নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।

ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী

সূর্যের হাসি

ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক আস্তিক এর ব্যাপারটা একটু বলি

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

আমরা যদি সমাজের গোড়াতে যাই তাহলে দেখব যে ইসলাম ধর্মের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নাই, বিদ্বেষ নাই, কিন্তু কিছু অসাধু লোকেরা ধর্মটাকে অপপ্রয়োগ করেছে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। তার পরিণতিতে মানুষ দিনকে দিন ধর্মের প্রতি অবহেলা এবং আগ্রহ কমিয়ে দেওয়া শুরু করে এবং এমনও হয় কেউ নাস্তিকতাবাদে বিশ্বাসী হতে শুরু করে। এখন দেখা যাচ্ছে এই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কারনে এবং অপপ্রয়োগের কারণে গুটি কয়েক মানুষ তাদের চিন্তা ধারণা পরিবর্তন করে নাস্তিকতাবাদে বিশ্বাস করে, যার মূল কারণ ঐ শয়তান যারা মুখে শুধু আল্লাহর কথা বলে কিন্তু মনে শয়তান পালন করে। সুতরাং ঘুরেফিরে দোষটা কাদের ঘাড়ে যেয়ে পড়ে একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন।



আজকে বাংলাদেশে একটি ইসলামী দল নামধারী তাদের গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ ও রসূলকে সরিয়ে ফেলেছে, বুঝতে আপনাদের বাকি নাই এটা জামাতী ইসলাম, শুধু ক্ষমতার লোভে। এখন তারা এটা করেছে এখানে তাদের যে দলীয় লোক আছে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না সমস্যা হচ্ছে কেন ধর্মীয় কথাবার্তা দেশ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। এখন ভালো করে লক্ষ্য করুন যে এই দেশ গণতান্ত্রিক বিধায় গণতান্ত্রিক উপায়ে সব কিছু হচ্ছে। এখন আমি যদি বলি এই দেশে হিন্দু, বা অন্য কোনো বিধর্মী অথবা অন্য কোনো মতাদর্শী থাকতে পারবে না , থাকলে আমি খুন করব তাহলে এটা হবে গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ যা এই দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সুতরাং এই দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, আস্তিক, নাস্তিক থাকতে পারে, কেউ বাধা দিতে পারবে না। এই দেশের মানুষ মানে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ এবং বাংলাদেশের মানুষ বলতে সব ধর্মের বা মতের মানুষকে বুঝায়, এবং কে কোন ধরনের মতে বিশ্বাসী হবে সেটা তার তার নিজস্ব ব্যাপার এর সাথে আমরা আমাদের জাতীয় ইস্যুকে বিভ্রান্তির মাঝে ঠেলে দিতে পারি না। আজকে বাংলাদেশের সব মানুষ ( মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, আস্তিক, নাস্তিক) রাজাকারের ফাঁসি চাই এতে কারো কোনো মতবিরোধ নাই। সবাই এই ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছে। এখানে ত আর কোনো প্রকার ধর্মীয় প্রশ্ন আসতে পারে না। এখন কেউ যদি নাস্তিক হয় তাহলে আমরা যারা ধর্মাবলম্বী তাদের কাছে জিনিসটি খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক, তাহলে আমার একটা প্রশ্ন যে আমরা তাহলে যারা মুসলমান আছি ত সবাই অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে মিলে আন্দোলন করব না। দেখেন এখানে একটি বিশাল গুরুতর অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে, আর এইরকম অন্যায়ের প্রতিবাদ ত ইসলামে নিষিদ্ধ নয়।

এখন একটু ভাবুন আর কোনো প্রকার বিভ্রান্তিতে বিশ্বাস করবেন না। যেটা সত্য সেটাকে স্বীকার আমাদের করতেই হবে। আসুন সবাই মিলে এই রাজাকারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাই এই রাজাকারের দাবীকে জোরালো করি।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

ফাঁকা মাঠ বলেছেন: সবার উপরে নাস্তিক সত্য তাহার উপরে নাই। নাস্তিক মরলে তখন সবাই বলা শুরু করে সে ইসলাম কে গালি দিলেও সে সবার আগে মানুষ। নাস্তিক মরলে হয়ে যায় মানুষ কিন্তু শিবির মরলেও শিবির বাচলেও শিবির। যেন শিবির যারা করে তারা মানুষ না।তাদের জবাই করার শ্লোগান দিলেও কোন সমস্যা নাই। কারন তারা তো আর মানুষ না। তারা শিবির করে। তাই এখন কবিতা চেঞ্জ করে এইটা করার দাবী জানাই "সবার উপরে নাস্তিক সত্য, তাহার উপরে নাই"

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ফাঁকা মাঠ আইডিটা নতুন বানাইছ মনে হচ্ছে। ভালো প্রচার প্রচারণা কেমন যাচ্ছে? দেখ শিবিরকে কেউ বলে নাই মানুষ খুন করতে আর এটাও বলে নাই শিবিরকে মরতে বা জবাই হইতে। ঘটনা হচ্ছে যখন নির্দলীয়ভাবে বাংলাদেশের মানুষ একটা আন্দোলন করছে কি দরকার আছে তাদের উপর হামলা করার, কি দরকার ছিল তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করার? তারা বাংলাদেশের সব জনগণের কথা উপেক্ষা করে নিজেদের মত যা ইচ্ছা তা করছে, এমনকি তারা মানুষ খুন করছে এটা কি ভালো? জামাত শিবির এর মূল উত্থানটা হচ্ছে ১৯৭১ এর পরে রাজাকারদের মাধ্যমে যারা কিনা ছিল স্বাধীনতাবিরোধী তাই তারা বাংলাদেশীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। এবং এটাই স্বাভাবিক। খারাপ কাজ করলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই ধ্বংস করবেন এটাই স্বাভাবিক।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

জামাতের মত বড় নাস্তিক আর কেউ নাই

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

আর কতো বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কারনে এবং অপপ্রয়োগের কারণে গুটি কয়েক মানুষ তাদের চিন্তা ধারণা পরিবর্তন করে নাস্তিকতাবাদে বিশ্বাস করে, যার মূল কারণ ঐ শয়তান যারা মুখে শুধু আল্লাহর কথা বলে কিন্তু মনে শয়তান পালন করে।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ফাঁকা মাঠ আইডিটা নতুন বানাইছ মনে হচ্ছে। ভালো প্রচার প্রচারণা কেমন যাচ্ছে? দেখ শিবিরকে কেউ বলে নাই মানুষ খুন করতে আর এটাও বলে নাই শিবিরকে মরতে বা জবাই হইতে। ঘটনা হচ্ছে যখন নির্দলীয়ভাবে বাংলাদেশের মানুষ একটা আন্দোলন করছে কি দরকার আছে তাদের উপর হামলা করার, কি দরকার ছিল তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করার? তারা বাংলাদেশের সব জনগণের কথা উপেক্ষা করে নিজেদের মত যা ইচ্ছা তা করছে, এমনকি তারা মানুষ খুন করছে এটা কি ভালো? জামাত শিবির এর মূল উত্থানটা হচ্ছে ১৯৭১ এর পরে রাজাকারদের মাধ্যমে যারা কিনা ছিল স্বাধীনতাবিরোধী তাই তারা বাংলাদেশীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। এবং এটাই স্বাভাবিক। খারাপ কাজ করলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই ধ্বংস করবেন এটাই স্বাভাবিক।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

মুহাম্মাদ আলী বলেছেন: বাংলাদেশে,এই বাংলায় ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়েছে?
তাহলে কিভাবে ৩০ কোটি বাঙ্গালির মাঝে ১৪ কোটি হিন্দু থাকলো?
জামাত-শিবিরের মত একটা ফালতু দল এই বাংলাদেশে আসল পেল ২০০৯ এ মাত্র ১ টা।আর আপনি বলছেন এখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি হয় বলে মানুষ নাস্তিক হয়?

আসলে নাস্তিক না হয় হিন্দু
এই সামান্য কথা বুঝতে বেশী ব্রেন লাগে না।জামাত-শিবিরের গলা প্রথমেই চেপে ধরা উচিৎ ছিলো।আমি ভয়ে আছি এই সামান্য কিছু নাস্তিকের জন্য দেশে জামাতের ভয়াবহ আবির্ভাব হবে না তো।এই হনুদের জন্য যদি এই বাংলাদেশের মানুষ কল্লাকাটা আফগানদের মত হয়ে যায় তাহলে খুব আশ্চর্য হব না কারন এই বাংলায় আবার হিন্দুত্তবাদ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ধর্ম বাড়াবাড়ি বলতে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অনেক কিছু আছে, কোনো নির্দিষ্ট জিনিসকে বুঝানো হচ্ছে না। যেখানে ইসলাম অনেক সুযোগ দিয়েছে সেখানে সেই সুযোগকে ঢাবিয়ে রেখে অনেক লোক আছে যারা তাদের জোর দেখিয়েছে, সেই কথা এখানে বলা হয়েছে।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

মুহাম্মাদ আলী বলেছেন: দেখেন ভাই এই বাংলায় ধর্মের যতটা প্রভাব ছিলো বা আছে তারচাইতেও বেশী প্রভাব আছে দুর্নীতিবাজদের,গমচোদ চেয়ারম্যানদের,লুটেরা মন্ত্রীদের,কালো টাকার মালিকদের।এই বাংলাদেশে ধর্ম কোনদিন বড় বিষয় ছিলো না,কোনদিন না

যদি থাকতো তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না,৫২ এ ভাষা আন্দোলন হত না,থাকতো জামাত-কুকুরেরা ১ টা আসন পেত না।আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাঙালি জাতিয়তাবাদের ভিত্তিতে।আর আপনি জানেন তো পাকিস্তানিরা বাঙ্গালিদের হাফ মুসলিম বলে?যেখানে পাকিস্তানের সব জাতি(পাঞ্জাবি,সিন্ধি,বেলুচ,পাঠান,কাশ্মীরি) উর্দুর কাছে নিজেদের জাতিয়তা বিলিয়ে দিয়েছিলো সেখানে বাঙালিরা তা করে নি।তার হিন্দু বন্ধুরা নামাজে না এলেও তারা ঠিকি পুজোয় যায়।হিন্দু(পড়ুন নাস্তিক) বন্ধুরা কোরবানির ইদ নিয়ে ব্যাঙ্গ করে পোস্ট দিলেও তারা পুজোর শুভেচ্ছে জানিয়ে পোস্ট দেয়।আসল কথা বাঙ্গালিরা চীরজীবন সহনশীল ছিলো
আমি নিজে আসিফের লেখা "একটি শান্তির ধর্ম ও আহাম্মকপিডিয়া" লাইক লিস্ট চেক করেছি যেখানে উল্লেখযোগ্য ইন্ডিয়ান ছিলো।ইন্ডিয়ানরা তার লেখা এত পছন্দ করে কেন?
এক লোককে নিয়ে একবার পোস্ট দিয়েছিলাম যে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে দেখতে চায়।সে নিজেকে নাস্তিক বলে দাবি করে।আমি তাকে একবার প্রশ্ন করেছিলাম যে বাংলাদেশের মানুষ বাংলাকে ভালোবাসে বলেই বলেই জীবন দিয়েছে কিন্তু পশ্চিম বাংলার মানুষ তা করে নি।তারা হিন্দির কাছে মাথানত করেছে কেন?তখন সে আমাকে এই উত্তর দেয় যা দেখার পরে আমার কাছে কোন ভাষা ছিলো না এর বিপক্ষে কিছু বলার


১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৫

ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ঘটনা হচ্ছে, আমরা এত দ্বিধান্বিত হয়ে গিয়েছি যে আমরা এখন কোনো যুক্তি দিলে সেই যুক্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত কোনো যুক্তি দিতে পারি না। এর কারন আমরা ভৌগলিকগতভাবে অনেকটা বুঝতে অক্ষম। প্রথম কথা হচ্ছে উর্দু ভাষাটা প্রধানত তৈরি হয় মুসলিম সাম্রাজ্য আসার পরে। ফারসি, আরবি এর মোটামুটি একরকম সুন্দর মিশ্রণ তৈরি করে এই মুসলিম সাম্রাজ্য চেয়েছিল এই ভাষার প্রচলন ঘটাতে, কিন্তু যত যাই বলেন না কেন ভৌলিকভাবে অথবা জন্মগতভাবে আমরা যে ভাষাটা পেয়েছি, এখানে হিন্দু, মুসলিম আরো অনেক ধর্মের, যারাই পেয়েছি তারা সেই ভাষাটাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, কারন একেই বলে মাতৃভাষা। এবং এই মাতৃভাষাতে কোনো কিছু বুঝতে যত সহজ হবে আর কোনো ভাষাতে কোনো কিছু বুঝাটা এত সহজ হবে না। তাই যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে বাংলা ভাষাভাষির সংখ্যাটা বেশি ছিল সেহেতু বাংলা রাষ্ট্রভাষা হলে কোনো সমস্যাই ছিল না, এখানে সবচেয়ে বড় ব্যাপার ছিল অধিকার আদায়ের বিষয়টা, আর এই অধিকার ছিল একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এবং জাতির। আজকে আমি নিজে দেখছি যে কি রকম বৈষম্য পাকিস্তানি মানুষের মাঝে শুধু ভাষার কারণে এবং ভৌগলিক বৈষম্যও অনেক। সুতরাং আমরা আজকে যদি ওদের সাথে থাকতাম তাহলে বৈষম্যের কোনো শেষ থাকত না, তাছাড়া বোম্বিং এ্যাটাক ত আছেই। আমরা যুক্তিকে আমাদের শিক্ষা এবং জ্ঞান দিয়ে বুঝতে চাই না, বুঝতে চাই আমাদের আবেগ দিয়ে। আবেগ দিয়ে কিছু বুঝাটা বোকামি। আমি আমার ৫ বছরে দেশের বাইরে থেকে যা বুঝতে পারলাম তা হচ্ছে ইন্ডিয়াতে কেউ হিন্দি ভাষা বলে না, আমি জিজ্ঞেসও করেছি তোমরা কি ভাষায় কথা বলো উর্দু নাকি হিন্দি, তারা উত্তরে আমাকে এটাই জানালো যে তারা সাধারণত হিন্দি বলে না, তারা বলে উর্দু। উর্দু ভাষার একটা অন্যরকম মাধুর্যতা আছে যার কারনে উর্দু ভাষাটা একটা প্রভাবিত ভাষা, কিন্তু তাই বলে কেউ তাদের মাতৃভাষা ভুলে যায় নাই। এখন আমরা যদি দেখি হিন্দি, উর্দু, বাংলা এই তিন ভাষার ভিতরে অনেক মিল আছে, এবং শুদ্ধ হিন্দি প্রায় বাংলার মতই, বাকি থাকলো উর্দু, এই উর্দুটাতে, যেহেতু বাংলা এবং হিন্দি প্রায় একই রকম সেহেতু বলা যায় একরকম প্রায় একই ভাষা, এই ভাষাটাকে ফারসি ভাষার সাথে এবং মিলিয়ে এই ভাষাটায় একটা আলাদা করে মাধুর্যতা তৈরি করা হয়েছিল সেই মুসলিম সাম্রাজ্যের সময়, যা কবিতায় এবং গানে ব্যাবহার করা হয়েছিল, ত এখন আপনি দেখবেন মজার মজার গান, ছবি হিন্দিতে করা হয় যার কারনে আমাদের দেশের মানুষেরাও হিন্দি ভাষায় কথা বলে। মজার সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দি, উর্দু ভাষাকে তাই মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। শুরু থেকেই এই উর্দু ভাষা গান বাজনার সাথে জড়িত, কবিতার জড়িত, শুধু বিনোদনের জন্য। এখন অনেকের কাছে এই বিনোদন অনেক বড় জিনিস যার জন্য তারা অনেক সময় আবেগতাড়িত হয়ে, বিনোদনের জন্য, মাতৃভাষাকেও না বুঝে ছোট করে ফেলে, কিন্তু এটা ক্ষণিকের জন্য, পরবর্তীতে তারা বুঝতে পারে এটা আসলে ভুল, কারন যত ভাষাই থাকুক মাতৃভাষাটাই একটা আলাদা ভাষা নিজের জন্য। হিন্দুরা এত নিপড়িত হয়েছে কিছু জায়গায়, (যদি আমরা পুরো ভারতবর্ষকে ধরি), তা দেখে স্থানীয় কিছু মুসলিমের হিন্দুদের প্রতি মায়া জেগে যায় মানুষ হিসেবে, এটাই স্বাভাবিক, এই মুসলিমরা তখন মনে করতে থাকে যে আমরা মুসলমানরা তাহলে ভুল করছি, হিন্দুরাও ত মানুষ, শুধু এই মনুষ্যত্বের কারনে এই মুসলিমরা ধর্মকে দোষারোপ করা শুরু করে দেয়, এবং মনে করে হিন্দুদের প্রতি কিছু সহানুভুতি প্রকাশ করা দরকার যার কারনে অনেকে আছেন নিজের ধর্ম ভালোভাবে পালন না করলেও, মাঝেমধ্যে বিধর্মীদের উপাসনায় যান। এতে করে সমাজে একটা জটিল অবস্থার তৈরি হয়। ভালো করে লক্ষ করলে দেখা যায় যে ধর্মকে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে হিন্দুদের উপর নিপীড়ন করে মুসলিমরা মুসলিমদের ভিতরেই সমস্যার তৈরি করি, কারন আমরা একটা জিনিস বুঝতে পারি না আর সেটা হচ্ছে ইসলাম ধর্ম অনেক বড় ধর্ম যার কারনে এর মধ্যে অনেক কিছু আছে, বিশেষ করে মানবতার মত একটি স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে যেটা কিনা ইসলাম প্রত্যেক মুসলিমকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষা দেয়, এই সাইড ইফেক্টটাই পড়ে ভুলভাবে মুসলিমদের মধ্যে প্রতিফলিত হয় যখন কোনো কিছু তাদের সামনে অতিরঞ্জিত হয়, এবং পরে এই বিষয়টি মুসলিমদের মনে আরো জটিলতা তৈরি করে পরবর্তীতে অনেক মুসলিম দ্বিধান্বিত হয়ে ধর্মকে ভুল বুঝা শুরু করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.