![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন গুলো দুঃস্বপের কাছে হোচট খায় বারবার, তবু দুঃস্বপ্নের দুয়ারেই আমি স্বপ্নের জাল বুনে যায় প্রতিদিন প্রতিক্ষণ .................
কাঠ ফাটা রোদ আর ভ্যাবসা গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছি, অত্যান্ত অহসহনীয় গরম পড়েছে আজ। তার'পর কালো পিচ তেতে উঠার দরুন অবস্থা অত্যান্ত করুন, গরমে সবাই হামি খাচ্ছে। অন্তত এই পথচারীরা তো বটেই। এরই মাঝে, রোদ আর গরমের সাথে মাখামাখি করে বাইক চালিয়ে যাচ্ছি মতিঝিল।
মিরপুর থেকে বের হতেই দখিন পুব কোণে এক চিলতে মেঘ চোখে পড়লো, অবশ্য সেটা সবার চোখে পড়ার মতো না। কিন্তু আমার পড়লো, কারণ গরমে হা করে নিঃশ্বাস নেয়ার মতো অবস্থা। কিন্তু মেঘ দেখলেই যে বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা আছে তা কি করে হয়। আবহাওয়া দপ্তরে তেমন কোন সংকেত নেই। তবু বাঁকা চোখে এক ঝলক তাকিয়ে ভেতর থেকে একটু তিরস্কার করলাম, সম্ভবত একটু হাসলামও। হাজারও মেঘ দল হার মানবে এই তিরতিরে রোদের দাপটের কাছে। আর তুমি তো চুনোপুটি!
হায়! হায়!! শুনতে পেল নাকি? হয়তো মিনিট দশেকের ব্যবধান, ফার্মগেট সিগন্যালে দাড়িয়ে আছি, এবং সিগন্যালে প্রচণ্ড গাড়ির চাপ এবং জ্যামের অবস্থা দেখে ভিমড়ি খাওয়ার মতো অবস্থা। হঠাৎ ই চোখ আটকে গেল দখিন কোণের মেঘ দেখে , এবং ভেতর যে গামে ভিজে একাকার তবু ভেতরটায় কেন যেন প্রশান্তি ছুঁয়ে গেল। আয় না আজ এক ঝুম বৃষ্টি ।
ফার্মগেট পার হয়েছি বটে কিন্তু জ্যামের কারনে খুব একটা এগুতে পারিনি। হঠাৎই হেলমেট এর ফাঁক দিয়ে টপাস করে এক ফোটা বৃষ্টি এসে চোখের কোণায় পড়লো। ভেতরের কোথায় যেন পুরো ঝুম বৃষ্টিতে ভেজার একটা অসম আকাংক্ষা চাগিয়ে উঠলো। হায় মেঘ তুমি বৃষ্টি দাও, আমি তোমার অঝর ধারায় ভিজিবো।
ঠিক তাই-ই , অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি ধূয়ে দিয়ে গেল কাঠ ফাঁটা রোদ আর গরমকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে।
এই যা, যে যার মতো ছুটছে রাস্তার ধারে, বিল্ডিংয়ের কোণে, বৃষ্টিতে ভিজে যাবার ভয়ে। কিন্তু আমার ভিতর থেকে একবারও বাঁধা এলোনা, আসুক না ঝুম বৃষ্টি ধূয়ে দিয়ে যাও , এলোও তাই ।
আজ তিরতিরে কাঠফাটা রোদকে বুড়ো আঙ্গুল দেখালো মেঘ...........।
©somewhere in net ltd.