নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোনার মানুষ খুঁজি

কাজী জাকির হোসেন

প্রাক্তন সাংবাদিক, লেখক, শিক্ষক

কাজী জাকির হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখক-শিক্ষক রতন তনু ঘোষ আর নেই! তাঁর মৃত্যুতে কিছু স্মৃতি, কিছু অনুভূতির বয়ান

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

একজন অতি আপনজনকে হারালাম। মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের শিক্ষক সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট লেখক রতন তনু ঘোষ আর নেই। নিবিড় একটা আত্মিক সম্পর্ক সূত্রে বাঁধা পড়েছিলাম এই মানুষটির সঙ্গে। পরিচয় হবার পর থেকে বড় ভাইয়ের মতোই তিনি স্নেহ করতেন। ভালোবাসতেন। প্রয়োজনে ডাক দিতেন। সেই মানুষটি আকস্মিকভাবে বিনা নোটিশে (গতকাল ৩ অক্টোবর, সোমবার সন্ধ্যায়) চলে গেলেন। কলেজে গিয়ে জানলাম, স্ত্রী ড. ছন্দশ্রী পালের পিড়াপিড়িতে আজ তাঁকে ভাইয়ের বাসায় দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পত্রিকা অফিসে গিয়েছিলেন। পত্রিকা অফিসে দৌড়ানো ছিল তাঁর সহজাত অভ্যেস। পত্রিকা অফিস থেকে ফেরার পথে রাস্তায় সড়কদ্বীপের ওপর হঠাৎ পড়ে যান। সেখানে চোখের ওপরে কপালে আঘাত পান এবং তারপর আর তাঁকে বাঁচানো যায় নি।

যেভাবে মৃত্যু সংবাদ আসে!
কন্যাকে নিয়ে বাসায় ছিলাম। স্ত্রী-পুত্র মিরপুর দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। ওরা প্রায় ফিরে এসেছে ঠিক সেই সময় কেন্দ্রীয় কলেজের শিক্ষক স্নেহভাজন ছোট ভাই পলাশ ফোন দিয়ে বলল, ভাই, জানেন, রতনদা মারা গেছেন। স্তম্ভিত হলাম। বজ্রাহত হলাম। বললাম, ওরা মিরপুর গেছে, এসে পড়বে। এখনি বের হচ্ছি।

বের হব, তার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক আর বিশ্বজিৎ ঘোষ স্যারকে জানানোর প্রয়োজন অনুভব করলাম। আবুল কাশেম ফজলুল হক স্যারের কক্ষে ঢাবি কলাভবনেই ২০০১ সালে রতনদার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম। সেই থেকে সম্পর্কের শুরু।

কিছুক্ষণ পরই আমার স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ঢুকল। ওকেও খুবই স্নেহ করতেন। ইদানিং যোগাযোগ একটু কম। এর আগে যখনই রাস্তায় দেখা হত, যদি বলতাম, দাদা, বাসায় চলেন। বাসায় আসতেন। অনেক গল্প হত। অভিভাবকের মতো সব বিষয়ে আলোচনা করতেন। চলে যেতেন। ওনার বাসায়ও ঠিক একইভাবে যেতাম। সবাই মিলেও যেতাম। মাসীর সঙ্গে কথা হত। মেসোর সঙ্গে কথা হত। মেসো আর নেই। দুজনই টকটকে লাল। সন্তানরাও ওই একই রকম দেখতে। স্ত্রী ড. ছন্দশ্রী পাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর ডক্টরেট ডিগ্রিসহ সমস্ত কাজে দাদাকে দেখেছি সহযোগিতা করতে। তাঁরা নিঃসন্তান। এজন্যও দেখেছি কম দৌড়াদৌড়ি করেননি। অবশেষে দুজনের সম্পর্ক শুনেছি অতটা ভালো যাচ্ছিল না।

স্ত্রী বাসায় আসার পর বের হলাম। কেন্দ্রীয় কলেজে গেলাম। সেখানে সাবেক এক সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ একজন বললেন, জাকির, মানুষটার সঙ্গে দুপুরেও কথা বললাম। কী ভালো মানুষ ছিলেন! ছুটে গেলাম রতনদার লাশের কাছে। একনজর দেখলাম। দেখলাম, এখনো আমার চেয়েও তাজা টকটকে। দেখার সঙ্গে সঙ্গে মুখটা ঢেকে দিতে বললাম।

তারপর আমার সাবেক এই কর্মস্থলের শিক্ষক লাউঞ্জে বসলাম। সেখানে মাসী কপাল চাপড়াচ্ছিলেন আর কান্নাকাটি করছিলেন। মাসীকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা আমার নেই। তবু বুঝানোর চেষ্টা করলাম। বললাম, মাসী, কাঁদবেন না। আপনার ছেলে তো একজন সার্থক মানুষ ছিলেন। ছিলেন বলার সঙ্গে সঙ্গে নিজের মগজে একটা ধাক্কা খেলাম। ভাবলাম, কী বলছি আমি! একজন মাকে আমি বলছি, ছিলেন! যিনি কিনা এই বিকেলেও ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। দুপুরে বাসা থেকে যিনি বের হয়েছেন। আমি অতীতকাল ব্যবহার করে মায়ের মনে আঘাত দিচ্ছি না তো! আমি ভাবছি আর কষ্ট পাচ্ছি ওদিকে মাসী বলছেন, আরে, আমার রতন, আমি আর বাঁচতে চাই না, বাবা, তুমি আমাকে বিষ এনে দাও, আমি বিষ খাব। আমি আর বাঁচতে চাই না। আমারও মনে হলো, সত্যিই তো এই মায়ের আর বাঁচার সার্থকতা কোথায়! তিনি বেঁচেই বা কী করবেন! এই্ সোনার টুকরা ছেলেই তাঁকে, তাঁর সংসারকে সাক্ষাৎ ‘ভগবান’রূপে রক্ষা করতেন।

রতনদার বহুকাল যাবৎ আর গ্রামের বাড়ি নেই। একাত্তর সালে কুখ্যাত শত্রু সম্পত্তি হয়ে তাঁর বাপ-দাদার বাড়ি বেদখল হয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ একটা মিষ্টির দোকান ছিল। ছোট ভাই ও বাবা মিলে সেটা চালাতেন। ছোটভাই মারা যাবার পরে সেটাও বন্ধ করে দেন প্রায় ২০ বছর আগে। মোহাম্মদি হাউজিং লিমিটেডের ১ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। বর্তমানে মোহাম্মদি হাউজিং এর মূল সড়কে শিক্ষক পল্লীর একটি ফ্ল্যাটে থাকে তার গোটা পরিবার। এই ফ্ল্যাটটিও দাদার কেনা।

যে পরিবারের মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই নেই। এক ইঞ্চি জমি নেই। সেই পরিবারে বাবা-মা, তিন বোন, একভাইসহ ঢাকা শহরে রতনদা থাকতেন। ভাই-বোন সবাই ছোট। সেই ভাই-বোনদের পড়ালেখাসহ পুরো পরিবারের খরচ বহন করতেন তিনি একা। কাজের মধ্যে কেন্দ্রীয় কলেজের ওই একটা চাকরি। তবে সংসারটি চলে কী করে! ছোট ভাইয়ের পড়ালেখা, তিন বোনের পড়ালেখা, সংসার খরচ। কটাকা তিনি কেন্দ্রীয় কলেজ থেকে পেতেন! এত বড় সংসার। তাঁর মধ্যে অসততার ছিটেফোঁটাও ছিল না তবে! কী করে! তিনি সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতেন। বই লেখা নিয়ে, পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এটা ছিল তাঁর অতিরিক্ত উপার্জনের মাধ্যম। শুধু দৌড়ের ওপরে থাকতেন। বই সম্পাদনা করে টাকা কামাতেন। বইয়ের প্রুফ দেখে টাকা কামাই করতেন। এভাবে তিনি একে একে মানুষ করেন ভাই-বোন সবাইকে। ছোট ভাই নিখিলেশকে পড়ালেখা করালেন। নিজে লেখেন তাই ছোটভাইকেও লেখা্লেখিতে সাহায্য করলেন। তাঁকে নটরডেম কলেজে চাকরির ব্যবস্থা করালেন। দেশের এমন একটা নামিদামি কলেজের শিক্ষক নিখিলেশ। ছোটবোনদের একে একে ইডেনে অনার্স-মাস্টার্স করালেন। একে একে বিয়ে দিলেন। তারপর বুড়ো বয়সে নিজে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন। কিন্তু ছোটভাই-বোনদের এভাবে টানতে গিয়ে তাঁকে কোনোদিন বিরক্ত বা অধৈর্য হতে দেখি নি। ঠাণ্ডা মাথায় সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে দেখেছি। নিজের বিয়ে নিয়ে কখনো অধৈর্য হতে দেখি নি। কলেজে কে যেন বলছিলেন। ভাই-বোনদের জন্য কী না তিনি করেছেন। এক মা ছাড়া কাউকে তো দুফোঁটা চোখের পানি ঝরাতে দেখছি না। আমি তা বলি না। বলি না এই জন্যে যে আমরা তাঁদের মনের খবর জানি না। তাছাড়া ভাই-বোন সংসারের জন্য তিনি একটা কিংবদন্তি, দৃষ্টান্ত। এমনটা এইযুগে খুব বেশি হয় না। আমরাই তো এক্ষেত্রে জীবন্ত এক একটা অপদার্থ। কারও জন্য কিছুই করতে পারি না। তিনি পরিবারের জন্য করে আবার আমাদের খোঁজ রাখতেন, সরদার ফজলুল করিম স্যারের জীবদ্দশায় তাঁর বাসার খবর রাখতেন, লন্ডন প্রবাসী আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর খবর রাখতেন। এমনকি জাতীয় পর্যায়ের বহু মানুষকে তিনি যেমন চিনতেন, তেমনি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের ভালো-মন্দের খবরও রাখতেন। রতনদার সঙ্গে অনেক স্মৃতি। কিন্তু মূলত পারিবারিক এই বটবৃক্ষ মানব অস্তিত্ব বিশ্লেষণের জন্যই বলেছি, তাঁকে নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। না বললে অপরাধ হবে। রতনদা অহঙ্কার করে বলতেন, আমি তো আর এ যুগের মানুষ নই। আমি মহাকালের সঙ্গী। এই কথা নিয়ে মাঝে মাঝে ঠাট্টা-মসকরা করতাম। কিন্তু আজ ভেবে দেখিছি, তিনি এমন একটা মানুষ ছিলেন, যিনি অনেকক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের তুলনায় অসাধারণ ছিলেন। তিনি সত্যিই মহাকালের সঙ্গী হয়ে গেলেন।


যখন দৈনিক মুক্তকণ্ঠে চাকরি করি তখন খেকে রতনদার সঙ্গে পরিচয়। পরিচিত হবার পর প্রায়ই প্রেস রিলিজ নিয়ে আমার কারওয়ান বাজার অফিসে যেতেন তিনি। আমি ছাপার ব্যবস্থা করতাম। তার মানে এত ব্যস্ততার মধ্যে তিনি সাংগঠনিক কাজ-কর্মও করতেন। এরপর কেন্দ্রীয় কলেজে চাকরি নেয়ার পর তিনি আমার সহকর্ম ছিলেন। বহু সময় কেটেছে একসঙ্গে। একদিন হঠাৎ বললেন, জাকির, চলো, আহমেদ শরীফ স্যারের ধানমন্ডির বাড়িতে যাই। গেলাম। ওইদিন উনি উত্তর আধুনিকতা নিয়ে ওখানে প্রবন্ধ পাঠ করার কথা। অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক প্রধান আলোচক। বললাম, রতনদা আপনার প্রবন্ধ কোথায়? দেখলাম, একটা খাকি খামের ভেতর অনেক কাগজপত্র। খামের চারপাশে একটু একটু করে লেখা। হাতের লেখা ছিল টানের এবং খুবই সুন্দর লেখা, সাধারণের জন্য দুর্বোধ্য হলেও খুবই সুন্দর। লোকজন এলে দেখলাম, তিনি ওই খামটার দুপাশ দেখে দেখে উত্তর আধুনিকতা নিয়ে বক্তব্য রাখছেন। বিস্মিত হলাম।

রতনার সঙ্গে একটি স্মৃতির বিষয়ে আলাপ না করলেই নয়। একদিন হঠাৎ আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ওই সময় আমার স্ত্রী ছিল গাইবান্ধা বাপের বাড়ি। আমি রান্নাবান্না করেই খেতাম। তবে অনিয়ম করতাম খুব। সকালের খাবার দুপুরে, দুপুরের খাবার বিকেলে। রাতের খাবার রাত ১২টার পরে। একদিন দুপুরে ধীরে ধীরে টের পেলাম বুকটা জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ সহ্য করার পর মনে হলো, আমি বুঝি আর বাঁচব না। এই ই বুঝি সময় শেষ। অবস্থা গুরুতর ভেবে যে বা[ড়িতে থাকি, সেই বাড়ির মালিক হাজি আবু তাহের আঙ্কেলের ছেলে পলাশ আমার খুবই নিকটজন। ওকে ডাকলাম। ওকে নিয়ে মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ মার্কেটের নিচতলায় ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে গেলাম। তিনি ওষুধ লিখে দিলেন আর ইসিজি করতে বললেন। ছুটলাম ইসিজির উদ্দেশে। এরই মধ্যে রতনদার সঙ্গে দেখা। আমার অবস্থা দেখে ছুটলেন আমাকে নিয়ে ধানমন্ডির দিকে। কিছুদূর যাওয়ার পর রিকশায় আমাকে বললেন, একটা কাজ কর। রিকশা থামাই, তুমি একটা দোকানে চলো, আমার কাছে বাখরখানি আছে, তুমি পানি খেয়ে একটা ট্যাবলেট খাও। রতনদার কথামতো তাই করলাম। ধীরে ধীরে বুকের জ্বালা কমতে শুরু করলো। তারপর শঙ্কর ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ইসিজি করালাম। রতনদা সঙ্গে সঙ্গেই ছিলেন।
১০
সকালবেলা তিনি নিয়মিত শিয়ামসজিদ মোড়ে গিয়ে পত্রিকা উল্টাতেন, পড়তেন। দুতিনটা পত্রিকা কিনতেন। তার মধ্যে তার লেখাও থাকত। তিনি জাতীয় দৈনিকগুলোতে নিয়মিত আর্টিকেল লিখতেন। কেন্দ্রীয় কলেজ ছেড়ে যাবার পর রাস্তায় প্রায়ই দেখা হত। ওঠাবসা কমে গিয়েছিল। সময় পেতাম না। দেখা হলে হাত বাড়িয়ে দিতেন। কিছুক্ষণ কথা হবার পর তাড়া থাকলে তা বললে বলতেন, তোমার হাত ধরলেই হাত ছাড়িয়ে নিতে চাও। অমুক বোনটার জন্য একটা পাত্রও দেখতে পার না! নিজের বিয়ের আগে, একটু বেশি বয়সে বিয়ের চেষ্টা কিনা, বলতেন, তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণের এক ছাত্রী বাড়ি পটুয়াখালী রতনদার অনুরোধে সেই মেয়ের বাড়িতে তার বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেছি, সেই মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু সত্যিই কাজের কাজ কিছু্ হয় নি । তারপর বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী সঙ্গীতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোটবোন ওকে নিয়ে চেষ্টা করেছি। হয় নি। তারপর জাবিরই এক বড় বোনকে তিনি বিয়ে করলেন। কিন্তু কোনো সন্তানাদি হলো না। তিনি চলে গেলেন! বোনদের কোনোটাকে ডাক্তার, কোনোটাকে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে বিয়ে দিলেন। তারা সবাই এখন দেশে-বিদেশে খুবই ভালো আছে। দাদার বিয়েটাও সুখের হলো না, নিজের জীবনটাও আর রাখতে পারলেন না। বলি, ‘হায়! জীবন এত ছোট কেনে!’
১১
যতদূর জানি, রতনদার লেখা ও সংকলিত বইয়ের সংখ্যা ৫০ এরও বেশি। সাক্ষাৎকার গ্রন্থ আছে একাধিক। তার মধ্যে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. অমর্ত্য সেন, দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সরদার ফজলূল করিমসহ খ্যাতনামা ব্যক্তিরা আছেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন আত্মত্যাগী, সজ্জন ব্যক্তির জীবন কাহিনী পড়ে মুগ্ধ হ'লাম। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.