![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাত্তর টিভির সমীকরণে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা, পাঠ্যবই, সরকারি দপ্তরের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে ফারজানা রূপার সমীকরণ দেখলাম। শিক্ষা ব্যবস্থার এই হাল সম্পর্কে আমরা কিছুটা হলেও জানি এবং অনেকখানি আঁচ করতে পারি কিন্তু কিছুই করতে পারি না। আমরা জানি, মিশনারি পরিচালিত বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে,যেখানে যেমন করে যাকিছু পড়ানো হোক না কেনো সে নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। কোনোই নিয়ন্ত্রণ নেই। মাদ্রাসা শিক্ষার অত্যুদ্ভূত মনগড়া প্রচুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, যাদের নিয়ে কারও কিছুই বলার নেই। ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে গজিয়ে ওঠা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। কে পড়ায়, কারা পড়ায়, কী পড়ায় কেউ জানি না। এমনকি সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নামকরা-অখ্যাত যাই হোক না কেনো নিজেদের ইচ্ছেমতো ভুলেভালে ভরা ইংরেজি বাংলা ব্যাকরণ বই পড়ানো হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা, ভারতীয় নাম-দাম, ভারতীয় ইতিহাস, ভারতীয় জাতীয় দিবস, ভারতীয় জাতীয় ব্যক্তিত্ব উল্লিখিত বই পড়ানো হচ্ছে। আমরা কেউ কিছু বলতে পারছি না। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-ভাষা আন্দোলন বাদ দিয়ে মিশরের ইতিহাস, টেমস নদীর বিত্তান্ত পড়ানো হচ্ছে ইংরেজি মাধ্যমে সমীকরণ সূত্রে সে তো দেখতেই পেলাম! পাকিস্তানে পয়দা হওয়া বই পড়ানো হচ্ছে, তাও জানতে পারলাম। এমনকি আমাদের জাতীয় জীবনে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, পাকিস্তানি বর্বর শোষক বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে লড়াকু স্বদেশি জাতীয় বীরদের জায়গায় আলেকজান্ডার নিয়েই ইংরেজি মাধ্যমের মাথাব্যথা বেশি দেখা গেল। সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশে এত এত সুন্দর নদী থাকতে তারা আগেই ছুটে যান টেমস নদীর তীরে। আমাদের খাসলতে ঢের গন্ডগোল। দেখুন, সৎ-অসৎ যেভাবেই হোক না কেনো বিশেষত অসৎ উপার্জন আর বিদেশি পয়সা কামাইঅলাদের মধ্যে তো এই প্রবণতাই বেশি দেখা যায় যে, কিছু পয়সা হয়েছে দাও একটা মাদ্রাসা, সওয়ার হবে। পরকালে পাড়ি জমানো সহজ হবে। রাজনীতি করে অনেক পয়সা হয়েছে তো চটজলদি একটা মাদ্রাসাকেন্দ্রিক এতিকখানা দাও। সেখানে কী হবে তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে মানুষ আমাকে ভাববে ধর্মে আমার মতি আছে, সেক্ষেত্রে আমার জন্য ভোট আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। অত্যাধুনিক স্কুলে তো আমাদের শিশুদের হজের নিয়ম কানুন শেখানোর কাজ চলছে! একদম বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা। শুধু পাশ করলেই বিদেশে বিদেশি ডিগ্রি, ব্যারিস্টারি, তারপর রাজনীতি অথবা চাকরি, তারপর অনেক অনেক টাকা, তারপর হজ করে এসে রাজনীতির লক্ষ্যবিন্দুতে পৌঁছে যাওয়া। এমন হাজারও প্রবণতা আছে। সুযোগ উন্মুক্ত। যা খুশি তাই কর। কেউ কিছু বলবে না! এ যেন কয়েক কাঠি সরেস মুক্তবাজার শিক্ষা ব্যবস্থা!
এনসিটিবি আইনে তো ইংরেজি মাধ্যমে কী পড়ানো হবে, সেটা এনসিটিবির জানারই বিষয় না। ওটা ব্রিটিশ কাউন্সিল মানে ব্রিটিশরা জানলেই চলবে! সাবাস! সাফল্য আমাদের অনিবার্য
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
জামিল হাসান ১৯৮৬ বলেছেন: যৌক্তিক!!!!
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মেলানোর মানুষ আমি, আপনার সমীকরণ নিয়ে আসেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার ধারণা উঠে আসেনি