নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিপুল শেখ, গাইবান্ধার সাইনদহ থেকে। পেশায় কম্পিউটার অপারেটর। প্রযুক্তি, এক্সেল ও ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি বিষয়ে আগ্রহী। “Tech Bristy” ইউটিউব চ্যানেলের নির্মাতা ও “পদ্ম কাহিনি” গল্পের লেখক।\n\n

বিপুল শেখ

লেখক

বিপুল শেখ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্ম কাহিনী - পর্ব ৩ - বিপুল শেখ

২২ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১৫

অধ্যায় ৫: নীরব ভালোবাসা, নিষিদ্ধ প্রার্থনা

পদ্মফুল ধীরে ধীরে যেন আমায় বিশ্বাস করতে শিখছিল।
তার প্রতিটি কথায়, প্রতিটি বিরতিতে একটা না-বলা আকুতি প্রায়ই লক্ষ্য করতাম।
ও কখনো সরাসরি কিছু চাইত না, কিন্তু ওর প্রতিটি গল্প, প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসে আমি যেন কোনো একটা অনুরোধ শুনতে পেতাম “আমায় একটু বোঝো, আমায় একটু অনুভব করো…”

একদিন সন্ধ্যায় লিখল,
“আজও কেউ আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেনি, আমি কেমন আছি।”
আমি থেমে গেলাম।
কী বলব, কীভাবে বলব, বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
তবুও অনেক আবেগ নিয়ে লিখেই ফেললাম- “আপনার পাশে যদি আমি থাকতাম, হয়তো প্রতিদিন আপনাকে এই প্রশ্নটা করতাম…”

ও লিখল-
“আপনার প্রতি কেমন একটা মায়া হয়, অথচ আপনি আমার কেওই নন।”
সেই বাক্যটা যেন আমার বুকের মাঝে একটা অদৃশ্য ছুরি বসিয়ে দিল।
আমিও তো জানি, আমি ওর কিছু নই- না স্বামী, না আত্মীয়, না কোনো ‘সামাজিকভাবে বৈধ’ সম্পর্ক।
কিন্তু কেনো যেনো আমি ওর জন্য একটা বৈধ সমর্কে জড়াতে চাচ্ছিলাম।
তবুও চুপ করে গেলাম। কারণ, ভালোবাসা কখনো কখনো উচ্চারণ করলেই তা পাপে পরিণত হয়ে যায়।

ওর প্রতি আমার অনুভবটা ধীরে ধীরে প্রার্থনায় রূপ নিচ্ছিল—
একটা নিষিদ্ধ প্রার্থনা।
যে প্রার্থনায় আমি ওকে চাই, কিন্তু জানি, তা কবুল হওয়া উচিত নয় আর হলেও হয়তো এর ফল ভালো হবেনা।

একদিন ওর ইনবক্সে একটাও ম্যাসেজ পাঠালাম না- চুপ করে ছিলাম। যদিও আমার নিজেরই অনেক কষ্ট হচ্ছিলো, তবে জোর করেই কিছু লিখিনি।
পরদিন সন্ধ্যায় লিখল—
“আপনি আজ কিছু বললেন না… জানেন, আমি আপনাকে অনেক মিস করেছি।”
এই একটা বাক্যে আমার সমস্ত আবেগ ভেঙে পড়ল।
আমি লিখলাম-
“আপনি আমার মনের ভেতর এমন একটা জায়গা নিয়ে ফেলেছেন, যেখানে আর কাউকে জায়গা দেওয়া সম্ভব না।”
ও শুধু লিখল-
“আমিও ভয় পাই… যদি একদিন আপনি আর না থাকেন। আবার এটাও ভাবতে হয় যে আপনি আমার জন্য একটা ফেতনা মাত্র। হয়তো শয়তানের ধোকা”

সেই রাতটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে নিঃশব্দ, সবচেয়ে আবেগভরা রাত।
আমি বিছানায় শুয়ে চাঁদের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, আর ভাবছিলাম—
আমাদের মাঝে যে দূরত্ব, তা শুধুই সামাজিক? নাকি আসমানি?

আমি কখনো ওর গায়ে হাত রাখিনি, কখনো চোখে চোখ রাখিনি।
তবুও আমি যেন ওর ভেতরে বাসা বেঁধেছি, ওর প্রতিটি নিঃশ্বাসে মিশে গিয়েছি।
এই ভালোবাসা ছিল—নিঃশব্দ, নিষিদ্ধ, কিন্তু নির্মল।

সেইদিন বুঝেছিলাম, কেউ কারো জীবনে না থেকেও কতোটা গভীরভাবে থেকে যেতে পারে।







অধ্যায় ৬: পাপের সীমান্তে দাঁড়িয়ে

পদ্মফুল এখন আর আগের মতো নেই।
ওর প্রতিটি ম্যাসেজে একরকম স্পষ্টতা, সাহস, আর অসহায়ত্ব মিলেমিশে থাকে।
মাঝেমধ্যে মনে হয়, ও যেন নিজেকেই খুঁজে ফেরে…
নিজের অস্তিত্বকে প্রশ্ন করে, বিশ্বাস আর অভিমানকে একসাথে বুকে চেপে রাখে।

আমাদের কথাগুলো এখন আর শুধু খবর নেওয়া বা অনুভূতি ভাগাভাগিতে সীমাবদ্ধ থাকে না।
একটা সম্পর্ক, যে সম্পর্কের নাম নেই, চেহারা নেই, ভবিষ্যৎ নেই—
তা এখন আমাদের প্রতিটি নিঃশ্বাসে ছড়িয়ে পড়েছে।

একদিন গভীর রাতে ও লিখল-
“আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আপনি যদি আমার কদমের পাশে হাঁটতেন, যদি আমি আপনার ছায়ায় একটু মাথা রাখতাম… তাহলে হয়তো আমি আর এতটা একা বোধ করতাম না।”
আমার বুকের মধ্যে হটাত ঝাপিয়ে উঠার মত অনুভব হলো।
আমি অনেকক্ষণ কিছু লিখতে পারলাম না।
তারপর লিখলাম-
“আপনার সেই একাকিত্ব যদি আমি ভাগ করে নিতে পারতাম… তবে নিজের জীবনটা হয়তো অন্যরকম হয়ে যেত।”

ও লিখল-
“কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না, তাই না?”
আমিও জানতাম, সেটা সত্যিই সম্ভব না।
আমরা দুজন দুই পৃথিবীর মানুষ—দুই ভিন্ন দাম্পত্যে আবদ্ধ, দুই রকম সামাজিক শৃঙ্খলে বাঁধা।

তবুও, তবুও কেন জানি মনে হয়, পদ্মফুলের হৃদয়ের গভীরে আমি জায়গা করে নিয়েছি…
একটা নিষিদ্ধ জায়গা—যেখানে কেউ কখনোই ঢুকতে পারে না, কিন্তু আমি মনে হয় সেখানে আছি।
কখনো গোপনে, কখনো সাহসে।

একদিন ওর একটা ম্যাসেজ এল—
“আজ রাতে ও (স্বামী) হঠাৎ খুব রেগে গেল। শুধু একটা চা না দিতে পারায় আমাকে এত অপমান করল, যেন আমি কোনো মানুষই নই।
আমার ৮ বছরের ছেলেটা এসে বলল—‘মা, তুমি কাঁদছো?’
আমি ওর দিকে তাকাতে পারিনি।”

এই ম্যাসেজ পড়েই মনে হলো, আমি আর পারছি না।
আমি চুপ করে থাকতে পারছি না।

আমি লিখলাম—
“আপনি চাইলে… আমি কিছু করতে পারি। আপনাকে নিয়ে দূরে কোথাও যেতে পারি।
আমরা নতুন করে শুরু করতে পারি, সামাজিক বাধা না ভেবে—একটা স্বচ্ছ ভালোবাসার জীবন গড়তে পারি।”
ওর কোনো উত্তর এল না সেদিন।

পরদিন দুপুরে ছোট্ট একটা লাইন এল-
“আপনি জানেন তো, আমি আপনাকে খুব মায়া করি! কিন্ত আমার স্বামীকেও আমি অনেক ভালোবাসি। এমন কি আপনি যা চাচ্ছেন সেটা কখনোই সম্ভব নয়…
আপনার ভালোবাসার কাছে আমি মাথা নত করতে পারি, কিন্তু পাপী হতে পারি না।”

এই লাইনটা যেন আমাকে শূন্যতার মাঝে ফেলে দিল।
আমি জানি ওর সব কথা সত্যি, প্রতিটি শব্দই ঠিক।
কিন্তু আমি কি মিথ্যা বলছি? আমি কি আসলেই পাপী হয়ে যাচ্ছি?
একজন বিধ্বস্ত নারীর পাশে দাঁড়াতে চাওয়াটাই কি পাপ?

আমি বুঝলাম, আমরা ভালোবাসার একটা এমন মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছি,
যেখানে এক ধাপ এগোলেই হয়তো সম্পর্কের নাম পাওয়া যাবে, কিন্তু আল্লাহর কাছে হারিয়ে যেতে হবে।

আমার কেবল মনে হচ্ছিল,
ভালোবাসা যদি হৃদয়ের গভীরে হয়, তবে তা কেন সমাজ, শরিয়াহ, আর নিয়তির কাছে হার মানে?

সেই রাতে আমি বুক ভাঙা কণ্ঠে আল্লাহকে বলছিলাম—
“হে রব, যদি এই ভালোবাসা হারাম হয়, তবে আমায় তা থেকে মুক্ত করে দাও।
আর যদি তা কোনোভাবে হালাল হয়, তবে কোনো একদিন আমাদের এক করে দাও।”

তবে আমি জানতাম—এই প্রার্থনাও হয়তো একরকম পাপ।

চলবে......?

কমেন্টসে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।অধ্যায় ৫: নীরব ভালোবাসা, নিষিদ্ধ প্রার্থনা

পদ্মফুল ধীরে ধীরে যেন আমায় বিশ্বাস করতে শিখছিল।
তার প্রতিটি কথায়, প্রতিটি বিরতিতে একটা না-বলা আকুতি প্রায়ই লক্ষ্য করতাম।
ও কখনো সরাসরি কিছু চাইত না, কিন্তু ওর প্রতিটি গল্প, প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসে আমি যেন কোনো একটা অনুরোধ শুনতে পেতাম “আমায় একটু বোঝো, আমায় একটু অনুভব করো…”

একদিন সন্ধ্যায় লিখল,
“আজও কেউ আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেনি, আমি কেমন আছি।”
আমি থেমে গেলাম।
কী বলব, কীভাবে বলব, বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
তবুও অনেক আবেগ নিয়ে লিখেই ফেললাম- “আপনার পাশে যদি আমি থাকতাম, হয়তো প্রতিদিন আপনাকে এই প্রশ্নটা করতাম…”

ও লিখল-
“আপনার প্রতি কেমন একটা মায়া হয়, অথচ আপনি আমার কেওই নন।”
সেই বাক্যটা যেন আমার বুকের মাঝে একটা অদৃশ্য ছুরি বসিয়ে দিল।
আমিও তো জানি, আমি ওর কিছু নই- না স্বামী, না আত্মীয়, না কোনো ‘সামাজিকভাবে বৈধ’ সম্পর্ক।
কিন্তু কেনো যেনো আমি ওর জন্য একটা বৈধ সমর্কে জড়াতে চাচ্ছিলাম।
তবুও চুপ করে গেলাম। কারণ, ভালোবাসা কখনো কখনো উচ্চারণ করলেই তা পাপে পরিণত হয়ে যায়।

ওর প্রতি আমার অনুভবটা ধীরে ধীরে প্রার্থনায় রূপ নিচ্ছিল—
একটা নিষিদ্ধ প্রার্থনা।
যে প্রার্থনায় আমি ওকে চাই, কিন্তু জানি, তা কবুল হওয়া উচিত নয় আর হলেও হয়তো এর ফল ভালো হবেনা।

একদিন ওর ইনবক্সে একটাও ম্যাসেজ পাঠালাম না- চুপ করে ছিলাম। যদিও আমার নিজেরই অনেক কষ্ট হচ্ছিলো, তবে জোর করেই কিছু লিখিনি।
পরদিন সন্ধ্যায় লিখল—
“আপনি আজ কিছু বললেন না… জানেন, আমি আপনাকে অনেক মিস করেছি।”
এই একটা বাক্যে আমার সমস্ত আবেগ ভেঙে পড়ল।
আমি লিখলাম-
“আপনি আমার মনের ভেতর এমন একটা জায়গা নিয়ে ফেলেছেন, যেখানে আর কাউকে জায়গা দেওয়া সম্ভব না।”
ও শুধু লিখল-
“আমিও ভয় পাই… যদি একদিন আপনি আর না থাকেন। আবার এটাও ভাবতে হয় যে আপনি আমার জন্য একটা ফেতনা মাত্র। হয়তো শয়তানের ধোকা”

সেই রাতটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে নিঃশব্দ, সবচেয়ে আবেগভরা রাত।
আমি বিছানায় শুয়ে চাঁদের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, আর ভাবছিলাম—
আমাদের মাঝে যে দূরত্ব, তা শুধুই সামাজিক? নাকি আসমানি?

আমি কখনো ওর গায়ে হাত রাখিনি, কখনো চোখে চোখ রাখিনি।
তবুও আমি যেন ওর ভেতরে বাসা বেঁধেছি, ওর প্রতিটি নিঃশ্বাসে মিশে গিয়েছি।
এই ভালোবাসা ছিল—নিঃশব্দ, নিষিদ্ধ, কিন্তু নির্মল।

সেইদিন বুঝেছিলাম, কেউ কারো জীবনে না থেকেও কতোটা গভীরভাবে থেকে যেতে পারে।







অধ্যায় ৬: পাপের সীমান্তে দাঁড়িয়ে

পদ্মফুল এখন আর আগের মতো নেই।
ওর প্রতিটি ম্যাসেজে একরকম স্পষ্টতা, সাহস, আর অসহায়ত্ব মিলেমিশে থাকে।
মাঝেমধ্যে মনে হয়, ও যেন নিজেকেই খুঁজে ফেরে…
নিজের অস্তিত্বকে প্রশ্ন করে, বিশ্বাস আর অভিমানকে একসাথে বুকে চেপে রাখে।

আমাদের কথাগুলো এখন আর শুধু খবর নেওয়া বা অনুভূতি ভাগাভাগিতে সীমাবদ্ধ থাকে না।
একটা সম্পর্ক, যে সম্পর্কের নাম নেই, চেহারা নেই, ভবিষ্যৎ নেই—
তা এখন আমাদের প্রতিটি নিঃশ্বাসে ছড়িয়ে পড়েছে।

একদিন গভীর রাতে ও লিখল-
“আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আপনি যদি আমার কদমের পাশে হাঁটতেন, যদি আমি আপনার ছায়ায় একটু মাথা রাখতাম… তাহলে হয়তো আমি আর এতটা একা বোধ করতাম না।”
আমার বুকের মধ্যে হটাত ঝাপিয়ে উঠার মত অনুভব হলো।
আমি অনেকক্ষণ কিছু লিখতে পারলাম না।
তারপর লিখলাম-
“আপনার সেই একাকিত্ব যদি আমি ভাগ করে নিতে পারতাম… তবে নিজের জীবনটা হয়তো অন্যরকম হয়ে যেত।”

ও লিখল-
“কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না, তাই না?”
আমিও জানতাম, সেটা সত্যিই সম্ভব না।
আমরা দুজন দুই পৃথিবীর মানুষ—দুই ভিন্ন দাম্পত্যে আবদ্ধ, দুই রকম সামাজিক শৃঙ্খলে বাঁধা।

তবুও, তবুও কেন জানি মনে হয়, পদ্মফুলের হৃদয়ের গভীরে আমি জায়গা করে নিয়েছি…
একটা নিষিদ্ধ জায়গা—যেখানে কেউ কখনোই ঢুকতে পারে না, কিন্তু আমি মনে হয় সেখানে আছি।
কখনো গোপনে, কখনো সাহসে।

একদিন ওর একটা ম্যাসেজ এল—
“আজ রাতে ও (স্বামী) হঠাৎ খুব রেগে গেল। শুধু একটা চা না দিতে পারায় আমাকে এত অপমান করল, যেন আমি কোনো মানুষই নই।
আমার ৮ বছরের ছেলেটা এসে বলল—‘মা, তুমি কাঁদছো?’
আমি ওর দিকে তাকাতে পারিনি।”

এই ম্যাসেজ পড়েই মনে হলো, আমি আর পারছি না।
আমি চুপ করে থাকতে পারছি না।

আমি লিখলাম—
“আপনি চাইলে… আমি কিছু করতে পারি। আপনাকে নিয়ে দূরে কোথাও যেতে পারি।
আমরা নতুন করে শুরু করতে পারি, সামাজিক বাধা না ভেবে—একটা স্বচ্ছ ভালোবাসার জীবন গড়তে পারি।”
ওর কোনো উত্তর এল না সেদিন।

পরদিন দুপুরে ছোট্ট একটা লাইন এল-
“আপনি জানেন তো, আমি আপনাকে খুব মায়া করি! কিন্ত আমার স্বামীকেও আমি অনেক ভালোবাসি। এমন কি আপনি যা চাচ্ছেন সেটা কখনোই সম্ভব নয়…
আপনার ভালোবাসার কাছে আমি মাথা নত করতে পারি, কিন্তু পাপী হতে পারি না।”

এই লাইনটা যেন আমাকে শূন্যতার মাঝে ফেলে দিল।
আমি জানি ওর সব কথা সত্যি, প্রতিটি শব্দই ঠিক।
কিন্তু আমি কি মিথ্যা বলছি? আমি কি আসলেই পাপী হয়ে যাচ্ছি?
একজন বিধ্বস্ত নারীর পাশে দাঁড়াতে চাওয়াটাই কি পাপ?

আমি বুঝলাম, আমরা ভালোবাসার একটা এমন মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছি,
যেখানে এক ধাপ এগোলেই হয়তো সম্পর্কের নাম পাওয়া যাবে, কিন্তু আল্লাহর কাছে হারিয়ে যেতে হবে।

আমার কেবল মনে হচ্ছিল,
ভালোবাসা যদি হৃদয়ের গভীরে হয়, তবে তা কেন সমাজ, শরিয়াহ, আর নিয়তির কাছে হার মানে?

সেই রাতে আমি বুক ভাঙা কণ্ঠে আল্লাহকে বলছিলাম—
“হে রব, যদি এই ভালোবাসা হারাম হয়, তবে আমায় তা থেকে মুক্ত করে দাও।
আর যদি তা কোনোভাবে হালাল হয়, তবে কোনো একদিন আমাদের এক করে দাও।”

তবে আমি জানতাম—এই প্রার্থনাও হয়তো একরকম পাপ।

চলবে......?

কমেন্টসে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.