![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় পাঠক,
আপনার মনের গহীনে কি এখনো 'পদ্ম কাহিনী'র শেষটা নিয়ে একরাশ জিজ্ঞাসা উঁকি দিচ্ছে? সেই যে অসমাপ্ত গল্পটা, যেখানে আমাদের যাত্রা হঠাৎ থমকে গিয়েছিল? হ্যাঁ, আমি জানি, আপনার মনে সেই প্রশ্নটা বারবার ফিরে আসে—এরপর কী হলো? আজ চলুন, সেই নীরব বিদায়ের শেষ পাতাটা আপনাদের সামনে মেলে ধরি।
পদ্মফুল সবসময়ই বলতো, "এইসব ফেতনা আর পাপ থেকে দূরে থাকতে।" আর তাই তো, আমার সেই 'পদ্ম কাহিনী'র ইতি টানা হয়েছিল এক কাল্পনিক বিচ্ছেদের সুর তুলে। কিন্তু জানেন তো, ভালোবাসার গল্পগুলো সহজে শেষ হতে চায় না। তাই, সেই গল্পেরই দ্বিতীয় সংস্করণ, 'পদ্ম কাহিনী ২' লিখতে হলো। অনেকটা তো লিখেই ফেললাম, কিন্তু নানা সমস্যার কারণে তা আর প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনি।
আসলে, পদ্মফুলের সাথে আমার এক নিবিড় ভাব জমে গিয়েছিল, যা ধীরে ধীরে ভালোবাসায় রূপান্তরিত হলো। হ্যাঁ, সত্যিকারের ভালোবাসা। একসময় সেই ভালোবাসা আমাদের দুজনেরই আর্তনাদের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেল। এরপর কত জল্পনা-কল্পনা, কত রাগ-অভিমান! সবকিছু ছাপিয়ে ভালোবাসাটা যেন সত্যিকারের অর্থ পেল, যেখানে মিশে ছিল দুজনের মনের আবেগ, প্রেম, আর কতশত স্বপ্ন। আর বেলাশেষে ছিল সেই পূর্ণতার এক তীব্র ইচ্ছে। মনের গহীন থেকে দেখা রঙ্গিন স্বপ্নগুলো যেন দূরের আকাশে মেঘের মতো লুকিয়ে তাকিয়ে থাকত।
তবে মাঝে মাঝে এই ভালোবাসাটা আবার মেহেদি পাতার মতোই রূপ নিত! উপরে সবুজ, কিন্তু ভিতরে রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত। তবুও স্বপ্ন দেখার ইচ্ছেটা তখনো ছিল অটুট, মনের গভীরে। দিন দিন যেন সবকিছুই বেড়ে যাচ্ছিল, সেই ভালোবাসার চাহিদাটাও।
কেও কাউকে ছাড়তে রাজি নয়, নাহ। পারবে না কেউই। চেষ্টা করে দেখেছে অনেকবার। কিন্ত ফলাফল ভালো দেয়নি। অবশেষে পূর্ণতার সিদ্ধ্যান্ত। কিন্ত মাঝ পথে একটা দেয়াল হয়ে দাঁড়ালো আমার স্ত্রী। খুব অভিমান আর আমাকে ভাগ দিতে না চাওয়ার ইচ্ছে। কিছুতেই সে আমাকে ভাগ করতে হতে দিতে পারবে না। আমার স্ত্রীর এই মায়া ভরা মুখ দেখে, পদ্মফুল নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনি। খুব-ই কান্নায় ভেঙ্গে পরে। এত দিনের সব জমে রাখা স্বপ্ন সব কি আজ এভাবেই শেষ হয়ে যাবে? আমি কি এই সহজ সরল মেয়েটার থেকে তার নিজের অংশটুকু কেড়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছি? আমি কি এই মেয়েটার চোখের পানির কারণ হচ্ছি না? এইসব চিন্তা করতে করতে পদ্মফুল ডিপ্রেশনে চলে গেলো। সে আমার সাথে যোগাযোগ আবারো কমিয়ে দিতে চাচ্ছে। সেদিন রাতে আর খাওয়া জোটেনি ভাগ্যে। সেও নাকি খায়নি কিছুই। পরের দিন চলে এলো সেই দিনটা। যে দিনকে নিয়ে আজকের এই লেখা। মুক্তি…
হ্যাঁ মুক্তি! এক অপূর্ণ ভালোবাসা থেকে চিরতরে মুক্তি। আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত। পদ্মফুল নিজেকে শেষ করে দিতে চাচ্ছে। সে এই গল্পের চিরো বিদায় জানাতে চায়। আমিও চাই, এই গল্পের চিরো বিদায় জানাতে। ইচ্ছে যখন ছিলো অনেক কিছুই সেখানে অপূর্ণতার বেড়াজালে আটকে গেছি যে। দিন গোনা শেষ। এইত আর কটা দিন, তারপরেই তো চলে যাচ্ছি সেই…
খুব ভালো হতো গল্পটার কাহিনী ভিন্ন ভাবে হলে। পাঠক হিসেবে নয়, লেখক হিসেবেও সেটাই চেয়েছি বারংবার। কিন্ত নিয়তি আর পরিস্থিতি, সময় কিছুই সেটা করতে দেয়নি।
— বিপুল শেখ
২৫শে জুন ২০২৫
©somewhere in net ltd.