নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আটদলীয় নতুন রসায়নঃ ভয়ংকর অস্থিরতার রাজনৈতিক প্রকৌশল....

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৫

আটদলীয় নতুন রসায়নঃ ভয়ংকর অস্থিরতার রাজনৈতিক প্রকৌশল....

আওয়ামী-জা-শি মিশ্রণের যে বিষাক্ত রাজনৈতিক রসায়ন আমরা অতীতে দেখেছি, তার চেয়েও ভয়ংকর একটি অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে নতুন আটদলীয় জোটে। কারণ এখানে আছে-
জামায়াত-নাগরিক পার্টির রক্ষণশীল রাজনৈতিক চরিত্র,
তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চরমোনাই পীরের দল, আর আছে মাওলানা মামুনুল হককে ঘিরে গড়ে ওঠা সরব ধর্মীয় রাজনৈতিক বলয়।

এই মিশ্রণটি যদি কোনো রাজনৈতিক প্রকল্পে রূপ নেয়, তাহলে সেটি আদর্শগতভাবে এতটাই বিপরীতধর্মী, এতটাই খণ্ডিত, এবং এতটাই অস্থির যে- বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন ধরনের বিশৃঙ্খলার জন্ম দিতে পারে।

(১) আদর্শগত অমিশ্রণ= ভবিষ্যৎ অস্থিরতার ব্লুপ্রিন্টঃ
এই জোটে একই টেবিলে বসছে যেসব শক্তি-
কারও লক্ষ্য রাজনৈতিক ইসলাম, কারও লক্ষ্য জাতীয়তাবাদ, কারও লক্ষ্য রাষ্ট্র কাঠামো ভাঙা বা বদলে ফেলা, আর কারও লক্ষ্য মূলধারার রাজনীতিকে ধর্মীয় উত্তেজনায় আটকে রাখা।

এত ভিন্ন এজেন্ডা যখন একটি ছাতার নিচে আসে, তখন সেটি কোনো সুসংগঠিত বিকল্প শক্তি তৈরি করে না; বরং জন্ম দেয় অস্থির জোট-রাজনীতির দৈত্যকে।

(২) রক্ষণশীলতার সঙ্গে উগ্রতার মিশ্রণ- অগ্নিসংযোগের রেসিপিঃ
যেসব শক্তির রাজনৈতিক শিকড়ে আছে-
জনমনে ধর্মীয় আবেগকে উত্তেজিত করার প্রবণতা।
অথবা সমাজে মতানৈক্যকে সংঘাতে রূপান্তর করার ইতিহাস, তাদের সঙ্গে যদি যুক্ত হয় রাজনৈতিকভাবে বৈরী রক্ষণশীল সংগঠনের এজেন্ডা- তাহলে সেখানে নীতি নয়, আবেগই হয়ে যায় চালিকা শক্তি।

এই ধরণের রাজনীতি কখনো রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল করে না; বরং সমাজকে বিভক্ত করে, রাজনীতিকে ধাক্কা দেয় সংঘর্ষের দিকে, আর তরুণ প্রজন্মকে ঠেলে দেয় চরমপন্থার ঝুঁকিতে।

(৩) জনগণের বিভ্রান্তিঃ গণতন্ত্রের ওপর নতুন আঘাত...
ভোটের মাঠে এমন জোট দাঁড়ালে সাধারণ ভোটার বুঝতেই পারবেন না-
তাদের ভোট দিয়ে কোন আদর্শকে শক্তিশালী করছেন?
কোন দিক বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যাবে?
রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ কোন দর্শনে পরিচালিত হবে?

রাজনৈতিক মতাদর্শের স্পষ্টতা না থাকলে গণতন্ত্র দুর্বল হয়, আর সেই শূন্যতা পূরণ করতে এগিয়ে আসে উগ্রতা, উত্তেজনা, আর ভয়ভীতির রাজনীতি।

(৪) এমন জোট ক্ষমতায় গেলে কী হয়ঃ
এমন জোট ক্ষমতায় গেলে- রাষ্ট্রনীতি প্রতিদিন গোত্তা খাবে,
সমাজে বিভাজন বাড়বে, রাজনীতিতে সৌহার্দ্য হারিয়ে যাবে। আর বাংলাদেশ প্রবেশ করবে আদর্শগত অস্থিরতার ঘূর্ণাবর্তে। এটি হবে এমন একটি রাজনৈতিক কম্বিনেশন, যেটি দেশের শাসনব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করার বদলে একটি অজানা বিপদের দরজা খুলে দিতে পারে।

উপসংহারঃ
আওয়ামী-জা-শি মিশ্রণ ছিল রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার এক দৃষ্টান্ত। কিন্তু জামায়াত-নাগরিক পার্টি-চরমোনাই-মামুনুল বলয়ের এই নতুন আটদলীয় রসায়ন বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরও গভীর ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। যা দেশকে এগিয়ে নেবে না-
বরং টেনে নিয়ে যাবে অরাজকতার প্রান্তসীমায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.