নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দংশিত

মানুষ হয়ে বাচঁতে চাই, মানুষের মত ভাবতে চাই

সৈয়দ সাব

সৈয়দ সাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

Let Me Say 'I'm From Bngladesh'

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২১

বাংলাদেশ কে আমার মাতৃভুমি বলতে দিন।

সৈ য় দ কা ম রা ন আ হ মে দ

আমার এখন যে বিষয়ে লিখতে যাচ্ছি, সেটা বেশ কিছুদিন আগ থেকেই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তাছাড়া কোন বিষয়ে মোটামুটি ধরনের স্পষ্ট ধারনা না থাকলে পরে সে বিষয়ে কিছু লেখা সত্যিই বোকামি। সেই দৃষ্টিতেই আমি লেখাটা লিখছি লিখব বলে লেখা হয়ে উঠেনি। তাছাড়া প্রতিদিন ঘটনা, রটনা পক্ষে বিপক্ষে ব্যাখ্যা বিশ্লেষন এইসব শুনে পড়ে আমি নিজেই মাজে মধ্যে কনফিউজড হয়ে যেতাম। তবে আত্বতৃপ্তি এই যে এখনো পর্যন্ত ‘দিশা হারা’ হইনি।

লেখাটা লেখার তৃব্র ইচ্ছা হয়েছিল যখন আমার দেশ পত্রিকায় ‘স্কাইপ কেলেংকারী’ প্রকাশিত হয়। আমি সাধারনত রাজনৈতিক লেখা বা কথা এড়িয়ে চলি। কারন আমাদের দেশে যারা রাজনীতি করেন এবং যারা তাদের পিছনে কাজ করেন তাদের হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশই উগ্র, পরমত সহিঞ্চুতা প্রদর্শনে প্রচণ্ড রকমে গরিব। তার উপর আছে মেষপালের মত ‘অন্ধ অনুকরণ’। এই বাস্তবতায় আমি ষোল কোটি মানুষের কাছে কিছুই না হতে পারি, কিন্তু আমি আমার নিজের কাছে বিশেষ একজন। স্বেচ্ছায় গালিগালাজ শুনা আর শত্রু বাড়ানোর মধ্যে বিশেষ কৃতিত্ব নেই। (আমার এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা এখানে দেয়া অপ্রাসঙ্গিক, চাইলে অন্য কোন লেখায় দিতে পারি)।

আমাদের অন্ধ আনুগত্য সাংগঠনিক কিংবা গোষ্ঠীক যতটা না তীব্র, বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়ে সেটা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে মারাত্বক রকম অসহনীয়। আমি সেই অসহনীয়টা কে মেনে নিয়েই লিখছি।

বর্তমানে প্রিয় স্বদেশ কে যে ‘কার্বন মনোক্সাইড’ চেয়ে গেছে সেটা টুকাই থেকে শুরু করে ডক্টরেট, এক বাক্যে বলবেন ‘যুদ্ধাপরাধী’।

তবে আমার লেখা তাদের নিয়ে নয়, বরং তাদের নিয়ে যারা এই বিষয়টাকে হাল্কাভাবে নিয়ে ছিলেন আর আমাদের কে সাগর কলা দেখিয়েছিলেন। কে অপরাধী কে নয়, সেটা ইতিহাস আর সাক্ষ্য প্রমানের ব্যাপার। কিন্তু আমার প্রশ্ন এই বিষয়টাকে ‘গিনিপিগ’ হিসেবে নিয়ে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা নেওইয়া হল কেন?

আজ এই প্রশ্নটাকে সামনে এনে আমাদের মধ্যে বিভেদ এনে দেওয়া হল কেন? হাসি পায় যখন কিছু কিছু আহাম্মক টাইপের লোক একটি রাজনৈতিক দলকে, আরো কাঁচা কথায় বলা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ কে বর্তমান বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষের ‘দল’ ‘শক্তি’ বা গোষ্ঠী বলে ‘সিলমোহর’ দেয়। অবশ্য এর একটা কারন আছে। যে কারণটা বি এন পি, জামায়াত, ইসলামী সংগঠন, আওয়ামিলীগ সবাই করে, নিজেদের ‘ইজম’ কে গিলিয়ে দেয়ার জন্য। আর সেই ইজম হচ্ছে ‘প্রগতিশীল’ হওয়া, ‘মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি’ হওয়া। আমাদের কে এই নতুন ইজমে দিক্ষিত করার জন্য আমার দেশের শিক্ষিত অশিক্ষত, কু শিক্ষিত সবাই জেনে বুজে এমন কি কোন কোন ক্ষেত্রে সার্থ হাসিলের জন্য আমাদের দীক্ষা দেওয়ার সুমহান কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন। তাই আমার মত হাজার হাজার তরুন নতুন এক ‘টাইম পয়জন’ দ্বারা বিষাক্ত করা হয়েছে। (তবে এই টাইম পয়জন দ্বারা বিষাক্ত আর কেউ হোক বা না হোক সঙ্গঠন হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হয়নি, সে আমি কসম খেয়ে বলতে পারি।) কিন্তু তারা একবারও ভাবলেন না তাদের এই সাময়িক ‘বুদ্ধিজীবিত্ব’ ইতিহাসে তারা নিজেদের স্থান কোথায় নিয়ে গেলেন।

আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তারা এই বিচার কার্য সম্পাদনের ওয়াদা নিয়ে এসেছে। অনেকের মতে এ জন্য তারা নিরপেক্ষ একটি জনগোষ্ঠীর সমর্থন (ভোট) পেয়েছিল। অনেকেই তখন থেকে অন্য একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ‘তুই রাজাকার’ শব্দের বিনাশ। আমাদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের প্রায় সবাই সেই হুজুগে প্রগতিশীল থেকে প্রগতিশীলতর, মহা প্রগতিশীল হয়েছিলেন। অথচ তারা যে জানতেন না তা না, আওয়ামীলীগ এর যুদ্ধাপরাদীদের বিচার মানে জামায়াত এর পাঠশালা পর্যন্ত। সেখানেই তারা তাদের জাতীয় সংগীতের রিহার্সেল করবে। আমাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ‘মিডিয়া’ যারা কেবল মালিক কর্মচারী সম্পর্কই বুজে, দেশ প্রেম বলতে বুজে দু চারটা ইতর কে মেথর পট্টি থেকে জেলে ঢুখানোর লাইভ বাঁদরামিতে, তাদের কাছ থেকেই আমাদের পাঠ নিতে হয়েছে যে রাজাকার আর ফাকিস্তানী দোসর বলতেই জামাত। কিন্তু সত্যিই কি তারা জানত না এদের বাইরেও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ছিল।( অনেকেই বলেন মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে, আমি বলি না, হয়নি, তারাই বিকৃত হয়েছে যারা বিকৃত করার কাজ করেছে। তবে তাদের প্রতি সত্যিই করুনা যারা চাপার জুড়ে ইতিহাসের সকল কৃতিত্য একলা নিতে চেয়েছেন বা অন্যরা দিতে চেয়েছে তাদের প্রতি। তাই আজ আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠে ‘শেখ মুজিব’ নাম আসে না, আসে আরো দৃঢ় হয়ে শহীদ তাজ উদ্দিনের নাম। ইতিহাস বরই নিষ্ঠুর)।

জানত, আর আমাদের সুশীল কুশীল উভয় সমাজই জানত এটা যতটা না প্রকৃত যুদ্ধাপরাদীদের বিচার করার আন্তরিকতা, তার চেয়ে বেশি ছিল, তখন অনেকেই বলেছেন হয়ত; রাজনৈতিক আক্রোশ। সেই আক্রোশটা হঠাৎ গর্ভধারী হল কিভাবে, ডি এন এ পরীক্ষা ছাড়া বলা সত্যিই দুঃসাধ্য)। (জানিনা কতটা সৎ হয়ে বলেছিলেন)।

এর প্রাথমিক নিদর্শন জামাতের সব কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার। অথচ বাদ পরলেন গোলাম আজম! (গোলাম আযম রাজাকার –এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়’ এই বাক্য ছোট বেলায় এত শুনেছি যে এই কারনে আমি শিবির এর ধারে কাছেও যাইনি।)। আর আওয়ামীলীগারদের কথা নাইবা বললাম, তারতো সবাই ফেরেশতা।

তখনও আমাদের ফিডার খাওয়া কিছু সুশীলরা বুজতে পেরেও না বুজার ভান করে সাময়িক ‘মুক্তিযুদ্ধের মশালদারী’ হয়ে দরকার হলে অলিম্পিকেও দিগম্বর হয়ে নাচতে রাজি ছিলেন। আমি আবারও বলছি এর জন্য আপনারা যে আপনাদের সারা জীবনের শিক্ষা, দর্শন, বিশ্বাস; অন্তরে বিশ্বাস করুন কিংবা না করুন, আবাসিক হোটেলের রাত্রিকালীন দালালের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, সেটা আরেক বার জেনে রাখুন। আপানাদের এই আদর্শহীনতার জন্যই প্রয়াত ডক্টর হুমায়ূন আজাদ আপনাদের নিয়ে অশ্লীল কৌতুক করতেন। (সত্যিই দুর্ভাগ্য আপানার হুমায়ুন আজাদ, দেখতে পেলেন না এদের চুরান্ত বিকৃতি)।

আমি কে? আমি সুবিধাভোগী। ত্রিশ লক্ষ্য মহা মানব / মানবীর রক্ত স্রোত আর শুয়োরদের সাথে ‘দেহ যোদ্ধা’দের অন্ধকার যুদ্ধে গনিমত হিসেবে পাওয়া বাংলাদেশ নামক একটি ভূখণ্ডের পাসপোর্টধারী। ৭১ সালে আমার কিছু যায়ওনা আসেওনা। আমার কিছুই হাড়ায়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া না হওয়াতে বিশেষ কিছু যায় আসে না। এমন কি তখনকার দিনের লোকগুলোকে দেখলে খ্যাত মনে হয়। কিন্তু তবুও কেন জানি, যে রাতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা কোন বই পড়ি সে রাতে আর গুমাতে পারিনা।(অনিদ্রা রোগের কারনে বোধহয়)। ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ বইটি পরে একটা পুরো দিন মুখে কিছুই নিতে পারিনি। (রুচি আর ক্ষুধা না থাকায় হয়ত।) ‘গেরিলা’ ছবিটা দেখে জ্বর এসে গিয়েছিল।( বিদেশে কামলা কাটি, জ্বর শর্দি হতেই পারে!)

কিন্তু তারা, যাদের সামনে লাইভ হরর আর ভায়োলেন্সের, ১৮+ সিনেমা দেখেছে, তারা? তারা, তাদের রেখে যাওয়া সন্তানেরা আজ কি দেখছে? আমরা ইন্ডিয়ান সিনেমা আর ইন্ডিয়ান সাজু গুজুর সিরিয়াল দেখে দেখে নিজেদের নাটক সিনেমা দেখার রুচিই নষ্ট করে ফেলেছি। তাইতো আজকে এইসব ‘স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর বিপক্ষের শক্তি’ সিনেমা নাটক দেখেই যাচ্ছি। শুধূ দেখে যাচ্ছিই না রীতিমত আমাদের মহামূল্যবান ‘এক স্টার/ ফাইভ স্টার’ রিভিউও দিয়ে যাচ্ছি। একটি নির্দিষ্ট সিলেবাসের বা গ্রুপ ভিত্তিক ইতিহাস অধ্যায়ন শেষে যখন ফেইস বুকে ইতিহাসবিদের সবক আর রেফারেন্স পড়ি, সত্যিই তখন নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। নাইবা জানলাম/পড়লাম সেই ইতিহাস, নাইবা হলাম প্রগতিশীল। অন্তঃত এই মানুষিক সান্তনা থাকে যে নিজেকে প্রতারিতো করি নাই।

স্কাইপ এ কেলেংকারী । অনেকেই টাস্কি খেয়েছেন, কেউ কেউ খাননি। আমি না খাওয়াদের ভাগে। সেই সময়ে অনেকে এটাকে ‘তথাকথিত’ বলেছেন, এর পিছনে ব্যাখ্যা উপ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মানলাম। সান্তনা আসল বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায়ে। যদিও বাচ্চু রাজাকার জামাতের কেও নয় বলে বানী শুনলাম।

আর আজ? হলতো?

বাঙ্গালী এমনই চিজ, থাপ্পড় খেলে আগে দেখে আশে পাশে কেউ দেখল কিনা। কেউ যদি দেখে ফেলে বলে ‘আরে ও কিছু না, উনি আমার দুলাভাই, মশকরা করে থাপ্পড় দিছেন’। এতদিন এটা বইয়ে পড়েছি, গতরাতে সেটা আল্লাহর রহমতে লাইভ দেখলাম’। ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির’ সরকার থাকতে এইরকম রায় আসা করা হয়নি। হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা।

আজকে জামাত আর ছাত্র শিবিরের এই রকম উগ্রতার দায় কার। জামাত ও শিবির, তাদের নিজের? বুকে হাত দিয়ে বলুন এর দায় বর্তমান সরকারের নয়। তপস্য মুক্তিযোদ্ধারা, আপনারা আপনাদের রক্তের কসম খেয়ে বলুন এর দায় বর্তমান সরকার এড়াতে পারবে? যাঁদের একটি নারী সদস্যও সে সময় লাঞ্ছিত হয়েছেন, তাদের ইজ্জতের কসম খেয়ে বলুন আজকের এই বিভৎস পরিস্থিতির জন্য আওয়ামীলীগ দায়ী নয়?

আজকে এই রকম পরিস্থির সৃষ্টি হবে আওয়ামীলীগ সরকার কি জানত না? খুভ ভাল করেই জানত। আজ বি এন পি নেত্রী কে এই পরিস্থিতে আসলে কি ছাত্রদল বসে থাকত। আওয়ামীলীগ নেত্রী শেখ হাসিনা কি জানেন না, জাতীর স্বাধীনতার চূড়ান্ত স্থপতি, তখনকার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিব সাহেব কে হত্যা করার পর কেউ রাস্তায় না নামলেও আজ উনি যদি এইরকম একটি পরিস্থিতি স্বীকার হন, আপনার ছাত্র লীগ কি বসে থাকবে? তবে কেন শিবিরের এই অবস্থান কে অস্বীকার করে দায় মুক্তি হতে চাচ্ছেন?

‘গভর্মেন্ট রায়ের জন্য পাগল’ হলেও সরকারে কি এমন কিছু সুস্থ চিন্তার আর দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনার লোক ছিলেননা বা নেই। তারা কি পারতেন না এই পরিস্থিতি এড়াতে। পারতেন না স্বচ্ছতাকে ‘আন্তর্জাতিক মানের’ করতে। ঠিকইওতো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কে জাতীয় ইস্যু বলা হয়। এতই যদি সৎ সাহস আর আন্তরিক হতেন তাহলে কি পারতেন না বিচার কার্য প্রকাশ্যে করতে? এক ফোন হ্যাকিং নিয়ে যদি ইংল্যান্ড লাইভ বিচার কার্য দেখাতে পারে আমরা কেন আমাদের এই জাতীয় কলঙ্ককে পৃথিবীর ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারলাম না। না আমরা পারি না। বাজারে বিক্রিত লজ্জা এখনো আমাদের ঘড়ের সতীত্ব।

আজ এই গাড়ী পুড়িয়ে মানুষ মারার কাজের সহজ রাস্তা আওয়ামীলীগেরই। জাহাঙ্গীর কবির নানক, ইতিহাস কিন্তু আপনাকে মনে রাখবে। আজ আশ্চর্য্য হই আওয়ামীলীগের দেউলিয়াপনা দেখে। এই কি সেই আওয়ামীলীগ যাদের পুর্বপুরুষরা মুজিব নগর সরকারের নেতৃত্ত্ব দিয়েছিলেন? আজ সেই ব্যনারের সামনে হানিফ সাহেবের মত লোক মুখপাত্র!সত্যিই বেদনাদায়ক। আমি হলফ করে বলতে পারি আগামী চল্লিশ বছরের মধ্যে আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে বিশ্বাস করানোতো পরে, বলাই যাবেনা আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম কে সংগটিত করেছিল ও নেতৃত্ব দিয়েছিল যথাক্রমে আওয়ামিলীগ নামক একটি জাতীয় রাজনৈতিক সংগঠন ও জাতীয় বীর সন্তানদের সাথে সেই সংগঠনের মহান কিছু নেতারা।

শেষ কিছু কথা বলে এই লেখার পরিসমাপ্তি আনছি।

আজ এই পরিস্থিতিতে কার কি ভুমিকা ইতিহাস কিন্তু তার ডায়রি লিখে ফেলেছে। এড়াতে পারব না আমরা কেউই। কিন্তু এখনো যারা স্বাধীনতা উত্তোর আওয়ামিলীগ আর স্বাধীন বাংলার আগের আওয়ামীলীগ কে এক করে দেখেন আপনাদের সবিনয়ে অনুরোধ করব, শেষ বারের মত হলেও না হয় বিবেক কে জাগ্রত করুন। আপনারা কি এখনো কি বুজতে পারছেন না আমার আপনার ক্ষুদ্র এক ইচ্ছা আর আবেগ কে পুঁজি করে আমাদেরকে বলির পাঠা বানানো হচ্ছে। আমার স্বদেশ কে শ্বশান বানাতে চাচ্ছে।

আজ আওয়ামীলীগ যুদ্ধাপরাদিদের বিচার নিয়ে গলাবাজি করছে। অন্যরাওচ্ছে। আরো কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনও করছে, তবে তাদেরটা যতটা না আন্তরিক তার চেয়ে বেশি জাতে উঠার জন্য। যদি সত্যি সত্যিই তারা চাইতেন তবে এই বিচার প্রক্রিয়া শুরুতেই প্রতিবাদী হতেন নিজেদের স্বপ্ন আর ইচ্ছার আত্বাহুতি দেখে।

আমরা কি আজ বর্তমান সরকার ও তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রতি আমাদের স্বপ্ন, আবেগ, ইচ্ছা এবং ৪২ বছরের অপেক্ষাকে হত্যা করার জন্য দায়ে দায়ী করতে পারিনা। আর সে হত্যার শাস্তি বাহ্যিক কোন শাস্তি নয়। মনস্তাত্ত্বিক শাস্তি। ঘৃনা, শুধু ঘৃনা। আমাদের, আমার দেশের স্বপ্নকে একবার হত্যা করেছিলে স্বাধীনতা উত্তরকালে, দেখিনি, এবং আজ আবার তোমরা তা করলে, দেখলাম। মনে থাকবে।

আর জাতীর বিবেক বলে যারা এখনো কিছু সম্মান নিয়ে আছেন, দয়া করে একটু শালীন হোন। ইতিহাস কি শুধু আমাদের বংশধরই পরবে, আপনাদের বংশদররা কি পরবে না। আল্লাহ না করুক সেদিন যদি আপনাদের কবরের পাশে আপনাদের বংশধররা সেই ইতিহাস পড়তে শুনে তারা কি আপনাদের ক্ষমা করবে। পারবেন কি ‘ব্লাডি ট্রেইটর’ বলা থেকে বিরত রাখতে?

জানি, আমা্‌র, আমাদের মত অনেকেই পরিস্থিতির স্বীকার। কিন্তু তাই বলে কি নগ্ন হতে হবে? স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে কোন একটি রাজনৈতিক দলের কথা বলে কেন আপনি আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে দিবেন, বিতির্কিত হবেন। সত্য বলতে, ন্যায়ের কথা বলতে কি কোন রাজনৈতিক দলের টিকেট লাগে। নাকি আজকাল সত্য মিথ্যার নতুন আপডেটে সেটাই এখন ব্রান্ড।

শেষ যে কথাটি বলব। জামাতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের জন্য যদি চরম কোন শাস্তি পেতে হয় তবে সেটা হওয়া উচিত স্বাধীনতার পরবর্তি একটি বিরাট জনগোষ্টিকে বিভ্রান্ত করার জন্য। নিজেদের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের প্রাশ্চিত্য আর অন্যায়ের সাথে স্বাধীন দেশের বিরাট একটি জনগোষ্টিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।

মাননীয় প্রাধান মন্ত্রির গতকাল রংপুরের অনুষ্টানে দেয়া বক্তব্যের সাথে সম্মান দেখিয়ে অন্ততঃ শিবিরের ছেলেদের সাথে পুলিশের বর্বরতা বন্ধ করা হোক। গ্রেফতার করুন, জেলে দিন, ফাঁসি দিন, কিন্তু রাস্তায় এভাবে পুলিশ দিয়ে আক্রোশ মিটানো থেকে সরে আসুন। তা না হলে আমার দেশকে আর আমার স্বাধীন দেশ মনে হয় না, মনে হয় আফগানিস্তান, ইরাকের মত, ইয়ামেনের, ফিলিস্তিনের মত। প্লিজ এই দুর দেশে বাংলাদেশ কে আমার নিজের দেশ হিসেবে পরিচিতি দেয়ার শেষ মানুষিক শক্তিটাকে কে হত্যা করবেন না। মাথা উঁচু করে বলতে দিন ‘I’m from Bangladesh’.

০৬/০১/১৩

০৪-২৩ এ এম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.