নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ব্যয়বহুল দারিদ্র্য......
ইংরাজীতে একটি কথা আছে EXPENSIV POVERTY
এর মানে "ব্যয়বহুল দারিদ্র্য" অর্থাৎ দারিদ্রতা দেখানোর জন্য অনেক খরচা করতে হয়। তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই গণতন্ত্রের ছ্দ্মাবরণে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েমের নজীর চোখের সামনেই অসংখ্য। নিজ দেশের কথা বলা যাবেনা। তবে অবিভক্ত ভারতের কথা বলতে বাঁধা নাই।
গান্ধীজির নকল দারিদ্রতা এমনই ছিল, একবার সরোজিনী নাইডু গান্ধীজি'কে মজা করে বলেছিলেন, "আপনাকে দরিদ্র দেখাতে গিয়ে আমাকে অনেক টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে!"
সরোজিনী নাইডু এ রকম কথা বলেছিলেন কেন? কারণ, গান্ধীজি যখনই ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণীর কামরায় ভ্রমণ করতেন তখন সেই তৃতীয় শ্রেণীর কামরা আর সাধারণ তৃতীয় শ্রেণীর কামরা থাকতো না, বিলাসবহুল কামরায় পরিবর্তিত হতো।
ইংরেজরা কখনোই চাইতো না যে গান্ধীজি খারাপ অবস্থায় ও ভিড়ের মধ্যে কোথাও যান, তাতে তিনি খবরের কাগজের হেডলাইন হবেন, আর ইংরেজরা ভারতীয়দের চোখে স্বৈরাচার প্রমাণিত হয়ে অসুবিধায় পড়তে পারে।
সেজন্য যখনি গান্ধীজি ট্রেনে ভ্রমন করতেন, তখনই তাকে বিশেষ ট্রেন দেওয়া হতো, এবং সেই ট্রেনে তিনটি বিলাসবহুল বগি থাকতো। তাতে গান্ধীজি ও তার লোকজন যারা তার অনুগামী শুধু তারাই থাকতেন। প্রত্যেক স্টেশনে বহু সংখ্যক লোক তাকে দেখতে আসতেন, আর এইসবের খরচ পরে গান্ধীজি'র ট্রাস্টের মাধ্যমে ইংরেজ সরকারকে দেওয়া হতো পরিশোধ করতে। তখন সর্বভারতীয় জাতীয় নেতা হিসেবে গান্ধীজি, তার সহযোগী পর্ষদ এবং মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সকল যাতায়াত খরচ এবং নিরাপত্তা খরচ ইংরেজ সরকার বহন করতো।
এজন্যে মহম্মদ আলি জিন্নাহ বলেছিল, 'যত টাকায় আমি ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর কামরায় সফর করি, গান্ধীজি তার থেকে শতগুন বেশি টাকায় তৃতীয় শ্রেণীর কামরায় সফর করেন।"
গান্ধীজি প্রতিজ্ঞা করেই নিয়েছিলেন যে, ছাগলের দুধ ছাড়া অন্য কোনো গৃহপালিত প্রাণীর দুধ তিনি পান করবেন না, ছাগলের দুধ তখনো দামী ছিল, আজও দামী।
গান্ধীজি নিজের আশ্রমে তো ছাগল পালতে পারতেন। কিন্তূ গান্ধীজি অনেক জায়গা ঘুরতেন, আর ছাগলের দুধ সব জায়গায় সহজেই পাওয়া যেত না। তাই তিনি যখন যেখানেই যেতেন সাথে তার দুধেল সিন্ধী জাতের কয়েকটা ছাগল নিয়ে যেতেন।
কিভাবে লন্ডনে ছাগলের দুধ খুঁজে বেশী দামে কিনতে হতো, এই কথা স্বয়ং গান্ধীজি নিজের বইতে লিখে গেছেন। কারণ হিসেবে লিখেছেন, 'আমি খুব গরীব, তাই শুধু ছাগলের দুধ পান করি।'
যদিও খুশবন্ত সিং তার বইতে লিখে গেছেন, গান্ধীজি আশ্রমে ছাগল পালতেন, প্রতিদিন ছাগলগুলোকে সাবান দিয়ে স্নান করানো হতো, ওদের প্রোটিন খাওয়ানো হতো, প্রতিদিন এক একটা ছাগলের জন্য জন্য ২০ টাকা খরচা হতো, ৯০ বছর আগের ২০ টাকা আজকের ২০ হাজার টাকারও বেশি।
আর বাকি খরচা কিভাবে উঠতো?
সেই সময় গান্ধীজি তাঁর একটা অটোগ্রাফের জন্য ৫০০০/- নিতেন। তিনি নিজের কাছে একটা দানপাত্র রাখতেন, সেই দানপাত্রে কিছু না কিছু ধনরাশি দান করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করতেন। এছাড়াও অনেক উদ্যোক্তা-শিল্পপতি-ব্যাবসায়ী ও বন্ধুবান্ধবও গান্ধীজি কে চাঁদা দিতেন। 'গান্ধীজি ট্রাস্ট' নামে সেইসব চাঁদা জমা হত।
গান্ধীজির ৭৫তম জন্মদিনে টার্গেট ছিল ট্রাস্টে ৭৫লক্ষ টাকা জমা হবে, কিন্তূ জমা হয়েছিল ১কোটির বেশি টাকা। সোনার দামের হিসাবে তুলনা করলে আজকে সেই টাকার মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা।
গান্ধীজির অত গরীব আর তার অত সরল জীবনযাপন ছিল না, যতটা না আমাদের চরকার সুতো কাটিয়ে গেলানো ও বোঝানো হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ খুশবন্ত সিং এর 'গান্ধীজি' স্মৃতি কথা বই।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: মোদির এক ভাইর নাম পংকজ মোদি- যার স্ত্রী বাংলাদেশী, বাংলাদেশী হয়েও তিনি আবার বিজেপি'র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন নেতা। তিনিও দুই হাত ভরে কামাই করতেছেন দুই দেশ থেকেই।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৬
খাঁজা বাবা বলেছেন: জানলাম
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২১
বাংলার এয়ানা বলেছেন: সব ভন্ডামির রাজা-রানি-গোলাম
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: নিশ্চিত।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২২
জুন বলেছেন: নিজেকে গরীব দেখানো বা বলা মনে হয় ফ্যাশন। আমি এই নিউজটা সসম্প্রতি কোন একটা পেপারে পড়লাম। হুদাই দিনরাত লোক দেখানো চরকা কেটে সময় নষ্ট করেছে সাথে গরীব ছেলেপুলেদের জীবন।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধনাঢ্যদের গরীবি ফ্যাশন।
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৩
খাঁজা বাবা বলেছেন: সম্ভবত নোয়াখালীর লোকেরা গান্ধীর ছাগল খেয়ে ফেলেছিল
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: পুরা ধন্যবাদ দেওয়া গেলোনা- নোয়াখিলীবাসীদের। তবে চেষ্টা করেছিল.... আপসোস- শেষ পর্যন্ত ছাগল খেতে পারেনি। ছাগলটা খুঁজে পেয়েছিলো।
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
চমৎকার লিখেছেন ভাইজান। পোস্টে + রইলো।
শুনতে পাই, গান্দীজি নোয়াখালীতে এসেছিলেন পরে তার একটি দুধেল ছাগল চুরি হয়ে গিয়েছিলো।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা গান্ধীজির ছাগল চুরি কিম্বা হারিয়ে গিয়েছিল, যা পরে খুঁজে পাওয়া যায়। আফসোস, নোয়াখালীবাসী ছাগল জবাই করে খেতে পারেনি। প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: এই সব কিন্তু কখনই প্রচার হয় না । এসব নিয়ে কথাও হয় না !
তবে আমি সত্যিই গরীব !!!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: সেইজন্যই তো যখন তখন যেখানে সেখানে বেড়াতে যেতে পারো, খেতে পারো!
৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
আমাদের দেশে সে রকমের একজন খুশবন্ত সিংয়ের দেখা কবে মিলবে, যে থলের বেড়াল বের করতে পারে!!!!!!!!
আমরা্ও যে দরিদ্র হয়ে রয়েছি এ জন্যে আমাদেরকে্ও ফি-বছর গুণতে হয় হাযার হাযার কোটি টাকা!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: জী এস ভাইজান, আমাদের দেশেও খুশবন্ত সিংয় আছেন কিন্তু তাদের হামলা মামলা দইয়ে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। দেশে এখন ইতিহাসের নামে লেখানো হচ্ছে- ক্ষমতাসীনদের ফরমায়েশি ইতিহাস। এই ইতিহাস ফ্যাক্টরিতে তৈরী করা হয়। দেশে এখন কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক শিক্ষাবিদ সব কেনা গোলাম.... যাদের একমাত্র কাজ চর্ব্যচোষ্য লেহন করা.....
৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ওপর দিয়ে ভালো মানুষি অথচ ভেতরে শয়তানি। গান্ধী এমনই ছিলেন। নেতাজীর সাথেও গাদ্দারি করেছেন। আরেকজন ছিলেন জিন্নাহ। ধর্ম নিয়ে ভেলকিবাজি। দুজনই বৃটিশ এজেন্ট।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: গান্ধী জিন্নাহ দুইজনই ভণ্ড কূল শিরোমনি ছিলেন....
১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮
কামাল৮০ বলেছেন: গান্ধী কি করতো জিন্না কি করতো সব ইতিহাসে লিখা আছে।তবে হিন্দুদের লিখা ইতিহাস এক রকম মুসলমানদের লিখা অন্য রকম।এই দুই লেখা পড়ে আপনাকে সত্য বের করতে হবে।এক তরফের লেখা পড়লে আপনি অন্ধকারে থাকবেন।একদল বলছে ছাগল খেয়ে ফেলেছে অন্যদল বলছে ছাগল পাওয়া গেছে।কোনটা সত্য।বৈজ্ঞানিক সত্য হলো দুটিই সত্য হতে পারে না।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: হিন্দুদের ইতিহাসেই লেখা হয়েছে - হারিয়ে /চুরি যাওয়া ছাগল ফিরে পাওয়ার কথা। দুনিয়ার সব ইতিহাসের সেরা ইতিহাস হচ্ছে আপনার সমর্থিত, আপনার আদর্শের সরকারের লেখানো ফরমায়েশি ইতিহাস.....
১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এরকম শো অফ দারিদ্র্যের কোন মানে হয় না।
মহাত্মা গান্ধীর অনেক উদ্ভট কাজ কারবার ছিল। আমি এই ব্যাপারে একটা পোস্ট অনেক আগে দিয়েছিলাম। মাহাত্মা গান্ধীর বিতর্কিত ব্যক্তি জীবন
অনেকে অবশ্য এই ধরণের পোস্ট দেয়ার কারণে আমার অনেক সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু আমি মনগড়া কোন কথা বলিনি পোস্টে। এগুলি বড় বড় আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর ছিল এবং সত্য কথা ছিল।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও যা-কিছু লিখি, আপনার মতো তথ্যভিত্তিক লিখতে চেষ্টা করি। কিন্তু শিয়ালপণ্ডিত বলে - আমি আজগুবী লিখি....
আপনার পোস্টের লিংক ওপেন হয়না অজ্ঞাত কারণে। সম্ভবত মোবাইল ফোন থেকে ব্রাউজ করার জন্য। ইন শা আল্লাহ ল্যাপটপ থেকে ওপেন করে পড়ে মন্তব্য করবো।
১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৩
কামাল৮০ বলেছেন: রেগে গেছেন মনে হয়।আমি কাউকে সমর্থন করে কথা বলি না। আমার দৃষ্টিতে যেটা সত্য মনে হয় তাই বলি।চেষ্টা করি সত্যের পথে থাকতে।আমি কোন সরকারকে সমর্থন করি সেটা আপনার জানার কথা না।তবে বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকার না।আমি চাই জনগনের সরকার।সেটা অনেক দুর।হয়তো আমার জীবনে আমি দেখে যেতে পারবো না।কারন তেমন লক্ষন দেখছি না।
এক সাথে যখন ছাত্র ইউনিয়ন করতাম এমন কিছু ঘনিষ্ট বন্ধু বিএনপি মন্ত্রী ছিল।দেখা হলেই তারা বলতো বিএনপি যোগ দাও।জনগনের সেবা করো।আমিতো জানি তারা জনগনের কি সেবা করে।বিএনপি আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, মোটেই রাগ করিনি, বরং আপনাকে একটা খোঁচা দিয়ে রাগাতে চেয়েছি এবং কিছুটা সফল হয়েছি মনে হয়।
আমি বিএনপির সমর্থক - এটা ওপেন সিক্রেট। আমিও চাই জনগণের সরকার।
১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সেইটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখালে ও উনি মহান !
আর ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তরের পোষ্ট টা ও আমি পড়েছি , ের আগে ইন্টারনেটে ও দেখেছি এই ইতিহাস।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১২
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: সুন্দর।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৩
বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী জী নিজেকে “ফকির আদমী ” হিসাবে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন।
কিন্তু তিনি 10 লাখি সুট পরেন।
2 লাখি সানগ্লাস, মূল্যবান মাশরুম তার প্রিয় খাবার।
বলাবাহুল্ গাড়ী, বিলাসবহুল প্রাইভেট প্লেন, কি নেই মোদীজির কালেকশনে!