নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেরেগ্রিন শাহীন, বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স(বিএএফ), বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ...

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৯

পেরেগ্রিন শাহীন, বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স(বি এ এফ), বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ.....

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতীকে ব্যবহৃত পাখিটির নাম 'বাজ পাখি' (Falcon/Kestrel/Peregrine Falcon (Shaheen)। তবে এটা ঈগল নয়, 'ঈগল' আর 'বাজ পাখি' ভিন্ন। বাংলাদেশে দুই ধরনের বাজ(Peregrine Falcon)আছে, যথাঃ Common Kestrel or the Northern-hemisphere Kestrel. আর ঈগল (Grey-headed Fish Eagle) সহ ১৫ ধরনের ঈগল দেখা যায়। পেরেগ্রিন ফ্যালকন/ পেরেগ্রিন শাহীন একই পাখি। আরবি এবং উর্দু শব্দ শাহীন এর অর্থ দ্রুতগামী পাখি।

মুসলিম বিশ্বের হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে Falconry নামক একটি ঐতিহ্যিক খেলার কথা জেনে থাকবেন। বাংলাদেশেও মধ্যযুগে মুসলমান রাজন্য এবং সম্ভ্রান্ত ধনী পরিবারগুলোতে এই খেলার প্রচলন ছিল। এখনো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ছাড়াও উজবেকিস্তান, তাজাকিস্তান, মংগোলিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে এই খেলাটি খুব জনপ্রিয়। এটা পোষা ফ্যালকন দিয়ে শিকার ধরার খেলা। পৃথিবীর প্রায় সব ফ্যালকনারিতে এই পাখির খেলা দেখানো হয়। আরব শেখদের কাছে ফ্যালকনের কদর সবচেয়ে বেশি। ফ্যালকন দিয়ে তারা রাজকীয় শিকারে বের হয় প্রতি মৌসুমেই।

পেরেগ্রিনই পৃথিবীতে সবচেয়ে দ্রুততম প্রাণী। স্থলজ পরিবেশের দ্রুততম প্রাণী চিতা ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার বেগে চলে। আর Falcon প্রায় তার চার গুণ বেশি বেগে উড়ে। পৃথিবীর দ্রুততম মানুষ উসাইন বোল্ট এর দৌড়ের গতি ঘণ্টায় ৪৪ দশমিক ৭২ কিলোমিটার। পেরেগ্রিন বোল্টের চেয়ে ৯ গুণ বেশি গতিতে উড়তে পারে।

বিমান বাহিনীর শ্লোগান- “বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত”। বিমান বাহিনীর কাজ হল আকাশযুদ্ধ অথবা আকাশপথে আক্রমণ করা, আক্রমণ প্রতিহত করা। এই আক্রমণাত্মক ভূমিকার কথা মাথায় রেখেই ক্ষিপ্র শিকারী ফ্যালকনকেই প্রতীক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। ক্ষিপ্রতা, আক্রমণাত্মক শিকারী মানসিকতা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি এবং ক্ষুরধার হাতিয়ার (নখরযুক্ত থাবা ও ধারালো ঠোঁট)। ন্যাটজিওর তথ্য অনুযায়ী, পেরেগ্রিন ফ্যালকনের সর্বোচ্চ রেকর্ড গতিবেগ হচ্ছে ৩৯০ কি.মি./ঘণ্টা (২৪২ মাইল/ঘণ্টা)। এই অবিশ্বাস্য গতিটি সে অর্জন করে শিকারের ওপর লম্বভাবে নিম্নমুখী ডাইভের সময়।

আমরা জানি, শূন্য থেকে যে কোনো বস্তুর নিম্নমুখী পতনের সময় বস্তুটির ওপর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে। স্কাই ডাইভারদের পতনের সময় প্যারাসুট খোলার আগ পর্যন্ত গতিবেগ হয়ে থাকে ২০০ কি.মি./ঘণ্টা (১২০ মাইল/ঘণ্টা)। একজন মানুষের শরীর যেমন ভারী, তেমনি পতনের সময় তার ওপর বাতাসের বাধাও বেশি। পেরেগ্রিন ফ্যালকনের ওজন গড় ওজন ৯০০ গ্রামের মতো। এই ওজনের একটি মাংসপিণ্ড- ওপর থেকে যে গতিবেগে পতিত হতে পারে তা স্কাইডাইভারের মতোই। পেরেগ্রিনের সর্বোচ্চ গতিবেগ অর্ধেকই মাধ্যাকর্ষণের অবদান।

ফ্যালকনের চাইতে কবুতরের গতি বেশী হলেও ফ্যালকনের প্রধানতম শিকার কবুতর। ওপর থেকে ডাইভের সময় ফ্যালকন নিজ শরীরকে তীরের ফলার মতো বানিয়ে ফেলে। ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গতিবেগ অর্জিত হয়ে তার কাংখিত শিকার কবুতরকে ধরে ফেলে। বিমান সেনারাও একই কায়দায় প্রতিপক্ষের বিমান ঘায়েল করে। এখানে যার যত উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষ্ন সে-ই জয়ী হয়।

অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া পৃথিবীর সব মহাদেশেই দেখা মেলে পেরেগ্রিন শাহীনের। পরিযায়নের সময় এরা বছরে প্রায় ২০ হাজার মাইল পরিভ্রমণ করে। বাংলাদেশে ফ্যালকনিডি পরিবারের সদস্যসংখ্যা ১০। এর মধ্যে তিন জাতের ফ্যালকন আবাসিক, তিনটি প্রজাতি শীতের পরিযায়ী, তিন জাতের পাখি ইতস্তত ভ্রমণকারী পাখি ও এক জাতের ফ্যালকন হলো চলার পথের পাখি। এর মধ্যে পেরেগ্রিন শাহীন বা ফ্যালকন শীতে দেশের সব প্রান্তেই দেখা যায়। খুব সহজেই দেখা মেলে ঢাকা শহরে। আমাদের দেশের উপকূলীয় এলাকায় এর অবস্থান আরও বেশি। এসব এলাকায় সৈকত পাখির বিচরণ। আর পেরেগ্রিন শাহীনের প্রিয় খাবার সৈকত পাখি।

এবার আসাযাক বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ নাম প্রসংগেঃ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড-এর আওতাধীন এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ঢাকাতে দুইটি সহ সারা দেশে মোট ছয়টি শাহীন স্কুল কলেজ রয়েছে। মূলত বিমান বাহিনীর সন্তান ও পোষ্যদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এখানে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পায়। যেহেতু বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মনোগ্রাম Peregrine Falcon (Peregrine Shaheen) তাই তাদের অধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এর সাথে শাহীন শব্দটা ব্যবহার করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.