নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
অপ্রিয় সত্য কথা ....
লেখাটা পড়ে অনেকেই বিরক্ত হতে পারেন, লিখতেই যেখানে আমার অস্বস্তি হচ্ছে- সেখানে বিরক্ত এবং অস্বস্তি দুটোই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবতাকে অস্বীকার কারার সুযোগ নাই।
মুক্তিযুদ্ধের আট মাসের বেশী সময় আমি মুক্তিযুদ্ধের নয় নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর হেড কোয়ার্টার সদর দপ্তরে ছিলাম। আমার কাজ ছিলো- সদর দপ্তরে আগত রিক্রুট মুক্তিযোদ্ধাদের এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এবং ছকবাধা কিছু তথ্য তালিকাভুক্ত করা। এছাড়াও আমার সৌভাগ্য, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের নির্দেশে সদর দপ্তরের পাশাপাশি মঠবাড়িয়া, কাঠালিয়া, রাজাপুর, বেতাগী, বাকেরগঞ্জ থানার প্রত্যন্ত এলাকায় অসংখ্য বার যেতে হয়েছে। কৌশলগত কারণে নয় নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর হেড কোয়ার্টার সদর দপ্তর বর্তমান বরগুনা জেলার বামনা থানাধীন বুকাবুনিয়া, চালতা বুনিয়া, সিংড়াবুনিয়া এবং মঠাবাডিয়া থানাধীন দাউদখালী, মিরুখালী ইউনিয়ন জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। নতুন রিক্রুট মুক্তি যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হতো ইন্ডিয়া, আবার ইন্ডিয়া থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে এসে এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা চলে যেতেন। উল্লেখিত এলাকায় সব সময় গড়ে এক হাজারের বেশী মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান করতেন। যেহেতু বেশীরভাগ সময়ই আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ করতাম- তাই তাদের সম্পর্কে একটা ধারণা আমার তৈরী হয়েছিলো.........
পায়ে হাটা এবং নৌকা যোগাযোগ ছাড়া অন্যকোন যাতায়াতের মাধ্যমহীন বিচ্ছিন্ন অজপাড়াগাঁ এলাকায় এতো মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন এবং খাওয়া দাওয়া ছাড়াও নুন্যতম কাপড় চোপড়ের যোগান দেওয়া ছিলো এক মহাযজ্ঞ। বামনা এবং মঠবাড়িয়া থানা সংখ্যালঘু হিন্দু অধ্যসিত এলাকা হলেও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র। অথচ, এমন কোনো মুসলমান পরিবার ছিলো না, যে পরিবারের সক্ষম একজন কিম্বা একাধিক সদস্য কোনো না কোনো ভাবে মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। হিন্দুধর্মাবলম্বী কিশোর যুবক এবং বয়স্করা মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে তারা চুটিয়ে ব্যবসা করেছে....হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার সহ সকল প্রকার প্রয়োজনীয় পণ্য সাপ্লাই দিয়ে। এরা টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নৌকায় করে সীমান্ত এলাকা পাড়ি দিয়ে ইন্ডিয়া পৌঁছে দিতেন এবং নিয়ে আসতেন- সেটাও কম ঝুঁকিপূর্ণ ছিলোনা।
বর্তমান ঝালকাঠি জেলার সদরের বাসন্ডা ইউনিয়নে ৩০% এবং স্বরুপকাঠী থানাধীন আটঘর কুড়িআনা এলাকায় ৮০% জনসংখ্যাই হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও সেখানকার হিন্দুদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ১০ ভাগের বেশী ছিলো না। বাকেরগঞ্জ থানায় হিন্দু এবং খৃষ্টান ধর্মালম্বীদের সংখ্যা ৩০% হলেও হিন্দুদের মধ্যে ৫% মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেও আমার জানা মতে খৃষ্টানদের মধ্যে কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেনি। আমাদের বৃহত্তর যৌথ পরিবারের সাথে এবং ব্যক্তিগত ভাবে আমার অসংখ্য সনাতনধর্মী এবং খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী পরিবারের মধ্যে দুইজন সনাতনধর্মী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এবং দুইজন শহীদ হয়েছেন।
এই পর্যবেক্ষণ একান্তই আমার নিজের হলেও, সততা থাকলে অনেকেই স্বীকার করবেন।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ জানাই আপনার উদার মানসিকতার জন্য। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা আমাদের সঠিক ইতিহাস মেনে নিতে পারিনা বরং ফ্যাক্টরী মেড ইতিহাসকে প্রধান্য দেই।
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৫
বাকপ্রবাস বলেছেন: তাদের কম অংশগ্রহণ এর কারণ কী হতে পারে
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: কারণ, "গা বাঁচিয়ে চলা"!
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্যে।
আগুণডানা আপু কিছুদিন চমৎকার ধারাবাহিক ভাবে অভিজ্ঞতা লিখেছিলেন।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের উপর যেকোনো লেখা আমি মনোযোগ দিয়ে পড়ি। আগুণডানা আপুর লেখা কোনো পোস্ট আমার পড়ার সুযোগ হয়নি। যদি সম্ভব হয় তাহলে ওনার আইডি লিংক দিতে অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: আপনারা যারা সরাসরি সংযুক্ত ছিলেন তাদের কথাই সত্যিকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। সম্মান সহকারে আপনার দীর্ঘায়ুর দোয়া করছি।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আরো লেখার অপেক্ষায় রইলাম...
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: দেখা যাক...... আশা করি সাথেই থাকবেন।
৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: প্রথমত সুন্দর ও সমৃদ্ধ লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বাড়িতে প্রায় তিন গ্রামের হিন্দুরা ছিল। তখন গামের বাড়ি বিশাল ছিল। হিন্দু মা বোনদেরকে আমার মা পরম যতনে আগলে রেখেছিল। ভাই গাছ গাছালির মধ্যে বড় বড় গর্ত করেছিলেন। তাতে হিন্দু মুসলমানরা লুকিয়ে থাকতো। কিন্তু আমাদের এলাকায় কোন হিন্দু মুক্তিযুদ্ধ করেছে এমনটা শুনি নাই।
বড় হয়ে পরে জেনেছিলাম যে হিন্দুরা ভয়ে ছিল--তারা অনেকে ভারতে লুকিয়ে গিয়েছে। আবার অনেকে আত্মগোপন করেছে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে আমি আমার দেখার হুবহু মিল পেয়েছি। সেই সাথে বিপরীত চিত্রও দেখেছি। যে বা যারা হিন্দুদের আশ্রয় দিয়ে জান-মাল, ইজ্জত রক্ষা করতে দ্বিধা করেনি....দেশ স্বাধীন হবার পর কতিপয় হিন্দুরা লোভের বশবর্তী হয়ে সেই আশ্রয়দাতা পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে....
৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
১নং সেক্টরে ( ফেনী থেকে কক্সবাজার ) হিন্দু সম্প্রদায়ের তরুণ ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য হারে মুক্তিযু্দ্ধে অংশ নিয়েছিলো; আপনি যেই এলাকার কথা লিখেছেন, সেখানে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কে সমস্যা ছিলো বলে মনে হচ্ছে।
আপনি লিখেছেন, আপনাদের এলাকায় মাসে গড়ে ১০০০ মানুষ যুদ্ধে যোগদান করেছেন; সর্বমোট কি পরিমাণ মানুষ সেই এলাকায় যুদ্ধ করেছিলেন?"
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার মনে হয়নি উল্লেখিত এলাকায় হিন্দু-মুসলিমদের সম্পর্কে সমস্যা ছিলো। আপনি বলেছেন - আপনি লিখেছেন, আপনাদের এলাকায় মাসে গড়ে ১০০০ মানুষ যুদ্ধে যোগদান করেছেন; সর্বমোট কি পরিমাণ মানুষ সেই এলাকায় যুদ্ধ করেছিলেন?"
আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে কিম্বা অনিচ্ছাকৃত ভাবেই আমার বক্তব্য টুইস্ট করেছেন.... আমি লিখেছি- নতুন রিক্রুট মুক্তি যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হতো ইন্ডিয়া, আবার ইন্ডিয়া থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে এসে এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা চলে যেতেন। উল্লেখিত এলাকায় সব সময় গড়ে এক হাজারের বেশী মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান করতেন।
সাব সেক্টর হেড কোয়ার্টার সদর দপ্তর ছিলো মূলত একটা হাব, যেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তি যোদ্ধারা এসে জমায়েত হতেন এবং কমান্ডারের নির্দেশনা মোতাবেক দেশের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধের জন্য চলে যেতেন। অনেকটা দূর্গম এলাকা বলেই সদর দপ্তর এলাকায় কখনও পাক সেনাদের দ্বারা অপারেশন হয়নি এবং রাজাকার পুলিশ বাহিনীর লোকেরাও মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ে কাছাকাছি আসেনি।
৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ আমরা দেখি নাই সত্য জেনে সঠিক ইতিহাস মনে রাখতে চাই। তবে এইসব লিখা এখন খুব কঠিন। ধন্যবাদ আপনাকে ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যিই এই লেখা খুবই কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ!
ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৪
নীল আকাশ বলেছেন: এদের খুব কম সংখ্যকই আদতে বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করে। অথচ যুদ্ধে অংশ না নেয়া এদেরকেই এখন সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী মনে হয়। এদের গলাবাজির ঠেলায় ৫% কেই ৯০% মনে হয়।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: “যার হাতে আমার প্রাণ ... সপ্ত যমীনের নীচেও যা আছে তারও মালিক তিনি"!
১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: আপনি যে এলাকার কথা বলছেন সেই এলাকার মাঝে অর্থাৎ পিয়ারা বাগান এলাকাক,আটঘর কুরিয়ানা ভিমরুলি এলাকায় আমি ছয়মাস যুদ্ধ করেছি।আমার কলেজের লেখাপড়া তখন শেষ।আমাদের সাথে শশাঙ্ক পাল যে গুনের এবং আবুল হাসানের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল।ফনীদা,মনিদা এবং আরো ১০/১২ জন হিন্দু ছিল।৭/৮ জন নারী হিন্দু মুক্তি যোদ্ধা ছিলো।আমরা ছয় মাস এলাকাটা স্বাধীন রেখে ছিলাম বরিশাল আর্মি যাবার পরেও।তাদের দেশপ্রেম কোন অংশে কম ছিলনা।বরং বেশিই ছিলো।কারনো ছিলো।পাকিস্তানীদের দ্বারা তারা বেশি শোষিত ছিল।যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে কোন হিন্দু পাক আর্মির কাছে ধরা পড়লে তাকে হত্যা করা হতো কিন্তু মুসলমান প্রমান করতে পারলে অনেকে ছাড়া পেতো।তারা প্রথমেই বলতো কলেমা জানে কিনা।পরে কলেমা জানলেও কাপড় খুলে পরীক্ষা করতো।এসব কথাতো সবাই জানে,আপনি ছাড়া।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আটঘর কুড়িয়ানা পেয়ারা বাগান এলাকাটা প্রকৃত পক্ষেই গেরিলা যুদ্ধের জন্য মোক্ষম স্থান ছিলো। কিন্তু এক পর্যায়ে শর্ষেনা মাদ্রাসার কয়েক হাজার ছাত্রদের দ্বারা কয়েক হাজার একর পেয়ারা বাগার কেটে ছাপ করে ফেলা হয়েছিলো- ফলত মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় স্থান অনিরাপদ হয়ে যায়।
কবি আবুল হাসান আমার ফুফাতো ভাই- যাকে নিয়ে আমার একাধিক পোস্ট আছে....
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আগষ্ট মাসের মাঝামাঝি আটঘর কুড়িআনা দুইবার গিয়েছিলাম। নিশ্চয়ই আপনার মনে আছে- তখন 'চামটা নেয়ামতি' এবং 'পাদ্রি শীবপুর' নামক এলাকার দুটি জল থানা/ নৌ থানা(নদীতে ভাসমান জাহাজে থানা) মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে আক্রমন করে ৩০/৩৫ জন পুলিশ এবং কয়েকশো রাজাকার বন্দী করেছিলো। বিপুল অস্র হস্তগত করেছিলো- যা নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো আটঘর কুড়িয়ানা ক্যাম্পে। অভিযান শেষে ক্যাপ্টেন মেহেদী আলী ঈমাম(পরবর্তীতে মেজর এবং বীর বিক্রম) আটঘর কুড়িয়ানা গিয়েছিলেন- আমিও তাঁর সংগী ছিলাম। ওখানে থাকা অবস্থায় হঠাত করে উপস্থিত হন সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাজাহান ওমর(পরবর্তীতে মেজর এবং বীর উত্তম)। তখন বেশ কয়েকজন নারী মুক্তিযোদ্ধার সাথে পরিচয় হয়েছিলো। যারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৮
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আপনি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, এখান থেকে কোন উপসংহারে যাওয়া যায় না, ঠিকও নয়। আপনি গর্বিত ইতিহাসের অংশ। সেই দিনগুলো নিয়ে আরো লিখুন তা যতোই অপ্রিয় হোক।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: না উপসংহারে যাওয়া উচিতও হবেনা। স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রক্কালে দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে খুব নগণ্য সংখ্যক লোক ছাড়া সবাই কোনো না কোনো ভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছিলো বলেই আমরা মাত্র নয় মাসে বিজয় অর্জন করেছিলাম।
১২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ যেমন আপনার মনো মতই তেমনি আমার কমেন্টিও আমার মতই। আমার যেটা মনে হয়েছে। একটা পার্সেন্টেজ যারা সংখ্যালঘু হয়েও মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছে তারা দেশকে দেশ মাতৃকার হিসেবে ভাবতে পেরেছে। বেশিরভাগেরই দেশমাতৃকার প্রতি একটু কমটান থাকে। যেহেতু ও দেশের সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় বাড়ি ইন্ডিয়া। কাজেই ওনাদের ধারনা যেনতেন প্রকারে ভারতে যেতে পারলেই শান্তি। আর এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ মেতে নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করতে হবে না। কিন্তু সংখ্যাগুরুদের কাছে তো তেমন কোন অপশন নাই কাজেই তাদের লড়াই করা ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: সুযোগ থাকা সত্বেও যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণে অনিহা দেখিয়েছেন এবং সংখ্যাগুরুদের সম্পর্কে আপনার উপব্ধি সঠিক।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সত্য কথা অপ্রিয় হলেও সুন্দর।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুসলমান মুক্তিযোদ্ধাদের ঝুকি ছিল আরও বেশী। কারণ মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার কারণে তাদের অনেকের পরিবারের উপর ভয়ানক নির্যাতন করেছে রাজাকার এবং পাকসেনারা। হিন্দুদের একটা বড় অংশ ভারত চলে গিয়েছিলো। তাই হিন্দু যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার ক্ষেত্রে পিছুটান কম থাকার কথা ছিল। অপ্রিয় হলেও ব্যাপারটা ভাবায় আমাদের। নির্যাতন হিন্দুদের উপরই বেশী হয়েছে। তাই মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার প্রয়োজন তারা আরও বেশী অনুভব করার কথা। তবে আশানুরূপ না হলেও অবশ্যই হিন্দু মুক্তিযোদ্ধাও ছিল মুক্তিবাহিনীতে। সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের হাতে নেই তাই কাউকে দোষারোপ করা যাবে না।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি অবশ্যই দোষারপ করছিনা, আমি আমার চোখে দেখা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। নিঃসন্দেহে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের স্বজনরা পাক-হানাদারদের অন্যতম রোষানলের শিকার হয়েছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা বা তাদের সাথে জড়িত রা যত বেশী লিখবেন, সঠিক তথ্য দিবেন তত বেশী ইতিহাস উন্মোচিত হবে তা প্রিয় হোক বা অপ্রিয় হোক...