নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাক্তি স্বাধীনতা, রাজনীতির অতীত এবং বর্তমান...

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৪

ব্যাক্তি স্বাধীনতা, রাজনীতির অতীত এবং বর্তমান...

রাস্ট্রীয় ভাবে রাজনৈতিক দূর্বিত্বায়নের ফলে "আমি BNP রাজনীতি করি কিম্বা সমর্থন করি" বলার মতো দুঃসাহস বর্তমান সময়ে কারোরই নাই। ঠ্যাংগারে বাহিনী জানতে পারলে ধন-মানতো যাবে-ই, হামলা মামলা হবেই- জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়...এমনকি দীর্ঘ দিনের বন্ধু স্বজনের সাথেও রাজনৈতিক তর্ক বিতর্কের ডামাডোলে বন্ধুচ্যুত, স্বজনচ্যুত হতে হয় হামেশাই। এমন খারাপ সময়েও নিজের চোখে দেখা কয়েকটা ঘটনা আমাকে আশান্বিত করছে।

ঘটনা-১;
বহুল আলোচিত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভয়ভীতি, উদ্বেগ উতকণ্ঠার মধ্যে আমার জেলা শহরের একজন বিএনপি নেতা ঢাকা এসেছেন সমাবেশে যোগ দিতে। সেই খবর জেনেছেন একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা- যিনি বরিশাল শহরেরই লোক। বিএনপি নেতার ঢাকা আসার খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নিজের গাড়ি পাঠিয়ে তাকে প্রথমে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় এবং দুজনে একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষে বিএনপি নেতাকে তাঁর ইচ্ছামতো যায়গায় পৌঁছে দিয়ে যায়। যাবার সময় বারবার সতর্ক করে দিয়ে যায়- সামনে কি কি বিপদ হতে পারে সেই সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য।

ঘটনা-২;
আমি রাজনীতিতে কখনোই সক্রিয় না হলেও আমার রাজনৈতিক বিশ্বাস কখনো লুকাইনি। শুধু মাত্র সমর্থক হওয়ার কারণেই অনেক হেনস্থার শিকার হয়েছি- যা নতুন করে মনে করতে চাইনা। কিন্তু ১০ ডিসেম্বরকে উপলক্ষ করে গণগ্রেপ্তার এড়াতে আমার অর্ধেক বয়সী ছোট ভাই- যে যুবলীগের দাপুটে কেন্দ্রীয় নেতা, সে আমাকে যেরকম মানসিক সাপোর্ট এবং সহায়তা দিয়েছে- তা অকল্পনীয়!
এমন ঘটনা আরও দীর্ঘ.....

BAL Vs BNP তর্ক বির্তক করার সাহস কিম্বা রুচি আমার নাই, অতএব, ঐ বিষয়ে নিজেই নিজেকে সরিয়ে নেই। কখনো আবার ক্রমাগত ব্যক্তিগত আক্রমণ হতে থাকলে বাধ্যত তাদের থেকে সরে যাই। দুই তরফেই যেটা অবশিষ্ট থাকে তা হল আফসোস, দুঃখ! দিনের শেষে কোন রাজনৈতিক মত সঠিক, কোন মত জয়ী এগুলো অসার হয়ে যায়। বন্ধু হারানোর দুঃখ সেখানে জ্বলজ্বল করে।
অথচ বিগত সময়ে আমাদের বাবা চাচা, তাদের বন্ধু বান্ধবদের তুমুল তর্ক ঝগড়ার সাক্ষী। মুসলিমলীগ- আওয়ামী লীগ- ন্যাপ, কমিউনিস্ট, জাসদ এর রাজনৈতিক সঠিক লাইন, ভ্রান্ত লাইন নিয়ে তুমুল বিতর্ক, ভয়ংকর ঝগড়া!

মা-চাচীরা তটস্থ- দুই পরিবারের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায় বুঝি। অথচ তর্ক বির্তক শেষে সবিস্ময়ে দেখে, যে মানুষগুলির হুংকারে পাড়ার সবাই এতক্ষণ তটস্থ ছিলেন- এখন তাদেরই পিলে চমকানো অট্টহাসিতে আসর মাতোয়ারা! মন কষাকষি একেবারেই অপ্রতুল ছিল এমন নয় কিন্তু তাতে আজকের মতো দহন ছিল না।

আর সবকিছুর মতো তর্কের চরিত্র পালটে ফেলেছে সময়। যে রাজনৈতিক দলটির আমি, আপনি বা আমরা সমর্থক তার নিন্দা আমার, আপনার এবং আমাদের ব্যক্তিগত পরাজয় হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে সম্পর্কে, তর্ক ছুটে চলেছে অনিবার্য সংঘাতের পথে।

স্বাভাবিক নিয়মে যে যার পক্ষ নেবেনই, তার ঠিক ভুল অবশ্যই থাকবে কিন্তু প্রাজ্ঞ মানুষরা বুঝবেন না যে আসলে প্রত্যেকেরই দুশ্চিন্তা সেই সর্বনাশা শক্তিটির উত্থানের কারণে, ব্যক্তিগত অসূয়া থেকে নয়? কোনো রাজনৈতিক ভুলের কারণে, হঠকারিতার জন্যে সেই শক্তি এ দেশে ক্ষমতাসীন হয়ে গিয়েছে।

এই তর্কের সারাৎসার ধাবিত হবার কথা ছিল দেশ ও জনগণের কল্যাণে, গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে। অথচ ফল হয়েছে বিপরীত।

বর্তমানে "বিশ্বের ক্ষমতাধর" মানুষ হতে লাগে বিবেক বর্জিত দানবীয় পশুর মতো পেশীশক্তি। থাকতে হবে হিংস্রতা। প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করতে হবে বর্বরোচিত নিষ্ঠুরতায়- তা না হলে কিসের ক্ষমতাধর!

তুমুল তর্ক শেষে আমরা পরস্পরের প্রতি পুঞ্জিভূত ক্ষোভ নিয়ে ঘুমোতে যাই। সকালে উঠে ঝগড়া একপাশে রেখে পরদিন সামনা-সামনি দেখা হলে জিজ্ঞেস করতে পারি না- "বন্ধু, কী খবর বল"? বরং অবস্থা দৃষ্টে মাঝেমধ্যে মনে হয়- We Are Dying From Inside, Slowly but surely... Or Already Dead!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ন্যাপের মওলানা ভাসানি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সমালোচক। কঠিন শব্দ ব্যবহার করে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করতেন। কিন্তু সেই কারণে বঙ্গবন্ধুর সাথে মওলানা ভাসানির ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি হয়নি কখনও। বঙ্গবন্ধু নিয়মিত ভাসানির জন্য লুঙ্গি গেঞ্জি উপহার হিসাবে পাঠাতেন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: সেই মহান নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান শ্রদ্ধা ভালোবাসা ছিলো বলেই তাঁরা সার্বজনীন।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৯

বিটপি বলেছেন: আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, আমাদের গ্রামে এক ধনী হিন্দু ব্যবসায়ীকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আশ্রয় দিয়েছিল ঐ এলাকার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। সে মুসলিম লীগের স্থানীর নেতা ছিল বিধায় হানাদারেরা তার বাড়ি তল্লাশী করেনি। ঐ ব্যবসায়ীকে ভারতে পাঠানোর সমস্ত ব্যবস্থাও সেই রাজাকার করে দিয়েছিল। স্বাধীনতার পরে সেই রাজাকার পালিয়ে ঢাকায় চলে আসে। পরে ঐ হিন্দু ব্যবসায়ী দেশে ফিরে এসে তার গ্রামে নির্ভয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।

এটাই তো আমাদের বাংলাদেশ, তাই না? বিপদের সময় রাজাকার ভিকটিমকে সাহায্য করেছিল, আবার রাজাকারের বিপদের সময়ে ভিকটিম তার পাশে এসে দাঁড়াল?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত পোষণ করছি। সেই সঙ্গে ভিন্ন রকম চিত্রও দেখেছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এক প্রভাবশালী সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছিলেন একই এলাকার প্রভাবশালী মুসলিম পরিবার। এক পর্যায়ে আশ্রিত পরিবারটি তাদের অনেক জমিজমা স্থানীয় লোকদের কাছে বিক্রি করে ইন্ডিয়া চলে গিয়েছিল। ১৯৯৬ সনে ওরা ইন্ডিয়া থেকে ফিরে এসে আশ্রয় দেওয়া পরিবারের এবং যাদের কাছে জমিজমা বিক্রি করে গিয়েছিল তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে চরম হেনস্থা করে.....

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: রাজনীতি এবং অর্থনীতি আমি বুঝি না। অথচ এদুটো নিয়েই জীবন কাটিয়ে দিচ্ছি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: "রাজনীতি বুঝিনা"- বললেই তো শেষ নয়, বরং বাংগালী সব চাইতে ভালো বোঝে রাজনীতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.