![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হিসেবে আমাদের আজকের এই পচন কিন্তু একদিনের না। তাই কোনো ব্যাক্তি বা গোষ্টীর পচন থেকে আসা দুর্গন্ধটাও আগুন্তুক নয়।
দিন দিন আমরা সেই দুর্গন্ধের সাথে মোটামুটিভাবে সহবাস করার ক্ষমতাও অর্জন করছি স্বপ্নে পাওয়া মহাঔষুদ সেবনে, দ্রুত থেকে দ্রুততর।
হরতাল করা যেমন বেআইনী নয় তেমনি হরতাল না মানাটাও কিন্তু অবৈধ কিছু না। তাই হরতালে গাড়ী বের করা যাবেনা, মানূষ জন অফিস আদালত করতে পারবেনা, সেরকম সংস্কৃতি আমাদের দেশে চলছে বলেই যে সেটাকে চালিয়ে নিতে হবে তার কোন মানে নেই। অন্যায় কে অন্যায় বলাই মানব ধর্ম।
আজকাল হরতালে যেভাবে গাড়ী পোড়ানো দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ খুব শিগগিরই 'পোড়ানো গাড়ী ' রপ্তানীকারক দেশ হতে যাচ্ছে। অন্তত বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটা খাততো হচ্ছে ! আর ভাংচুর? মাশাল্লাহ ! পুষ্টিহীন শরীর ও মনের এক এক জন যেন সাক্ষাৎ আলেকজান্ডার দা গ্রেট। কি বিভৎস সেই সব দৃশ্য।
সরকারের পুলিশ বাহীনী যেমন বিরোধিদলীয় লোকজনকে, দেশীয় লোককে 'ফরেইনার মাল' মনে করে গুলি করে তেমনি বিরোধিদলীয় কর্মিরা মহা উৎসাহে দেশীয় সম্পদ ধবংশ করেন 'সরকারী মাল' মনে করে। এতে আজকাল আমি, আপনারা - সাধারন বলে আর কোনো মানুষ বা গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার সাহস পাইনা, তাতে পৈতৃক জীবনটা খোয়া যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি। সে পুলিশের গুলিতেও হতে পারে আবার দেশের স্বাধীনতা- সারভৌমত্ব রক্ষাকারী (?) পিকেটারদের দেয়া আগুনেতেও হতে পারে।
জাহাঙ্গির কবীর নানকের গান পাউডারের আগুন দিয়ে ঘাড়ী পুরানো ও মানুষ হত্যার সেই মহান স্মৃতি রক্ষার কাজ সরকার ও বিরোধিদলীয়রা যে এমন আবেগ আর মমতা দিয়ে দেশের জনগনের উপর দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন, সত্যিই সেটা ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে লিখে রাখার মত একটা ব্যাপার।
©somewhere in net ltd.