![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শ্লোগান কোলাজঃ
* ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’
* ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’
* ‘নাটক কম করো পিও।’
* ‘জন্মভূমি অথবা মৃত্যু।’
* 'পানি লাগবে পানি?'
* 'আওয়াজ উডা, কথা ক'
* '‘শোনো মহাজন, আমি নই তো এক জন। আমরা অনেক জন।’
* ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’,
* "পুলিশ কোন চ্যাটের বাল"
* "ঘুষ চাইলেই ঘুষি"
১৬ থেকে ১৮ জুলাই বেগবান হতে থাকা আন্দোলনের সময় চাউর হয়, দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। অবস্থান নিয়েছেন ভারতে। পরদিনই অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে দম্ভের সঙ্গে হাসিনা বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালায় না।’ তারপরই
* "শেখ হাসিনা পালায় না, শেখ হাসিনা পালাইছে"
ওবায়দুল কাদের জাতীয় নির্বাচনের আগে এক জনসভায় শেখ হাসিনার প্রশংসায় বলেছিলেন,
* "শি হ্যাজ মেড আস স্ট্যান্ড টলার।"
সেই বক্তব্যে ভুল ইংরেজিতে আরও কিছু কথা বলেন কাদের।
* "শি হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই ফাস্টার।"
ওবায়দুল কাদেরের আরেকটি বক্তব্য "পালাব না…প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাড়িতে যাব।"
আওয়ামী লীগের পতনের পর সেটি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
* "পালাব না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাড়িতে যাব"
* "বিকল্প কে? আমি, তুমি, আমরা"
* "রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয়"
* '‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’'
* '‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’',
* '‘যে হাত গুলি করে, সে হাত ভেঙে দাও’',
* "অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’'
* "আমার ভাই কবরে, খুনিরা কেন বাইরে"
* "আমার ভাই জেলে কেন"
* "গুলি করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’',
* "জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস"
* "জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো"
* "দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত'’,
* '‘অনাস্থা অনাস্থা, স্বৈরতন্ত্রে অনাস্থা’'
* '‘চেয়ে দেখ এই চোখের আগুন, এই ফাগুনেই হবে দ্বিগুণ'’,
* '‘তবে তাই হোক বেশ, জনগণই দেখে নিক এর শেষ’', * * "আমরা আম-জনতা, কম বুঝি ক্ষমতা'’,
* ‘'তোমারে বধিবে যে গোকূলে বাড়িছে সে'’,
* ''হাল ছেড় না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড় জোরে'’,
* "ফাইট ফর ইওর রাইটস’, ‘নিউটন বোমা বোঝো মানুষ বোঝো না’'।
আরও ছিল আঞ্চলিক স্লোগান, ‘আঁর ন হাঁইয়্যে, বৌতদিন হাঁইয়্য’ (আর খেয়ো না, অনেক দিন খেয়েছ) এবং ছিল হাসির খোরাক জোগানো—
* ‘'মুরুব্বি মুরুব্বি, উঁহু উঁহু’',
* "যার যার অবস্থান থেকে পালাও'’।
সব শেষে "আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ"- হ্যা, আবু সাঈদ, মুগ্ধরা যে যুদ্ধ শুরু করে গিয়েছে সেই যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া রাষ্ট্র সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রোপিত গাছ, ডাল, শাখা-প্রশাখা, শেকড় সমূলে উৎপাঠন না করা পর্যন্ত এই যুদ্ধ শেষ হবে না।
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এইসব শ্লোগান ইতিহাসের অংশ।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইদ মোবারক !
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ইদ নয় ঈদ মোবারক।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৪১
এভো বলেছেন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বলা হয় BAL তাহলে আওয়ামী লীগ বিরুধীরা হবে
ABAL = Anti BAL তারমানে আবাল ।
মোট কথা সমস্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিরুধীরা হোল আবাল ।
বাল রা হোল ভারতের দালাল সংক্ষেপে ভাদা
তাহোলে আওয়ামী লীগের লোকরা হোল বাল ভাদা
একই ভাবে আবাল রা হোল পাকি দালাল সংক্ষেপে পাদা
তাহলে এন্টি আওয়ামী লীগরা হোল আবাল পাদা
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০২
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আরো কিছু স্লোগান ছিল:
৫ তারিখে-
* "ছি! ছি! হাসিনা লজ্জায় বাঁচিনা"।
* "পালাইছেরে! পালাইছে! শেখ হাসিনা পালাইছে"!
* "মোদির ও বউ নাই, শেখ হাসিনার জামাই নাই"!
* "দিল্লি না ঢাকা?? ঢাকা ঢাকা"
আন্দোলন চলাকালে-
*"পুলিশ ছাড়া মাঠে নাম, ভুলিয়ে দেব বাপের নাম"
* "কোটা না মেধা, মেধা মেধা"
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার উল্লেখ্য শ্লোগান গুলো এড করে দেবো।
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: যেই বলুক রাজাকার রাজাকারই।
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: রাজাকার আর ভাকুর মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই।
৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৫৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো অনলাইনে এ্যাকটিভ এমন কি সামুতেও।
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই। এর মধ্যে গত পনেরো বছর যাবত যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলো এবং ৫ আগস্টের পর অতি বিপ্লবী সেজে কিছুদিন নসিহত করেছিলো তারা আবারও সেই খান্দানী বজ্জাৎ চরিত্রে আবির্ভূত হয়েছে।
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৪৪
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো অনলাইনে এ্যাকটিভ এমন কি সামুতেও। কিছু বাকশালী, স্বৈরাচার, ভারতের পা চাটা, পলাতক দেশপ্রেমিকদের জ্বলে পুড়ে মরার গন্ধ পাচ্ছি।
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:০১
Sulaiman hossain বলেছেন: স্লোগান গুলো খুবই আন্তরিক। আর অন্তর থেকে যা কিছু বের হয় তা ক্রিয়াশীল হয়।হাসিনা ম্যাডামের অন্তরেও শ্লোগানগুলো ক্রিয়া করেছিল
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই। মজার ব্যাপার, সব শ্লোগান তৈরী হয়েছিল ইনস্ট্যান্ট, পরিস্থিতির ডিমান্ড অনুযায়ী।
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:১৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: কিছু বাকশালী, স্বৈরাচার, ভারতের পা চাটা, পলাতক দেশপ্রেমিকদের জ্বলে পুড়ে মরার গন্ধ পাচ্ছি।
ব্লগে তেমনই একজন ৬ই আগস্টের পর থেকে পা-চাটা জাতীয় লিখা বন্ধ করে দিলেও তার নেত্রী বিরোধী লিখায় মন্তব্য করা বন্ধ করে নি। অধ্যাপক ইউনূস স্যারের সমালোচনায় সে সবার আগে। এর র্নিলজ্জ্ব, বেহায়া ও জাতীয় দুশমন।
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ওই বেহায়াটাকে চিনতে পেরেছি.... তার সহযোগী একজন কয়েক দিন আগে আমার একটা কপি পোস্ট পড়ে আমার সম্পর্কে তাজ্জব বনে যাওয়া মন্তব্য করেছিলেন। আবার তিনিই ফেসবুকে তেমন একটা গুজব পোস্ট শেয়ার করায় আমি মূল সংবাদ তুলে ধারায় তার পোস্ট সরিয়ে নিয়েছেন। আমরা অনেকেই দেখেছি তাকে গত দশ বছর ফ্যাসিবাদের দোসর হিসাবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তিনি প্রচুর পরিমাণে ফ্যাসিস্ট বিরোধী হলেও মাঝেমধ্যে তার অরিজিন প্রকাশ করে ফেলেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শ্লোগানগুলোর একটি সংকলন দেখিয়েছেন পোস্টে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংঘাত ও জনগণের ক্ষোভের প্রতিফলন। শ্লোগানগুলোকে শুধু হাসি-ঠাট্টা বা বিদ্রূপের চোখে দেখা উচিত নয়—এগুলো ছিল একটি গণআন্দোলনের আবেগ, আকাঙ্ক্ষা ও প্রতিবাদের ভাষা।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে - শ্লোগানগুলোতে স্বৈরাচারবিরোধী চেতনা, ন্যায়বিচারের দাবি ও জনগণের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। আন্দোলনকারীদের অনেকেই রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, যা কোনো হালকা বিষয় নয়। রাজনৈতিক সংকটের সমাধান কেবল শ্লোগান বা প্রতিবাদে নয়, বরং গঠনমূলক সংলাপ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্ভব।
শ্লোগানগুলো শুধু শব্দ/ কথার খেলা নয়, এগুলো ছিল একটি প্রজন্মের হতাশা ও প্রত্যাশার প্রতিধ্বনি। শুধু আবেগ দিয়ে রাষ্ট্র চালানো যায় না—গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের জন্য প্রয়োজন স্থিতিশীলতা ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব। আশা করি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কোনো অন্ধকার অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি না করে গণতন্ত্র ও শান্তির পথে এগিয়ে যাবে।