![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনীতি করেন কিন্তু মরা লাশগুলোকে নিয়ে আর রাজনীতি করবেন না। কারন এদের মৃত্যুতে পুরো জাতি শোকাহত। চাইলেই এখন এই জাতিকে ক্ষ্যাপানো যাবে এই লাশের কথা বলে, কিন্তু যারা লাশ হলো এবং যাদের আত্মীয়রা লাশ হলেন তারা এই ক্ষ্যাপাতে কোনো লাভবান হবেন বলে মনে হয় না। আওয়ামিলীগ যদি রাজনীতি করে থাকে তাহলে তারা চেষ্টা করবে যে এই ঘটনার সাথে বিরোধীদল অথবা অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে, এবং এই বলে রানা যুবলীগের সভাপতি তাকে বাচাঁনোর চেষ্টা করবে, আর অন্যদিকে বিএনপি কি করবে এমন একটা পরিস্থিতির তৈরি করবে যাতে বিচারও না করতে পারে এবং আওয়ামিলীগরও একটা বদনাম হয় এবং আওয়ামিলীগকে এমন একটা পরিস্থিতিতে নিয়ে যাবে যে আওয়ামিলীগ দ্বিধান্বিত হয়ে বিচার কাজ দীর্ঘায়িত করবে, এবং শেষ পর্যন্ত এর কোনো কিছুই হবে না। আর বিএনপি ত এখন ভয়ে আছে যদি জামাতের কিছু হয়, তাই যুদ্ধপরাধীদের বাচানো দরকার, তাই যত পারো বিতর্ক তৈরি করো এই সরকারের বারোটা বাজাও, আমরা ত পরবর্তীতে সরকার গঠন করবই। আর আওয়ামিলীগের কাজ কি? তারা কিভাবে দেশে ক্ষমতাই থাকবে, পরবর্তীতে সরকার গঠন করবে, আর তার জন্য বিরোধীদলকে শান্ত রাখতে হবে, অথবা বিরোধীদলকে হয়রানি করবে। এইসব রাজনীতির জটিলতার কারনে দোষীরা সবসময় পার পেয়ে যায়। আর দোষীরা ত কেউ না, সেই বিএনপি এবং আওয়ামিলীগ। ঘুরেফিরে সব একই বৃত্তে। এখন আওয়ামিলীগের উচিত এর সুষ্ঠ বিচার ব্যাবস্থা করা, এর সুষ্ঠ তদন্ত করা। আর বিএনপির কাজ হচ্ছে ঘন ঘন হরতাল না দিয়ে যদি পারা যায় সরকারকে সহায়তা করা,........সাধারনত সরকার এবং বিরোধীদলের যা প্রধান কাজ। কিন্তু কে কার কথা শুনে বিএনপি দিল হরতাল। আওয়ামিলীগ রানারে পার করে দিয়েছে দেশের বাইরে। এরপর যত মারামারি করে ক্ষতির সাথে একস্ট্রা ক্ষতি করে দেশের বারোটা বাজানো আর কি.............আমরা এখন যারা বিতর্ক করছি এই বিতর্ক আরো ঘটানাটাকে ঘোলাটে করে দিবে, অনেকে অবশ্য জেনেবুঝে করছে, কারন ত বললাম .....সব দোষী ঘুরেফিরে ত আওয়ামিলীগ এবং বিএনপি, সব এক বৃত্তের ভিতরে। এই দিকে জনগনের মনে শংকা দেখা দিয়েছে রানাকে কি গ্রেফতার করা হবে কি হবে না। শংকা দেখা দেওয়াটা স্বাভাবিক। এই দুই দলের কারনে, দুই দল বললে ভুল হবে, আসলে এই দুই দলের ভিতরে যে কতগুলা মানুষ আছে ঐ মানুষগুলোর কারনে বাংলাদেশের ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এবং এই সাভারের ঘটনাটাও প্রভাবিত হয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হবে এই দুই দলের কারনে। আপনারা জানেন নাকি জানেন না, তা আমি জানি না, তবে আমি যতটুকু জানি যে প্রতিটা গার্মেন্টস কোম্পানিতে দুইটা করে দল আছে একটা হচ্ছে শ্রমিকলীগ আরেকটা হচ্ছে শ্রমিকদল ত এই গার্মেন্টস যে রাজনীতির অংশ না তা আমরা কিভাবে মনে করি? আর এই শ্রমিকদের দিয়ে যে বিভিন্ন সময় অসন্তোষ এবং ক্ষোভ যে আমাদের বিরোধীদল করায় না এটার গ্যারান্টি কি? আবার এই শ্রমিকদের দিয়ে যে সরকারি দল জোর করে কাজ অব্যাহত রাখে তা ত আমরা নিজের চোখে দেখলাম। যদি এইভাবে মিথ্যা কল্পকাহিনীর মাধ্যমে এবং হুজুগের মাধ্যমে আমাদের দেশ চলে তাহলে সত্যি আমাদের দেশের ভবিষ্যত কি?
©somewhere in net ltd.