![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আজ ৯ জুলাই, ২০২৫, সকাল ১১:৩০-১২:৪৫ পর্যন্ত United for the victims of Enforced Disappearances (UVED) এর সাথে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি'র চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য ডক্টর নাবিলা ইদ্রিস, নুর খান, সাজ্জাদ হুসাইন সাহেবের সাথে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি' অফিস ৯৬, গুলশান এভিনিউ, ঢাকা অফিসে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
UVED এর পক্ষে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি'র মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি নিম্ন বর্নিত আহবান জানানো হয়েছেঃ-
★ সংবিধান ও মানবাধিকার পরিপন্থী Anti-Terrorism (Amendment) Act 2009 ( amended 2012, 2013) এ অভিযুক্ত যে সব ব্যক্তিদের বিভিন্ন দন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে এবং যারা কনডেম সেলে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন তাঁদের সকলকে এই মানবতাবিরোধী সাজা থেকে অবিলম্বে খালাস দিতে হবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন থেকে মৃত্যুদন্ডের বিধানটি চিরতরে বাতিল করতে হবে।
★ The Special Powers Act, 1974: এই আইন দিয়ে গুম, হত্যাকে বৈধতা দেওয়া হয়ছে এবং এর কারণে এই আইনটাকে নিকৃষ্টতম কালো আইন ও বলা হয়ে থাকে। তাই দমন-পীড়ন ও নিবর্তনমূলক কালো আইনর বিধানটি চিরতরে বাতিলের জন্য জোর দাবি করা হচ্ছে।
★ সকল নিবর্তনমূলক আইন বাতিল করতে হবে এবং ৫৪ ধারা সংশোধন অথবা বাতিল করতে হবে।
★ বাংলাদেশ সরকারকে "নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন" এর বাস্তবায়ন করতে হবে এবং জাতিসংঘের Convention Against Torture এর Optional Protocol অনুস্বাক্ষর করতে হবে।
★ সংবিধান ও মানবাধিকার পরিপন্থী Anti-Terrorism (Amendment) Act 2009 (amended 2012, 2013) এ অভিযুক্ত যে সব ব্যক্তিদের মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে এবং যারা কনডেমড সেলে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন তাঁদের সকলকে এই মানবতাবিরোধী সাজা থেকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
★ ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের জন্য সুরক্ষা আইন করতে হবে। গুম বন্ধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আলোকে দেশীয় আইন অবিলম্বে তৈরী করতে হবে। সকল গুম এবং বিচার বর্হিভূত হত্যার বিচার ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দ্রুত একাধিক ট্রাইব্যূনাল স্থাপন করতে হবে।
★ গুম অবস্থা থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিরা (Surfaced Alive) এবং গুমের শিকার ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা প্রচন্ড মানসিক যন্ত্রণা, PTSD এর শিকার। রাষ্ট্রীয় ভাবে বিনামূল্যে তাঁদের চিকিৎসা প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি।
এই আইন কার্যকর করার জন্য গুম কমিশন চেয়ারম্যান ইনস্ট্যান্ট আইন উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অনুরোধ জানিয়েছেন)।
★ গুমের শিকার ব্যক্তি এবং তাঁদের পরিবারের সদ্যসদের পুনর্বাসন, আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা এবং বিনামূল্যে তাঁদের শিশুদের শিক্ষা প্রদান করা জরুরী এবং এইসব ব্যাপারে অবিলম্বে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ভুক্তভোগী পরিবারের উত্তরাধিকারদের উত্তরাধিকার আইন বাস্তাবায়ন করে তাদের সম্পত্তি ভোগ দখলের অধিকার অনতিবিলম্ব ফিরিয়ে দিতে হবে। (
★ ভুক্তভোগী সদস্য এবং তাদের পরিবার মনে, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসেম্বর ২০২৫ সালে 'গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি' কার্য সীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর গুমের ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারে। এমতাবস্থায় আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই, সরকারের মানবাধিকার সংস্থায় গুম কমিশনের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। একই সঙ্গে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সংস্থার শাখা অফিস স্থাপন করে ভুক্তভোগীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হোক।
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম, গুপ্ত হত্যা চিরতরে বন্ধ হয়ে সুশাসন, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক এই আমাদের প্রত্যাশা।
আলোচনায় UVED এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন UVED আহবায়ক মারুফ জামান Zaman M Zaman (সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং সচিব), সদস্য সচিব Humayun Kabir, সদস্য Iqbal Chowdhury Nasrin Jahan Smrity Mohammad Emran Hossain (মিডিয়া ব্যবস্থাপনা)।
১০ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: ন্যায়ের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি..... জাস্টিস না পেলেই মব জাস্টিস.....
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:২৩
কাঁউটাল বলেছেন: হাল ছাড়া যাবে না, লড়াই চালিয়ে যেতে হবে........