নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় - শিক্ষক নিয়োগ, গবেষণা, দক্ষতা, নৈতিকতা ও রাজনীতি (শিক্ষা)

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪২


ছাত্র জীবনে আমার এক বন্ধুকে তিনটি টিউশনির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বন্ধুটি কোন টিউশনিই দুই মাসের বেশি কন্টিনিউ করতে পারেনি। অভিযোগ হল স্যারের বদমেজাজ, উচ্চস্বরে কথা বলা, ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে তুই/তুকারী করা, বেত দিয়ে পেটানো, সময়মতো পড়াতে না যাওয়া, অপরিচ্চন্ন ড্রেসআপ, শরীরের দুর্গন্ধ ও অতি কথন। সর্বাপরি ছাত্রদের আপন করে নিতে না পারা।

তিনটি বাসায় আমি ইংলিশ ও একাউন্টিং পড়াতাম। আর বন্ধুটির দায়িত্ব ছিল গণিত পড়ানো। আমরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পড়াতে যেতাম বলে একে অন্যের সাথে তেমন দেখা হত না। একদিন এক ছাত্রীর মা আমার কাছে এসে বল্লেন, মেয়েটি গত দুইদিন স্যারের কাছে পড়তে বসেনি। অনেক চেষ্টা করেও রাজি করাতে না পেরে আমাকে জানাতে এসেছেন, আমি যাতে মেয়িটিকে বুঝিয়ে বলি। কারণ জানতে চাইলে মেয়েটি বল্ল, স্যারকে সে প্রচন্ড ভয় পায়। তিনি সব সময় ধমক দিয়ে কথা বলেন, তুই তুকারি করেন। এছাড়া সময়মত পড়াতে আসেন না ইত্যাদি আরো অনেক অভিযোগ। আমি অনেক দিন থেকে তাকে পড়ানোর ফলে মেয়েটির মানসিক অবস্থা সহজে বুঝতে পারতাম। মেয়েটি খুব মেধাবী ছিল বলে সব সময় হোম ওয়ার্ক করে রাখত। সে খুব ভদ্র ও নিরিবিলি ছিল। কোনদিন তার সাথে রাগারাগি করিনি বা বকাঝকা দেইনি। অনেক চেষ্টার পরও রাজি করাতে না পেরে স্যারকে বাদ দিতে হল। বাকি দু'টি টিউশনিতে কমিবেশি একই অবস্থা। কোনটি একমাস, কোনটি দেড়মাস টিকেছিল।

আমার এ বন্ধুটি গত আট বছর থেকে বাংলাদেশের নামকরা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত শিক্ষক। এখন আমেরিকায় পিএইচডি করছে। সর্বশেষ গত জানিয়ারিতে (২০১৮) তার সাথে দেখা হওয়ার পর সে বলেছে পিএইচডি করতে আমেরিকাতে আর আট-দশ বছর থাকতে হবে। তবে আমেরিকায় কাটানো বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেতন-ভাতা ঠিকই পাবে। আর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করার পর বিদেশে ভাল সুযোগ সুবিধা পেলে আর দেশে ফিরবে না, সে দেশে থেকে যাবে।

প্রশ্ন করেছিলাম এত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়িয়েও কিভাবে বেতন পাওয়া সম্ভব? আর একজন শিক্ষক হিসাবে এটা কী নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য? তাছাড়া তুমি তো আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে নাও আসতে পার, তাই না? জবাবে বল্ল এটাই নিয়ম। সবাই এটা করে। বাংলাদেশের শত শত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতি বছর উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে বিদেশে যান। কিন্তু এদের অনেকেই ভাল চাকরি ও গবেষণার সুযোগ পেয়ে আর ফিরে আসে না। যেহেতু ফাও বেতন ভাতা পাওয়া যায় সেহেতু চাকরি ছাড়বো কোন আক্কেলে? আর এগুলো করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের মধ্য থেকে। এজন্য নাকি নীতি-নৈতিকতার কোন বরখেলাপ হবে না!


আমি হিসাব মেলাতে না পেরে এই বলে নিজেকে সান্তনা দিলাম, 'হাজার হোক মানুষ গড়ার কারিগর বলে কথা'। বিদেশে বছরের পর বছর উচ্চশিক্ষার নামে নিজের আখের গুছাতে ব্যস্ত থেকে কোন্ নৈতিকতার বলে শিক্ষকরা বেতন নেয়? একবারও কী মনে হয় না দেশের হত দরিদ্র, অভুক্ত মানুষের কথা; যাদের ঘাম ঝরা, রক্ত ঝরা টাকায় তাদের বেতন-ভাতা হয়। দেশের আইনটাই বা কেমন? সরকার কেন তাদের এ অনৈতিক কর্মকান্ডকে সাপোর্ট করে? কেন বছরের পর বছর শিক্ষক মামধারী এসব সার্থপরদের প্রতিনিয়ত সুবিধা দেয়? আমার বোধগম্য হয় না।

আমার পরিচিত একজন দেশের নামকরা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আছেন। অনার্সে দ্বিতীয় বিভাগ থাকার পরও ২০০৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় তিনি নিয়োগ পান। তিনি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর পাশাপাশি সারাদিন ব্যাচ আকারে বাসায় প্রাইভেট পড়ান। আপনারা হয়তো দ্বিধায় পড়ে গেছেন, এটা কিভাবে সম্ভব? হ্যা, তিনি একটি দামী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ও'লেভেল এবং এ'লেভেলের একটি বিষয়ের শিক্ষকও বটে! প্রতিদিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী উনার বাসায় টিউশনি পড়তে আসে। মাস শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন ছাড়াও উপরি কয়েক লাখ!

আহ! শিক্ষার কারবারী, জাতির বিবেক!!

আরেকজন ভদ্র মহিলা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি কলেজ থেকে মাস্টার্স পাশ করে বিয়ের পর একজন সাধারণ গৃহিনী হিসাবে ছিলেন। যেই না সরকার পরিবর্তন হলো, একদিন শুনলাম উনি নামকরা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেছেন! আমার মতো অনেকেই সেদিন অবাক হয়েছিলেন। এখন উনি পিএইচডি ডিগ্রিধারী! শুনা যায় টাকার বিনিময়ে তা অর্জিত হয়েছে দেশের আরেকটি নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এখানে, উনার হাজবেন্ডের টাকার পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাব ছিল বেশ। তিনি তিনজন মানুষের সামনেও গুছিয়ে কথা বলতে না পারলে কী হবে; উনার ডক্টরেট ডিগ্রী আছে, একটা সময় ঠিকই প্রফেসর হবেন।

গত নয় বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের কাছাকাছি হয়েছে। নিয়োগ পেয়েছেন ৯০০ জনের অধিক শিক্ষক! শুনা যায় এসময় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অনেক নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য। এই সংখ্যাটা সম্ভবত গিনজ বুকে স্থান পেতে পারে। দল ভারী করার জন্য যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয় তখন শিক্ষকদের পাঠদান ও গবেষণার যোগ্যতার চেয়ে রাজনৈতিক পরিচয়টা মূখ্য হয়ে উঠে। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি অনেক বেশি। এমনও অভিযোগ আছে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ছাড়াই কোন কোন ছাত্রকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা সত্যি বেদনাদায়ক।

এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হলে এবং রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে হলে এতো প্রশ্ন হতো না। কারণ, এর আগের বিশ বছরেও ৯০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। এগুলো ধারাবাহিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, হঠাৎ করে নয়। বিশ্ববিদ্যালয় তো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাহলে বাকী বছরগুলোতে প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসেছিল কেন? এই ৯০০ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় পরিচয় ছিল রাজনীতি, পাশাপাশি অর্থ। এমন কিছু বিভাগ খোলা হয়েছে যেগুলো আদৌ প্রয়োজন নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঊর্দু বিভাগ আছে! অথচ জাপানিজ-চায়নিজ-স্পেনিশ-জার্মান-ফ্রেঞ্চ-পর্তুগীজ-রুশ ইত্যাদি ভাষার বিভাগ থাকার কথা ছিল।


এমন নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের সাথে চরম বেমানান, বিব্রতকর। শিক্ষকরাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেরুদণ্ড। আর শিক্ষকের প্রধান যোগ্যতা হলো জ্ঞান, রাজনৈতিক পরিচয় কোন অবস্থাতেই যোগ্যতা হিসাবে বিবেচ্য হতে পারে না। এ ধারা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান।

শুনা যায় অনেক শিক্ষক অন্যের গবেষণা কর্ম শতভাগ নকল করে ধরা পড়েছেন। রাজনীতি যেখানে মান মর্যাদা আর রুটি রুজির প্রধান হাতিয়ার সেখানে অন্য শিক্ষকের গবেষণাকর্ম চুরি হবে এটাই স্বাভাবিক। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। রাজনীতিটাই তো বেশিরভাগ শিক্ষকের গবেষণার মূল বিষয়বস্তু। বিষয়ভিত্তিক গবেষণার সময় কই!

শিক্ষা, গবেষণা, পাঠদান, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে আরো উৎকর্ষ সাধনের পথ ছেড়ে রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি এবং ব্যক্তিগত পদ-পদবী আর দলাদলির স্বার্থে শিক্ষকরা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য পৃথিবীর সেরা দুই হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে বাংলাদেশের একটিও নেই। ভবিষ্যতে যে তালিকায় আসবে তার কোন লক্ষণ দেখছি না। রাজনীতি বাদ দিয়ে শিক্ষকরা গবেষণায় মনযোগ না দিলে সে সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশের প্রায় সবকয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয় রাজনৈতিক বিবেচনায় ও সুপারিশে। যে দলীয় সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে তাদের মতাদর্শের আলোকে শিক্ষক নিয়োগ হয়। এছাড়া ক্লাসে ফাস্টক্লাস ফাস্ট হতে আছে অনেক স্বজনপ্রীতি। কোন কোন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগও মাঝে মাঝে শুনা যায়। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়ায় বেশিরভাগ শিক্ষক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি নতজানু থাকে। শিক্ষক রাজনীতির আড়ালে লাল দল, নীল দল নামে রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন। এখানে ভাল শিক্ষক হওয়ার প্রচেষ্টার চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে খুশি রাখার প্রতিযোগিতা বেশি হয়।

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতকরা ৭০ ভাগ শিক্ষক প্রত্যক্ষভাবে দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। এটা দুর্ভাগ্যজনক। তরুণ শিক্ষকরা রাজনীতি করেন অপেক্ষাকৃত ভাল বাসস্থান, স্কলারশীপ ও সিন্ডিকেট সদস্য হওয়ার আশায়। আর বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ শিক্ষদের লক্ষ্য থাকে প্রক্টর, প্রভোস্ট, ডিন, উপ-উপাচার্য, উপাচার্য এবং বিভিন্ন সংস্থা বা কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়ার।


বিশ্ববিদ্যালয় হল গবেষণার জায়গা। সারা পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাই করা হয়। সেসব দেশে শিক্ষকদের রাজনৈতিক পরিচয় নেই। স্বজনপ্রীতি নেই। তাদের শিক্ষকতার মান ও গবেষণার উপর নির্ভর করে তাদের মর্যাদা ও পদোন্নতি। আর আমাদের দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গবেষণা বাদ দিয়ে অন্যের লেখা কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেন। সাম্প্রতিক সময়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। স্বনামধন্য কিছু শিক্ষক অন্যের গবেষণাপত্র হুবহু নকল করে ধরা পড়েছেন। এটা সত্যি জাতি হিসাবে আমাদের লজ্জিত করেছে।

এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাস্টক্লাস ফাস্ট হওয়া মানে ভাল শিক্ষক হওয়ার গ্যারান্টি বুঝায় না, এটা নিয়োগ দাতাদের বোঝা প্রয়োজন।এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কোন রাজনৈতিক দল নয় যে বাছ বিচার না করে কর্মী হিসাবে নিয়োগ দেবেন। লন্ডনে দেখেছি যদি কোন ছেলে/মেয়ে শিক্ষকতাকে পেশা হিসাবে নিতে চায় তবে ছাত্র জীবনে অত্যন্ত সতর্ক থাকে, যাতে কোন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বা সামাজিক বিশৃংখলার কোন রেকর্ড না থাকে। আমার এক ব্রিটিশ বন্ধু তার বান্ধবীকে সামান্য শারিরিক নির্যাতনের রেকর্ড থাকায় সেকেন্ডারী স্কুলের শিক্ষক হওয়ার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হয়েছিল। আর আমাদের এখানে চান্দাবাজ ছাত্র, রাজনৈতিক গুন্ডা, অস্ত্রবাজ ছাত্র, মামা-চাচার প্রভাব, মন্ত্রী/এমপিদের সুপারিশ ইত্যাদি হল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার অন্যতম প্রধান যোগ্যতা।

একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে অবশ্যই ভদ্র, বিনয়ী, ধৈর্যশীল, গবেষক, পরিশ্রমী হতে হবে। থাকতে হবে সুন্দর ও সাবলীল উচ্চারণ, আকর্ষনীয় বাচনভঙ্গী ও ব্যাক্তিত্ব। হতে হবে রাজনৈতিক দলের পরিচয়মুক্ত কিন্তু রাজনীতি সচেতন। ছাত্র/ছাত্রীদের শ্রদ্ধা অর্জন করার যোগ্যতা। সিলেবাসের বাইরে গিয়েও সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতি, রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও দৈনন্দিন ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোর উপর নজর রাখা এবং এসব বিষয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের জ্ঞানদান করা। অসাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষন করা, সঠিক সময়জ্ঞান থাকা, চরিত্রবান হওয়া। পরিষ্কার-পরিচ্চন্ন পোষাক পরিচ্ছদ পরিধান করাও একজন শিক্ষকের ভাল শিক্ষক হওয়ার অন্যতম যোগ্যতা।

সবচেয়ে অবাকের বিষয় বিশ্বের নামকরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দেশের অসংখ্য প্রফেসর, রিসার্চার আছেন। এরা এই নোংরা রাজনীতি ও স্বজনপ্রীতির জন্য দেশে ফিরে আসে না। এভাবে প্রতি বছর মেধা পাচার হয়। আর এই সুযোগে গলাবাজ আর সুযোগ সন্ধানীরা শুণ্যস্থান পূরণ করে। পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ গবেষক বিদেশী। সেসব দেশ জানে কিভাবে গুণীর মর্যাদা দিতে হয়। এজন্য এই গুণীরাই তাদের আবিষ্কার ও দর্শন দিয়ে নিজ দেশের পরিবর্তে সেসব দেশের উন্নয়নে অবদান রাখেন। আমরা করি মেধাবীদের দেশ ছাড়া, আর ওরা মেধাবীদের বিভন্ন দেশ থেকে জড়ো করে দেয় নাগরিকত্ব! পাশাপাশি পর্যাপ্ত গবেষণার সুযোগ করে দেয়। এজন্যই তারা আমাদের চেয়ে দুইশত বছর এগিয়ে। তারা জানে কিভাবে গভীর সমুদ্র থেকে মুক্তা আহরণ করতে হয়।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক উচুমানের শিক্ষক ও গবেষক আছেন। যাদের একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান থাকে শিক্ষা ও গবেষণায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা। এমন অসংখ্য শিক্ষকের সান্নিধ্য আমি পেয়েছি। উনাদের চেহারা চোখের সামনে ভাসলে একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা পাই। দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা অটোমেটিক অবনত হয়। তাদের জ্ঞানগর্ব কথাগুলো আমাদের জীবন চলার খোরাক যোগায়, গবেষণায় আগ্রহ যোগায়, দেশপ্রেমে উদ্ভোধ্য করে, বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে সাহস যোগায়। আমার এ লেখাটি এসব খাঁটি মানুষ গড়ার কারিগরদের বেলায় প্রযোজ্য নয়।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ব্যাচেলর কি বাংলাদেশে করেছেন?

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

২| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:২১

রিফাত হোসেন বলেছেন: বৃত্তি সহ গবেষনা করছে নাকি? উনার পিএইচডির বিষয় কি? গণিতের কিছু নাকি? কৌতুহল আর কি। আমার আবার পানির পাশাপাশি জানার পিপাসা বেশি।
তবে স্নাতক করতে পারলে তো স্নাতকোত্তর সোজা। অনেক মানুষ এটা কেন শেষ করে না বুঝি না। একই পড়া একটু mass আকারে স্বল্প সময়ের ডিগ্রী।
তবে যদি একাধিক বিষয়ের উপর স্নাতক করতে চায় অথবা পিএইচডি বা সি এ,বি এড করতে চায় অথবা বিশেষ কর্ম নিয়ে পড়াশুনা, সেটা ভিন্ন বিষয়।

শুধুমাত্র স্নাতক এ চাকাঁ থামানো বোকামি ছাড়া কিচ্ছু না।


আমার কয়েকজন পরিচিত আছে তাদের পড়াশুনা নিয়ে আমি শংকিত। তাদের প্রত্যেকের ভাল মা বাবা, বন্ধুর পাশাপাশি একজন ভাল শিক্ষক দরকার। তারা সেটা পাচ্ছে না বা পায় নি। যে তাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করতে পারবে।

আপনি ভাল ব্যাপার তুলে এনেছেন। আপনি যা বলেছেন এগুলি আমার মনের কথার সাথে ৯০ ভাগ মিলে।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, বৃত্তি সহ। উনি সোসোলজিতে পিএইচডি করছেন।
আপনার কথাগুলো বেশ ভাল লাগলো। বিশেষ করে "আমার আবার পানির পাশাপাশি জানার পিপাসা বেশি।"

৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: উচ্চ শিক্ষার জন্য ছুটি নিয়ে ফেরত না এলে কিছু বলার নেই। তবে বেতন পাস করানোর সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই করলেই হয়। কোন শিক্ষক আলাদা ব্যাচ পড়ালে দোষের কিছু দেখি না। তার মেধা কাজে লাগিয়ে তিনি আলাদা রুজির ব্যবস্থা করতেই পারেন। তবে তিনি তাঁর মূল প্রতিষ্ঠানে কোন ফাঁকি দিলে সেটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ এখন আসলেই রাজনৈতিক হয়ে গিয়েছে। এটার উন্নতি ঘটাতে হলে দুই পরিবার মুক্ত দেশ হতে হবে...

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বাসায় ব্যাচ করে সারাদিন টিউশনি করবে, এটা কী মানায়? সরকার কী উনাকে উপযুক্ত বেতন দেয় না? সারাদিন যদি তিনি অন্য পেশা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাহলে গবেষণা করবেন কখন? ছাত্রদের পাঠদান নিয়ে ভাববেন কখন?

একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আর কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের মধ্যে এখানেই পার্থক্য।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আপনার হিসেব ইত্যাদিতে সমস্যা আছে: সেখানে এখন ছাত্রের সংখ্যা ৩২/৩৩ হাজার ও শিক্ষক ২ হাজারের নীচে; ফলে, গত ৯ বছরে নতুন ৯০০ শিক্ষক নিযুক্ত করলে, কম শিক্ষকই নিযুক্ত করা হয়েছে; কারণ, একই সময়ে ২০০/২৫০ শিক্ষক রিটায়ার করেছেন।

গত ৯ বছরে, গড়ে দেশে ৮/৯ লাখ ছেলেমেয়ে এইচএসসি পাশ করছে; ঢাকা ইউনিভার্সিটির ১ সীটের জন্য ১০০ জনের বেশী ছেলেমেয়ে প্রতিযোগীতা করছে; তাদের উচিত আরো কয়েকশত নতুন ডিপার্টমেন্ট খোলা ও সারাদেশে স্যাটেলাইট ক্যামপাস করা; ৯০০ জন শিক্ষক প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটা স্বাভাবিক হলে এবং রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে হলে এতো প্রশ্ন হতো না। আপনি খবর নিয়ে দেখবেন, এর আগের বিশ বছরেও ৯০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। এগুলো ধারাবাহিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, হঠাৎ করে নয়। বিশ্ববিদ্যালয় তো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান; তাহলে বাকী বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসেছিল কেন? এই ৯০০ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় পরিচয় ছিল রাজনীতি, পাশাপাশি অর্থ। এমন কিছু নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে যেগুলো আদৌ প্রয়োজন নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঊর্দু বিভাগ আছে! অথচ জাপানিজ-চায়নিজ-স্পেনিশ-জার্মান-ফ্রেঞ্চ ইত্যাদি বিভাগ থাকার কথা ছিল।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশে অনেক ব্যক্তিই এক সাথে অনেক কাজ করে থাকেন। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন, একজন এম পি আবার একটি কোম্পানীর সিইও, আবার সামনে এসিসির প্রধানও হবেন। আবার ধরেন ঢাবির প্রফেসর সামিয়া রহমান একই সাথে অধ্যাপক, একটি বেসরকারী টিভি'র প্রধান, আরও নানা কাজে যুক্ত। এভাবে অনেক পেশাতেই এক ব্যক্তি নানা পদে থাকেন। তাহলে একজন শিক্ষকের বাইরে কোচিং কিংবা একজন ডাক্তারের বাইরে প্র্যাকটিস নিয়ে প্রশ্ন তোলা যুক্তিযুক্ত নয়। আমি বলেছি মূল দায়িত্বে যদি অবহেলা না করে থাকেন তাহলে সমস্যা দেখি না...

০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একজন শিক্ষককের পেশায় নৈতিকতা থাকাটা বড়ই প্রয়োজন। পৃথিবীর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসায় ব্যাচ করে ছাত্র পড়ান না। তিনি আরেকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিলে তো দোষের কিছু ছিল না। আর রাজনীতির সাথে শিক্ষকতাকে মেলানো ঠিক না। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা কোন নীতির ধার ধারে না।

আর টক শোতে যাওয়া, সেমিনারে যাওয়া তো কোন দোষের কিছু নেই। একজন ডাক্তার সরকারী হাসপাতালে ডিউটি রেখে প্রাইভেট প্রেকটিস করা বেআইনী, অনৈতিক।

৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: চৌধুরী ভাই!! ইউনিক লেখা।।:)

লেখাতে সহমত। এই ব্যারামের ওষুধও জানি। তবে ফলাফল শূন্য।।

এসব নিয়ে কথা বলে ক্যাম্পাসের গেস্টরুম কাঁপিয়েছি। নোংরা রাজনীতির কারনে আমি ছাত্ররাজনীতি বাদ দিলাম, আর দু-চার জন সুবিধাবাদী বন্ধু টিচার হবার বাসনায় পাতি নেতা হল। দেশের এই সিস্টেমগুলো এক কথায় জঘন্য।।

০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: নিজাম ভাই, ৯০০ শিক্ষকে নিয়োগে আমার আপত্তি নেই, আপত্তি অন্য জায়গায়।

"এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটা স্বাভাবিক হলে এবং রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে হলে এতো প্রশ্ন হতো না। আপনি খবর নিয়ে দেখবেন, এর আগের বিশ বছরেও ৯০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। এগুলো ধারাবাহিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, হঠাৎ করে নয়। বিশ্ববিদ্যালয় তো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান; তাহলে বাকী বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসেছিল কেন? এই ৯০০ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় পরিচয় ছিল রাজনীতি, পাশাপাশি অর্থ। এমন কিছু নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে যেগুলো আদৌ প্রয়োজন নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঊর্দু বিভাগ আছে! অথচ জাপানিজ-চায়নিজ-স্পেনিশ-জার্মান-ফ্রেঞ্চ ইত্যাদি বিভাগ থাকার কথা ছিল।"......... আশা করি আমার পয়েন্ট বুঝতে পারবেন।

৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

লেখক বলেছেন, " এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটা স্বাভাবিক হলে এবং রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে হলে এতো প্রশ্ন হতো না। আপনি খবর নিয়ে দেখবেন, এর আগের বিশ বছরেও ৯০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। "

-আগে ২০ বছরে, ৯০০ শিক্ষক বা তার বেশী নিয়োগ দেয়ার দরকার ছিলো, তারা দেয়নি; জাতির ক্ষতি করেছে। গত ১০ বছরে, ছাত্রের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়েছে; ৩২/৩৩ হাজার ছাত্রের জন্য এখনো নতুন ১১০০/১২০০ শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার দরকার দরকার।

আপনি পাবলিককে, নাকি প্রাইভেটে পড়েছেন?

০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি পাবলিক, তাই পাবলিকে পড়েছি।

৮| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছাত্রের সংখ্যা ৩২/৩৩ হাজার হলে, শিক্ষকের সংখ্যা ৩০০০ হওয়ার দরকার আছে; বর্তমানে, ওদের শিক্ষক ১৮০০'এর কাছাকাছি

০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এ বিষয়ে আমিও একমত।

৯| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @চাঁদগাজী,

খোঁড়া যুক্তি।। হিসাবে কী আসে যায়?? মহামারী রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। দশজন মরুক বা হাজার জন মরুক দরকার চিকিৎসা করা।।


"অনার্স পাশ করেই শিক্ষক হওয়া!" বা "ক্লাসের প্রথম মানেই টিচার" --আমি এই সিস্টেমটির ঘোর বিরোধী। বন্ধুদের বিদ্যার দৌড় তো জানা আছে। .....

০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "অনার্স পাশ করেই শিক্ষক হওয়া!" বা "ক্লাসের প্রথম মানেই টিচার" --আমি এই সিস্টেমটির ঘোর বিরোধী। বন্ধুদের বিদ্যার দৌড় তো জানা আছে।"
......... আমার মনের কথা এটি, যা লেখায় উল্লেখ করেছি।

১০| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আঞ্চলিক ক্যাম্পাস করতে পারতে। তারা সেটা করেনি। বরং আমাদের মাথায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে শত খাকেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম করে হলেও চার জেলায় ক্যাম্পাস থাকা উচিত ছিল। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা। রাজনীতি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার চরম সর্বনাশ করছে।

বিদেশে বৃত্তি নিয়ে এ যুগে আবার সরকারী কর্মকর্তারাও বিদেশে পড়তে যায়। অনেকেই পিএইচডি করে। জানি না এটা তাদের বা জাতির কোন কাজে লাগে। তবে শিক্ষকদের উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন আছে। আমলারা গামলা বলে পিএইচডি করলে জাতির কি উপকার হবে?

০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "বিদেশে বৃত্তি নিয়ে এ যুগে আবার সরকারী কর্মকর্তারাও বিদেশে পড়তে যায়। অনেকেই পিএইচডি করে। জানি না এটা তাদের বা জাতির কোন কাজে লাগে। তবে শিক্ষকদের উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন আছে। আমলারা গামলা বলে পিএইচডি করলে জাতির কি উপকার হবে?

আপনার এই কথার সাথে একমত। তবে অনেকে ছুটি নিয়ে পড়াশুনার নামে বিদেশে যায়, আবার সরকারি বেতনও নেয়। অনেক সময় এরা আর ফিরে আসে না। এটা অনৈতিক।

১১| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:১২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ঢাবির,
অ্যাকাডেমিক কর্মকর্তা--১৮১৭
প্রশাসনিক কর্মকর্তা- ৩,৪০৮
শিক্ষার্থী - প্রায় ৩৭,০৬৪


দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাতেই গলদ আছে। সেগুলো দুর না করলে ভাল কিছু আশা করা বৃথা। যদিও ওসব নিয়ে কথা বলার মুড নাই।।


কাল ব্যস্ত থাকবো...
শুভ রাত্রি।।

০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: নিজাম ভাই, শুভ রাত্রী।

১২| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন, " ঢাবির,

অ্যাকাডেমিক কর্মকর্তা--১৮১৭
প্রশাসনিক কর্মকর্তা- ৩,৪০৮
শিক্ষার্থী - প্রায় ৩৭,০৬৪ "

-তা'হলে, ঢাকা ইউনিভার্সিটিকে কমপক্ষে কমপক্ষে নতুন আরো ১২০০ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া উচিত।

০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রয়োজন হলে আরো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক। তবে প্রক্রিয়াটি হতে হবে স্বচ্ছ, রাজনীতি ও দুর্নীতি মুক্ত। তাহলে কেউ প্রশ্ন তুলবে না।

১৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমিও পাবলিকে পড়েছি। কিন্তু আমি সেখানে অনেক গলদ দেখতে পেয়েছি। আমি এক দিন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ডঃ গোলাম আলী ফকির স্যারকে বলেছিলামঃ স্যার, ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি শিক্ষার জন্য ক্ষতিকর। এটা শিক্ষকদেরকে মেরুদন্ডহীন করে। তাদের মাঝে বিভাজন তৈরী করে। ছাত্রদের সাথে তাদের দূরত্ব তৈরী করে।

ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি দূর না হলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নামেই বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে।

০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি শিক্ষার জন্য ক্ষতিকর। এটা শিক্ষকদেরকে মেরুদন্ডহীন করে। তাদের মাঝে বিভাজন তৈরী করে। ছাত্রদের সাথে তাদের দূরত্ব তৈরী করে।"
...........কথাটি শুনে তিনি কী বল্লেন? তিনিও তো রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত, তাই না?

১৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: কি আর বলবো টিচিং ক্যাপাসিটি বলে একটি কথা, আমার কলেজ জীবনে যেসব শিক্ষক পেয়েছিলাম তারা সবাই বেশ বয়স্ক ছিল। অর্থাৎ কেউ ব্রিটিশ আমলের মস্টার্স, কেউ পাকিস্তান আমলের মাস্টার্স। তাদের পড়ানোর যে ক্যাপাসিটি দেখেছি তাতে ক্লাসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকলেও বিরুক্তি লাগতো না। এখন যে সব অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে তাদের মাঝে কি সেই যোগ্যতা আছে? তারা নিজেরাই কিছু জানে না ছাত্র পড়াবে কি?

০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। আপনি ঠিকই বলেছেন। শিক্ষকতা পেশায় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও বয়স একটা বড় বিষয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেলায় তো আবশ্যক। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হলো গবেষণার জায়গা। এখানে শিক্ষক যদি গবেষণার 'গ' না বুঝেন,, তাহলে ছাত্রদের কী গবেষণার পাঠ দেবেন?

আরেকটি কথা সরকারী কলেজগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ হয় বিসিএসের মাধ্যমে, ফলে এখানে একটি নিরপেক্ষ বাছাই প্রক্রিয়া আছে। এজন্য আমার দৃষ্টতে সরকারি কলেজের শিক্ষকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চেয়ে দক্ষ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গবেষণার সুযোগ পেলে উনারা অনেক বেশি ভাল করতে পারতেন।

১৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল কাওসার ভাই। আপনার প্রথম বন্ধু অত্যন্ত ট্যালেন্টটেড , যে কারনে উনি পোষ্ট ডক্টরেটের জন্য যে কৌশল বেঁছে নিয়েছেন সেটয় সাধুবাদ যোগ্য । একটা অন্যায় যখন প্রথা হয়ে দাড়ায় তখন সেটা সামাজিক স্বীকৃতি পায়,- ভাবনাটা এমনই । সরকারও সেটা হজম করে। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রে বা আমাদের এখানে ডাক্তারদের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম দশবছর সময় বাউন্ড থাকার কথা বলা আছে। অন্যথায় লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা আছে। এটা পোষ্ট ডক্টরেটের ক্ষেত্রেও করলে বোধহয় এই প্রবনতা কিছুটা কমতো ।

আর ঢাবির নিশোগ নিয়ে যে অস্বচ্ছ্তার ছবি তুলে ধরেছেন,এ চিত্র উপমহাদের একটি কমন রোগ।। এথেকে বার হবার বোধহয় কোনো রাস্তা নেই। ঠিকই বলেছেন, কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পার্টীর দলদাসত্বই মাপকাঠিতে পরিনত হয়েছে। যে কারনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিশ্বের প্রথম ২০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকতে পারিনি।

সুতরাং আমরা আমরা হয়ে থাকি আর ইউরোপ আমেরিকা এগিয়ে যাক , এটাই আমাদের ভবিতব্য।

অনেক ভাল লাগা প্রিয় কাওসার ভাই।।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, পদাতিক ভাই। সবচেয়ে অবাকের বিষয় বিশ্বের নামকরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের উপমহাদেশের হাজার হাজার প্রফেসর, রিসার্চার আছেন। এরা এই নোংরা রাজনীতি ও স্বজনপ্রীতির জন্য দেশে ফিরে আসে না। এভাবে প্রতি বছর মেধা পাচার হয়। আর এই সুযোগে গলাবাজ আর সুযোগ সন্ধানীরা শুণ্যস্থান পূরণ করে।

পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ গবেষক বিদেশী। সেসব দেশ জানে কিভাবে গুণীর মর্যাদা দিতে হয়। আর এই গুণীরাই তাদের আবিষ্কার ও দর্শন দিয়ে নিজ দেশের পরিবর্তে সেসব দেশের উন্নয়নে মেধা খরছ করেন।

আমরা করি মেধাবীদের দেশ ছাড়া, আর ওরা মেধাবীদের বিভন্ন দেশ থেকে জড়ো করে সম্মান দেয়, গবেষণার সুযোগ করে দেয়। এজন্য তারা আমাদের চেয়ে দুইশত বছর এগিয়ে।

১৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:২০

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের দেশে শিক্ষার চেয়ে সার্টিফিকেটের দাম বেশী। হোক সেই সার্টিফিকেটধারীর পড়াশুনার মান " আই আ্যাম জিপিএ ফাইভ" মানের। চিন্তা করে দেখেন এই তো কয়েক বৎসর আগেও আমাদের অনার্স ৩ বৎসর ও মাষ্টার্স ৪ বৎসরে করা যেত।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, ইমরান ভাই। আমাদের দেশে সবাই জিপিএ ফাইভ চায়। মাস্টার্স, এমবিএ চায়। এজন্য I am GPA ফাইভ প্রজন্ম এখন। বাংলাদেশে যত মাস্টার্স ডিগ্রিধারী বেকার আছেন তা পৃথিবীর কোথাও নাই। এখানে নেই কর্মমুখী শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ, নেই দক্ষতা অর্জনের সুযোগ। পৃথিবীর উন্নত দেশগুললতে ছাত্ররা বয়স ১৬/১৭ হলেই পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ করে। এতে তাদের পকেট মানি হয়, কাজের দক্ষতা বাড়ে। আর আমাদের এখানে ছাত্ররা রাজনীতিতে দক্ষতা বাড়ায়। মাস্টার্স পাশ করার পর শুধু চাকরির জন্য ভন ভন করে ঘুরে বেড়ায়। কোন দক্ষতা নেই বলে চাকরিও জেটে না।

১৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখন রাজনীতি ঢুকে গেছে।
এক শিক্ষক এবার নমিনেশন পাওয়ার জন্য খুব দৌড়ঝাঁপ (বনানীতে ক্যাম্পাস) শুরু করেছে। তার ছাত্রদের নিয়ে নিজ এলাকায় প্রচার ও প্রচারনা চালায়।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বড় বড় স্যারেরা রাজনীতি করে তর তর করে উপরে উঠছে। এটা দেখেতো আর বাকিরা বসে থাকতে পারে না। এখন শিক্ষকরাই বরং রাজনীতিটা করুক। শিক্ষকতা আর গবেষণা করে তেমন টাকা-পয়সা নেই। সো রাজনীতিটাই ধ্যান-জ্ঞান হওয়া উচিৎ। আপনার বাসা কী বনানী?

শুভ সকাল।

১৮| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

তালাচাবি বলেছেন:
শুভ সকাল স্যার, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া, তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও নৈতিকতার বিষয়ে এতো বিস্তারিত জানতাম না। পত্রিকা পড়ে মাঝে মাঝে কিছু জানতাম। তাই বলে এতো!! পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল, স্যার। আপনি বিষয়গুলো এতো দক্ষতার সাথে তুলে ধরেছেন। আপনার লেখার দর্শনটি আমার খুব মনে ধরেছে।

আমার অবাক লাগে, এতো বড় বড় আর গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো কী সাবলীল ভাবে আপনি লেখে যান। আমি সমসাময়িক অনেকের লেখা পড়েছি, কিন্তু আপনার লেখার মান ও উপস্থাপনা অন্যদের চেয়ে আলাদা। আপনার লেখার ভূমিকাগুলো সত্যি চমৎকার। এভাবে কাউকে লেখতে দেখিনি। আপনার জ্ঞানগর্ব আলোচনা ও ধারালো যুক্তি লেখাগুলোকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। এ লেখাগুলো এক সময় সম্পদ হবে।

"এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটা স্বাভাবিক হলে এবং রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে হলে এতো প্রশ্ন হতো না। আপনি খবর নিয়ে দেখবেন, এর আগের বিশ বছরেও ৯০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। এগুলো ধারাবাহিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, হঠাৎ করে নয়। বিশ্ববিদ্যালয় তো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান; তাহলে বাকী বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসেছিল কেন? এই ৯০০ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় পরিচয় ছিল রাজনীতি, পাশাপাশি অর্থ। এমন কিছু নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে যেগুলো আদৌ প্রয়োজন নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঊর্দু বিভাগ আছে! অথচ জাপানিজ-চায়নিজ-স্পেনিশ-জার্মান-ফ্রেঞ্চ ইত্যাদি বিভাগ থাকার কথা ছিল।"

আপনার এ কথাটি আমার খুব ভাল লেগেছে।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। আপনাকে ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। শুভ কামনা আপনার জন্য। দিনটি ভাল কাটুক।

১৯| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,




আবারও চমৎকার একটি লেখা । খুব প্রাঞ্জল ভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ( নাকি বিশ্বখোঁয়াড় ????? ) হালচাল তুলে ধরেছেন । এদের হিসেব আপনি কিছুতেই মেলাতে পারবেন না । হাতে গোনা ক'জন বাদে এখানের সবাই-ই শিক্ষা নামের পণ্যের কারবারী । পণ্য বেচতে শিক্ষা লাগেনা , লাগে মুখের ভেলকিবাজী আর কিছু না কিছুর পৃষ্ঠপোষকতা । এই পৃষ্ঠপোষকরাও আবার এদের রস টেনে টেনে মহীরুহে পরিনত হন । এ একটা " ভিসাস সাইকল " । এ থেকে পরিত্রান নেই কারোই । ঘুণ যখন ধরে তখন গোড়া থেকেই ঘরে । আর পচন ধরে মাথা থেকে । আমাদের গোড়া আর মাথা সব গেছে ফোঁপড়া হয়ে । বাকী শুধু কঙ্কালটি । তাও এই ঝুরঝুর করে ঝরে পড়লো বলে .......................

চৈতন্যে ঘা দেয়া এতো সুন্দর সুন্দর লেখার রেশ শেষ হতে না হতেই এতো দ্রুত আরেকটা পোস্ট আসে যে, কোনটাই মনে গেঁথে যেতে সময় পায়না । আমাদের দিকে চেয়ে কথাটি ভেবে দেখতে পারেন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "হাতে গোনা ক'জন বাদে এখানের সবাই-ই শিক্ষা নামের পণ্যের কারবারী । পণ্য বেচতে শিক্ষা লাগেনা , লাগে মুখের ভেলকিবাজী আর কিছু না কিছুর পৃষ্ঠপোষকতা । এই পৃষ্ঠপোষকরাও আবার এদের রস টেনে টেনে মহীরুহে পরিনত হন । এ একটা " ভিসাস সাইকল " । এ থেকে পরিত্রান নেই কারোই । ঘুণ যখন ধরে তখন গোড়া থেকেই ঘরে । আর পচন ধরে মাথা থেকে । আমাদের গোড়া আর মাথা সব গেছে ফোঁপড়া হয়ে । বাকী শুধু কঙ্কালটি । তাও এই ঝুরঝুর করে ঝরে পড়লো বলে" .............

আমি সত্যি কৃতজ্ঞ আপনি পড়েছেন জেন। আপনার নটিফিকেশন পেয়ে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! যাক মন্তব্য পড়ে ভয়টা কেটে গেছে। আপনার অতি গুরুত্বপূর্ণ লেখা থেকে আমি অনেক রসদ পেয়েছি। যা আমার কাজে লাগবে।

বিশেষ করে, "ঘুণ যখন ধরে তখন গোড়া থেকেই ঘরে । আর পচন ধরে মাথা থেকে । আমাদের গোড়া আর মাথা সব গেছে ফোঁপড়া হয়ে । বাকী শুধু কঙ্কালটি । তাও এই ঝুরঝুর করে ঝরে পড়লো বলে" ........... আমার মনের কথাটি আপনি অবলীলায় বলে গেলেন।

অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। দিনটি ভাল কাটুক এই প্রত্যাশায়।

২০| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: কাওসার ভাই,
প্রথমেই বলি, আপনি যা লিখবেন তাই হিট হবে, চালিয়ে যান।
আমি ছোট মানুষ তাই এসব বিষয়ে কথা নাই বা বলি, আপনি আহমেদ সফার "গাভী বৃত্তান্ত" বইটি পড়তে পারেন।
ধন্যবাদ, লেখা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, ভালো লেগেছে।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তোমার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তোমার জন্য অনেক শুভ কামনা।

২১| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভাল ছাত্র মানেই ভাল শিক্ষক নয়। ভাল সাবজেক্ট-এ পড়লেই ভাল চাকরি হয়না।

উদাহরন ভাল লেগেছে।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, মাইদুৃল ভাই।

২২| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কাওসার ভাই,খুবই ভাল একটি বিষয়ে লিখেছেন।
এদেশে শিক্ষকদের আচরনগত শিক্ষাটা আগে দেওয়া দরকার।যে সব শিক্ষক রাজনৈতিক ক্ষমতা ও টাকার জোরে শিক্ষকতা করছেন তারা যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভাল কিছু শেখাতে পারবে না সেটা নিশ্চিত।
আর আমাদের দেশে একটা মানুষের মূল কাজটা কি সে নিজেই বোঝে না।একজন শিক্ষক হয়ে অধিক টাকার জন্য আরও নানান রকমের পেশায় জড়িয়ে পড়ছেন।আমাদের গ্রামে একজন শিক্ষকতা করেন,তিনি আবার গ্রামের একজন ভাল ডাক্তার তাছাড়া তিনি ব্যবসাও করেন।এখন তিনি এই তিন পেশার ক্ষেত্রে কোন পেশাটাকে গুরুত্ব দিবেন।নিশ্চয় যেখানে তিনার টাকা ইনভেস্টমেন্ট করা আছে সেটাকেই।তাহরে শিক্ষকতা তিনার কাছে গৌন পেশায় পরিনত হবে।
কোন রকমে স্কুলে এটেন্ডেন্স করে মাস গেলে বেতন নিচ্ছেন আরকি।
আমাদের দেশে অরজকতা দেখার কেউ নেই তাই দিন শেষে এই আমরা সাধারন মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি দিনের পর দিন।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "এদেশে শিক্ষকদের আচরনগত শিক্ষাটা আগে দেওয়া দরকার।যে সব শিক্ষক রাজনৈতিক ক্ষমতা ও টাকার জোরে শিক্ষকতা করছেন তারা যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভাল কিছু শেখাতে পারবে না সেটা নিশ্চিত।
আর আমাদের দেশে একটা মানুষের মূল কাজটা কি সে নিজেই বোঝে না।একজন শিক্ষক হয়ে অধিক টাকার জন্য আরও নানান রকমের পেশায় জড়িয়ে পড়ছেন।"

..........চমৎকার একটি কথা বলেছেন, সোহেল ভাই। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বড় বড় স্যারেরা রাজনীতি করে তর তর করে উপরে উঠছে। এটা দেখেতো আর বাকিরা বসে থাকতে পারে না। এখন শিক্ষকরাই বরং রাজনীতিটা করুক। শিক্ষকতা আর গবেষণা করে তেমন টাকা-পয়সা নেই। সো রাজনীতিটাই ধ্যান-জ্ঞান হওয়া উচিৎ। আপনার বাসা কী বনানী?

আমার বাসা খিলগা।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, বরাবরের মতো ইউনিক কমেন্ট!!!

২৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

জাতির বোঝা বলেছেন: আমি যখন গ্রামের স্কুল পড়তাম তখন আমি বিশ্ববিদ্যাল কি জানতাম না। এটা সবাইকে জানানোর দরকার।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে।

২৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: বর্তমানে ভার্সিটি ল্যাবেলের পোলাপাইন রাজনীতি করেই ভালো টাকা আর্ন করে, টিউশনির দরকার হয় না :(

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একদম ঠিক কথা, ফাহিম ভাই।

২৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

শামচুল হক বলেছেন: বাংলাদেশের শিক্ষা এবং শিক্ষকদের নিয়ে কি আর বলবো। শিক্ষা ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। আমার মনে আছে এসএসসি পরীক্ষার আগের দুই মাস আমাদের স্কুলের হেড মাস্টার বিনে পয়সায় আমাদের অতিরিক্ত সময় নিয়ে পড়াতেন। আমরা যখন পরীক্ষায় স্কুলের সব ছেলে পাস করলাম অর্থাৎ শতভাগ পাশ করলাম তখন সেই হেড স্যারের মুখে যে হাসি দেখেছিলাম তাতে মনে হয়েছে আমরা পাস করে যে আনন্দিত না হয়েছি তার চেয়ে তিনি বেশি আনন্দিত হয়েছেন। তাদের সেই ঋণ আমরা জীবনেও শোধ দিতে পারবো না। কিন্তু এখন কি কোন শিক্ষক বিনে পয়সায় এই কাজ করবে?

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এখন শিক্ষকতা মহান পেশা নয়। কসাই ব্যবসা। এ থেকে জাতি বেরিয়ে আসার সুযোগ নেই। ধন্যবাদ, রাজীব ভাই, চমৎকার কমেন্ট।

২৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫১

শামচুল হক বলেছেন: কাওসার ভাই, আমি রাজীব না শামচুল হক।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সরি, জানি। নমাটি লেখতে মিসটেক হয়ে গেছে। কারণ, আগের মন্তব্যটি রাজীব ভাইকে করেছিলা। সরি, শামচুল ভাই।

২৮| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৯

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: আমাদের দেশে ভার্সিটিগুলো বর্তমানে জ্ঞান ধ্বংশের কারখানা।
জ্ঞান উৎপাদনের নয়।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এখন দালালি চলে। যেমন শিক্ষক, তেমন তাদের মেরুদণ্ড।

২৯| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১৪

সোহানী বলেছেন: কাওসার ভাই, অাপনি কি জানেন আপনি কোন দেশ নিয়ে কথা বলছেন? আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশ নিয়েই কথাগুলো বলেছেন ও সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। এখন প্রশ্ন,

দেশের শিক্ষক নিয়োগের প্রধান যোগ্যতা কি?
ক্লাসে প্রথম হবার যোগ্যতা কি?
দেশে যেকোন চাকরী পাবার যোগ্যতা কি?
ইউনিভার্সিটিতে ডীন প্রক্টর ভিসি বা নিদেন পক্ষে হাউজ টিউটর হবার যোগ্যতা কি?
আর এগুলো বাদ দিয়ে বলেন, দেশে কতজন মেধাবী ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পায় কোটা ছাড়া????

পার্সোনাল ঘটনা শেয়ার করি, আমার সাথে ইন্টারে পড়তো। মেজর জিয়ার মৃত্যুর পর যে কয়জনকে ফাসিঁতে দেয়া হয়েছিল তার বাবা ছিলেন তাদের একজন। এ জীবনে এমন আহাম্মক মেয়ে আমি দেখিনি, ইন্টারে কোনরকমে ফার্স্ট ডিভিশানটা রেখেছিল তাও টিচাররা হলে বসে অংক করে দিয়েছিল। কোটায় আমােদের সাথে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলো। তারপর তার বাবার কাহিনী শুনিয়ে সব টিচারদের রুমে রুমে থাকতো। ওকে টিচারদের বাসায় প্রায় যেতে দেখতাম। তারপর হিসেব খুব সোজা, ফার্স্ট ক্লাস পেল, টিচার হলো, পিএইচডি করলো। দেশের নামকরা অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত, এমন কি এখন একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির চেয়ারপার্সন।................... এগুলো উদাহরন নয়, এটিই আসল কথা। উদাহরন হলো মেধা তালিকায় সুযোগ পেয়ে টিচার হওয়া বা চাকরী পাওয়া। অনেক বেশী বলে ফেল্লাম ...............

তাপরপর বলে যান, কাউকে না কাউকেতো বলতেই হবে ...................

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


"দেশের শিক্ষক নিয়োগের প্রধান যোগ্যতা কি?
ক্লাসে প্রথম হবার যোগ্যতা কি?
দেশে যেকোন চাকরী পাবার যোগ্যতা কি?
ইউনিভার্সিটিতে ডীন প্রক্টর ভিসি বা নিদেন পক্ষে হাউজ টিউটর হবার যোগ্যতা কি?
আর এগুলো বাদ দিয়ে বলেন, দেশে কতজন মেধাবী ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পায় কোটা ছাড়া?"

........... আপনি কী জানেন পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী মানুষ হলো ব্যক্তিত্ববান, সুশিক্ষিত, বোধসম্পন্ন আর সচেতন মানুষরা। এরা কখনো সুখি হতে পারে। পৃথিবীতে এতো অনিয়ম, অনাচার দেখে কষ্টে কুকড়ে যায়। কাউকে বলতে পারে না। একা একা কাঁদে। যারা লেখতে জানে তারা কলমকে সাক্ষী রেখে লেখে যায়। যারা পারে না, তারা এক সময় হারিয়ে যায় প্রকৃতির নিয়মেই।

আমার সব সময় মনে হয়, জন্মটা আমাজন জঙ্গলে হলে ভালই হতো। সেখানে অন্তত মুখোশধারী কোন চেতনার কারবারী দেখতে হতো না। আমাজনটাই হতো আমার পৃথিবী।

যে ঘটনার কথা বল্লেন তা দেশের বাস্তব চিত্রের HD প্রতিচ্ছবি। আমি না পারি এগুলো মেনে নিতে, না পারি দেশটাকে ভূলে যেতে।

একদিনে, তিনটি লেখা পড়েলেন!!! এতো ব্যস্ততার পরও। শুধু বলবো কৃতজ্ঞ, অনার্ড।

৩০| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০৪

মাআইপা বলেছেন: বন্ধুর ভাতিজাকে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করানোর প্রথম দিনেই ক্লাস টিচার তাকে “তুই” করে বলেছিলেন আর তাই ভাতিজা বাসায় গিয়ে বলে, ঐ স্কুলে আমি আর পড়বো না। অনেক চেষ্টা করেও তাকে আর দ্বিতীয় দিন স্কুলে পাঠানো যায়নি। পরবর্তীতে অন্য স্কুল/কলেজ থেকে পড়াশোনা করে এখন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার।
এবার আসি লেখা প্রসঙ্গে: বহুদিন আগে শুনেছি থিসিস পেপার কিনতে পাওয়া যায়। আবার অনেকে অন্যের কাছ থেকে তৈরী করে নেন। ব্যাপারটা একই। আমার কথা হচেছ থিসিস অভিজ্ঞতাই যদি না থাকে তাহলে শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে কী হবে ? জাতি হিসাবে আমরা কী পাব আর দেশই বা কী পাবে ?
এখন সময় এসেছে সাবজেক্ট অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র তৈরী করা। মেধা যেন পাচার না হয় অথবা উচ্চ শিক্ষার পর দেশে ফিরে যেন কর্মক্ষেত্র পায় সে বিষয়ে গবেষণা করা এখন খুব জরুরী।
লেখা চমৎকার হয়েছে।
শুভ কামনা রইল

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "বহুদিন আগে শুনেছি থিসিস পেপার কিনতে পাওয়া যায়। আবার অনেকে অন্যের কাছ থেকে তৈরী করে নেন। ব্যাপারটা একই। আমার কথা হচেছ থিসিস অভিজ্ঞতাই যদি না থাকে তাহলে শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে কী হবে ? জাতি হিসাবে আমরা কী পাব আর দেশই বা কী পাবে ?
এখন সময় এসেছে সাবজেক্ট অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র তৈরী করা। মেধা যেন পাচার না হয় অথবা উচ্চ শিক্ষার পর দেশে ফিরে যেন কর্মক্ষেত্র পায় সে বিষয়ে গবেষণা করা এখন খুব জরুরী।
লেখা চমৎকার হয়েছে।"
................................. চমৎকার বলেছেন। একমত আপনার সাথে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.