![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসি দেশকে,তাই দেশের জন্য কিছু করতে চাই।
সরিসৃপ এই প্রাণীটিকে দেখলে আমাদের সবারই ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে। এই প্রাণীকে পছন্দ করে এমন মানুষ তাই খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু ৭০ শতাংশ সাপের বিষ নেই (Ripley’s believe it or not-2010) আবার বিষধর সাপেরা যে সব সময় বিষ ঢালে তাও কিন্তু না। বিষ সাপের এক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজেকে নিরাপদ রাখার এক প্রাকৃতিক সুরক্ষা। ইনল্যন্ড, তাইপান সহ আরো কিছু প্রজাতর সাপের বিষ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া সারা জীবন ধরে চলে তাই এরা কামড়ে বিষ ঢালতে কোনো কার্পণ্য দেখায় না কিন্তু যাদের এই সুবিধা নেই তারা কিন্তু যথেষ্ট হিসাব করেই বিষ ঢালে আবার অনেক সময় শুধু ভয় দেখানোর জন্যই কামড় দেয়।
তবে দুঃখের বিষয় হলো আমি সাপকে যতই ভালো প্রাণী হিসাবে উপস্থাপনের চেষ্ট করি না কেন এদের বিষ আসলেই মারাত্মক। দেখা গেছে র্যার্টেলস্নেক মাত্র ৫০% বিষ ঢালে এক কামড়ে, এই ৫০% বিষই মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট যদি না কয়েক মিনিটের (৩ মিনিট) ভিতর সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হয়। এদিক থেকে অবশ্য আমাদের দেশের (কোবরা ছাড়া) যথেষ্ট ভালো। তারা আপনাকে বাঁচার ভাল সুযোগ দেয় (৮-১০ মিনিট) . রেপটাইল গণের এই প্রাণীদের জ্বিহ্বার নিজে কিংবা চোয়ালের দুই পাশে একজোড়া রূপান্তরিত প্যারোটিড গ্রন্থি থাকে যাদের কাজ হলো বিষ উৎপন্ন ও সংরক্ষণ করা। এই বিষ মূলত একধরনের রূপান্তরিত লালা। এই গ্রন্থি থেকে অতি সূহ্ম নালী তাদের বিষ দাঁতে প্রবেশ করে। বিষধর সাপের দাঁত অনেকটা ইনজেকসন সিরিঞ্জ এর মত যা দিয়ে তারা বিষ ঢেলে দেয়। পুরো প্রক্রিয়াটা বলতে বা পড়তে যত সময় লাগলে তার হাজার ভাগ কম সময়ে সাপ বিষ ঢালে। প্রায় ২০ মিলি সেকেন্ডে এই প্রক্রিয়াটি হয়ে থাকে।
কিন্তু কেন সাপের বিষে মানুষ মারা যায়? প্রথমেই আসা যাক সাপের বিষ কী? প্রোটিন এনজাইম আর কিছু রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা তৈরী এক জটিল যৌগ যার ৯৫ শতাংশই প্রোটিন (ম্যান ভার্সেস ওয়াইন্ডের মত প্রোটিন পাইলেই খুশি হওয়ার কিছু নাই!). এই প্রোটিন আমাদের দেহে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলেও একে সাহায্য করে বিভিন্ন এনজাইম যে যৌগ প্রকৃতি ও মাত্রা অনুসারে আমাদের শরীরে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
কাজের ধরন অনুসারে সাপের বিষ ৩ ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরী করে -
১) হিমোটক্সিন- এই ধরনের বিষধারী সাপেরা তাদের বিষের সব ঝড় ঝাপটা রক্তের উপর দিয়ে পাঠায়। এই ধরনের বিষধারী সাপের বিষ শরীলে প্রবেশ করার পর এরা লোহিত রক্ত কণিনাকে ভেঙ্গে (হিমোলাইসিস) ফেলে এতে রক্তের অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। আবার কিছু সাপের বিষ হিমোলাইসিসের যন্ত্রণায় না তারা রক্ত জমাট বাধিয়ে ফেলে। অনেক সাপের বিষে phosphodiesterase নামক এনজাইম থাকে যা রক্ত চাপ কমিয়ে দেয়।
২) নিউরোটক্সিন- এই বিষ মানবদেহে খুব দ্রুত কাজ করে। এরা মূহুর্তের ভিতর রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে স্নায়ুকলা আক্রমণ করে। এতে কিছু সময়ের ভিতর মানুষ পেশী, শ্বসন তন্ত্রের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
৩) কার্ডিওটক্সিন- এই বিষ মানুষের হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। রক্ত পরিবহন ব্যবস্থাকে বাঁধা দেয়।
যেভাবেই কাজ করুক না কেন সাথে সাথে সঠিক প্রাথমিক ব্যবস্থা না নিলে যমকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।
সূত্র: জিরো টু ইনফিনিটি।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
সঞ্জয়ওঝা বলেছেন: মুল্যবান তথ্য দানের জন্য ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন।
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: তথ্যবহুল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
সঞ্জয়ওঝা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ,পোস্টটি পড়ার জন্য।
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ওঝা সাহেব, ভালো বলেছেন।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
সঞ্জয়ওঝা বলেছেন: থ্যাংকু,ভাইজান। লগে থাইক্কেন।
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: ওঝা সাব এত দিনে সাপ নিয়া লিখলেন............!!!!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
সঞ্জয়ওঝা বলেছেন: এই যুগে ওঝার কি আর দাম আছে ভাই?? তবু চেষ্টা করি আপনাদের একটু সেবা করতে।সাথে থাকলে খুশি হব।
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: ওঝা বীন ছাড়া বড়ই বেমানান।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮
সঞ্জয়ওঝা বলেছেন: আজকালকার দিনে বীণের দরকার হয় না ভাই। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
স্বপ্নীল. বলেছেন:
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
সঞ্জয়ওঝা বলেছেন:
৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০১
সাদা রং- বলেছেন: ছোটবেলায় গ্রামে থাকতে ২/১ বার সাপে কামড় দিয়েছে, তখন পরিবারের লোকজন কত যে পেরেশান হয়েছে তা এখন মনে পড়লে হাসি পায়।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
সঞ্জয়ওঝা বলেছেন:
৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
দ্যা খলনায়ক বলেছেন: আচ্ছা সাপ যদি অন্য সাপকে কামড়ায় তাহলে কি ঐ সাপ মারা যায় ?
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
সঞ্জয়ওঝা বলেছেন: সাপ অন্য সাপকে কামরায় কিনা জানি না,তবে সাপ মাঝে মাঝে অন্য সাপকে খেয়ে ফেলে। আর তাতে মরে কিনা আপনিই ভেবে দেখেন।
৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
বেকার সব ০০৭ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
সঞ্জয়ওঝা বলেছেন: ধন্যবাদ,সাথে থাকবেন।
১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
দি সুফি বলেছেন: ছোটবেলায় একবার সাপে লড়ানি দিছিল!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৮
সঞ্জয়ওঝা বলেছেন:
১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
নজরুল১৪৪ বলেছেন: Thanks
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: আমাদের দেশে বেশির ভাগ সাপে বিষ নেই, তাই বেশির ভাগ লোক মারা ্যায় ভয়ে কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়ে।
সাপের কামর দেখে বোঝা যায় কোনটা বিষধর সাপ, আন্ডার গ্রাড টক্সিকোলোজিতে পড়িয়েছি এক সময়, এখন সময় নেই হাতে, পরে সময় পেলে দিতে পারি।