নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস.........

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৭

বিজয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস.........

অনেক বছর আগে 'ইন্ডিপিনডেন্স ডে' নামে একটি ইংরেজি সিনেমা দেখেছিলাম। বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে সমগ্র পৃথিবীকে বাঁচানোর লড়াই ছিল সেই সিনেমার বিষয়বস্তু। তারপরে সেই লড়াইতে সাফল্যের দিনটি উদযাপিত হয়েছিল সারা পৃথিবীর স্বাধীনতা দিবস হিসেবে। বাস্তবে এমন কোন‌ও দিন নেই। পৃথিবী স্বাধীন হয়নি আজ‌ও।

ইন্ডিপিনডেন্স, ভিক্টোরি ও লিবার্টি শব্দত্রয়ের বাংলা শব্দার্থ হল স্বাধীনতা, মুক্তি ও স্বাতন্ত্রচেতনা। এই তিনটি একত্র হলেই হয়ত পরিপূর্ণ স্বাধীনতা হয়। অর্ধ রাজনৈতিক স্বাধীনতা ঠিক স্বাধীনতা নয়, আবার পরাধীনতাও নয়। বনের পাখি স্বাধীন। খাঁচার পাখি স্বাধীন নয়। মানুষ প্রায়শ‌ই খাঁচার পাখি। দেশ নামের খাঁচাটি খানিক বড়ো - এই যা। ইচ্ছে হলেই সে এদেশ থেকে ওদেশ যেতে পারে না। ইচ্ছে হলেই নিজেদের নিয়মতন্ত্রের ভিতরেই সে অন্যায়ের প্রতিকার পায় না। মানুষের প্রতিটি নিষ্পাপ ইচ্ছার পায়ে পায়ে বেড়ি।

স্বাধীনতার যুদ্ধ চলতেই থাকে, বিজয়ের আকাঙ্ক্ষা চিরন্তন। খাঁচার পাখির বনের পাখি হয়ে ওঠার লড়াই হল স্বাধীনতার লড়াই। আমিত্ব ও অহং এই লড়াইকে সীমাবদ্ধ করে। আমরা দেশপ্রেমে আটকে থাকি। দেশবিস্তৃত খাঁচা আমাদের। দলপ্রেম বা ব্যক্তিপ্রেমের খাঁচা আর‌ও সংকীর্ণ, আর‌ও ক্ষুদ্র। সমস্ত খাঁচা ভেঙে আমরা বিশ্বপ্রেমে লুটিয়ে পড়ি না। 'বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমার‌ও' - এই সত্য এক গভীর উপলব্ধহীনতার মধ্যে অনাবিস্কৃত‌ই থেকে যায়।

গভীর পরিতাপের বিষয় এই যে, বিজয় এবং স্বাধীনতা তো দূর অস্ত, আমরা প্রতিদিন আর‌ও বেশি ক'রে পরাধীন হয়ে পড়ছি। আর‌ও ঘর, আর‌ও বেড়া - জাতি, জনজাতি, আদিবাসী, ব্রাহ্মণ, শূদ্র, মহিলা, পুরুষ, এলজিবিটি, হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, প্রিভিলেজড, ডিপ্রাইভড, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, চিন কত কী। পিছনের দিকে এগিয়ে ছোট্ট খাঁচায় আপাত আরাম খুঁজে নিচ্ছি আমরা। কেবল মানুষ ও মনুষ্যত্বের পরিচয় কোথাও নেই। অভেদসুন্দরের লালন নেই। প্রেম নেই। পৃথিবী নিজসৃষ্টির মধ্যে কোথাও কোন‌ও বেড়া রাখেনি। আমারাই নিজসৃষ্ট বেড়ায় রক্তাক্ত হয়েছি অসংখ্যবার। ইতিহাস বা ভূগোলের শিক্ষা আমাদের অধরাই থেকে গেছে অদ্যাবধি।

* দ্বিজেন্দ্রলাল লিখেছেন, "সকল দেশের রাণী সে যে, আমার জন্মভূমি"।
* আল্লামা ইকবাল লিখেছেন, "সারে জাহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা"।
* রবীন্দ্রনাথ বললেন, "সকলেই বিশ্বমানব। সকলের এক‌ই পৃথিবীর সন্তান।"

আধুনিক পৃথিবীর রাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিভাজনের প্রায় স্বতঃসিদ্ধ ধারণাকে প্রথম চ্যালেঞ্জ জানানো মানুষটি গ্যারি ডেভিস। ১৯৪৮ সনে প্যারিসে গিয়ে নিজেকে 'পৃথিবীর নাগরিক' হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি আইফেল টাওয়ারের চুড়ায় উঠে বলেছিলেন, 'আমি শ্রেষ্ঠ' নয়, বরং 'সকলেই সমান'। এ কথাই, এ বোধ‌ই আধুনিকতার প্রথম শর্ত।

আজ থেকে বহু বহু বছর পরে যদি সত্যি সত্যি‌ই আমরা কখন‌ও আধুনিক হয়ে উঠি, যদি কোনদিন সত্যি সত্যিই যদি কোন‌দিন পৃথিবীর ইতিহাসে সত্যিকারের আধুনিক যুগের সূচনা হয়, যদি কোনদিন ভিসা, পাসপোর্ট, বর্ডার, ডিফেন্স, সিকিউরিটি, ভেটো, অস্ত্র, জঙ্গী, লুটেরা, লম্পট - এসব সত্য অতীতের কৃষ্ণগহ্বরে চ'লে যায়, যদি সত্যিই কোনদিন 'গোলাপের তোড়া হাতে কুচকাওয়াজ' হয়, সেই দিন, সেইই দিন, আমরা পৃথিবীর বিজয় দিবস, সকল মানুষের বিজয় দিবস মেনে নেব। এবং সেই দিন‌ই হবে নিখিল বিশ্বের যথার্থ স্বাধীনতা দিবস। প্রকৃত বিজয় দিবস।

সমস্যা হল, দেশপ্রেমে নেশাটি যেমন জমে ওঠে, বিশ্বপ্রেমে সেটি হয় না। সে বড়ো দূরারোহ স্বপ্ন। অনন্তের অপেক্ষা। স্বপ্নের‌ও তো খাঁচা থাকে। বেড়া থাকে। বেড়ি থাকে। সে‌ও তো স্বাধীন নয়।

আমি আমার স্বাধীনতা চাই, আমি আমার বিজয় চাই। আমিই আমার স্বাধীনতার ঘোষক, আমিই আমার বিজয়ের সেনাপতি। আমি মানুষের স্বাধীনতা চাই, সব মানুষের বিজয় দেখতে চাই। আমি পৃথিবীর নাগরিক। পৃথিবী আমার বাড়ি, পৃথিবী আমার দেশ। আমি পৃথিবীর মালিক।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইজান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজকে যত লেখালেখি পড়েছি তাদের মধ্যে সবচাইতে ভালো লেগেছে মুনতাসির মামুন স্যারের আজকে আনন্দবাজারে প্রকাশিত লেখাটি-
ভাইজান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজকে যত লেখালেখি পড়েছি তাদের মধ্যে সবচাইতে ভালো লেগেছে মুনতাসির মামুন স্যারের আজকে আনন্দবাজারে প্রকাশিত লেখাটি-

বিজয় দিবসে শুভেচ্ছা আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি বীর শহীদদের..

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: মুনতাসীর মামুনের লেখা আমি পড়িনা। তার এবং তার পরিবারের সাথে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। ওনার নিজের লেখা একটা বই থেকে কিছু অংশ হুবহু তুলে দিচ্ছিঃ-


“… আমাদের পাড়াটি ছিল বিহারি ও বাঙালির মিশ্র পাড়া। সকালে, বিভিন্ন জনের কাছে থেকে জানা গেল যে, ঢাকায় গন্ডগোল হচ্ছে, কার্ফু জারি করা হয়েছে। আমরা আসলে ঢাকার খবর থেকে তখন ব্যস্ত মিরপুরের খবরে। কারণ, খবর পাওয়া গেল বিহারিরা দাঙ্গা শুরু করেছে।
খুব সম্ভবত: ঊনত্রিশে মার্চ পর্যন্ত আমরা পল্লবীতে আটকে ছিলাম। ঢাকা, বাংলাদেশের কোন খবরই আমরা পাইনি। বিহারিরা বাঙালিদের একেকটি পাড়া লুট করে এগুচ্ছে। রাতে মিলিটারি টহল দিচ্ছে। কয়েকটি বাঙালি পরিবার তখন একত্র হয়ে ঠিক করলো পাড়ার তিন তলা বাড়িটা (বাঙালির) নিরাপদ। বাড়ির মালিকের পরামর্শে আশপাশের বাসার মহিলা ও শিশুরা রাতে সেখানে চলে যেতেন।পুরুষরা থাকতেন বাসায়। রাতে আমি আর আমার চাচা (বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর) ছাদে উঠে চারদিক বিপদ আঁচ করার চেষ্টা করতাম। প্রায় প্রতিরাতেই দেখতাম, এখানে সেখানে আগুনের শিখা লকলক করে উঠছে। রাস্তায় বুটের আওয়াজ পেলেই আমরা ছাদে শুয়ে পড়তাম।
সাতাশ তারিখের দিকে খুবসম্ভব বিহারি দাঙ্গাবাজরা এলো পল্লবীতে। আশপাশের প্রতিবেশীরা কিছু বাঙালিকে বাঁচালেন। মাথায় আমরা রুমাল বেঁধে নিলাম। এটি ছিল বিহারিত্বের চিহ্ন।

বিহারি প্রতিবেশীর বাড়িতে আমরা সাত আটটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছি। দু’তিনজন বিহারী ভদ্রলোক মাথায় রুমাল বেঁধে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে আছেন আর বাড়িটি ঘিরে ফেলেছে বাঙালিরা। তাদের দাবি এখানে বাঙালি আছে তাদের বের করে দিতে হবে। এরা বলছেন কেউ নেই। একটি ঘরে আশ্রয় নেয়া আমাদের জন বিশেকের মুখে কথা নেই।
দুপুরের পর দাঙ্গাকারীরা গেলো। যে ক’জন বিহারী প্রতিবেশী আশ্রয় দিয়েছিলেন তারা বললেন, আর বোধ হয় আমাদের রক্ষা করা যাবে না। কয়েকটি পরিবার বিকেলেই পেছনের গ্রামের দিকে চলে গেলেন।

এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমি ছিলাম ঢাকা শহরে। সে সময়কার অবরুদ্ধ শহরের চিত্র অনেকেই তুলে ধরেছেন। আজ এতো বছর পরও যখন ঐ সময়ের কথা ভাবি তখন অবাক হয়ে যাই। কিভাবে আমরা বেঁচে ছিলাম তখন। রাস্তায় রাস্তায় হিংস্র হানাদার বাহিনীর টহল। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলো মিলিশিয়া যাদের পরনে থাকতো ঢোলা পাজামা কামিজ বা ফুলহাতা শার্ট। আজও অনেক বাঙ্গালি যখন ঐ পোশাক পরে ঘুরে বেড়ায় তখন মনে হয় ৭১ ফিরে এলো নাকি?

ধানমন্ডিতে একটি বাসা নিয়ে আমরা থিতু হলাম। একটি ডান্ডি কার্ড বা আইডেনটিটি কার্ড থাকতো। আমার ছিল ইলেকট্রিশিয়ানের। কারণ, রাস্তায় ধরে হানাদাররা ‘ডান্ডি কার্ড’ চাইতো। তরুণ দেখলে হাতের কনুই আর হাঁটু পরীক্ষা করতো।
এরই মধ্যে শাহরিয়ার জানালো সে সীমান্ত পেরুচ্ছে। আমিও যেতে চাইলাম। আমার চাচা রাজী হলেন না। কারণ, আমি তার দায়িত্বে, আমার বাবা-মা চাঁটগায়, যোগাযোগ হয়নি তখনও। মনে আছে ভারী মুষড়ে পড়েছিলাম তখন। তিনি বলেছিলেন, সবাইকে চলে যেতে হবে এমন কোন মানে নেই। এখান থেকেই কাজ করার সুযোগ পাবে।

বিজয়ের মূহুর্তে আমি ছিলাম চাঁটগায়। আমাদের বাসা ছিল সল্টগোলা বন্দর আবাসিক এলাকায়। ঘরের বারান্দা থেকে দেখা যায় জাহাজের মাস্তুল। ভারতীয় বিমান বাহিনী যখন চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণ শুরু করে সেদিন থেকেই অনুভব করি মুক্তি আসন্ন। চট্টগ্রাম বন্দরের চারপাশে ও ভেতরে তখন সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আলবদরের উপস্থিত প্রবল। আমরা একরকম বন্দী জীবনই যাপন করি। বিমান হামলার দিন থেকে শুনতে পাই, রাজাকার আলবদরদের উপস্থিতি বাড়ছে, হত্যাকান্ড শুরু হতে পারে যে কোন মূহুর্তে। কলোনির সবাই আস্তে আস্তে বাসা ছেড়ে চলে যেতে লাগলো এর মধ্যে বিমান আক্রমণ জোরদার করা হয়েছে। বারান্দা থেকে দেখি বিমানের বোমাবর্ষণ আর বিমান বিধ্বংসী কামানের গোলার ফুলঝুরি।

আমরা সারাদিন রেডিওর সামনে বসে থাকি। রাতে প্ল্যানচেট করি। স্বাধীনতা আসবে কবে? শেখ মুজিব ফিরবেন কবে? বেতারে পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হচ্ছে। তারা মানছে না। অস্থির বোধ করি। সারা দেশের কোন খবর জানিনা। রাতে বা দিনে বিমান আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করি। প্রথম দিন, সবাই ট্রেন্চে আশ্রয় নিয়েছিলাম। পরে দেখি, এ আক্রমণের নির্দিষ্ট লক্ষ্য বস্তু আছে। তখন আমরা নদীর তীরে বসে বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিমান হামলা দেখি। এভাবে নিরাপদে এতো কাছ থেকে যুদ্ধ দেখা বোধহয় আর সম্ভব হবে না॥”


– মুনতাসীর মামুন / সেই সব দিন [সময় প্রকাশন – ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৭ । পৃ: ৩৫-৪১ ]

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক সময় জাতীয়তাবাদ উগ্র জাতীয়তাবাদে পরিনত হয়। আবার আমাদের জাতির সমস্যা হল আমরা অন্য জাতিকে দেবতা মনে করি। জাতীয়তার ক্ষেত্রে কোন কারণে আমাদের মধ্যে হীনমন্যতা বেশী।

আন্তর্জাতিক নাগরিক হওয়ার চেষ্টা করা উচিত সবার।

বাংলাদেশের বেশ কয়েক বছর আগে এক লোক ভিসা মুক্ত বিশ্ব আন্দোলনের পক্ষে দেয়ালে দেয়ালে লিখে বেড়াতো। উনি কি কোন উন্নত দেশের ভিসা পেয়ে গেলেন কি না জানি না। এখন আর সেই লেখা দেখা যায় না।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: নিঃসন্দেহে জাতীয়বাদ অনেকটাই উগ্রবাদিতা। আবার সাম্যের নামে হয় অরাজকতা। সাম্যবাদের প্রবক্তারা নিজেদের মনে করে সব জান্তা- সমস্যা সব ক্ষেত্রেই।

ডিসেম্বর জুড়ে বিজয় দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, আলোচনা সভায় সুটেট বুটেড "বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা" এবং সুধী জনের গুরুগম্ভীর বক্তব্য আর পত্রিকায় লেখালেখি পড়ে 'কার হাসি কে হাসে' নামের একটা সিনেমার কথা মনে পড়লো।
'কার হাসি কে হাসে'- মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ১৯৭৪ সনে নির্মাণ করেছিলেন আনন্দ। ছবির নির্মাণশৈলীতে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও তখনকার প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছিল সেই সিনেমায়.....।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক শ বছর আগেই বলে গেছেন: "যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে,/পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।"- (গীতাঞ্জলি: ‘অপমানিত’)

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বাংলাদেশের বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবস কোনটি সেটি নিয়ে অনেকেই দেখি প্যাঁচ লাগিয়ে ফেলে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এর অর্থ হচ্ছে- আমরা আমাদের বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, তথা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে সচেতণ নই।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩৭

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আন্তর্জাতিকতা ভালো লাগে, হতো EU তে এর কিছুটা প্রয়োগ আছে। একটা হ্যাপথেটিক্যাল প্রশ্ন, সবকিছু সমান হলে দ্বন্দ্ববাদের কি পতন হবে?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: সবকিছু সমান হলে নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হবে এবং আরও বেশী সমস্যার সৃষ্টি হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.