নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্তের জ্বালা.......

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১২

মধ্যবিত্তের জ্বালা.......

"উপরে উচ্চবিত্ত নীচেতে নিম্নবিত্ত
মধ্যবিত্ত, সে যেনো প্রকৃতির উপহাস।
ভিক্ষাও মিলেনা, কেউ তো দেয়না
দুঃখে কাটে যার বারো মাস।"

আর্থীক বিচারে মধ্যবিত্তরা এমন একটা শ্রেণী যারা খুব উন্নত খায় পরে না, আবার খাওয়া পরায় একেবারে দীনতাও অবলম্বন করে না। ভদ্রসম্মতভাবে স্বসম্মানে দিনপাত করে। যে সব পরিবারে সদস্যসংখ্যা কম তারা তুলনামূলক সচ্ছল। কারো ধারে না, ধরায়ও না। আর যাদের সদস্যসংখ্যা বেশি তাদের টানাপড়েনের ভেতর দিয়ে চলতে হয়। সময়ে ধারকর্জে হাত বাড়াতে হয়। তবু তারা সুখী পরিবার।
কিন্তু আজ এইসব পরিবারও অসুখী। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে বাঁধাধরা আয়ে আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না। যাদের 'নুন আনতে পান্তা ফুরায়'- সেই নিম্নবিত্তের সমতুল্য অনটনে না পড়লেও হাট-বাজারে যাবার সময় গিন্নীর বাজার ফর্দে খুব বিরক্ত হয়। এ কষ্ট রোজকার। তার ওপর নতুন কষ্ট বুকটা থেঁতলে দেয় টিভি চ্যানেলগুলো। কথাগুলো আমার এক বন্ধুর-যিনি সরকারী কলেজের অধ্যাপক পদ থেকে সদ্য অবসর নিয়েছেন। সততা আর নৈতিকতা তাঁর জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে।

তিনি বললেন- প্রত্যেক চ্যানেলে প্রতিদিন মজাদার খাবার রান্নার রেসিপি প্রচার ও পুনঃপ্রচার হয়ে থাকে। প্রচার হয়ে থাকে পোশাক ফ্যাশান ডিজাইনের প্রদর্শনী। আজকাল মধ্যবিত্ত পরিবার কমই আছে যেখানে দু'একজন স্কুল কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া শৌখিন বাতিকের মেয়ে কিম্বা ছেলে নেই। এইসব ছেলের জন্য দামী মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, মেয়ের জন্য নতুন রান্নার উপকরণ কিনে দিতে ও নতুন ডিজাইনের পোশাক সংগ্রহের বায়না মেটাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে। ছেলে মেয়ের আবদার 'না' করা যায় না আবার 'হাঁ' করলে পকেট হা হয়ে সংসারে বিপত্তি ঘটায়। এদিকে তেল-চিনি, শাকসবজি মাছ-মাংস ডিমের বাজারে আগুন। কিনতে গেলে হাত ঝলসে যায়, কলিজা পুড়ে যায়। রসুন পেঁয়াজ মরিচ আদাও কম যায় না। তারাও উচ্চমূল্যের তপ্ত ছাই মেখে ক্রেতা ভোগায়। আজকাল অনেকে তিন পদ দিয়ে ভাত খায় ঠিকই। কিন্তু সে পদ তিনের মধ্যে প্রথমটা ডালের ভর্তা, দ্বিতীয়টা ডালের বড়া ভাজি, তৃতীয়টা মসুর কিংবা মাসকলাইর ঝোল ডাল। এহেন কষ্টের মধ্যে টিভি চ্যানেলগুলো উস্কিয়ে মারছে মরার উপর খাঁড়ার ঘা। তারা ভাবছে না টিভি হচ্ছে সকল শ্রেণীর দর্শকের চেনা-জানা-শোনার মাধ্যম। তাদের দেশ কাল পাত্র পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রচারসূচি নির্ণয় করা উচিত। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে অনুষ্ঠান নির্বাচন করা।

সত্যি কথা বলতে কি, সমাজের সব ধরনের নিপীড়নের প্রথম শিকার হচ্ছে মধ্যবিত্ত জনগোষ্টী বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জ্বালা এই বিশেষ গোষ্টীকেই ভোগ করতে হয়। ওরা চাহিদা মত খেতেও পারেনা আবার না খেয়েও থাকতে পারেনা।
বিজ্ঞাপনদাতা আর প্রচারকারী চ্যানেলগুলো প্রতিনিয়তই এভাবে লোভাতুর পণ্যগুলো আরো ফ্লেভার মিশিয়ে দর্শকদেরকে প্রলুব্ধ করে চলছে। আর তা দেখে মধ্যবিত্ত পরিবার মাথা নীচু করে পকেটের সব শেষের কয়েনটা বিলিয়ে দিয়ে আসছে। এখন অবশ্য সমাজের মধ্যবিত্ত মানুষদের মধ্যে থেকে আরো একটা শ্রেণীবিন্যাস করা হয়েছে "নিম্নমধ্যবিত্ত" নামে। অদূর ভবিষ্যতে মধ্যবিত্ত আর নিম্নমধ্যবিত্ত বলে কিছু থাকবেনা, থাকবে উচ্চবিত্ত আর নিম্নবিত্ত- যার আলামত ইতোমধ্যেই দেখা যাচ্ছে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। নিজেদের দেশে প্রায় সব ফসল হওয়ার পরও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ব্রয়লার, ডিম, মাছ এগুলো তো আমদানী করতে হয় না। তাহলে এগুলোও কেন মধ্যবিত্তরা এখন খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। সরকার এত কিছু ভাবছে না। তার চিন্তুা খালি বিএনপি যদি চলে আসে তাহলে তো জেলে যেতে হবে...

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: চৌদ্দ বছর ধরে সিন্দাবাদের ভুত হয়ে জনগনের ঘাড়ে জগদ্দল পাথর হয়ে চেপে বসে এখন নিসিহত করছে- "সামনে দূর্ভিক্ষ আসছে"!

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
গতকাল একটি টিভি চ্যানেলে দেখলাম একজন বয়স্ক মহিলা বলেছেন, কখনো ভাবিনি এইখানে এভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে হবে । প্রতিটি জিনিসের মূল্য লাগামহীনভাবে বাড়ছে ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: আমজনতা খুব বেশী কষ্টে আছে! সেই কষ্টে থাকা লোকগুলো কষ্টে থাকার কথাও ভয়ে মুখ ফুটে বলতে পারছেনা।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমিও এই শ্রেণীতেই পরি। তবে কতোদিন এই পজিশন আমরা ধরে রাখতে পারবো বলা মুশকিল।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার মতে, আমরা যারা মধ্যবিত্ত দাবিদার- তারা চিরকাল ফুটবল হয়ে বেনিয়াদের পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ায়। যে যার মত করে ব্যাবহার করতে পারে এ ফুটবল রুপী মধ্যবিত্তকে।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: বাজারে গেলে আমার ভীষন মন খারাপ হয়।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: শুধু নিত্যপণ্য কেনায় হিমশিম খাচ্ছি! মধ্যবিত্তরা কারো কাছে হাত পাততে পারেন না, কারোর মাথায় আঁঘাত করে কেড়ে নিতে পারেনা- শুধু মুখ বুজে সহ্য করার বিকল্প নাই!

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশে প্রায় সব মধ্যবিত্তই আসলে নিন্মবৃত্তের ক্যাটাগরিতে পড়ে । ভদ্র ভাবে নিজেদেরকে মধ্যবিত্ত ভাবতে পছন্দ করে ।

আর এখন জিনিস পত্রের দামের যা অবস্থা, সেই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: তোমার চিন্তা কি! এখনও সংসারের ঘানি টানতে হয়না!
আমাদের অবস্থা ত্রাহিমধুসুধন!

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই উদ্বেগের বিষয়। যেখানে কয়েকদিন আগে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সামনে দুর্ভিক্ষ আসছে। এমন অশনি বার্তা যেকোনো দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে ভয়ংকর দুশ্চিন্তার কারণ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: রাজা উজির নাজির তথা ক্ষমতাসীনদের জন্য দুর্ভিক্ষ নয়, প্রজাদের তথা আমাদের মতো আমজনতার জন্য দুর্ভিক্ষ দুর্ভিক্ষ।

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৫

শাওন আহমাদ বলেছেন: ভুক্তভোগী! আরও খারাপ হবে অবস্থা।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: কিন্তু রাস্ট্রের, সরকারের উজ্জাপণ আর বিলাসিতার কমতি নাই!

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৫

কামাল৮০ বলেছেন: মধ্যবিত্ত আছে ঝুলন্ত অবস্থায়।হয় উপরে উঠবে নয়তো ধপাস করে নিচে পড়ে যাবে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: এখন আর মধ্যবিত্ত নাই- মধ্যবিত্তরা আসলে নিম্নবিত্ত হয়ে গিয়েছে! এবং তারা ইতোমধ্যেই ধরণী পাত!

৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৩২

রানার ব্লগ বলেছেন: মধ্যবিত্ত হওয়াটাই যন্ত্রণার। সবার আগে মরার লিস্টে এই মধ্যবিত্তের নামও আগে আসে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: একদম বাস্তবতা!

১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: চারিদিকে সবার হাহাকার আর হা হুতাশ!
~এ দেশের নব্বুইভাগ মানুষ ভাল নেই। তারপরে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, এরপবে হশাত আর বাকি থাকে কি!!!!!!!!!!!

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আমজনতাকে উপদেশ দিয়ে অপ্রয়োজনীয় খরচে সরকারের কোনো কৃচ্চতা নেই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.