নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির পাতায় ছেলে বেলার চুল কাটানো......

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০০

স্মৃতির পাতায় ছেলে বেলার চুল কাটানো......

'আমার কোনো কিছুতেই আসক্তি নাই', বললে ভুল বলা হবে। আমার অনেক কিছুতেই আসক্তি আছে, যেমন- চুল কাটানো। মূলত চুল কাটানোর নামে হেড মেসেজ করানো। সাধারণত চুল কাটতে গেলে সেলুন কর্মী জিজ্ঞেস করে, "ছোট হবে?"

বেশ কয়েকমাস আগের কথা, আমি সেলুনে চুল কাটাচ্ছি, তখন আমার থেকেও বয়স্ক একজন চুল কাটাতে বসার পর স্বভাবমতো সেলুন কর্মী জিজ্ঞেস করে- "আংকেল, চুল ছোট করবো?"

অমনি বয়স্ক লোকটা খ্যাকখ্যাক করে উঠে বললো- 'সেলুনে কি কেউ চুল বড়ো করতে আসে? তোমাদের সেলুনে কি চুল বড়োও করা হয়??'

বয়স্ক লোকটার কথায় যুক্তি আছে, তবে তার বলায় খুব ঝাঁজালো এবং উষ্মা ছিলো। খুব অবাক হয়েছিলাম- এমন মোক্ষম যুক্তির জবাবটা আমার কখনও মনে আসলোনা কেনো! আমি আয়নায় লোকটাকে দেখে নিলাম- বোঝা যায় জীবন যুদ্ধে পোড়খাওয়া অভিজ্ঞ মানুষ। বেটে খাটো, শীর্ণকায় লোকটার বয়স আন্দাজ করা যাচ্ছেনা- ৬০ কিম্বা ৭০ বছরও হতে পারে!

প্রায় ৪০ বছর যাবত আমি কলাবাগানের একটা সেলুনেই চুল কাটাই। এবং সেই সেলুনের কর্মী চান মিয়া ২৫ বছরের বেশী সময় আমার চুল কাটে। চান মিয়া বিহারি সেলুন কর্মী। যেহেতু ওই সেলুনের সব সেলুন কর্মীরাই আমার রুচি জানে- তাই কখনোই আমাকে বলতে হয়না কিভাবে চুল কাটবে।

বেলজিয়াম থেকে আমার মাদার কোম্পানীর দুইজন উর্ধতন কর্মকতা এসেছেন। তাদের নিয়ে চট্টগ্রামে ইস্টার্ন রিফাইনারী ভিজিটে যাই। ৫ দিন ছিলাম। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর হোটেল রুমে ফিরে কিছুই করার থাকেনা। অগত্যা হোটেলের সেলুন সার্ভিস নিতে যাই....
ওয়েল ড্রেসের সেলুন কর্মী জিজ্ঞেস করে, 'স্যার চুল ছোট হবে?'

আমি বলি, 'মিডিয়াম'।
আমাকে জিজ্ঞেস করল, "কত নাম্বার?"
আমি বুঝে গেলাম- এরা চুল কাটবে ট্রিমারে। তবুও আমি জিজ্ঞেস করি- 'কাঁচি দিয়ে কাটবে না?'
"স্যার, কাঁচি দিয়ে ফিনিশিং টাচ দেবো।"

আমি আরাম প্রিয় মানুষ। চুল কাটাই কাঁচি দিয়ে...কাঁচির কিসকিস শব্দ আমার কানে অনূরণ সৃষ্টি করে- যা আমাকে মোহাচ্ছন্ন করে। কিন্তু হোটেলের সেলুন কর্মীরা খুব কমার্শিয়াল। এরা ঝটপট চুল কেটে বড়ো একটা বিল ধরিয়ে দেয়....

আমি চুল কতটা ছোট করতে চাই সেই অনুযায়ী ক্লিপার ব্যবহার করবে। তাই ক্লিপারের সাইজ বলতে হবে। আমি কৌশল করে পাঁচ নাম্বার বললাম। যাতে পাঁচ নম্বর সাইজ কাটা হলে চার নম্বর সাইজ করতে বলবো। তারপর তিন নম্বর সাইজ.... অর্থাৎ অন্তত ঘন্টা দেড়েক সময় আমি সেলুনে কাটাতে চাই....এই তিন নম্বরই হলো আমার রেগুলার সাইজ। পাঁচ থেকে যত নিচে নামবো, চুল আরও ছোট হবে।

চললো পাঁচ নম্বরের কারিকুরি। কাঁচির কোনও ব্যবহার নেই- ট্রিমার দিয়েই কাজ সারছে। একমাত্র ফিনিশিং টাচ দেবার সময় ছোট একটি কাঁচি এখানে ওখানে টাচ করে গেলো- তাও কোন আওয়াজ নেই।

সেলুন কর্মী বড়ো একটা আয়না আমার সামনে-পেছনে কয়েক সেকেন্ড ঘুরিয়ে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলো- "ঠিক আছে স্যার?"

আমিও আয়না ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ভালো করে দেখে বললাম- 'নাহ চুল অনেক বড়ো রয়েছে....চার নম্বর সাইজ করে দাও।' চার নম্বর শেষ হবার পর তিন নম্বর সাইজ করালাম...এমনিতেই মাথায় চুল কম...তিন নম্বর সাইজে এখন মাথার তালু বেড়িয়ে গেছে....মাথা মেসেজ করতে করতে দেড় ঘন্টা পার....আমি বারবার ঘুমিয়ে পড়ে যাচ্ছি....

মনে পড়ে গেল ছোটবেলার কথা। ছোটবেলায় লালবাগ থেকে সুরেন কাকু আসত আমাদের বাড়িতে। আমরা ছোটোরা সবাই বাড়িতে বসে সুরেন কাকুর কাছেই চুল কাটতাম। পুরুষানুক্রমে সুরেন কাকু পেশাদার সেলুন কর্মী। আমাদের পরিবারের সঙ্গেও যুক্ত ছিল বংশানুক্রমে। আমাদের ছোটদের চুলের স্টাইল নির্দিষ্ট করা ছিলো, যার নাম "বাটি ছাঁট"!

আমরা যারা ছোট তাদেরকে একটা ছোট চৌকিতে (এই চৌকিকে বলা হতো জল চৌকি। চৌকিকে কেনো জলচৌকি বলা হয় তা আজও অজানা। অবশ্য এখন জলচৌকি'র যায়গায় সর্বত্রই প্লাস্টিকের টুল ব্যবহার করা হয়) বসিয়ে সুরেন কাকু নিচু হয়ে, আবার কখনও হাঁটুগেড়ে চুল কাটতেন। চুল কাটার সময় ঘাড়ে চুল পরলে আমরা নড়াচড়া করতাম তাই সুরেন কাকু আমাদের মাথাটা তার দুই পায়ের মাঝখানে চেপে ধরে চুল কাটতেন, যাতে নড়াচড়া করতে না পারি! 'বাটি ছাঁটের' বাইরে কোনো পছন্দের কথা ভাবতেও পারতাম না। কিন্তু আমাদের সমবয়সী অনেক বন্ধুদের বাহারি চুলের ছাঁট দেখে আমরাও মনে মনে তেমন চুল কাটানোর শখ থাকলেও সুরেন কাকুর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত ছিলো। তবুও ইনিয়েবিনিয়ে সুরেন কাকুকে বললেও কাজ হতো না। অনেকটা যন্ত্রের মতো আমাদের চুল কেটে তার ছোট বাক্সে খুড়-কাঁচি ভরে চলে যেতেন। চুল কাটানোর বিল কবে কখন দেওয়া হতো তাও আমরা জানতাম না- ওগুলো বাবা-চাচাদের ব্যাপার। সুরেন কাকুকে ভয় না পেলেও তিনি আমাদের কাছে সম্মানিত ছিলেন। তিনি আমাদের খুব স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। তাই চুল কাটা হয়ে গেলে বলতেন- "দেখিতো হাতের নখ বড়ো হয়েছে কিনা?"

কিন্তু কখনও কখনও এমনও হতো, চুল বেশ বড় হয়ে গেছে, কাটানো দরকার। কিন্তু সুরেন কাকুর দেখা নেই। হয় ব্যস্ততার কারণে সেলুনে কিম্বা অন্য পাড়াতেই দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাড়ির দিকে আসতেই পারছেনা। কিন্তু তখনও আমাদের কারোরই বাড়ির কাছের সেলুনে চুল কাটতে যাওয়ার পারমিশন হতো না......

হোটেলের সেলুনে চুল কাটতে যেয়ে ছেলেবেলার কথা মনে পরলো- যা
ব্লগ বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম, অথবা লিখে রাখলাম স্মৃতি।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের চুল বাড়ির বড় ভাইয়েরা অথবা চাচারা কেটে দিতেন।
আমি দুই ছেলেরে নিয়া কী যন্ত্রণায় ছিলাম। একটারও চুল কাটতে পারতাম না। সেলুন তো দূরের কথা। ঘুম পাড়িয়ে আমি কোলে নিয়ে বসতাম আর তাদের বাপে চুল কাটতো। অর্ধেক চুল কাটার পর ঘুম ভেঙ্গে যেত হাহাহা কী যে অবস্থা অর্ধেক কাটা অবস্থাতেই যেত কয়েকদিন।

আর ছোট বেটা তো একটু বুঝার পর আর চুলই কাটতে দেয়নি। এখনো এদের চুল কাটতে অনীহা। অনেক বড় হয়ে যাওয়ার পর অনেক কষ্টে সেলুনে যায়। আইলসা পোলাপান

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ছোটদের চুল কাটা আসলেই বিরাট সমস্যা!

করোনা কালে ট্রিমার দিয়ে আমি আমার চুল নিজেই কাটতাম। আবার দুই ছেলের চুলও আমি কেটে দিতাম।

ছেলেদের জন্য শুভ কামনা।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ছোট বেলায় গ্রামেই ছিলাম, জিয়স নামে একজন বুড়ো কাকু/দাদু প্রতি মাসে বাড়িতে আসতেন চুল কেটে দিতে, গ্রামের সবার কাছ থেকে বাৎসরিক মজুরি বাবদ ফসলের মৌসুমে ধান নিয়ে যেতেন তিনি। আমরা জিয়সকে দেখলেই দৌড়ে পালাতাম।..... আমরা কাকুকে আস্তে আস্তে বলতাম চুল বেশি ছোট না করতে, ওদিকে মা এসে করা গলায় বলে দিতেন চুল একদম ছোট করে আলফেট ছাট দিয়ে দেন যাতে মাথার চামড়া দেখা যায়, তাহলে মাথা ঠান্ডা থাকবে। জিয়স কাকুকে ভয় পাওয়ার আর এক কারণ ছিল তাঁর চিকন পিতলের চিরুনি, ওটা যখন ঘাড়ের পেছনের চুল কাটার সময় ব্যবহার করতেন মনে হতো যেন ঘাড়ের চামড়া তুলে ফেলছেন...

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: ছেলে বেলার সকল চুল কাটার কাকুরা একই চরিত্রের ছিলেন- ছোটদের কথার কোনো গুরত্ব না দেওয়া! হ্যা, আমারও মনে আছে- ছেলে বেলার সব সেলুন কর্মীরাই পিতলের চিরুনী ব্যবহার করতেন।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সারাজীবন বাটি ছাট দিতে দিতে জীবন গেলো । এখনো সেই কাট ই চলছে ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: একই নিয়তি আমারও!

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছোটবেলায় নাপিত চুল কাটতো আর মাথা চেপে বলত, ন লইজ্জ (নড়বে না)। কারণ, মাথা স্থির রাখা যেত না। মানবজীবনের সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজের যদি লিস্ট করা হয়, তাতে আমার লিস্টে উপরের দিকেই থাকবে চুল কাটা। আমার খুব অসহ্য লাগে সেলুনে বসে থাকা আর নাপিতের হাত দিয়ে রোবটের মত মাথা নাড়ানো। আমার চুল কাটার সময় হয়ে গেলেও আলসেমির কারণে দেরি করে কাটি...

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: চুলকাটানো আমার অন্যতম আরামের বিশয়-যা পোস্টেই উল্লেখ করেছি। তবে ছেলে বেলায় বোধকরি- আমরা সবাই একই রকম বিরক্তি নিয়ে চুল কাটাতাম।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০২

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: স্কুল কলেজ থাকাকলিন আর্মিকাট চুল কাটতাম
এখনো মাঝে মাঝে ওরকম চুল কাটি, দাদা !
ভাল থাকবেন------------

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সব সময়ই ছোট চুল পছন্দ করি। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় টানা আট মাস চুল কাটা হয়নি- সুযোগের অভাবে।

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের গ্রামওে একজন ছিল গকুল কাকা উনি ছাড়া কারো কাছে চুল কাটতে পারতামনা কিন্তু তিনিও ছিলেন বাটি ছাটের উস্তাদ। শেষমেষ হোটেলের সেলুন কত টাকার বিল ধরিয়ে দিল আপনাকে?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: স্থান কাল পাত্র ভিন্ন হলেও- আমাদের প্রজন্মের সকলেরই চুল কাটার ইতিহাস এক ও অভিন্ন।

কথায় আছেনা- "ঠকার কথা হজম করতে হয়", আমিও হজম করেছি তাই হোটেলের সেলুনের বিল এমাউন্ট না বলি....তবে চট্টগ্রাম পেনিনসুলায় সেকেন্ড টাইম যখন যাবেন তখন সেলুনের রেইট সিডিউলটা দেখতেই একবার সেলুনে যাবেন, ভুলেও চুল কাটাতে ঢুকবেন না- (জনস্বার্থে প্রচারিত)।

৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

বিটপি বলেছেন: ছোট কাঠের টুলকে কেন জলচৌকি বলা হয়, সেটা আপনার মত অভিজ্ঞ মানুষের অজানা? ব্যাপারটা বিশ্বাস হলনা।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: না ভাই, সত্যিই আমি জানিনা জলচৌকি নামের মাজেজা।

৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: সেলুনের নিরীহ প্রশ্নের জবাবে আপনিও মোক্ষম জবাব দিতে পারতেন অনেকেই পারে কিন্তু উষ্মা মিশ্রিত জবাব দেয় না অনেকেই । এটা স্বাধারণত হয় নিজের নম্র স্বভাবের কারণে । কিন্তু অনেকেই তো আর এমন হয়না । তাদের জন্মগত স্বভাবই হচ্ছে মানুষকে দুকথা শোনাতে পারলে, এক বেলা ভাত না খেলেও চলে !

আগে যখন ছোট ছিলাম তখন চুল কাটাতে চাইতাম না । আবার এদিকে বাবাকে খুব ভয়ও পেতাম । সে নিয়ে যেত যখন সোজা হয়ে বসে থাকতে হত । বড় হওয়ার পর নিজেই চুপ কাটাতে যাওয়া শুরুর পরে, চুল আমি সব সময় ছোট করে কাটিয়েছি । একেবারে আর্মিছাট যারে কয় । আমার চোখ কাটতে অনেক সময় লাগতো । আর চুল ঘন হওয়ার কারণে সেলুন মিয়া হাফিয়ে যেত আমার চুল কাটাতে গিয়ে । কেচি যখন মাথার উপরে পড়তো তখন আসলেই একটা আরাম লাগতো । তবে আমি কোন মাথা বানাই নি চুল কাটাতে ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার দুর্বলতা বা ব্যার্থতা হচ্ছে- আমি কখনোই প্রতিপক্ষকে সঠিক সময়ে যথাযথ জবাব দিতে পারিনা। ঘটনার অনেক পরে তা হতে পারে কয়েক দিন কিম্বা কয়েক সপ্তাহ পরে যথাযথ জবাবটা মনে পরে, তখন আর সেই জবাব দেওয়ার সুযোগ থাকেনা।

আমার চুল কাটানোর অভিজ্ঞতা পোস্টেই বর্ননা করেছি।

৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: ছোট থাকতে ‍চুল কাটতে একদম ইচ্ছে করতো না।
বাবা সাইকেলের পিছনে বসিয়ে সেলুনে নিয়ে যেতেন, যতই বলি চুলটা বড় থাক, বাবা ইশারা করে নাফিত কাক্কুকে বলে দিতেন ছোট করতে। বেশি জেদ দেখালে একেবারে বেলু করার হুমকি দিতেন, হে হে।

চুল/সেলুন নিয়ে লিখাটা পড়তে গিয়ে মনে পড়ে গেল এক দাদুর কথা।
অনেক দিন সেলুনে না যাওয়ায় চুলে-দাড়ি বড় হয়ে গেল। দাদু রহস্য করে বলেই দিল, কিরে নাতি সুকেইচের এই অবস্থা হলে সিন্ধুকের না জানি কি অবস্থা। :P

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: বাবারা অমনই হয়! সম্ভবত একই অভিজ্ঞতা আমাদের সকলেরই।

১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আমার চুলের কাটে সমস্যা হতো'মেশিন আসার পর ভাবতাম এভাবে কাটতাম, কিন্তু কখনো তেমন হতো না। পরে এক স্টাইলে কাটতে কাটতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: মেশিনে চুল কাটা আমার অপছন্দ!

১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০১

বিটপি বলেছেন: জলচৌকি রহস্যঃ
ছোট চার পায়া কাঠের চৌকির উপর পা রেখে আগেকার দিনে বনেদী লোকেরা নিজেদের পায়ের কাঁদা পরিষ্কার করতেন জল ঢেলে। আর সাধারণ মানুষেরা সেটার উপর নিজে বসে নিজ হাত দিয়ে পা পরিষ্কার করতেন। মূলত জল ঢালাঢালির কাজ এই চৌকির আশেপাশে করা হয়ে থাকে বিধায় এই ধরণের চৌকিকে জলচৌকি বলা হয়।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: জলচৌকির নামকরণের বিষয়টা ব্যাখ্যা করার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪২

আরাফআহনাফ বলেছেন: চৌকিকে কেনো জলচৌকি বলা হয় তা আজও অজানা -
বিটপী উত্তর দিয়েছেন - আমার আরেকটু বলার ছিলো - বনেদী পরিবারের কর্তারা এ চকিতে বসে প্রতিদিনকার স্নানও সারতেন, আর সেখান থেকেই জলচৌকি নামে ডাকা।


ধন্যবাদ

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছোট ছোট ভাতিজাদের চুল কাটতে নাপিত বাড়ি আসলে পুরানো দিন মনে পড়ে আজও

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: এখনো কি বাড়তি এসে চুল কাটানো চল আছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.