নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি অদ্ভূদ এই মানুষ!!!

কানাই স্যার

আমি কানাই স্যার। বিড়াল ছানারা আমার ছাত্র/ছাত্রী। বিড়াল হলে আমার ক্লাসে থাকবেন। বিড়াল-বিড়ালীরা ছাড়া ক্লাসে থাকবেন না।G

কানাই স্যার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবধান! ড্রাইভিংয়ে মোবাইল ব্যবহার করবেন না

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

সাবধান! ড্রাইভিংয়ে মোবাইল ব্যবহার করবেন না

অশেষ উপকারী সবসময়ের সঙ্গী, আপনার প্রিয় সেল ফোনটি কখনও কখনও বিপদ থেকে ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে গাড়ি ড্রাইভিং-এর সময়। সকল ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের সময় এসেছে। সম্প্রতি আমেরিকান সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি সার্ভে রির্পোটের ফলাফলে বলা হয়, সেলফোন এবং অন্যান্য ওয়্যারলেস ডিভাইসে ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট মনোযোগ বিচ্যুতির কারণে গাড়ি চালকরা মুখোমুখি সংঘর্ষ বা ঐ ধরনের এক্সিডেন্টে পতিত হচ্ছে। আমেরিকার একটি অঙ্গরাজ্য গাড়ি চালানোর সময় হ্যান্ড হেল্ড ফোন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর জন্য অঙ্গরাজ্যটি আইনও পাশ করিয়েছে। আরো কিছু অঙ্গরাজ্য এই ধরনের আইন নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। শুধুমাত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু কিছু রাজ্য এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ড্রাইভারদের হ্যান্ড হেল্ড ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবুও দেখা যায় ড্রাইভিং এর সময় ৪০% সেলফোন ব্যবহৃত হচ্ছে এখনো।
সাম্প্রতিক কালে মোবাইল ফোনের এমনিতরো বহুমুখী অপব্যবহার ভাবিয়ে তুলেছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রযন্ত্রকে। দেশে দেশে সরকারীভাবে স্থানভেদে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে মোবাইল ফোন। কোথাও সরকারী অফিসে সেলফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কোথাও আবার সড়ক দূর্ঘটনা রোধকল্পে ড্রাইভিং অবস্থায় সেলফোনে কথা বলা বন্ধ করা হচ্ছে। কোন কোন দেশে সেলফোনে কথা বলার উপরে জরিমানাও করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার সরকারী অফিসে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারী অফিসের হাই-সিকিউরিটি এলাকায় মোবাইল ফোন এবং যেকোনো ধরনের হ্যান্ডহেল্ড কম্পিউটারের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গোপনীয়তা পাচার প্রতিরোধের লক্ষ্যেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গুরুতর অভিযোগ না পাওয়া গেলেও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের বহুল ব্যবহারে তথ্য ফাঁস হওয়ার আশংকা থেকেই এ জাতীয় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ইনফরমেশন সিকিউরিটি জোনের মতো জায়গায় যেখানে অফিসিয়াল বিষয়ে আলোচনা হয় সেখানেও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা জারির পূর্বে সরকারের তরফ থেকে সরকারী দপ্তর, এজেন্সি, সচিবালয় এবং স্থানীয় কাউন্সিলগুলোকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। সরকার প্রেরিত ঐ সার্কুলারে বলা হয় ফোন এবং পিডিএ (পারসোনাল ডিজিটাল অ্যাসিসস্ট্যান্ট) তথ্য ফাঁসে ব্যবহার হতে পারে। যা দেশের অর্থনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করতে পারে। সার্কুলারে আরো বলা হয়, সরকারী অফিসের চাকুরিরতদের কাছে এসব হ্যান্ডফোন এবং কমিউনিকেশন ডিভাইস অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু ক্যামেরাযুক্ত সেলফোনের বিস্তৃত ব্যবহার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় বাঁধা। তাই অবৈধ ডাটা বা ডিজিটাল ইমেজ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সকলের সচেতনতা আহবান করা হয়।
ব্রিটেনে ড্রাইভিং অবস্থায় ড্রাইভারদের জন্য মোবাইল ফোনে কথা বলা নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই আইন কার্যকর হচ্ছে। আইন ভঙ্গকারীর প্রাথমিক জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ পাউন্ড। তবে কেস যদি কোর্টে উঠে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আর প্রতিবার এ জাতীয় অপরাধের জন্য অপরাধী ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্সে তিনটি করে পেনাল্টি দেয়া হবে। মোটর চালকরা এই আইনের কড়াকড়ি থেকে কিছুটা রেহাই পাবে। মোবাইলে কথা বলার দরুণ যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে কেবল তখনই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আগস্টের শেষ পর্যন্ত এই আইনের উপযোগিতা নিয়ে জনসাধারণ এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে ব্যাপক পরামর্শ করা হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। সরকার এও জানিয়েছে, শতকরা নব্বই ভাগ মতামতই এসেছে নিষেধাজ্ঞার স্বপক্ষে। পরিকল্পিত এই নতুন আইন পার্লামেন্টে কিছুদিনের মধ্যে পাশ করানো হবে এবং সড়ক যানবাহন রেগুলেশন্স-এর ভেতরে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গবেষণায় দেখা যায় ড্রাইভিং অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে প্রতি চারবারে একবার দূর্ঘটনার আশংকা থাকে। ট্রান্সপোর্ট রিসার্চ ল্যাবরেটরি পরামর্শ দেয় ড্রাইভিং অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা পান করার চেয়ে বিপদজনক। ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দেওয়া হয় হ্যান্ডস ফ্রি ব্যবহার করে কথা না বলার জন্যে। কারণ এতে করে ড্রাইভিংয়ের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে না। রয়েল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব অ্যাকসিডেন্টস সংক্ষেপে রোসপা নামের একটি খ্যাতনামা সংগঠন নতুন ঘোষনাকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে ফোনে কথা বলার জন্য প্রতিদিন হাজার খানেক দুর্ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে মৃত্যু হয় অন্তত: ২০ জনের। এদের মধ্যে আবার দু’টো ট্র্যাজেডি ঘটে হ্যান্ডস-ফ্রি ব্যবহারের কারণে। ‘রোসপা’ মোটর চালকদের হ্যান্ডস-ফ্রি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে এবং এ বিষয়েও আইনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে।
ইতালিতে সরকারীভাবে আইন করেই ক্লাস রুমে পাঠরত অবস্থায় মোবাইল ফোনের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এরপরও কেউ যদি ক্লাস রুমে আইন অমান্য করে মোবাইল ফোন নিয়ে আসে সেক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ মোবাইল বাজেয়াপ্ত থেকে শুরু করে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অভিযুক্ত ছাত্র বা ছাত্রীকে বাদ দিতে পারবেন। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি অঙ্গরাজ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহারের উপর বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে সে সব রাজ্যের রাজ্য সরকার। সম্প্রতি চারটি অঙ্গরাজ্যে ড্রাইভিং অবস্থায় মোবাইল ফোনের সীমাবদ্ধ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে আইন করা হয়েছে। এই চারটি অঙ্গরাজ্য হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া, কানেক্টিকাট, নিউ জার্সি এবং নিউইয়র্ক। নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সিতে হ্যান্ডহেল্ড মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং চলাকালীন অবস্থায় এয়ারপীস ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে। অন্যথায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না ড্রাইভাররা। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। আইনে বলা হয়েছে যদি কোন ড্রাইভার হেডসেট, এয়ার বাড বা হ্যান্ডস-ফ্রি ব্যবহার না করে গাড়ি চালায় তবে ড্রাইভারকে ২০ ডলার জরিমানা করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ড্রাইভিং চলাকালীন অবস্থায় মোবাইল ফোনের উপর নানারকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ চলছে। উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোও এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেসব দেশ ড্রাইভিং অবস্থায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিংবা শর্তযুক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সে সব দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইজিপ্ট, ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, সাউথ আফ্রিকা, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, তুরষ্ক, তুর্কমেনিস্তান, জিম্বাবুয়ে, ইসরায়েল, জার্সি, জর্ডান, মেক্সিকো (আংশিকভাবে নিষিদ্ধ), ফিলিপিন্স, স্লোভাক রিপাবলিক, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, বাহরাইন, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা (এখনো বিতর্কিত), চিলি, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড এবং ভারত (নয়া দিল্লী)। এই তালিকার সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ও শ্রবণযন্ত্র (ইয়ার ফোন) ব্যবহার করা যাবে না। সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রায় তিন মাস আগে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও প্রচারের অভাবে এখনো এর কোনো কার্যকারিতা চোখে পড়ছে না। রাজধানীসহ সারা দেশে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে দুর্ঘটনা হার বাড়ছে। অনেকে ইয়ার ফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে গাড়ি চালায়, যা অনেক সময় দূর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঢাকায় সড়ক দূর্ঘটনার বেশির ভাগই হয়েছে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন বা ইয়ার ফোন ব্যবহারের কারণে। অবশেষে নিরীক্ষা চালানোর পর সরকার গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ও ইয়ার ফোন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারী সিদ্ধান্ত যেন অদরকারী সিদ্ধান্ত না হয়, শুধু নিজে বাঁচতে এবং অন্যকে রক্ষা করার দরকারে হলেও ড্রাইভিংয়ের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারে এখন থেকেই সাবধান হোন।

অশেষ উপকারী সবসময়ের সঙ্গী, আপনার প্রিয় সেল ফোনটি কখনও কখনও বিপদ থেকে ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে গাড়ি ড্রাইভিং-এর সময়। সকল ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের সময় এসেছে। সম্প্রতি আমেরিকান সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি সার্ভে রির্পোটের ফলাফলে বলা হয়, সেলফোন এবং অন্যান্য ওয়্যারলেস ডিভাইসে ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট মনোযোগ বিচ্যুতির কারণে গাড়ি চালকরা মুখোমুখি সংঘর্ষ বা ঐ ধরনের এক্সিডেন্টে পতিত হচ্ছে। আমেরিকার একটি অঙ্গরাজ্য গাড়ি চালানোর সময় হ্যান্ড হেল্ড ফোন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর জন্য অঙ্গরাজ্যটি আইনও পাশ করিয়েছে। আরো কিছু অঙ্গরাজ্য এই ধরনের আইন নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। শুধুমাত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু কিছু রাজ্য এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ড্রাইভারদের হ্যান্ড হেল্ড ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবুও দেখা যায় ড্রাইভিং এর সময় ৪০% সেলফোন ব্যবহৃত হচ্ছে এখনো।
সাম্প্রতিক কালে মোবাইল ফোনের এমনিতরো বহুমুখী অপব্যবহার ভাবিয়ে তুলেছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রযন্ত্রকে। দেশে দেশে সরকারীভাবে স্থানভেদে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে মোবাইল ফোন। কোথাও সরকারী অফিসে সেলফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কোথাও আবার সড়ক দূর্ঘটনা রোধকল্পে ড্রাইভিং অবস্থায় সেলফোনে কথা বলা বন্ধ করা হচ্ছে। কোন কোন দেশে সেলফোনে কথা বলার উপরে জরিমানাও করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার সরকারী অফিসে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারী অফিসের হাই-সিকিউরিটি এলাকায় মোবাইল ফোন এবং যেকোনো ধরনের হ্যান্ডহেল্ড কম্পিউটারের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গোপনীয়তা পাচার প্রতিরোধের লক্ষ্যেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গুরুতর অভিযোগ না পাওয়া গেলেও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের বহুল ব্যবহারে তথ্য ফাঁস হওয়ার আশংকা থেকেই এ জাতীয় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ইনফরমেশন সিকিউরিটি জোনের মতো জায়গায় যেখানে অফিসিয়াল বিষয়ে আলোচনা হয় সেখানেও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা জারির পূর্বে সরকারের তরফ থেকে সরকারী দপ্তর, এজেন্সি, সচিবালয় এবং স্থানীয় কাউন্সিলগুলোকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। সরকার প্রেরিত ঐ সার্কুলারে বলা হয় ফোন এবং পিডিএ (পারসোনাল ডিজিটাল অ্যাসিসস্ট্যান্ট) তথ্য ফাঁসে ব্যবহার হতে পারে। যা দেশের অর্থনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করতে পারে। সার্কুলারে আরো বলা হয়, সরকারী অফিসের চাকুরিরতদের কাছে এসব হ্যান্ডফোন এবং কমিউনিকেশন ডিভাইস অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু ক্যামেরাযুক্ত সেলফোনের বিস্তৃত ব্যবহার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় বাঁধা। তাই অবৈধ ডাটা বা ডিজিটাল ইমেজ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সকলের সচেতনতা আহবান করা হয়।
ব্রিটেনে ড্রাইভিং অবস্থায় ড্রাইভারদের জন্য মোবাইল ফোনে কথা বলা নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই আইন কার্যকর হচ্ছে। আইন ভঙ্গকারীর প্রাথমিক জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ পাউন্ড। তবে কেস যদি কোর্টে উঠে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আর প্রতিবার এ জাতীয় অপরাধের জন্য অপরাধী ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্সে তিনটি করে পেনাল্টি দেয়া হবে। মোটর চালকরা এই আইনের কড়াকড়ি থেকে কিছুটা রেহাই পাবে। মোবাইলে কথা বলার দরুণ যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে কেবল তখনই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আগস্টের শেষ পর্যন্ত এই আইনের উপযোগিতা নিয়ে জনসাধারণ এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে ব্যাপক পরামর্শ করা হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। সরকার এও জানিয়েছে, শতকরা নব্বই ভাগ মতামতই এসেছে নিষেধাজ্ঞার স্বপক্ষে। পরিকল্পিত এই নতুন আইন পার্লামেন্টে কিছুদিনের মধ্যে পাশ করানো হবে এবং সড়ক যানবাহন রেগুলেশন্স-এর ভেতরে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গবেষণায় দেখা যায় ড্রাইভিং অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে প্রতি চারবারে একবার দূর্ঘটনার আশংকা থাকে। ট্রান্সপোর্ট রিসার্চ ল্যাবরেটরি পরামর্শ দেয় ড্রাইভিং অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা পান করার চেয়ে বিপদজনক। ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দেওয়া হয় হ্যান্ডস ফ্রি ব্যবহার করে কথা না বলার জন্যে। কারণ এতে করে ড্রাইভিংয়ের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে না। রয়েল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব অ্যাকসিডেন্টস সংক্ষেপে রোসপা নামের একটি খ্যাতনামা সংগঠন নতুন ঘোষনাকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে ফোনে কথা বলার জন্য প্রতিদিন হাজার খানেক দুর্ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে মৃত্যু হয় অন্তত: ২০ জনের। এদের মধ্যে আবার দু’টো ট্র্যাজেডি ঘটে হ্যান্ডস-ফ্রি ব্যবহারের কারণে। ‘রোসপা’ মোটর চালকদের হ্যান্ডস-ফ্রি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে এবং এ বিষয়েও আইনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে।
ইতালিতে সরকারীভাবে আইন করেই ক্লাস রুমে পাঠরত অবস্থায় মোবাইল ফোনের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এরপরও কেউ যদি ক্লাস রুমে আইন অমান্য করে মোবাইল ফোন নিয়ে আসে সেক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ মোবাইল বাজেয়াপ্ত থেকে শুরু করে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অভিযুক্ত ছাত্র বা ছাত্রীকে বাদ দিতে পারবেন। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি অঙ্গরাজ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহারের উপর বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে সে সব রাজ্যের রাজ্য সরকার। সম্প্রতি চারটি অঙ্গরাজ্যে ড্রাইভিং অবস্থায় মোবাইল ফোনের সীমাবদ্ধ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে আইন করা হয়েছে। এই চারটি অঙ্গরাজ্য হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া, কানেক্টিকাট, নিউ জার্সি এবং নিউইয়র্ক। নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সিতে হ্যান্ডহেল্ড মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং চলাকালীন অবস্থায় এয়ারপীস ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে। অন্যথায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না ড্রাইভাররা। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। আইনে বলা হয়েছে যদি কোন ড্রাইভার হেডসেট, এয়ার বাড বা হ্যান্ডস-ফ্রি ব্যবহার না করে গাড়ি চালায় তবে ড্রাইভারকে ২০ ডলার জরিমানা করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ড্রাইভিং চলাকালীন অবস্থায় মোবাইল ফোনের উপর নানারকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ চলছে। উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোও এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেসব দেশ ড্রাইভিং অবস্থায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিংবা শর্তযুক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সে সব দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইজিপ্ট, ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, সাউথ আফ্রিকা, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, তুরষ্ক, তুর্কমেনিস্তান, জিম্বাবুয়ে, ইসরায়েল, জার্সি, জর্ডান, মেক্সিকো (আংশিকভাবে নিষিদ্ধ), ফিলিপিন্স, স্লোভাক রিপাবলিক, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, বাহরাইন, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা (এখনো বিতর্কিত), চিলি, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড এবং ভারত (নয়া দিল্লী)। এই তালিকার সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ও শ্রবণযন্ত্র (ইয়ার ফোন) ব্যবহার করা যাবে না। সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রায় তিন মাস আগে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও প্রচারের অভাবে এখনো এর কোনো কার্যকারিতা চোখে পড়ছে না। রাজধানীসহ সারা দেশে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে দুর্ঘটনা হার বাড়ছে। অনেকে ইয়ার ফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে গাড়ি চালায়, যা অনেক সময় দূর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঢাকায় সড়ক দূর্ঘটনার বেশির ভাগই হয়েছে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন বা ইয়ার ফোন ব্যবহারের কারণে। অবশেষে নিরীক্ষা চালানোর পর সরকার গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ও ইয়ার ফোন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারী সিদ্ধান্ত যেন অদরকারী সিদ্ধান্ত না হয়, শুধু নিজে বাঁচতে এবং অন্যকে রক্ষা করার দরকারে হলেও ড্রাইভিংয়ের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারে এখন থেকেই সাবধান হোন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.