![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কানাই স্যার। বিড়াল ছানারা আমার ছাত্র/ছাত্রী। বিড়াল হলে আমার ক্লাসে থাকবেন। বিড়াল-বিড়ালীরা ছাড়া ক্লাসে থাকবেন না।G
সালাহউদ্দিনের সর্বশেষ আশ্রয়দাতা ছিলেন এই ধনকুবের বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ ‘নিখোঁজ’ ঘটনার আলোচনায় এখন দেশের এক শীর্ষ ব্যবসায়ীর নাম। একাধিক ব্যাংকের মালিক এই ধনকুবের ছিলেন সালাহউদ্দিনের সর্বশেষ আশ্রয়দাতা। ব্যবসায়ীর গুলশানের বাসভবনে সালাহউদ্দিন আত্মগোপনে ছিলেন বেশ কিছুদিন। রাত কাটিয়েছেন ওই ব্যবসায়ীর মতিঝিলের অফিসে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহলের ঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ী সালাহউদ্দিন আহমেদকে নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। সূত্র জানায়, সালাহউদ্দিনকে সহায়তা করায় শীর্ষ ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। হালে সরকারের ভিতরেও এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। চট্টগ্রামের আদিবাসী এই ব্যবসায়ী দেশে বড় শিল্পোদ্যোক্তাদের একজন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য দিয়ে বলেছে, সালাহউদ্দিনের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলশানে ওই ব্যবসায়ীর বাসায় অভিযান চালায়। কিন্তু অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে বাসা থেকে চম্পট দেন সালাহউদ্দিন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সালাহউদ্দিনকে না পেলেও ধরে নিয়ে যায় বাসার কেয়ারটেকারকে। যদিও কেয়ারটেকারকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সূত্র জানায়, গুলশানের বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালালে ঘাবড়ে যান ওই ব্যবসায়ী। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে সালাহউদ্দিনকে তিনি উত্তরার ৩ নং সেক্টরের ১৩/বি সড়কের ৪৯/এ নং ফ্ল্যাটে উঠতে বলেন। ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা বেসরকারি একটি ব্যাংকের ডিএমডি হাবিব হাসনাত ও তার স্ত্রী সুমনা গুলশান। ওই ব্যবসায়ীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন এই ব্যাংক কর্মকর্তা।গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহলের ঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ী সালাহউদ্দিন আহমেদকে নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। বিএনপির আমলে সালাহউদ্দিন আহমেদের কারণে ওই ব্যবসায়ীও নানা সুযোগ-সুবিধা পেতেন। তাদের এই ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের।
সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এপিএস থাকাকালীন সালাহউদ্দিন ওই ব্যবসায়ীকে সহায়তা করেন। ২০০২ সালেও প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে সালাহউদ্দিন নানাভাবে সহায়তা করেছেন। এরই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ওই ব্যবসায়ী নানাভাবে এখন সালাহউদ্দিন আহমেদকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
সূত্র জানায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর গুলশানের বাসায় সালাহউদ্দিন আহমেদ রয়েছেন। এরপরই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সেখানে অভিযান চালিয়েছিল চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে।
সূত্র মতে, সালাহউদ্দিনকে সহায়তা করায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। হালে সরকারের ভেতরেও এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। চট্টগ্রামের আদিবাসী এই ব্যবসায়ী দেশে বড় শিল্পোদ্যোক্তাদের একজন এবং একাধিক ব্যাংকের মালিক।
এদিকে সালাহউদ্দিনের ‘নিখোঁজ’ রহস্যের জট এখনো খোলেনি। কোথায় আছেন, কেমন আছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন গত আট দিনেও সেই রহস্যের জট খোলেনি। অজানা শঙ্কায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় পার করছেন তার স্ত্রী-সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন। উত্তরার যে বাসা থেকে সালাহউদ্দিনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই এলাকার লোকজনও সেদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি দেখেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ৯টার পরেই ১৩বি নম্বর সড়কের আশপাশের কয়েকটি ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় নিরাপত্তা কর্মীরাও নিজ নিজ এলাকায় সাইকেল, বাঁশি আর টর্চলাইট নিয়ে নেমে পড়েন। সোমবার রাতে ১৩বি নম্বর সড়কে ঢোকার মুখেই স্থানীয় কিছু তরুণ-তরুণীকে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যায়।
আনসার সদস্যরা জানান, সেদিনও (১০ মার্চ) এই তরুণ-তরুণীরা ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। তাদের একজন বলেন, ৯টার দিকে ১৩বি রোডের মাথায় একটা কালো পিকআপ এসে থামে। এরপর আরও মাইক্রোবাস ওই সড়কে ঢোকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পিকআপ ভ্যান-মাইক্রোবাস দেখে ছেলেরা ঘটনা কী জানার জন্য গলির মুখে উৎসুক হয়ে জড়ো হন।
এ সময় নিরাপত্তা কর্মীরা বলেন, ‘ভাইয়া আপনারা বাসায় যান। ঝামেলা হতে পারে।’ এরপর খেলা ভেঙে যায়। ছেলেমেয়েরা যে যার মতো বাসায় চলে যান। এর মধ্যে একজন নিজের বাসার দোতলার বারান্দা থেকে ৪৯/এ নম্বর বাসার সামনে একটি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। গত ১০ মার্চ রাত ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে একদল সাদা পোশাকধারী লোক উত্তরার একটি বাড়ি থেকে দুই গৃহকর্মীসহ তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন রাতে সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ এ অভিযোগ করেন। এরপর তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে বুধবার রাতে গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি-জিডি করতে যান। কিন্তু গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাটি তাদের এলাকায় না হওয়ায় উত্তরা (পশ্চিম) থানায় জিডি করতে যেতে বলে। এরপর তারা উত্তরা পশ্চিম থানায় গেলেও পুলিশ জিডি নেয়নি। এরপর সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ হাইকোর্টে একটি আবেদন দায়ের করেন।
এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, বিরোধী দলের সদস্য নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে ব্যর্থ হওয়ার ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। আহমেদ (সালাহউদ্দিন আহমেদ) নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি স্বাধীনভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরে বেশ কয়েকশ’ মানুষ বাংলাদেশে নিহত কিংবা নিখোঁজ হয়েছেন। বাংলাদেশে চলমান অবরোধের মাঝে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সব ধরনের নিখোঁজের ঘটনা তদন্তের তাগিদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। বাংলাদেশ
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২১
শেরশাহ০০৭ বলেছেন: উনাদের সমস্যা হল দালালী ছাড়া থাকতে পারেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫২
জুলহাস খান বলেছেন: আপনার সমস্যা কি??