নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।

ব্লগ মাস্টার

আমি লেখতে পারি না তাই লেখতে চাইনা পড়তে চাই তবে মাঝে মধ্যে চেষ্টা করবো লেখতেআপনাদের সহযোগিতা পেলে ।

ব্লগ মাস্টার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোতাকাহিনী পর্ব ২

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩১

৪।
সংসারে অন্য অভাব অনেক আছে কেবল নিন্দুক আছে যথেষ্ট । তারা বলিল খাঁচাটার উন্নতি হচ্ছে কিন্তু পাখিটার খবর কেহ রাখেনা ।

কথাটা রাজার কানে গেল । তিনি ভাগিনাকে ডাকয়া বলিলেন ভাগিনা এ কী কথা শুনি।
ভাগিনা বলিল মহারাজ সত্য কথা যোদি শুনিবেন তবে ডাকুন স্যাকরাদের পন্ডিতদের লিপিকরদের ডাকুন যারা মেরামত করে এবং মেরামত তদারক করিয়া বেড়ায় ।
নিন্দুকগুলি খাইতে পায় না বলিয়াই মন্দ কথা বলে ।

জবাব শুনিয়া রাজা অবস্থাটা পরিষ্কার বুঝিলেন আর তখনি ভাগিনাদের গলায় সোনার হার চড়িল ।

৫।
শিক্ষা যে কী ভয়ঙ্কর তেজে চলিতেছে রাজার ইচ্ছা হইল স্বয়ং দেখিবে । একদিন তাই পাত্র মিত্র অমাত্য লইয়া শিক্ষাশালায় তিনি স্বয়ং আসিয়া উপস্থিত ।

দেউড়ির কাছে অমিন বাজিল শাঁখ ঘন্টা ঢাক ঢোল কাড়া নাকাড়া তুরী ভেরী দামামা কাঁসি বাঁশি কাঁসের খোল করতাল মৃদঙ্গ জগঝম্প । পন্ডিতেরা গলা ছাড়িয়া টিকি নাড়িয়া মন্ত্রপাঠে লাগিলেন । মিস্ত্রি মজুর স্যাকরা লিপিকর তদারকনবিশ আর মামাতো পিসতুতো এবং মাসতুতু ভাই জয়ধ্বনি তুলিল ।

ভাগিনা বলিলেন মহারাজ কান্ডটা দেখিতেছেন । মহারাজ বলিলেন আশ্চর্য শব্দ কম নয় ।
ভাগিনা বলিল শুধু শব্দ নয় পিছনে অর্থও কম নাই ।

রাজা খুশি হইয়া দেউড়ি পার হইয় যেই হাতিতে উঠিবেন এমন সময় নিন্দুক ছিল ঝোপের মধ্যে গা ঢাকা দিয়া সে বলিয়া উঠিল মহাজ পাখিটাকে দেখিয়াছেন কী । রাজার চমক লাগিল বলিলেন ঐ যা । মনে তো ছিল না । পাখিটাকে দেখা হয় নাই । ফিরিয়া
আসিয়া পন্ডিতকে বলিলেন পাখিকে তোমরা কেমন শেখাও তার কায়দাটা দেখা চাই ।


দেখা হইল। দেখিয়া বড়ো খুশি । কায়দাটা পাখিটার চেয়ে এত বেশি বড়ো যে পাখিটাকে দেখাই যায় না মনে হয় তাকে না দেখিলেও চলে । রাজা বুঝলেন আয়োজনের ত্রুটি নাই । খাঁচায় দানা নাই পানি নাই কেবল রাশি রাশি পুঁথি হইতে রাশি রাশি পাতা ছিড়িয়া কলমের ডগা দিয়া পাখির মুখের মধ্যে ঠাসা হইতেছে । গান তো বন্ধই চিৎকার করিবার ফাকটুকু পর্যন্ত বোজা । দেখিলে শরীরে রোমাঞ্চ হয় ।

এবারে রাজা হাতিতেই চড়িবার সময় কানমলা সর্দারকে বলিয়া দিলেন নিন্দুকের যেন আচ্ছা করিয়া কানমলা দেওয়া হয় ।




মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালোই হচ্ছে তোতাকাহিনী । চলুক ।

ভালো থাকবেন :)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । ভাল থাকুন

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

জোহরা উম্মে হাসান বলেছেন: তোতাকাহিনী অনেক কথাই বলছে - যা ভয়ে মুখ ফুটে হয়তবা বলে না কেউ । শুভেচ্ছা !

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ আপুমনি ভাল থাকুন

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

এমএম মিন্টু বলেছেন: ভালো লাগলো

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১১

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ভাল থাকুন

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০০

হানিফঢাকা বলেছেন: Bhai, Nice story, however better if you also mention the source

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১২

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ভাল থাকুন

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার । চলুক । :)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৩২

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ভাইয়া শেষ পর্ব দিয়ে দিছি । ধন্যবাদ ভাইয়া । ভাল থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.