নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পজেটিভ সমালোচনা সবসময় মানুষের ভুলকে শুধরে দিতে সাহায্য করে। কোন বিষয়কে উস্কে না দিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করার চেষ্টা করি। দেশকে ভালবাসি, দেশের মানুষকে ভালবাসি।

মোঃ নুরউদ্দিন কবির

ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে মাস্টার্স করছি। জানার জন্য পড়ি। পজেটিভ সমালোচনা করা পছন্দ করি।

মোঃ নুরউদ্দিন কবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা ঢাকায় নাকি গ্রামে??

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

আমরা সবসময়ই বলি পরিশ্রম করলেই সফল হওয়া যায় বা শিক্ষিত হতে ভাল স্কুল কলেজ বা শিক্ষক লাগে না। আবার অনেক সময় এও বলি যে শিক্ষক কি করবে সব নিজের কাছে। আমি জানি এই কথা গুলো শুনতে ভাল শুনায় বা বলে খুব মজা পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ বা স্যার ফজলে হাসান আবেদ বা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের কথা বলেন অনেকেই। আমরা এমন কয়জনের নাম জানি বা কয়জন সফল? আমরাই বলি ব্যতিক্রম উদাহরন নয় আবার আমরাই তাদের উদাহরন টানি। এবার আসি আসল কথায়, আমি পড়েছি মফঃস্বলের কলেজে। এখানে আমাদের প্রভাষক স্যারেরা বেশিরভাগই সর্বোচ্চ বিএম কলেজ থেকে অনার্স মাস্টার্স করা। তার মানে হল তারাই কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বা অন্য কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কে খুব ভাল জানে না। জানে না ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে। আর যেই শিক্ষকরা বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে আসে তারা আমাদের কলেজে যায় না সেটাও সত্যি। অবস্থাটা অঁজোপাড়াগায়ের হাসপাতালের মত। ভাল ডাক্তার গ্রামের হাসপাতালে কেন যাবে? আমি কিন্তু আমার নিজের জীবন থেকে বলছি। যে অল্প কয়েকজন বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আছেন বা যারা জানেন তাদের সান্নিধ্যে কতজন আসে? বেশিরভাগ শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। আমি আমার এলাকার কথা বলছি, যেখানে মাদকের ভয়াল থাবা গ্রাস করেছে হাজার তরুনকে, গাঁজা আর ইয়াবার ধোঁয়ায় বুঁদ হয়ে গেছে কোমল আর অবুঝ কিশোররা। সেখানে জীবনের বাস্তব জ্ঞান অকেজো। আমাদের সময় ইন্টারনেটের এমন সহজ লভ্যতা ছিল না। আমরা জানতাম না CSE EEE বা ETE এর মানে। এখন যারা পড়ে তারাও ভাল জানেনা। HSC এর পর যখন UCC তে ভর্তি হলাম, দেখি ঢাকার ভাল ছাত্ররা সব পারে, অনেক কিছু আগেই জানে তারা। আমি আস্তে আস্তে হতাশার হাত ধরে পেছনের বেঞ্চের দিকে যেতে থাকলাম। আমি জানি আমি অনেক অনেক পরিশ্রম করলে অনেক অনেক কিছু পারতাম। কিন্তু এটা এখন জানি বুঝি, তখন? পথটা এখন পরিষ্কার, তখন?

ঢাকার কলেজের একজন ছাত্র কতদিন স্কুলে যাচ্ছে আর কি পরীক্ষায় কত পাচ্ছে তা সরাসরি মনিটর করছে প্রতিষ্ঠান, চলে যাচ্ছে অভিভাবকদের কাছে। অপরদিকে মফঃস্বলের কলেজে নেই কোন নজরদারি বা কেউ জানছে না কি হচ্ছে। আমরা বলি সময় গেলে সাধন হবে না, কিন্তু সেই সময়টা কখন সেটা শিক্ষক জানেন কিশোর নয়।

আমার যুক্তি খুব সোজা, আমার কলেজের ছাত্রদের মধ্যে গত ২৫ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে ৮০ থেকে ১২০ জন, মেডিকেলে ৫ থেকে ১০ জন আর বুয়েটে ৩ থেকে ৪ জন। আর ঢাকার একটা স্কুলের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যানটা কেমন হয় তা সবাই জানে। তাহলে কি দাড়ালো, আমার এলাকার কলেজে পড়ে কেউ যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ে না তা কিন্তু না তবে সম্ভাবনা ০.০০০০১% এর থেকেও হাজার গুন কম, আর ঢাকায় পড়লে সেটা গিয়ে ৪০% থেকে ৪৫% এ ঠেকে। একটা একাদশ শ্রেনিতে পড়া ছোট্ট ছেলে জীবনের আঁকাবাঁকা রাস্তা সম্পর্কে কতটুকু জানবে বা জানা সম্ভব বা জানা উচিত? আসলে পরিবেশটা অনেক গুরুত্বপুর্ন। যাই বলেন, আমি জানি আমি কি ডিজার্ভ করি আর কোথায় আছি, কি হারিয়ে গেছে জীবন থেকে। রবীন্দ্রনাথ বা স্যার ফজলে হাসান আবেদ বা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারেরা কয়েকজন মাত্র কিন্তু লাখ লাখ ছেলেমেয়ে হারিয়ে যায় হয়তো তাদের থেকেও বেশি সম্ভাবনা নিয়ে। পরিবেশ আর বিদ্যালয় অনেক কিছু ম্যাটার করে অবশ্যই করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.