাংশুরঞ্জন ঘোষের অনুবাদ আমি না পেয়ে বাংলাদেশের একজন লেখকের অনুবাদ পড়ে খুবই হতাশ হয়েছি। সত্যি বলতে, ইউলিসিস-ইলিয়াড- অডিসি মোটেই সহজবোধ্য বই নয়।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

অপ্‌সরা বলেছেন: আসলে মানুষের জীবনটাই এক গল্প। তার জন্য কোথাও যেতে হবে তেমনটাও মনে হয় না আমার। একই স্থানে থেকেও রোজ রোজ যে গল্পগুলির সৃষ্টি হয় একটা জীবনে একজন মানুষের সেই সব রোজরোজ লিখলেও এক বিশাল গল্প সমগ্রের সৃষ্টি হত।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে জীবনের মানে হচ্ছে- দৃষ্টিভংগির বিষয়, উপলব্ধির বিষয়। আমরা যে যেভাবে জীবনকে দেখি, জীবনকে উপলব্ধি এবং উপভোগ করি....সবই এক ধরনের গল্প উপন্যাসের রসায়ন।

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র তখন আমার মা আমাকে একটা বই কিনে দিয়েছিলেন। এই বইয়ে বিশ্বের অনেক ভাষার বিখ্যাত কিছু উপন্যাসের অতি সংক্ষিপ্ত বাংলা অনুবাদ ছিল। ঐ বই প'ড়ে আমি বেশ কিছু বিখ্যাত উপন্যাস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাই। তার মধ্যে ছিল ওডিসি, ইলিয়াড, ফ্রানকেনসটাইন, লা মিসারেবল, আইভান হো, প্রিন্স এন্ড দা পপার, হাঞ্চ ব্যাক অব নটরডেম (নটরডেমের কুঁজো), দা হেলেন অব ট্রয়, পম্পে নগরীর শেষ দিন গুলি। আরও কিছু ছিল যেগুলির নাম এখন মনে আসছে না। সম্ভবত হোমারের কোন লেখাতে (ওডিসি বা ইলিয়াড হবে সম্ভবত) আমি ইউলিসিসের নাম শুনেছি যিনি গ্রীক পুরাণে উল্লেখিত কোন বীর। হোমারের লেখার আরেক জন বীরের নাম মনে আছে। যার নাম হোল একিলিস।

আসলে বই পড়ার জন্য বয়স একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমি সম্ভবত সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় বঙ্কিমচন্দ্রের 'দুর্গেশ 'নন্দিনী' পড়েছিলাম। ঐ বয়সে বেশীরভাগ কথাই বুঝতে পারিনি। অনেক কঠিন কঠিন শব্দ ছিল। একই বয়সে আমি ম্যাক্সিম গোরকির 'মা' এবং 'পৃথিবীর পথে' পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সম্ভবত বয়সের কারণে আমি এক সময় আর ধৈর্য রাখতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয়েছিল এত বিখ্যাত উপন্যাস কিন্তু কোন মজা তো পাচ্ছি না। তবে প্রায় দুই হাজার পাতার বাংলা অনুবাদ বই ' কাউনট অব মন্তিক্রিসট' আমার প্রিয় একটা উপন্যাস ছিল। কয়েক মাস লেগেছিল বইয়ের দুই খণ্ড পড়তে। আসলে দিনে বেশী সময় পেতাম না তাই এত সময় লেগেছিল।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার খুব গর্ব হচ্ছে- আপনাকে আপনার মা যে বইটা কিনে দিয়েছিলেন সম্ভবত সেই বইটাই আমাকে কিনে দিয়েছিলেন আমার ছোট চাচা, যে বইয়ে অনেক বিখ্যাত উপন্যাস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেয়েছিলাম। যার মধ্যে ছিল ওডিসি, ইলিয়াড, মিসারেবল, আইভান হো, দা হেলেন অব ট্রয় এর কথা মনে আছে। সেই বই পড়েই আমি বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম সেই শিশু কিশোর বয়স থেকেই।

বঙ্কিমচন্দ্রের সব বই ই মোটামুটি দুর্ভেদ্য বললে ভুল বলা হবে না।

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপন্যাসটি পড়া হয়নি যে কারণে ঠিক বুঝতে পারলাম না এর বিষয়বস্তু কি?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ইউলিসিস সম্পর্কে পোস্টের শেষ অংশে কিছুটা ধারণা দিয়েছি। তারপরও আপনার সৌজন্যে বলছিঃ- ইলিয়াড এর কাহিনি অনুযায়ী ট্রয় যুদ্ধের বীর ইউলিসিস, যুদ্ধ শেষে নিজ দেশে ফিরে আসেন। ফিরে এসে তার মাঝে ভাবান্তর জাগে। যে প্রিয়তমা পত্নীকে তিনি রেখে গিয়েছিলেন নব যৌবনা, গৃহে ফিরে তাকে দেখেন একজন পৌঢ়া হিসেবে। সমুদ্রে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানো ইউলিসিসের আর রাজকার্যে মন বসে না।

ইউলিসিসের রক্তে তখন খেলা করছে দেশ, মানুষ, যুদ্ধ, অভিযান, মহাসাগর অলস রাজার মতো বসে দিন গুজরান করতে তার আর ইচ্ছে হল না। যে ঘুরেছে সমুদ্রে সমুদ্রে, দূর দেশের ডাকে যার প্রাণ চঞ্চল, সে কি বাস করতে যায় নির্জন গৃহকোণে। ইউলিসিসের জবানিতে মানব হৃদয়ের শাশ্বত আকুলতারই যেন প্রকাশ ঘটেছে। এ যেন সংসার বন্ধনে আটকে পড়া মানবের আকুল আর্তনাদ। অসীমের আহ্বান সর্বদা যেমন আকুল করে মানবকে, ইউলিসিসও তেমনি আকুল, যেহেতু সেও তো মর্তমানব। দেবতার সাথে যুদ্ধ করেছে সে, নিজ গৃহে সাধারণ প্রজাদের ডামাডোলে তার আর মন নেই। ইউলিসিস মনে মর্তমানবের শাশ্বত আকুলতারই প্রকাশ ঘটেছে, মানবাত্মা সীমার মাঝে আটকে থাকতে চায় না। সে সর্বদা খোজে অসীমের সীমা।

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯

কামাল৮০ বলেছেন: হোমাারের ইলিয়াড ও ওডিসি পড়েছি কিন্তু এই বইটি পড়া হয়নি।বামপন্থী রাজনীতি করতে যেয়ে সাহিত্যর প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলি।তার পরও গ্রীক সাহিত্যের অনেক বই পড়া হয়েছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার চেনাজানা যতো বামধারার রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী সমর্থক দেখেছি তারা সবাই অসম্ভব রকমের পড়ুয়া। বামধারার একজন সাধারণ কর্মীও যতটা পড়াশোনা করেন তার কিয়দংশও আমাদের মতো সাধারণ সাহিত্যসেবীরা পড়াশোনা করেনা।

৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই জিনিস আমি পড়িনাই।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৯

জুল ভার্ন বলেছেন: সময় সুযোগ করে পড়তে পারেন।

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৪৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: অতিশয় আগ্রহ নিয়ে আপনার এই পোস্টটা পড়লাম। দুঃখের বিষয় জেমস জয়েসের "ইউলিসিস" বিষয়ে ১-২ লাইনের বেশি কোন কথাই এখানে নেই। জেমস জয়েসের "ইউলিসিস" অতি অতি অতি দূর্বোধ্য একটি বই।

"পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপন্যাসটি পড়া হয়নি যে কারণে ঠিক বুঝতে পারলাম না এর বিষয়বস্তু কি?" এর উত্তরে আপনি তাকে ইলিয়াড এর কাহিনি বলেছেন। আশ্চর্য!!!!

জয়েসের "ইউলিসিস" দূর্বোধ্য হলেও তার "Dubliners" এর গল্পগুলো অতি সুখপাঠ্য। পড়ে দেখতে পারেন!!!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ইউলিসিস এর রিভিউ লিখিনি, আমি বইটি পড়ার স্মৃতি কথা লিখেছি।

পদাতিক চৌধুরীর মন্তব্যের জবাবে ইউলিসিস উপন্যাসের পটভূমি বলেছি- যা ইউলিসিস উপন্যাসের বিষয়বস্তু।


ধন্যবাদ।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখক বলেছেন: পদাতিক চৌধুরীর মন্তব্যের জবাবে ইউলিসিস উপন্যাসের পটভূমি বলেছি- যা ইউলিসিস উপন্যাসের বিষয়বস্তু।

জুল ভার্ন ভাই, না তা নয়। জয়েসের ইউলিসিস উপন্যাসের বিষয়বস্তু হোমারের অডেসি বা অডেসির কোন গল্প নয়। জয়েসের ইউলিসিস আটপৌরে ডাবলিনবাসী ষ্টিভেন ডডুলাস আর লিউপোল্ড ব্লুম এবং তাদের সাথে জড়িত মানুষদের গল্প। এগুলোর সাথে আপাতভাবে গ্রীক পুরানের গল্পের কোন মিলই নেই। জয়েসের গল্প বাস্তব জীবনের গল্প, পৌরাণিক কোন কাহিনী নয়।

জয়েস শুধুমাত্র অধ্যায়গুলোকে অডেসির চরিত্র বা ঘটনার নামে নামকরন করেছেন যাতে পাঠক পূরাণের গল্পের সাথে ডাবলিনবাসী ষ্টিভেন ডডুলাস আর লিউপোল্ড ব্লুমের গল্পে এক ধরনের প্রতিফলন বা তুলনা করতে পারে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্যাখ্যার জন্য।

১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: বৃটিশ কাউন্সিলে লাইব্রেরীতে আমি গিয়েছি কয়েকবার । ভেতরে ঢুকলেই একটা চমৎকার পরিবেশের অনুভূতি আসে । তবে সেখানে গিয়ে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছিলাম আমার মত ছাপোষা মানুষের জন্য এই লাইব্রেরী নয় বিশেষ ওখানে আসা সব মানুষ গুলোকে দেখে এই মনে হয়েছিলো । এরপর বইয়ের জন্য বাতিঘরটাই আমার পছন্দ এখনও । সুযোগ পেলে প্রায়ই যাওয়া হয় !

বইটা আমার পড়া হয় নি ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: বাতিঘর সাম্প্রতিক কালের, তাই আমার কখনও যাওয়া হয়নি। তবে বইয়ের জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আমার খুব প্রিয় একটা ভেন্যু।

১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: বইটি আমার পড়া হয় নাই। আপনার পোস্টএবং মন্তব্যের মাধ্যমে বইটির সারাংশ জানা হলো।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: বইটি আমার পড়া হয় নাই। আপনার পোস্টএবং মন্তব্যের মাধ্যমে বইটির সারাংশ জানা হলো।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: একই মন্তব্য দুইবার এসেছে- এটা আমারও হয় যখন মোবাইল ফোন থেকে লিখি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.