নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা এবং আবৃত্তি.....

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪১

কবিতা এবং আবৃত্তি.....

আমার কাছে লেখালেখির জগতে কবিতা লেখা হচ্ছে সব চাইতে কঠিন, যা লিখতে মেধার বিকল্প নাই। একজন সাহিত্যিক-উপন্যাসিক, প্রবন্ধকার যা লিখতে অনেক পৃষ্ঠা, কিম্বা একটা বইতে প্রকাশ করেন- তাই একজন কবি মাত্র কিছু শব্দে, বাক্যে প্রকাশ করেন!

কবিতার মানে কী? আসলে আমি কবিতাকে বলতে পারি- রহস্য! যে কথার নকশা কখনও পুরনো হয় না, তার নাম কবিতা। আমি কবিতার ভুবনছাওয়া উপস্থিতিকে অনুভব করতে পারি, তার রূপ ধ্যানে ধরতে পারি, কিন্তু প্রকাশ করতে পারি না! তবে, সেই ছেলে বেলায়ই কবিতার সঙ্গে আমার আলাপ করিয়ে দিয়েছিল আমার অকালপ্রয়াত বুবু। কত বয়স হবে তখন? প্রথম/দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ি। বুবুর অনেক কবিতার বই ছিল। বুবু কবিতা আবৃত্তি করতেন-

"মনে করো, যেন বিদেশ ঘুরে
মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।
তুমি যাচ্ছ পালকিতে, মা, চ'ড়ে
দরজা দুটো একটুকু ফাঁক করে,
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার 'পরে
টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে।
রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে
রাঙা ধুলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে।।

সন্ধে হল, সূর্য নামে পাটে,
এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে।
ধূ ধূ করে যে দিক-পানে চাই,
কোনখানে জনমানব নাই,
তুমি যেন আপন-মনে তাই
ভয় পেয়েছ – ভাবছ, 'এলেম কোথা।'

আমি বলছি, 'ভয় কোরো না মাগো,
ওই দেখা যায় মরা নদীর সোঁতা।'
আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে -
অন্ধকারে দেখা যায় না ভাল।
তুমি যেন বললে আমায় ডেকে,
'দিঘির ধারে ওই-যে কিসের আলো!'

এমন সময় 'হাঁ রে রে রে রে'
ওই-যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে!
তুমি ভয়ে পালকিতে এক কোণে
ঠাকুর-দেবতা স্মরণ করছ মনে,
বেয়ারাগুলো পাশের কাঁটাবনে
পালকি ছেড়ে কাঁপছে থরোথরো।

আমি যেন তোমায় বলছি ডেকে,
আমি আছি, ভয় কেন, মা, করো!'
তুমি বললে, 'যাসনে খোকা ওরে,'
আমি বলি, 'দেখো-না চুপ করে।'

ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে,
ঢাল তলোয়ার ঝনঝনিয়ে বাজে,
কী ভয়ানক লড়াই হল মা যে
শুনলে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা।
কত লোক যে পালিয়ে গেল ভয়ে,
কত লোকের মাথা পড়ল কাটা।।

এত লোকের সঙ্গে লড়াই করে,
ভাবছ খোকা গেলই বুঝি মরে।
আমি তখন রক্ত মেখে ঘেমে
বলছি এসে, 'লড়াই গেছে থেমে,'
তুমি শুনে পালকি থেকে নেমে
চুমো খেয়ে নিচ্ছ আমায় কোলে
বলছ, 'ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল'
কী দুর্দশাই হত তা না!"

আবৃত্তি প্রতিভা বুবু পেয়েছিল ছেলে বেলা থেকেই। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবৃত্তিতে অনেক পুরস্কার জিতেছিল। বুবুর মখমলি গলায় রিদম আর স্ট্রেস এখন বুঝি- তার কবিতা আবৃত্তির মাধুকরী মাধুর্য। আমার শিশু বয়স উপযোগী কবিতাগুলো খুব মজা করে ছড়া কবিতা আবৃত্তি করতেন-
"বাবুদের তাল-পুকুরে হাবুদের ডাল-কুকুরে সে কি বাস করলে তাড়া, বলি থাম একটু দাড়া....", -কখনো-

"বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক্-বলা কাজলা দিদি কই?"

বুবুর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনেই আবৃত্তি শোনায় একধরনের নেশা আমাকে পেয়ে বসে। আমি অনুভব করি, ধ্বনিময় কাব্যজগতে প্রবেশের একটা প্রধান পথ হলো কানে শোনা। বুবু নিখুঁত ভাবে কবিতা আবৃত্তি করতেন বলেই অত দ্রুত ছন্দ ছুঁয়েছিল আমায়। আর এটাই হওয়ার কথা। আমাদের সভ্যতা বারবার শোনার আর শুনে মনে রাখার ওপর জোর দিয়েছে। এ আমাদের হেরিটেজ। এই হেরিটেজই মিথ, রুপকথা এবং কোরআন। কোরআন এর কথা বলায় অনেকেই আমাকে বিভিন্ন অভিধায় অভিযুক্ত করবেন জানি। কিন্তু কোরআন এর শুরু হয়েছিল শোনায় এবং বিশ্বব্যাপী কোরআন প্রচার তথা ছড়িয়ে শ্রুতির মাধ্যমে।

আজ থেকে অন্তত অর্ধশত বছর আগের কথা। রেডিওতে শুনে 'সামান্য ক্ষতি' আবৃত্তির ঘোর তখনও কাটেনি। একদিন আমাদের স্কুলের একটা অনুষ্ঠানে তুষার দাস গুপ্ত স্যার মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে একদম আটপৌরে কথা বলার ভঙ্গীতে কবিতা বলতে লাগলেন,

'মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক
সত্যেরে লও সহজে।
কেউ বা তোমায় ভালোবাসে
কেউ বা বাসতে পারে না যে,
কেউ বিকিয়ে আছে, কেউ বা
সিকি পয়সা ধারে না যে,
কতকটা যে স্বভাব তাদের
কতকটা বা তোমারো ভাই,
কতকটা এ ভবের গতিক--
সবার তরে নহে সবাই।'

এমন সুন্দর আবৃত্তি শুনে আমি যেনো শূন্যে ভাসছি- বিশাল কালো আকাশের চাঁদোয়া ওপরে। ধ্বনি, স্বর, অর্থ, বোধ আমায় জড়িয়ে ধরছে!
অসীম ভালো লাগায় পুরো কবিতাটা মুখস্ত করে ফেলেছিলাম। তারপর আরও কতো কবিতা মুখস্ত করেছি.... কিন্তু কবিতা মুখস্ত করলেই তো আর আবৃত্তিকার হওয়া যায় না। আমিও আবৃত্তিকার হতে পারিনি। তবে কিছুটা হলেও কবিতা বুঝি।

তখন ক্যাসেট প্লেয়ারের যুগ.... ক্যাসেটে বুদ্ধদেব বসু, অজিত দত্ত, কাজী সব্যসাচীর কন্ঠে ওঁদের কবিতা পাঠ শুনি। বাদ যায়না- আমাদের গোলাম মুস্তফা, কাজী আরিফ, ওপারের সুভাষ মুখোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, জয় গোস্বামী কিম্বা টি. এস. ইলিয়ট। এইটুকু বুঝেছি, সব কবি স্বরক্ষেপণে দিক ভোলাতে পারেন না, কিন্তু, তাঁর লেখার ভাবটা ঠিক কী, সেটা তাঁর চেয়ে বেশি কেউ জানে না।

আমি কবিতা লিখতে পারিনা, তবে কিছুটা হলেও কবিতা বুঝি, কবিতা আবৃত্তিতে স্বর ক্ষেপণ, গলার কারুকাজ বুঝি...আজও কবিতা আমার দেহ-মন দিয়ে ছুঁয়ে দেয়। কবিতা আমার কাছে মন্ত্র আর কবি হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ শিল্পী, কাব্যের জাদুকর।

বুবু নেই আজ চল্লিশ বছর পেরিয়ে.... কিন্তু বুবুর কণ্ঠে
"বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক্-বলা কাজলা দিদি কই?"- অজান্তেই আমার দুচোখ ভিজিয়ে দেয়....মায়ের কোনো স্মৃতিই নাই, আর বুবুর সব স্মৃতি জাজ্বল্যমান!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুবুর জন্য দোয়া রইলো। বুবুর কি হয়েছিল?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার একমাত্র বুবু ছিলেন আমার চাইতে বয়সে প্রায় সাত বছরের বড়ো। আমার জন্মের ১০ ঘন্টা পর মা মারা যান। বুবুও আমাদের মায়ের মতো সন্তান জন্ম দিতে মারা যান! মায়ের যে অসুখটা ছিলো- সেই একই অসুখ বুবুও উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন(এটা তখনকার ডাক্তার বলেছিলেন)। তখন চিকিতসা ব্যবস্থার সুযোগ অপ্রতুল থাকায় প্রপার চিকিতসা নেওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে দেশেই সর্বচ্চ চিকিতসা দেওয়া হয়েছিলো।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অকালপ্রয়াত বুবুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। শেষে এসে পাঠকেরও চোখে ভিজে উঠবে এ পোস্টে। এ যেন কবিতা ও আবৃত্তি নয়, মায়ের চাইতেও অধিক কোনো এক কাজলা দিদিকে নিয়ে করুণমধুর স্মৃতিচারণ।

কবিতা আবৃত্তিতে স্কুল জীবনে মোটামুটি ভালো ছিলাম। এখন হয় না। তবে, আবৃত্তির ক্ষেত্রে একটা জিনিস আমি লক্ষ করেছি, পেশাদার আবৃত্তিকার ও কবির নিজের কণ্ঠে আবৃত্তির মধ্যে কোনো মিল পাওয়া যাবে না। সচরাচর কবি শুধু পাঠ করে যান। টিভিতে, কোনো অনুষ্ঠানে আমি এটাই দেখেছি। তবে, তাদের আবৃত্তির ঢঙে বাক্য ও অলঙ্কারের আসল মজা ফুটে ওঠে। আবৃত্তিকারেরা কণ্ঠের, পিচ, লয়, আবেগ, ইত্যাদি সূক্ষ্মভাবে মেনে আবৃত্তি করেন।

মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে - রবিঠাকুরের 'বীরপুরুষ', ছড়া
বাঁশবাগানের মাথার উপর - যতীন্দ্রমোহন বাগচীর 'কাজলা দিদি', ছড়া
মনে রে আজ কহ যে - রবিঠাকুরের বোঝাপড়া, কবিতা
বাবুদের ডাল-পুকুরে- নজরুলের 'লিচু-চোর', ছড়া

কবিতাকে বলা হয় সাহিত্যের রানি। আমি যেহেতু সাহিত্যের সব শাখায়ই মোটামুটি বিচরণ করি, আমার অভিজ্ঞতাও একই কথা বলে, কবিতা লেখা হলো সবচাইতে কঠিন। একজন কবিকে ৫ লাইনের একটা কবিতা প্রডিউস করতে হলেও শব্দ, অলঙ্করা, আবেগ, ইত্যাদির জন্য তাকে অনেক প্রাণান্ত হতে হয়। একজন কবিকে একটা শব্দের জন্য দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছর অপেক্ষা করতে হয়। অনেক কাল আগে লেখা একটি কবিতায় সেই আরাধ্য শব্দটি যদি কবি আজ পেয়ে যান, কবিতাটি যেন নতুন ব্যঞ্জনা ও রূপে আবির্ভুত হোন। এজন্য কবিকে প্রতিনিয়ত শব্দ খুঁজতে হয়, কবিতা এডিট করতে হয়। রবীন্দ্রনাথের এমন কবিতা আছে, এডিট করতে করতে সম্পূর্ণ একটা নতুন কবিতা হয়ে গেছে এবং দুটো কবিতা দুই নামেই গ্রন্থভুক্ত হয়েছে। তবে, আমরা কিছু দেখামাত্র, বৃষ্টি, জন্মদিন, ইত্যাদির উপর গড়গড়িয়ে কবিতা লিখে ফেলি, এগুলো কবিতা হয় না, বর্জ্য হয় বেশির ভাগই। কবিতা লেখার জন্য শুধু প্রতিভাই না, চর্চার দরকার, কবিতার পেছনে শ্রম দিতে হয়, কবিতা বুঝতে হয়, কবিতা পড়তে হয় আরো বেশি।

আমি আরবি বুঝি না। কোরানের উপর ব্লগেই কিছু লেখালেখি পড়েছিলাম। পবিত্র কোরানের সুরাগুলো বেশ ছন্দোবদ্ধ। অন্ত্যমিল আছে।

কুল হু আল্লাহু আহাদ, আল্লাহ হুস সামাদ
লাম ইয়ালিদ, ওয়ালাম ইউলাদ
ওয়া লাম ইয়া কুল্লুহু কুফুয়ান আহাদ

আলহামদুলিল্লা-হি রাব্বিল আ-লামীন।
আর রাহমা-নির রাহীম।
মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন।
ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কানাছতা’ঈন।
ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম।
সিরা-তাল্লাযীনা আন’আম তা’আলাইহিম।

মহান আল্লাহ'র এক আশ্চর্য মাজেজা।

শুভেচ্ছা রইল জুল ভার্ন ভাই।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন- প্রিয় সোনা ভাই।

আপনার উপলব্ধি যথার্থই- পেশাদার আবৃত্তিকার ও কবির নিজের কণ্ঠে আবৃত্তির মধ্যে কোনো মিল পাওয়া যাবে না। সচরাচর কবি শুধু পাঠ করে যান- যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ রবি ঠাকুর এবং নজরুল। সত্যি বলতে- এই দুই মহান কবির আবৃত্তি অত্যন্ত শ্রুতিকটু!

আবৃত্তির কথা বাদ দিয়ে এক শ্রেনীর কবির(?) কবিতা লেখার কথা বলি- তারা উদ্ভট কিছু শব্দ বসিয়ে দিয়েই কবিতা বলে যা প্রচার করছে তা আদৌ কবিতা কি-না তা বলতেও রুচি হয়না।

ধন্যবাদ।

কবি হচ্ছেন- শব্দের কারিগর, শব্দের জাদুকর। একটা শব্দেই একটা বাক্য কিম্বা একটা ঘটনার প্রকাশ করতে পারে অবলীলায়। আপনি যেভাবে কোরআনের একটা সুরা দিয়ে কিঞ্চিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, বোঝার জন্য তা যথেষ্ট হলেও আমি আরও একটু যোগ করতে চাই- তাহলো, প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বছরে বিশ্বব্যাপী কোরআন প্রচারে মূল ভূমিকা রেখেছে- কোরআন শ্রুতি। হজরত মোহাম্মদ(সঃ) নিজে ফেরেশতা জিবরাইল(আঃ) থেকে কোরআন শুনে সাহাবীদের বলেছেন- তাঁরাও সেটা প্রথমে শুনে যারা লিখতে পারতেন তাদের দ্বারা লিখিয়েছেন, এখানেই শ্রুতি বিদ্যার গভীরতা উপলব্ধি করা যায়।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:



জুল ভার্ন

জুল ভার্ন! শুদ্ধাচারে আপনি গাঁথেন
সাবলিল বিবরণে কথা ফুল মালা
জ্ঞানের সুবাস ভরা। জগৎ উজালা
সে মালায় আত্মশুদ্ধি অবিরত হয়।
নিরলে যেন কি শুনি আপনি গাহেন
মানব মঙ্গল গান। খুলে দিতে তালা
অন্যায় বন্ধন টুটে। দেখেছি উতালা
আপনার মনভূমি পরচিন্তাময়।

একে এক দেখে যাই কথাকলি কত
ফুল হয়ে ফুটে তারা একে একে সব
সকালে শিশির ভেজা ফুটে অবিরত
আহ কি চমৎকার সেই অনুভব!
সে রাজ্যের আমি এক দীন হীন জন
বিমহিত দেখি কত রত্ন অগনন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ কাব্যগাঁথা!
আপনার শব্দ ভান্ডার অত্যন্ত রিচ।
শুভ কামনা নিরন্তর।

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অনেক কিছু জানালেন সেই সাথে বুবু হারান বেদনা
বড়ই কষ্টদায়ক তবু ভাল থাকবেন দাদা

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: Eclampsia ছিল কি? খিচুনি হয় এই রোগ হলে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা Eclampsia ছিল, সেই সংগে রক্তশুণ্যতা।

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ছোট বেলায় এ কবিতা আবৃত্তি করে আমি জগ , প্লেট জিতেছি ।

দোয়া করি আপনার বোনকে আল্লাহ্ জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমীন।

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০০

কামাল৮০ বলেছেন: কবিরা সমাজের অগ্রসর শ্রেনী।তারা লেখকদের লেখক।কবিতা লেখার জন্য প্রচুর শব্দ জানতে হয় এবং শব্দের যথাযত ব্যবহার জানতে হয়।
ব্যক্তিগত দুঃখের কথা শুনে মনে আঘাত পেলাম।এবং সেই সাথে মনে পড়লো কাজলা দিদি কবিতা।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: "কবিরা লেখকদের লেখক"- এর উপর আর কোনো ব্যাখ্যা নাই।
ধন্যবাদ।

৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

কামাল৮০ বলেছেন: কবিরা সমাজের অগ্রসর শ্রেনী।তারা লেখকদের লেখক।কবিতা লেখার জন্য প্রচুর শব্দ জানতে হয় এবং শব্দের যথাযত ব্যবহার জানতে হয়।সেই সাথে পড়তে হয় প্রচুর কবিতা।
ব্যক্তিগত দুঃখের কথা শুনে মনে আঘাত পেলাম।এবং সেই সাথে মনে পড়লো কাজলা দিদি কবিতা।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: একই মন্তব্য দুই বার এসেছে। আমি যখন ফোন থেকে লিখি তখন আমারও এমন সমস্যা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.