![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কানাই স্যার। বিড়াল ছানারা আমার ছাত্র/ছাত্রী। বিড়াল হলে আমার ক্লাসে থাকবেন। বিড়াল-বিড়ালীরা ছাড়া ক্লাসে থাকবেন না।G
মান্না হতে চেয়েছিল কেজরিওয়াল
ভারতের আম আদমী পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মত ঢাকার কেজরিওয়াল হতে চেয়েছিলো মাহমুদুর রহমান মান্না। কিন্তু ঢাকার কেজরিওয়াল গংরা এমন করে ডিজিটাল ফাঁদে ফেঁসে যাবে, কে জানতো?
নাগরিক ঐক্যের আহ্ববায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ইঙ্গিত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকায় বসে দিল্লীর কেজরিওয়াল হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, অথচ একটি কর্মসূচিতে ৫’শ লোকও জড়ো করতে পারেন না। তাদের আদৌও কোনো জনসমর্থন নেই। তাই তারা ক্ষমতায় যাবার জন্য ষড়যন্ত্রের পথ অবলম্বন করেন। গণফোরাম সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আপনি জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। আপনি আমাদের নীতিকথা শেখাবেন না। শেখানোর আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন। মামুদুর রহমান মান্নার নাম ধরে শামীম ওসমান বলেন, ‘এরা কারা? নিজেরা নিজেদের নাগরিক সমাজ বলে, সুশীল সমাজ বলে। তারা নীতির কথা বলে। ড. কামাল সেই ব্যক্তি যিনি কালো টাকা সাদা করেছেন। খালেদা জিয়া, সাইফুর রহমানের সঙ্গে তিনিও কালো টাকা সাদা করেন। মান্না ছাত্রদের লাশ ফেলতে চান। সেনাবাহিনী দিয়ে ক্যু করানোর জন্য তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। এই সেনাবাহিনী জিয়াউর রহমানের সেনাবাহিনী নয়, বঙ্গবন্ধু যে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী গঠণের স্বপ্ন দেখেছিলেন এটা সেই সেনাবাহিনী। জিয়াউর রহমান স্বেচ্ছায় যুদ্ধ করেননি। জিয়াউর রহমান অস্ত্র সমর্পন করার সময় কর্নেল অলি (অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল অলি আহমদ) তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে অস্ত্র সমর্পন করতে দেননি। তিনি বাধ্য হয়ে যুদ্ধ করেছেন, কাদের সিদ্দিকীর বইয়ে একথা লেখা আছে। বিএনপি এ লেখার প্রতিবাদ করেনি।’
প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের দেশে একজন কেজরিওয়াল কোথায়? আমাদের দেশে যারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তি বা বিকল্প অথবা তৃতীয় ধারার রাজনীতির কথা বলেন তাদের কারও ব্যক্তিগত সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা-ভরসা নেই। আমাদের দেশে 'বিকল্প'পন্থিদের কথা ও কাজে মিল নেই। ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ যারা আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে নতুন রাজনৈতিক বলয় সৃষ্টির কথা বলেন তাদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে, তারা যতটা না নিজেদের শক্তি বাড়ানোর জন্য তৎপর তার চেয়ে আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলে বিএনপির জন্য সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই যেন বেশি মনোযোগী। তা ছাড়া তারা নিজ নিজ পেশার কোনো ক্ষতি না করে 'অবসর' সময়টা রাজনীতির জন্য দিতে চান। কিন্তু রাজনীতিটা পার্টটাইম 'জব' নয়। কেজরিওয়াল সরকারি চাকরি ছেড়ে কোনো পিছুটান না রেখে নিজেকে রাজনীতিতে সমর্পণ করেছেন। তিনি নিজেকে স্বচ্ছতা ও সততার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছেন। আমাদের এখানে রাজনীতিতে তেমন সৎ ও স্বচ্ছ মানুষ কোথায়?
- See more at: Click This Link
©somewhere in net ltd.