নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।

ব্লগ মাস্টার

আমি লেখতে পারি না তাই লেখতে চাইনা পড়তে চাই তবে মাঝে মধ্যে চেষ্টা করবো লেখতেআপনাদের সহযোগিতা পেলে ।

ব্লগ মাস্টার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তপু আর সুমনের মুভি রিভিউ বেদের মেয়েজোসনা

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১০



সে কালে ছিলো ছবি আর একালে হোলো মুভি যোদি ও লাউ আর কদু একই তারপরেও আমি মনে করি বা বলবো ভাষা বিচরন করতে গেলে লাউ শব্দটির ভিতরে একটি ইমেজ আছে কিনতু ।যাই হোক মূল কথায় ফিরে সে সালটা মনে নাই বারটা মনে আছে । সে দিন বার ছিল শুক্রুবার তখন তপু মাত্র কলেজ পড়ুয়া ছাত্র । কলেজ ছুটির দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে সে ছোটবেলার ল্যংটা কালের বন্ধুর কাছে গেলো একটি নোট আনার জন্য ।



সাত সকালে যেয়ে দেখে বন্ধু গুন গুন করে গান গায়তেছেন । বেদে মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে আসি আসি বলে জোসনা ফাকি দিয়েছেন । তুমি জোসনা হেতা দিয়ে ছিলে কথা । তপু সুমনকে বলে কিরে সুমন তুই আবার একি গান করতেছর । তুই দেখি শেষ পযন্ত বেদের মেয়ে জোসনা প্রেমে পরে গেলি ।



সুমন তপুকে বলে নারে বন্ধু শুনলাম ষ্টার সিনেমায় বলে হিত ছবি চলতেছে বেদের মেয়ে জোসনা । তপু আমার বেদের মেয়ে জোসনা ছবিটা দেখতে হবে । চল তাহোলে মনিং ফ্রাই মেরে দেই চলে গেলো দুই বন্ধু মিলে জোসনাকে দেখতে ।



সিনেমা হলে প্রবেশ করলো । টিকেট শেষ । কিরে কি করবি সুমন কি আর করমু দেখ বাহিরে কারো কাছ থেকে মেনেজ করা যায় কিনা । তপু অনেক খোজাখুজি করে দুটি টিকেট সংগ্রহ করলো । ভিতরে প্রবেশ করলো ছবি শুরু হোলো ।



প্রথমে অঞ্জুঘোষ তখন ছোট তাকে সাপ কেটেছে কোনো বেদে তাকে ভালো করতে পারে নায় তাই তাকে পানিতে বাসিয়ে দিলেন ।এক বেদে বেদেনি তাদের কোনো ছেলে মেয়ে নাই আর হবেও না ।বেদেনী গেলেন নদীতে পানি আনতে সে দেখে একটি ভেলায় ভেসে যাচ্ছে একটি সাপে কাটা লাস । সে দৌড়দিয়ে বেদেকে ডেকে আনলেন দুই বুড়া বুড়ি মিলে লাসটিকে উঠালেন । বস্তিতে আনলেন জার ফু করে জোসনাকে জীবিত করা হোলো ।



বেশ কয়েক বছর কেটে গেলো জোসনা এখন পুরপুরি একজন যুবতী মেয়ে । তাই জোসনা এখন থেকে তার সইয়ের সাথে গ্রামে গ্রামে গুরবে আর সাপের খেলা দেখাবে । প্রথম দিন গেলো রাজার বাড়িতে সাপের খেলা দেখানোর জন্য ।





খেলা দেখানো শেষ বাড়িতে ফিরছে এমন সময় পথের মাঝে জোসনার দিকে কুনজর দিলেন উজিড়ের ছেলে সেখানে এসে হাজির হোলে রাজকুমার । রাজকুমার কিছুক্ষন উজিড়ের ছেলেকে কিছু উত্তম মাধ্যম দিলেন । আর উত্তম মাধ্যম খেয়ে সে ওখান থেকে পালিয়ে গেলো ।



এখান থেকে শুরু হোলো রাজকুমারের সাথে বেদের মেয়ে জোসনার প্রেম । ছবি যতই শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই ভালো লাগছে আরো ভালো লাগছে রাজকুমারের সাথে একজন সামান্য বেদেনীর প্রেম। ছবি মাঝা মাঝি এসে জোসনা যখন রাজকুমারকে কথা দিয়ে আসতে পাড়ছিলো না ওর দাদা আর দাদিরে মেনেজ করে ।



তখন রাজকুমার বাঁশি বাজাতে বাজাতে রাগ অনুরাগে গান ধরিলেন । বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে আসি আসি বলে জোসনা ফাকি দিয়েছে । গানটির শেষের দিকে আসলেন জোসনা এবং সেও কুমারের সাথে ধরলেন বন্ধু আমার বাজায় বাঁশি আমি দাদা দাদিরে রেখে কেমনে আসি ।



ছবির আর কিছুক্ষন পরে কুমারকে সাপে কাটিল কোনো বেদে ভালো করিতে পারলো না । তখন রাজা জোসনাকে ধরিলেন তার ছেলে রাজকুমারকে ভাল করার জন্য বিনিময়ে জোসনা যা চাইবে তাই পাইবে ।



জোসনা জীবন বাজি রেখে কুমারকে ভাল করলো পুরষ্কার হিসেবে রাজার কাছে কুমার কে দাবী করাতে রাজা পুরো বেদের বশ্তি ভেংঙ্গে দেন । কুমার অনেক কষ্ট করে জোসনাকে ধরলেন এবং তাকে নিয়ে মহলে ফিরলেন । রাজা তাদের প্রেমকে কোন ভাবে মেনে নিতে পারলেন না । রাজা কুমারকে আর জোসনাকে জল্লাতের হাতে দিয়ে দেন কয়েক দিন পরে কুমারকে হত্যা করা হবে ।



সেখানে সে কারাগারে থেকে গানটি দিলেন মা আমি বন্দি কারাগারে আসিগো মা বিপদে। সেই কারাগার থেকে কুমারের মা রানী সাহেবা অনেক অনুরোধ করে জল্লাতকে তার পরে কুমারকে আর জোসনাকে ছাড়িয়ে এনে ওদের কে বনে পাঠিয়ে দেন।



সেখানেও শান্তি পেলেন না কুমার আর জোসনা । ওখানে জোসনার পাওয়ার লোভে একজনকে হত্যা করলো উজিরের ছেলে আর নাম দিলো কুমারের ।



শেষ পর্যায়ে এসে ছবির দেখা গেলো কুমারের যে বিচার করবে সে হোলো জোসনার বাবা । জোসনাকে যে ছোট বেলা ভেলায় করে ভাছিয়ে দিয়েছিলো তখন তার গলায় একটি রাজ বংশের হাড় পড়িয়ে দিছিল সেইতা দেখে বিচারক জোসনাকে তার মেয়ে হিসেবে বুঝতে পেলেন।



মোট কথা ছবিটি অন্যরকম ভাল লেগেছিল ইলিয়াসকাঞ্চন ও অঞ্জুঘোষ সাথে ছিল কমিডিয়ান দিলদার । তপু আর সুমনের কাছ তা ছিল প্রথম ছবি দেখা ।



দেখতে দেখতে ছবি ঐ দিনের মত শেষ করে বাসায় চলে গেলেন তপু আর সুমন । তপুকে সুমন বলে না ছবি একখান রিটিং ফুল দিলেও রিটিং দিয়ে শেষ করা যাবে না ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৫:১৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক পুরানো ছবি ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: সবাইতো নতুন গুলো দেয় ভাইয়া আমি একটু নতুনের মাঝে পুরান দিলাম । ভালো থাকবেন

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

এমএম মিন্টু বলেছেন: ভালোই লাগলো এই ছবিটি দেখতে গিয়ে অনেক কষ্ট পেয়েছি । :) ;) :-B

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: আমিও ব্যথা পাইছিলাম

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাল লাগল রিভিও । :)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে শুনে অনেক খুশি হোলাম ভাল থাকবেন

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লাগলো রিভিউ

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৩০

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: অনেক পুরানো ছবি তার পরেও ভালো লাগা থাকলো

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: অসংখ ধন্যবাদ ভাইয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.