![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য আর মিথ্যার মাঝে নিরপেক্ষ বলে কিছু নেই।
শয়তান যখন কোন দিক দিয়ে মানুষকে পরাস্ত করতে পারে না তখন তার মধ্যে সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে অহংকারের প্রভাব ফেলে। একজন মুসলিম যখন তার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালায় তার ঈমান ও আমল ঠিক রাখার জন্য আর যখন শয়তান দেখে যে সে সফল হওয়ার পথে তখন এই চাল চালে। নামাজ,রোজাসহ আল্লাহর ইবাদত সমূহ যথাযথ ভাবে আদায় করা অর্থাৎ হাকুল্লাহ ও হাক্কুল ইবাদ মানে আল্লাহর সৃষ্টির হক আদায় করা,এইসব যখন কেউ ঠিক ভাবে আদায় করে তখন তাকে আমরা আপাতদৃষ্টিতে ভালো মুসলিম হিসেবে চিনি। হাদিসে এসেছে, "যে কাজ লোক দেখানোর জন্য করে না,আর মানুষ তার প্রশংসা করে সেটা তার জন্য সুসংবাদ।"
কিন্তু কারো যদি অন্তরে অহংকার থাকে আর সে এটা ভাবে যে সে অন্যদের তুলনায় ভালো আমল করে তখনই অহংকার তাকে জেঁকে বসে। আর যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণে অহংকার থাকবে সে জান্নাতে যাবে না।
অহংকার হলো অন্যকে তুচ্ছ ভাবা আর নিজেকে বড় ভাবা। এই মনোভাব এভয়েড না করতে পারলে সে শয়তানের কাছে পরাজিত হয়ে যাবে। কারণ শয়তান সবদিক থেকে আক্রমণ চালাতে প্রস্তুত। একজন মুমিনকে তার আমল বরবাদ করতে সে যেকোনোভাবে তার শয়তানী বুদ্ধি নিয়ে হাজির হবে। তাই অহংকার থেকে সাবধান। যদি কোনো কারণে মনে হয় নিজের মধ্যে অহংকার প্রবেশ করছে তবে আল্লাহর কাছে পানাহ চান। লা হাওয়া ওয়ালা কু'আতা ইল্লাহ বিল্লাহ।
©somewhere in net ltd.