নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্যাচাল পছন্দ করবো কিন ভাবছি.............

ক্যাচালবাজ

নিজেরে হারায়ে খুঁজি..................।

ক্যাচালবাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘রায়’ প্রকাশের ঘটনায় বিশাল বিনিয়োগ এবং ষড়যন্ত্র /:)

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায় ঘোষণার আগেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ব্লগে কথিত রায় প্রকাশের ঘটনায় বড় ধরনের বিনিয়োগ এবং ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।



একইসঙ্গে বিষয়টিকে দুঃখজনক এবং ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমকে বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা বলেও মন্তব্য করেন ট্রাইব্যুনাল।



বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ চিফ প্রসিকউটর গোলাম আরিফ টিপু সাকা চৌধুরীর রাযের পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের বক্তব্য নজরে আনলে ট্রাইব্যুনাল এসব কথা বলেন।



পাশাপাশি প্রসিকিউশনকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রমাণসহ লিখিত আবেদন করারও নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।



মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য সাকা চৌধুরীর রায় ঘোষণার পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিচার করা হবে বলে হুমকি দেন।



বিষয়টি নজরে আনলে ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য বিচারপতি জাগাঙ্গীর হোসেন ক্ষোভ করে বলেন, দেশের মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। আমাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। এর পেছনে মস্ত বড় বিনিয়োগ এবং ষড়যন্ত্র রয়েছে।



এ সময় তিনি ট্রাইব্যুনাল-১ এর দেওয়া সকল রায় ভালোভাবে পড়ে দেখার আহ্বান জানান সবাইকে।



বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি না হয় সামান্য একজন বিচারপতি। কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অপর সদস্য বিচারপতি তো সামান্য নন।



আমাদের চেয়ারম্যান (এটিএম ফজলে কবীর) প্রায় ৩২ বছর ধরে বিচার কাজ পরিচালনা করছেন।



তিনি বলেন, আমিও সব সময় কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলি। আমাদের তো সব জায়গায় কথা বলা যায় না। আমাদের যা বলার তা ট্রাইব্যুনালে বসেই বলতে হয়।



সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষীর প্রসঙ্গে এ বিচারপতি বলেন, বিচারপতি শামীম হাসনাইন একজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। তার বিষয়ে আমরা কিভাবে সমন জারি করি? তারপরও আমরা বলেছি, তিনি সাক্ষ্য দিতে এলে সাক্ষ্যগ্রহণ করবো।



এরপর প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, মঙ্গলবার রায় ঘোষণার আগেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী, ছেলে ও আইনজীবীরা রায়ের বাঁধাই কপি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে দেখিয়ে বলেছেন, রায় আগেই প্রকাশ হয়ে গেছে।



তারা সজ্ঞানে এ কাজটি করেছেন বলে উল্লেখ করে এ ধরনের প্রচারণা চালানোর জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান প্রসিকিউটর।



এ সময় বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন আবারো বলেন, আপনারা লিখিত আবেদন করেন। আমরা বিষয়টি দেখবো।



উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের পরে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহাবুব হোসেন বলেন, এই বিচারটি একটি প্রহসনের বিচার, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিচার। ইনশাল্লাহ, জাতীয়তাবাদী শক্তি যদি ক্ষমতায় আসে, সত্যিকার অর্থে যারা যুদ্ধাপরাধী, তাদের বিচার হবে এবং নির্দোষ ব্যক্তিরা প্রতিহিংসার জন্য যাদের বিচার করা হয়েছে, কাল্পনিক গল্প দিয়ে যে মামলা তৈরি করা হয়েছে, অবশ্যই সেটা চলে যাবে। যারা এই প্রহসনের বিচারে সম্পৃক্ত, ইনশাল্লাহ বাংলার মাটিতে তাদেরও বিচার হবে।



তিনি বলেন, আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চাই, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার না। আমরা দেখতে পাচ্ছি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ন্যায় ব্যক্তি, যার পিতা ১৯৭২ সালে সেন্ট্রাল জেলে দালাল আইনে আটক ছিলেন, তখন তার ছেলের নাম ছিলে না। দীর্ঘ ৪০ বছর পর তাকে এই মামলায় আসামি করা হয়।



খন্দকার মাহাবুব হোসেন আরো বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধকালীন সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন। তার পক্ষে একজন বিচারপতি সাফাই সাক্ষী দিতে আগ্রহী হলেও তাকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।



আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ৯টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মধ্যে ৪টিতে ফাঁসি, ৩টিতে ২০ বছর করে এবং ২টিতে ৫ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন সাকা চৌধুরীকে। এ রায় ঘোষণার পরে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী-পুত্র ও আইনজীবীরা তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তৈরি এবং আগে থেকেই ফাঁস হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণেই।



Click This Link





মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি বলব?

সব কিছূ কেমন খেলো হয়ৈ যাচ্ছে!!!!

পুতুল খেলার মতো!!!

আইন বিচার প্রশাসন সব যেন অদৃশ্য সূতোর টানে চলছে! নাটাই কার হাতে কেউ জানে না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

নইলে এমন হয় কি করে????? স্কাইপি, রায়ের আগেই কপি মিডিয়ায়!!!!!

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

nurul amin বলেছেন: আমরা তো সবাই এখন চোদনা হয়ে গেলাম। আইন মন্ত্রনালয় রায় কেন লিখল? হায়রে কপাল!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.