![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু মুহূর্ত বা ক্ষণ থাকে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। শব্দভাণ্ডার কে মনে হয় অসম্পূর্ণ, যুতসই শব্দ না পেয়ে চুল ছেড়া আর আঙুল মটকানো ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা। আমার মনে হয়, মনে হয় কেন বলব, অবশ্যই বলব যে যাঁদের অন্তরে বিন্দু পরিমাণের মানবিকতা বোধ আছে তারা সবাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই বিশেষ মুহূর্তগুলো অতিবাহিত করছেন। আর আমার মত যারা কথা কম বলে লেখার মাধ্যমে নিজের অনুভূতিকে প্রকাশ করেন তাদের কথা নাই বা বললাম।
আজকে মানিকগঞ্জে ৫জন (কেউ কেউ বলেছেন ৭ জন, এর দু দিন আগে ৪জন) নিরপরাধ মানুষের রক্তের স্রোত দেখে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারছিনা, কাররই থাকার কথা নয়। কেউ কেউ বলবেন নিরপরাধ কে্ন বলছি তাদের? নারে ভাই, আপনাদের কাছে যেটা অপরাধ আমার কাছেও সেটা অপরাধ, তবে কেন বলছি নিরপরাধ? ভাইরে, তারা কি এমনই অপরাধ করেছিল যে গুলি করে তাঁদের হত্যা করতেই হবে?
আজকে যারা অতি উৎসাহি হয়ে এই হত্যা গুলোকে বাহবা দিচ্ছেন কিংবা ইয়ে ইয়ে করছেন কিংবা হত্যার পিছনে যুক্তি দেখাচ্ছেন তাদের জন্য বলছি, আপনারা সেই একাত্তরে যাদের বর্বর আর হানাদার বলেছিলেন আজ কালের বিবর্তনে আপনারাও সেই একই ভূমিকা রাখছেন। হয়ত আমার কথা দলীয় ট্যাগ দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছেন, যান তাহলে সেই মায়েদের কাছে, যারা তাঁদের সন্তান কে হারিয়েছেন, জিজ্ঞেস করুন তাঁদের ভাই, বোন, স্ত্রীকে, প্রেমিকা কে, কি ভাবছে তারা ঘাতক কে? আজকে কেন যেন মনে হচ্ছে, একাত্তরে ফাকিস্তানীরা এদেশের মানুষগুলোকে হত্যা করে যে পৈচাশিক সুখ পেয়েছিল, আজ কে এই পুলিশ আর তাঁদের হুকুম দাতারা সেই একই সুখ ভোগ করছে। এই দুয়ের পার্থক্য তাহলে কোথায়? পশু সেতো পশুই, সে দেশিই হক আর বিদেশীই হোক। আমাদের মিডিয়াগুলোও যেন আজ এই সব পশুদের খোঁয়াড়ে পরিণত হয়েছে।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মিডিয়ার নিউজ কভারেজের টেকনিক দেখলে যে কোন সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
এরা কি এতই বিবেক জ্ঞানহীন? ‘ঢিলেঢালা হরতাল পালিত’ বলতে তারা কি বুজাতে চায়? নাকি তারা পরোক্ষভাবে বুজাতে চায় যে ৪-৫টা লাশ পড়েনা, গাড়ি ভাঙ্গা হল না, আগুন দেয়া হলনা, এ আবার কিসের হরতাল? মিডিয়ার সাথে জড়িতরা কি এতই মনুষত্বহীন। হায় আল্লাহ! এরাই বুজি আমার দেশের দর্পণ!
হরতাল যেহেতু একনও বেআইনি নয়, তাই সেটা যে কেউ করতে পারে, আবার সেটা পালন না করারও অধিকার যে কোন নাগরিকের আছে। মিডিয়া আসলে চাচ্ছে কি?
দশম কিংবা ইন্টারে বাংলা বইয়ে পড়েছিলাম ‘পুলিশ হচ্ছে উর্দি পড়া মাস্তান। হাতে অস্র থাকলে নিরীহ প্রাণীর দিকে চোখ যায়’। গল্পটা সম্ভবত ভারত বিভাগের সময়কার। কি আশ্চর্য...... ইংরেজ গেল, পাকি গেল, স্বৈরাচার গেল, কিন্তু উর্দি পড়া মাস্তানদের মাস্তানি গেলনা! উন্নতিটা তাহলে হল কিসে? শাহবাগি জাগরণে, বিশাল বিল বোর্ডে স্ফীত বক্ষশীলা পণ্য মেয়ের মুচকি হাসিতে, নিশিতে কল কইরো আমার ফোনে, নাকি রাত জেগে কম মূল্যে প্রেম আর পরকীয়া করাতে?
প্রকাশ্যে গুলি করা যে দেশে হালাল সে দেশ আর যাই হোক গণতান্ত্রিক দেশ হতে পারেনা। its just a police state. আর যারা আধুনিক রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অভিজ্ঞ, তারা জানেন বর্তমান সময়ের সংজ্ঞায় পুলিশ স্ট্যাট বলতে কিরূপ নীচ মানের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বুজায়। আর আমাদের দেশে মানবতাবাদীরা, সুশীলরা, প্রগতিশীলরা সেই কুৎসিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় চাপাবাজি করে বউ বাচ্চা নিয়ে সুখী পরিবারের আইডল গিরি দেখাচ্ছেন। এবং তারা অবশ্যই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি তবে মানসিক বোধসম্পন্ন মানুষ কিনা তাতে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
©somewhere in net ltd.