নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুলাই মিউজিয়াম.....

১৯ শে জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:২৯

জুলাই মিউজিয়াম.....

ছাত্র-জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতির স্মরণে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ১১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের জন্য স্মারক সংগ্রহ করতে আর্কাইভ ও কালেকশন টিম দেশজুড়ে কাজ করছে। দেশের কারও কাছে কোনো স্মৃতিস্মারক থাকলে তা জাদুঘরে পৌঁছানোর জন্য বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এই জাদুঘরের সংগ্রহশালা যেন জুলাইয়ে সংগঠিত ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করে দেয়, সে লক্ষ্যে সব ধরনের আয়োজন উপস্থাপনের নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাদুঘরটি উদ্বোধন করবেন। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের বিষয়টি সরাসরি মন্ত্রণালয় দেখভাল করছে।

গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে জুলাই আন্দোলনের স্থিরচিত্র, বিভিন্ন স্মারক, নানা উপকরণ, শহীদদের জামাকাপড়, চিঠি, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, ওই সময়ের পত্রিকার কাটিং, অডিও-ভিডিওসহ বিভিন্ন স্মৃতি স্মারক থাকবে। এছাড়া সেখানে বিশেষ স্থান পাচ্ছে স্বৈরাচার ও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ভিডিও চিত্রও। আরও থাকবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ষোলো বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ভিডিও চিত্র এবং ১৫ জন গুম নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির নির্যাতন নিপীড়ন এর সাক্ষাৎকার ভিত্তিক ভিডিওর সাথে অত্যাধুনিক সাউন্ড ইফেক্ট ইমেজ। ৫ আগস্ট এই ভিডিও একযোগে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় প্রচারিত হবে দেশের ৬৪ টি জেলা শহর ছাড়াও বিদেশে বাংলাদেশের সকল এম্বাসী/ মিশনে।

'গণভবন' হিসাবে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনকে রূপান্তর করা হয়েছে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর হিসাবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের ভূমিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে গণভবনকে জুলাই জাদুঘর করার প্রস্তাব করেন উপদেষ্টা পরিষদের ছাত্র প্রতিনিধিরা। এরপর গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পঞ্চম সভায় গণভবনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২ নভেম্বর গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ রূপান্তরের জন্য কমিটি ঘোষণার করা হয় হয়। এরপর ধাপে ধাপে ওই জাদুঘরের কাজ ত্বরান্বিত হয়েছে, যা উদ্বোধনের দোরগোড়ায়।

গণভবনের সীমানা প্রাচীরের কাজ কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। আবার কোথাও আগের অবস্থায় রাখা হয়েছে। ছাত্র-জনতার জনস্রোতে ৫ আগস্ট গণভবনে যে ভাঙচুর হয়েছে, তা আগের অবস্থায় রেখে দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য জায়গায় নতুন স্থাপত্য নকশায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু পূর্তকাজ করা হয়েছে।

গত বছর জুলাই-আগস্টে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরই গণভবনের ফটক আক্ষরিক অর্থেই খুলে গিয়েছিল। উল্লসিত জনতার মিছিল ঢুকে পড়ে গণভবনে। ভবনটির শোয়ার ঘর থেকে শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের অবাধ বিচরণক্ষেত্র ও উৎসবের কেন্দ্রে। তবে ৮ আগস্ট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গণভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের অনুমতি ছাড়া সেখানে কেউ প্রবেশ করতে পারে না।

গণভবনের জমির পরিমাণ ১৭ দশমিক ৬৮ একর অর্থাৎ, ৫৩ বিঘা। সেখানে দুই তলাবিশিষ্ট একটি ভবন এবং কর্মচারীদের জন্য একতলার কয়েকটি পাকা এবং সেমিপাকা স্ট্রাকচার ছিল। গত ১ জানুয়ারি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গণভবনের বরাদ্দ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে বুঝিয়ে দেয়। এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ গণভবনে নির্মাণাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের সার্বিক তত্ত্বাবধান করছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর ক্যাম্পাসটি ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীতে এক টুকরো সবুজ উদ্যান।অর্ধশত বিঘা জায়গাজুড়ে অবস্থিত ওই ক্যাম্পাসে রয়েছে- সবুজ লন, পুকুর, সব্জি খেতসহ নানা ধরনের ফলের বাগান। প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি হওয়া জুলাই স্মৃতি জাদুঘরটি নগরবাসীর সুস্থ বিনোদনেরও একটি জায়গা হবে। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার বীরত্বগাথা জানার পাশাপাশি তারা মনোরম পরিবেশও উপভোগ করতে পারবেন।

(উদ্বোধন এর এগে ছবি তোলা নিষিদ্ধ থাকায় ছবি তুলতে পারিনি)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.